ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

আগুনে পুড়ে ছাই বসতবাড়ি, পাগলপ্রায় তিন কৃষক পরিবার

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
আগুনে পুড়ে ছাই বসতবাড়ি, পাগলপ্রায় তিন কৃষক পরিবার

ফরিদপুরের নগরকান্দায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তিন কৃষকের বসতবাড়ি। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেলে উপজেলার কোদালিয়া-শহীদনগর ইউনিয়নের  মাঠ বালিয়া গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে সারাজীবনের কষ্টে অর্জিত সব হারিয়ে পাগলপ্রায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেলে কেউ ওই বাড়িতে ছিলেন না।

হঠাৎ বাড়ির রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহুর্তের মধ্যে তা আশপাশের বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও ততক্ষনে কৃষক খালেক মাতুব্বর, চানমিয়া ও জাকিরের বসতঘরসহ ঘরে থাকা আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, পেঁয়াজ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। 

0

ক্ষতিগ্রস্ত সালেহা বেগম বলেন, আগুনে সব কিছু পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। আমরা এখন কোথায় থাকবো? আগুনে আমাদের অন্তত ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

নগরকান্দা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে প্রচন্ড গরম থাকায় অল্প সময়ের মধ্যে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দাউদকান্দিতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
দাউদকান্দিতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
ছবি: কালের কণ্ঠ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে খোকন মিয়া (২৫) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গৌরীপুর বাজারের গোমতী সেতুর নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত খোকন মিয়া তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের নাগেরচর গ্রামের হক হুক্কু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, খোকন মিয়া গোমতী সেতুর দক্ষিণ পাড়ে একটা সিএনজি থেকে নেমে দ্রুত ইটের ঘাটে যায়।

কিছুক্ষণ পরই তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে গৌরীপুর পুলিশ ফাঁড়িকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত খোকন মিয়ার ভাই সাইফুল মিয়া বলেন, ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় খোকন। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখে লাশ সনাক্ত করি।

আমার ভাইয়ের কিভাবে মৃত্যু হলো এ মুহূর্তে বলতে পারছি না।

গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখেছি নিহত যুবক খোকন মিয়া একা দ্রুত হেটে যাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পরে এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দেয়, আমরা লাশ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসি। ময়নাতদন্তের জন্য আগামীকাল বুধবার কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।

মন্তব্য

বোনকে চুলের মুঠি ধরে মারধর, ভাইকে কুপিয়ে জখম

জেলা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
জেলা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
শেয়ার
বোনকে চুলের মুঠি ধরে মারধর, ভাইকে কুপিয়ে জখম
সংগৃহীত ছবি

ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে অটোরিকশায় ভাই-বোনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। বোনকে বাঁচাতে ভাই প্রতিহত করায় তাকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে মহাসড়কের  ঈশ্বরগঞ্জের গালাহার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  

এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনায় অভিযুক্তরা হচ্ছেন—বাদল মিয়া (৪০), নজরুল ইসলাম (২৭), রাসেল মিয়া(২৫), হানিফ মিয়া (৩০)। তাদের সকলের বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জের করমা গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে বিপ্লব মিয়া (২৩) গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক দিয়ে অটোরিকশায় ছোট বোনকে (১৩) নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে সশস্ত্র অবস্থায় ৪-৫ জনের একটি দল পথরোধ করে অটোরিকশার সামনে কোপ দেয়।

পরে ভাই-বোনকে টেনেহিঁচড়ে নামায়। ওই সময় দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে বোনকে উঠানোর চেষ্টা করলে ভাই বিপ্লব বাধা দেন। এক পর্যায়ে বিপ্লবকে হকিস্টিক দিয়ে পিটাতে শুরু করলে বোন চিৎকার শুরু করেন। পরে সন্ত্রাসীরা তার চুলের মুঠি ধরে মারধর শুরু করে।
পরে ভাইকে কয়েকটি কোপ দেয়। জীবন বাঁচাতে রক্তাক্ত অবস্থায় পাশের একটি বাড়িতে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পান বিপ্লব। সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গেলে আব্দুল খালেক নামে এক ব্যক্তি জানান, বাড়ি থেকে চিৎকার শুনে বের হয়ে দেখতে পান এক যুবক দৌড়ে তার বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করছেন। পেছনে অস্ত্র হাতে ধাওয়া করছে কয়েকজন।

ওই সময় চিৎকার শুরু করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বজনরা কথা বলতে রাজি হননি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রজিত কুমার জানান, এ ঘটনায় একজন কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ফরিদপুরে সেফটিক ট্যাংক বসাতে গিয়ে মাটি চাপায় শ্রমিকের মৃত্যু

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
ফরিদপুরে সেফটিক ট্যাংক বসাতে গিয়ে মাটি চাপায় শ্রমিকের মৃত্যু

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সেপটিক ট্যাংক বসাতে গিয়ে মাটির নিচে চাপা পড়ে শফিকুল শেখ (২৭) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকেলের দিকে বোয়ালমারী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আধাঁরকোঠা স্টেডিয়াম পাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শফিকুল শেখ উপজেলার ময়না ইউনিয়নের ময়না গ্রামের মৃত মোমিন শেখের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আঁধারকোঠা এলাকার স্টেডিয়াম এলাকার কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের ৫ তলা ভবনের নিচতলায় সেফটিক ট্যাংক নির্মাণের কাজ করছিল শফিকুলসহ দুইজন শ্রমিক। এ সময় তারা প্রায় ২০ ফুট গভীর দুটি গর্ত খনন করে। পরে ওই গর্তে রিংস্লাব বসানোর সময় বিকেল ৪টার গিকে হঠাৎ গর্তের পাশের স্তুপ ধসে মাটি চাপা পড়ে শফিকুল। এ সময় উপরে থাকা অপর শ্রমিকের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।

পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয় স্থানীয়রা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় আধা ঘন্টা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে শফিকুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ইমরান হুসাইন বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। ধারণা করা যাচ্ছে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে।

’ 

বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন লিডার আব্দুল খালেক বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩০-৪০ মিনিট তৎপরতা চালিয়ে তাকে উদ্ধার করি। যেখানে গর্ত খুঁড়া হয়েছে তা ভরাটকৃত বালুমাটি হওয়ায় ধসে মাটির নিচে চাপা পড়ে ওই শ্রমিক।’

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান জানান, ‘লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। তবে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।

বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
 

মন্তব্য
জুলাই হত্যাকাণ্ড

দ্রুত বিচার চান কুমিল্লার তিন শহীদ পরিবার

শাহীন আলম, কুমিল্লা (উত্তর)
শাহীন আলম, কুমিল্লা (উত্তর)
শেয়ার
দ্রুত বিচার চান কুমিল্লার তিন শহীদ পরিবার
রায়হান রাব্বির কবর জিয়ারত করছেন তার বাবা ফজর আলী। ছবি : কালের কণ্ঠ

জাতীয় নির্বাচনের অন্তবর্তী সরকারের কাছে জুলাই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন কুমিল্লার দুই শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তারা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যারা রক্ত দিয়ে দেশ শত্রুমুক্ত করল তাদের হত্যার বিচারের কথা তারা বলছে না। তারা ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায়।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি ‘জুলাই-আগস্টে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার নিশ্চিত করে এরপর জাতীয় নির্বাচন দেওয়া হোক।’

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরে শহীদ জাহিদ হোসেন রায়হান (রাব্বি)র বাবা ফজর আলী, মা আয়শা বেগম, বিকালে শহীদ আবদুর রাজ্জাক রুবেলের বৃদ্ধা মা হোসেনে আরা বেগম ও স্ত্রী হ্যাপী আক্তার এবং শহীদ জহিরুল ইসলাম রাসেলের মা মোর্শেদা বেগম এমন দাবি করেন। 

আরো পড়ুন
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা, কুমিল্লায় ৩ বাসযাত্রী নিহত

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা, কুমিল্লায় ৩ বাসযাত্রী নিহত

 

শহীদ আবদুর রাজ্জাক রুবেলের স্ত্রী হ্যাপী আক্তার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যারা হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত জড়িত পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। তারা প্রকাশ্যে কিভাবে ঘুরাঘুরি করছে, ইউএনও-ওসির সাথে মিটিং করছে।

আর যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা আবার জামিনে বেরিয়ে আসছে। তাদের কোন বিচারক জামিন দেন। আমার এক সন্তান ৯ মাসের পেটে থাকতেই বাবাকে হারাল। ৭ বছরের মেয়ে বাবাকে ছাড়া এই প্রথম ঈদ করল।
তারা আমার দুই সন্তানকে এতিম করেছে, আমাকে অল্প বয়সে বিধবা করেছে। এই অপরাধীদের বিচার হওয়া ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন চাই না।’  
 
শহীদ জাহিদ হোসেন রায়হানের বাবা ফজর আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে এর বিচার হবে রাষ্ট্রীয় গণহত্যার বিচার। তৎকালীন সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল, সরকারের আমলা ছিল যাদের নেতৃত্বে এসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে সকলকে বিচারের মুখোমুখি করে শাস্তি দিতে হবে। যারা রাষ্ট্রীয় গণহত্যার মামলার আসামি তারা আদালত থেকে জামিন পায় কিভাবে ? অপরাধীদের জামিন দেয়া অগ্রহণযোগ্য।
’ 

তিনি আরো বলেন, ‘শুধু দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলেই হবে না আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায় তারাও একই অপরাধে অপরাধী। এখন তো কোন দলে নেই। ড. ইউনূস ক্ষমতায় থেকেই আগে বিচার নিশ্চিত করে তারপর নির্বাচন দিক। আমার রাজনীতি করার ইচ্ছে নেই যারা রাজনীতি করে গাড়ি-বাড়ি করার ইচ্ছা তারাই নির্বাচন দাও-নির্বাচন দাও করে। আমরা নির্বাচন চাই না বিচার সম্পন্ন করার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত উনি থাকবেন। তারপর নির্বাচন। আমরা সহযোগিতা করব, আমার এক সন্তান (শহীদ) গেছে দরকার হলে আমিও (শহীদ) যাব। তবুও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব।’

আরো পড়ুন
ট্রাম্পের শুল্ক মোকাবেলায় ‘শক্ত পরিকল্পনা’ ইইউর

ট্রাম্পের শুল্ক মোকাবেলায় ‘শক্ত পরিকল্পনা’ ইইউর

 

রায়হান (রাব্বি)র মা আয়শা বেগম বলেন, ‘আমি চাই আমার সন্তানের বিচার। বিচার  শেষ হওয়া ছাড়া কোন নির্বাচন চাই না। গত  ঈদে আমার রাব্বি বাড়িতে খেলাধূলা করেছে। ঢাকা থেকে এসে ব্যাগ রেখে বলছে মা কি আছে দাও, ক্ষুধা লেগেছে এই বছর আমি পথ চেয়ে আছি কখন আমার রাব্বি এসে ডাক দিবে।’  

শহীদ জহিরুল ইসলাম রাসেলের বৃদ্ধা মা মোর্শেদা বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমার একমাত্র ছেলে হারিয়ে শোকে কাতর। সংসার তছনছ হয়ে গেছে। সাড়ে তিন বছরের মেয়ে ঝুমা বারবার বাবার কবরের পাশে বসে বাবাকে ডাকে ‘বাবা ওঠো ওঠো’। এই শোক জুলাইয়ে যারা শহীদ হয়েছে প্রতিটি পরিবারে রয়েছে। আমি সন্তান হত্যার বিচার চাই। বর্তমান সরকার যিনি আছেন তিনি দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করে তারপর নির্বাচন দিবেন বলে আশা করছি।’

গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নেরে খয়রাবাদ গ্রামের  জাহিদ হোসেন রাব্বি। পরদিন ৬ আগস্ট গ্রামের একটি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। রাব্বি এসএসসি পরীক্ষার পর খিলগাঁও এলাকার একটি মার্কেটে পাঞ্জাবি দোকানে কাজ করতেন। গত ৪ আগস্ট দেবিদ্বারে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের গুলিতে নিহত হয়  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রাজ্জাক রুবেল। তিনি কুমিল্লা-চট্টগ্রাম রোডে বাস চালক ছিলেন। পরদিন ৫ আগস্ট তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।  একই দিন ৪ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার গুলিস্থান এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় জহিরুল ইসলাম রাসেল। রাসেল একটি জুতার ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। 

আরো পড়ুন
সৌদি আরব কি এবার এক দিন আগেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে?

সৌদি আরব কি এবার এক দিন আগেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে?

 

এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার দেবিদ্বারে নিহত শহীদদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের একটি প্রতিনিধি দল। তারা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক রুবেল, শহীদ জহিরুল ইসলাম রাসেল ও শহীদ রায়হান রাব্বির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং খোঁজ-খবর নেন।। এক পর্যায়ে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো.জাহিদুল ইসলাম নিহত রায়হান রাব্বির বাবা ও মায়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন এবং ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে যেকোন সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনিপরে শিবিরের প্রতিনিধি দল শহীদদের কবর জিয়ারত করেন।  

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ