ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬
ঈদ আনন্দ

ভাড়া মিলনায়তনে চলছে বাংলা সিনেমা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
ভাড়া মিলনায়তনে চলছে বাংলা সিনেমা

ঈদে সব শ্রেণির দর্শকদের সুস্থ বিনোদন দিতে সিরাজগঞ্জ শহরের ইবি রোডের পৌর ভাসানী মিলনায়তনে বাংলা সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছে। ঈদের দিন থেকে চালানো হচ্ছে মেহেদি হাসান হৃদয় পরিচালিত ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান ও ভারতের নায়িকা ইধিকা পাল অভিনীত বাংলা ছায়াছবি ‘বরবাদ’। জনপ্রতি দেড় শত টাকায় টিকিট কেটে সিনেমা দেখছেন দর্শকরা। প্রজেক্টরের মাধ্যমে সিনেমা দেখানো হচ্ছে, ভিড়ও অনেক।

প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৩টা, সাড়ে ৬টা ও রাত্রী সাড়ে ৯টায় ৩টি শো’তে সিনেমা চলছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লাগানো হয়েছে পোস্টার, করা হয়েছে মাইকিং। আগামী ১৫ থেকে ২০দিন এই সিনেমা প্রদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

সিনেমা দেখতে আসা দর্শক নাজমুল হাসান, সুমন সেখ, আলী হোসেন ও রুবাইয়া জামান বলেন, প্রদর্শিত ছবিটা অনেক সুন্দর।

সিনেমা হলবিহীন সিরাজগঞ্জে ঈদ উপলক্ষে এ ধরনের আয়োজন করায় তারা অনেক খুশি। এ ধরনের বিনোদনের আয়োজন করায় আয়োজকদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি সিরাজগঞ্জ জেলায় বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলগুলো পুনরায় চালুর দাবি জানিয়েছেন আগত দর্শকরা। 

আরো পড়ুন
চোখের পানিতে কাটল ফয়সালের মায়ের ঈদ

চোখের পানিতে কাটল ফয়সালের মায়ের ঈদ

 

সিনেমার আয়োজক ও চলচিত্র নৃত্যু পরিচালক সাইফুল ইসলামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ শহরের চক কোবদাসপাড়ায়।

তিনি চলচ্চিত্র নৃত্য পরিচালক সমিতির সাবেক সহসভাপতি এবং জাসাসের চলচ্চিত্রবিষয়ক সম্পাদক।

সিনেমা চালানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৪০০ সিটের এই মিলনায়তনটি দৈনিক ৫ হাজার ৭৫০ টাকা ভাড়ায় সিনেমা চালানো হচ্ছে। টিকিটের দাম ধরা হয়েছে জনপ্রতি ১৫০ টাকা। প্রতিটি শোতে কিছু সিট খালি থাকলেও মানুষকে বিনোদন দেওয়ার জন্য এই আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যে সব জায়গায় সিনেমা হল বন্ধ রয়েছে, সেই সব অঞ্চলে মিলনায়তন ভাড়া নিয়ে ছবি প্রদর্শনে আইনি কোনো বাধা নেই।

এজন্য মন্ত্রণালয়, সিনেমা হল মালিক, পরিচালক, প্রযোজক ও পরিচালক সমিতি এবং সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন
খেজুর থেকে দূরে থাকবেন যারা

খেজুর থেকে দূরে থাকবেন যারা

 

তিনি আরো বলেন, গত বছরও একই ভাবে সিনেমা চালানো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু প্রতিহিংসামূলক কারণে অবৈধভাবে বাধা দেওয়ায় মাত্র ৩ দিন চালানোর পর সিনেমা বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। এবার আশা করছি ১৫ থেকে ২০ দিন সিনেমা চালাতে পারব। সুস্থ বিনোদন উপভোগের জন্য অস্থায়ী এই সিনেমা হলে দর্শকদের আসার আহ্বান জানিয়েছেন এই আয়োজক।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক ও সিরাজগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ পৌরবাসীকে সুস্থ বিনোদন উপহার দেওয়ার জন্য দৈনিক ভাড়ার ভিত্তিতে পৌর ভাসানী মিলনায়তনে সিনেমা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মিলনায়তনের সার্বিক নিরাপত্তা দেবে আয়োজকরা। এভাবে সিনেমা চলতে পারে কি না সিনেমাসংশ্লিষ্টরা বিষয়টি ভাল বলতে পারবেন, আমরা পৌরবাসীর বিনোদন প্রাপ্তির আশায় অনুমোদন দিয়েছি।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শিক্ষার আলোয় হরিজন সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা

নিয়ামুল কবীর সজল, ময়মনসিংহ
নিয়ামুল কবীর সজল, ময়মনসিংহ
শেয়ার
শিক্ষার আলোয় হরিজন সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা
ময়মনসিংহের নতুন বাজার হরিজন কমিউনিটির শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছবি : কালের কণ্ঠ

আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগেও হরিজন সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের স্কুল কলেজে যাওয়ার কথা কেউ চিন্তাও করতে পারত না। দারিদ্রতা, অশিক্ষা, পৃষ্টপোষকতার অভাব ইত্যাদি কারণে হরিজন সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ায় আগ্রহী ছিল না। আগ্রহ ছিল না তাদের অভিভাবকদেরও। নিজ সম্প্রদায়ের বাইরে এসে সমাজের অন্য দশ জনের সঙ্গে মিলেমিশে পড়াশোনা করাটাও তাদের অনুকূলে ছিল না।

তবে দিন বদলেছে। সময়ের সঙ্গে দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে সমাজের, সমাজের মানুষদের। তেমনি চিন্তা চেতনায় পরিবর্তনের ঢেউ লেগেছে হরিজন সমাজেও। দীর্ঘদিন ধরে নানাবিধ বৈষম্যের মধ্যেও শিক্ষার আলোয় একটি নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে চলেছে হরিজন ও বাঁশফোর সম্প্রদায়ের কিশোর-কিশোরীরা।

 

ময়মনসিংহের নতুনবাজার রেলক্রসিং সংলগ্ন হরিজনপল্লী এলাকায় হরিজন ও বাঁশফোর সম্প্রদায়ের বসবাস। হেলা পঞ্চায়েত প্রধান বিজয় হরিজনের দেওয়া তথ্যমতে, এই এলাকায় হরিজন ও বাঁশফোর মিলে প্রায় ৪০০ পরিবারের বাস এবং জনসংখ্যা প্রায় দুই হাজার জন। এ কমিউনিটির বেশিরভাগ মানুষ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করে থাকেন।

অল্প সংখ্যক মানুষ অন্য পেশায় জড়িত হলেও তা সংখ্যায় খুবই সীমিত।

এদের অনেকেই নিজেদের পরিচয় দিতে দ্বিধান্বিত হন। দেশ কিংবা রাষ্ট্র উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে গেলেও তাদের জীবনযাত্রার মানে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। এ সম্প্রদায়ের অনেকেই মনে করে থাকেন, পড়াশোনা করে তাদের জীবন-মানে খুব বেশি পরিবর্তন আসবে না। তাদের বংশধরদেরও পেশা হিসেবে ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীকেই বেছে নিতে হবে।

তবে হরিজন ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় মূলত এগিয়ে এসেছে বেসরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

বেসরকারি সংস্থার তত্ত্বাবধানেই ২০-২৫ বছর আগে হরিজন পল্লীতে হরিজন শিশুদের নিয়ে চলত প্রাথমিক পর্বের পাঠদান। কিন্তু মাধ্যমিকে বা কলেজে হরিজন শিশুদের যাতায়াত তখন ছিল না বললেই চলে। তবে এ সম্প্রদায়ের উন্নয়নে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে এবং এখনো করছে। প্রতিবন্ধী কমিউনিটি সেন্টার (পিসিসি)-এর প্রকল্প প্রমোটিং এডুকেশন এন্ড রাইটস অব মাইনরিটিস (পার্ম) অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি হরিজন সম্প্রদায়ের শিক্ষা ও অধিকার উত্তরণে ২০১৭ সাল থেকে অদ্যাবধি কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে শান্তি মিত্র সমাজকল্যাণ সংস্থা।

প্রকল্পটি শুরু থেকেই হরিজন সম্প্রদায় এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ৮০ শিক্ষার্থীকে তাদের শিক্ষার সুবিধায় মাসিক শিক্ষাবৃত্তি, ভর্তি ও অন্যান্য ফি ও শিক্ষা উপকরণ দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কিশোর-কিশোরীদের জন্য ক্লাব গঠন, মানবাধিকার, নৈতিক মূল্যবোধ, জীবন দক্ষতা এবং বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত কর্মশালা করে থাকে। এতে এ কমিউনিটিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পুরনো ধ্যান-ধারণা ভেঙে হরিজন সম্প্রদায়ের মধ্যে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। পারস্পারিক যোগাযোগ দক্ষতা ও নেতৃত্ব দক্ষতা বেড়েছে। বাল্যবিবাহ বিষয়ে অভিভাবক ও কমিউনিটি জনগণের সচেতনতা বেড়েছে।

বর্তমানে নতুন বাজার হরিজন কমিউনিটিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ২২০ জন, উচ্চবিদ্যালয়ে ৫৭ জন এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭ জন পড়াশোনা করছে। যা নতুন আশার সঞ্চার করে। এ কমিউনিটির শিশু-কিশোর-যুবরাও এখন স্বপ্ন দেখে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, পুলিশ-আর্মি অফিসার ও শিক্ষক হওয়ার।

এ সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী শাওন সরকার বর্তমানে এইচএসসি পাশ করে অনার্সে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, তার স্বপ্ন একজন ব্যাংকার হওয়া। 

হরিজন পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি বিনোদ হরিজন বলেন, হরিজন পল্লীতে শিক্ষার হার খুব কম ছিল। হরিজন কমিউনিটির অনেক ছেলে-মেয়ে এখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। স্বপ্ন দেখছে, ভবিষ্যতে ভালো অবস্থানে যাওয়ার।

হরিজন যুব সঙ্গের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিব হরিজন বলেন, হরিজন পল্লীর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নিজ কমিউনিটির বাইরে স্কুলগুলোতে ভর্তির আগ্রহ কম ছিল। বর্তমানে শিক্ষার বিষয়ে সচেতনতার ফলে তারা নিজ কমিউনিটির বাইরেও অনান্য বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে।

শান্তি মিত্র সমাজকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সুবর্ণা পলি দ্রং বলেন, একটি ন্যায্য ও বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন আমরা সবাই দেখি। আমাদের কাজের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, নতুন বাজার হরিজন কমিউনিটির মানুষের মধ্যে শিক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ছেলে শিশুর পাশাপাশি মেয়ে শিশুদের শিক্ষা ও অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাল্য বিবাহ হ্রাস পেয়েছে।

জেলা শিক্ষা অফিসার মোহসীনা খাতুন বলেন, হরিজন শিশুরা আজ পড়াশোনায় এগিয়ে আসছে। এঠি ইতিবাচক দিক। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দিনাজপুরে এলজিইডি ভবনে আগুনে পুড়েছে নথিপত্র, তদন্তে কমিটি

দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
দিনাজপুরে এলজিইডি ভবনে আগুনে পুড়েছে নথিপত্র, তদন্তে কমিটি
ছবি: কালের কণ্ঠ

দিনাজপুর এলজিইডি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ভোর ৫ টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।  

এ সময় ভবনটিতে সরকারি দুই কর্মকর্তা আটকে পড়েন।

পরে তাদেরকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় একজনকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) যুগ্ম পরিচালক রবিউল ইসলাম ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী মুন্নাফ হোসেন। রবিউল ইসলামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা গেছ,ভবনটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার কার্যালয় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে দপ্তরটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে গেছে। এ সময় চতুর্থ তলায় রেস্ট হাউসে আটকা পড়ে দুই সরকারি কর্মকর্তা আহত হন।

দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা ওবায়দুল ইসলাম জানান, ভোর ৫টার দিকে আমরা এলজিইডি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাই।

দ্রুত সেখানে পৌঁছে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নেন। 

ওবায়দুল ইসলাম আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ভবনের দ্বিতীয় তলায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এ সময় চতুর্থ তলায় দুই প্রান্তে দুটি কক্ষে দুজন আটকা পড়েছিলেন। তাদের একজনকে জানালার গ্রিল কেটে উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অপরজনকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ৫তত্বাবধায়ক প্রকৌশল কার্যালয় দিনাজপুর অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামীম আখতারকে প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ৭ দিনে মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

দিনাজপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জানান, ভবনের দ্বিতীয় তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অফিসের কিছু ফাইলপত্র পুড়ে গেছে। চতুর্থ তলার আবাসিক কক্ষে দুজন অতিথি ছিলেন। একজন সামান্য আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে আমরা কাজ করছি।

মন্তব্য

নড়াইলের দেশীয় অস্ত্র-মাদক ও নগদ টাকাসহ ৬ মাদক কারবারি আটক

নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল প্রতিনিধি
শেয়ার
নড়াইলের দেশীয় অস্ত্র-মাদক ও নগদ টাকাসহ ৬ মাদক কারবারি আটক
ছবি: কালের কণ্ঠ

নড়াইলের কালিয়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ইয়াবা, গাঁজা, দেশীয় অস্ত্র , অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও ৭টি মোবাইলসহ ৬ জনকে আটক করেছে সেনাকাম্পের সদস্যরা।

গতকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে অভিযান চালিয়ে খাশিয়াল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাদের আটক করে সেনাবাহিনী।

আরো পড়ুন
শামসুন নাহার মাহমুদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

শামসুন নাহার মাহমুদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

 

আটককৃতরা হলেন- চোরখালীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রফিকুল মোল্যা, খাসিয়াল গ্রামের আকবর উদ্দিন, হাসমত বিশ্বাস, হাসমত বিশ্বাসের ছেলে নাঈম বিশ্বাস, হাসমত বিশ্বাসের স্ত্রী বিনা বেগম, পুঠিমারী গ্রামের আকাশ।

সেনাবাহিনী জানায়, নিয়মিত টহল চলাকালে পুটিমারী বাজারের পাশে একটি স্কুলের ফ্যান চুরি করার সময় আকাশ নামে একজন চোরকে আটক করে সেনাবাহিনী কাছে হস্তান্তর করে।

সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে আকাশের তথ্যমতে মাদক কারবারি আকবরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবা, গাঁজা, ৪টি দেশীয় অস্ত্র এবং নগদ টাকা উদ্ধার করে। এরপর মাদক ডিলার রফিকুল এবং মাদক কারবারি আকবর ও তার স্ত্রী এবং ২ সহযোগীকে আটক করা হয়।

মন্তব্য
ঠাকুরগাঁও

সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে আটক করল বিএসএফ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
শেয়ার
সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে আটক করল বিএসএফ

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের নাগর ভিটা গ্রামের এক যুবককে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে ভারতীয় সীমান্তের প্রায় ১০০ মিটার ভেতর থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তির নাম মো. আব্দুল হামিদ (৩২)। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সমির নগর (বাদামবাড়ি) এলাকার মো. জাহিদুর রহমানের ছেলে।

 

স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল, সেই সময় নাগর ভিটা সীমান্তের ৩৭৬-৪ নম্বর মেইন পিলার এলাকা দিয়ে হামিদ সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় ভারতীয় বিএসএফের বেগুনবাড়ি ক্যাম্পের সদস্যরা ভারতীয় ভূখণ্ডের ভেতরে থাকা অবস্থায় তাকে আটক করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। বিষয়টি নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা গেছে।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ