চিত্রনায়িকা শাবনূর এখন পরিবার নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থাকেন। মাঝেমধ্যে দেশে আসেন আবার কিছুদিন থেকে চলে যান। গত এক দশকে এভাবেই চলছে ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকার জীবন।
এর মধ্যে হঠাৎ করে অনেকটা চুপিসারে ঢাকায় এসেছেন শাবনূর।
চিত্রনায়িকা শাবনূর এখন পরিবার নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থাকেন। মাঝেমধ্যে দেশে আসেন আবার কিছুদিন থেকে চলে যান। গত এক দশকে এভাবেই চলছে ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকার জীবন।
এর মধ্যে হঠাৎ করে অনেকটা চুপিসারে ঢাকায় এসেছেন শাবনূর।
জানা গেছে, শাবনূরের এই তাড়াহুড়া ও হঠাৎ বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত তার মায়ের অসুস্থতার কারণে।
সিডনির সময় গত ২৮ মার্চ তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেন। মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে চড়ে তিনি একাই ঢাকায় আসেন।
শাবনূর গণমাধ্যমে বলেন, ‘এক মাস ধরে আম্মা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রতিনিয়ত ফোনে কথাবার্তা হচ্ছিল। ঢাকার বড় বড় হাসপাতালের ৩-৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে তিনি দেখিয়েছেন। কিন্তু কোনোভাবেই তারা আম্মার রোগ ধরতে পারছিলেন না।
এরপর আমি টিকিট খোঁজা শুরু করলাম। সেদিন রাতেই অনেক কষ্টে টিকিট পেয়ে যাই। লাগেজ নিইনি, তাই কোনো কাপড়চোপড় নিইনি। বলা যায়, এক কাপড়েই উড়াল দিই। পাসপোর্ট, টিকিট ও একটা ব্যাগপ্যাক সঙ্গী করেই আমি বাসা থেকে এয়ারপোর্টের উদ্দেশে রওনা হই। প্লেনের পুরোটা সময়, ট্রানজিটের সময়—কিভাবে যে কেটেছে, তা বলে বোঝাতে পারব না। আম্মার জন্য শুধু দোয়া করছিলাম।’
শাবনূর বললেন, ‘ঢাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, চিকিৎসকরা একের পর এক শুধু আম্মার টেস্ট করাতে বলছেন। এক পর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি করাতেও বললেন। কিন্তু এ অবস্থায় আমি কোনোভাবে হাসপাতালে ভর্তি করাতে ভরসা পাচ্ছিলাম না। আম্মারও কষ্ট হচ্ছিল। এসেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাড়াহুড়া করে আম্মার লাগেজ গুছিয়ে আবার উড়াল দিলাম।’
সিডনি যাওয়ার পরপরই তার মাকে সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরদিন থেকে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে বলে জানান শাবনূর। চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় তার মা এখন পুরোপুরি সুস্থ।
শাবনূরের মা, ভাই ও বোন এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এখন স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থাকেন। তবে সবাই কোনো না কোনো সময় আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকেন। এবার তার মা ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ঢাকায় ছিলেন। এর মধ্যে এক মাস ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
সম্পর্কিত খবর
সালমান খানকে হুমকি দেওয়া যেন এখন ‘ডাল-ভাত’ হয়ে গেছে। প্রায় প্রতিটা দিনই কাটে তার এখন জীবনহানির শঙ্কায়। এরমধ্যে অভিনেতা পান নতুন হুমকি। বোমা মেরে সালমানের গাড়ি উড়িয়ে দেবেন, তার আবাসনে হামলা চালাবেন বলে গত সোমবার হোয়াটস্অ্যাপে এক বার্তা পান মুম্বাইয়ের ওরলি পরিবহণ বিভাগের দফতর।
এর পর থেকে খোঁজ শুরু করে পুলিশ। চব্বিশ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার আগেই সেই হুমকিদাতাকে আটক করে তারা।
সোমবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ গুজরাতের বডোদরা থেকে ২৬ বছর বয়সী এক যুবক হুমকি বার্তা পাঠান। সেখান থেকেই তাকে আটক করে পুলিশ।
এর আগে শনিবার এক জ্যোতিষী জানিয়েছেন, যতই কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে থাকুন, চলতি বছরের শেষে প্রাণ নিয়ে টানাটানি হতে পারে সালমানের। নেপথ্যে তারই ঘনিষ্ঠজনেরা!
জ্যোতিষীর মতে, নিরাপত্তারক্ষী কিংবা গৃহকর্মে সহায়কেরাই সালমানের শত্রু হয়ে উঠতে পারেন। তারাই হয়তো ফাঁস করে দিতে পারেন ভাইজানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোপন তথ্য! তবে সেই বিপদও তিনি কাটিয়ে উঠবেন, আশ্বাস তার। তা হলে কি জ্যোতিষীর করা ভবিষ্যদ্বাণীই সত্যি হতে চলেছে?
দেশে কিংবা দেশের বাইরে, জায়েদ খান যেখানেই যান সেখানেই একটা আলাদা পরিবেশ তৈরি করে ফেলেন। গান হোক, নাচ বা ডিগবাজি—পুরো আলো নিজের দিকে নিয়ে নেন।
এবার নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে অনুষ্ঠিত বাংলা নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন জায়েদ খান। এছাড়াও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে তিনি অংশ নিয়েছিলেন ‘বাংলাদেশি প্যারেড’-এ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ সোসাইটি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ট্রাকে করে র্যালি করেন জায়েদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আগত অনেক বাংলাদেশি শিল্পীদের সাথে দেখা হয় এবং তাদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটান বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে জায়েদ খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এবারের পহেলা বৈশাখে খুব সুন্দর একটা সময় কেটেছে। এখানে নববর্ষ বরণ তারপর ‘বাংলাদেশি প্যারেড’-এ অংশ নিয়ে ট্রাকে করে জ্যাকসন হাইটসের রাস্তায় বাংলাদেশের পতাকা হাতে নিয়ে র্যালি করেছি।
তিনি আরো বলেন, ‘এখানে অনেকের সঙ্গেই দেখা হয়েছে। দেবাশীষ দা, প্রতিকসহ অনেকেই ছিল, একসঙ্গে অনেক আড্ডা দিয়েছি। অনেক গল্প করেছি।’
ঈদের পর পহেলা বৈশাখটাও বেশ দারুণভাবেই কাটিয়েছেন বলে জানান জায়েদ খান।
ঈদের দিনই সিনেমা দেখেছেন জানিয়ে জায়েদ খান বললেন, ‘ছোটবেলায় পিরোজপুরে উৎসবগুলোতে মেলার স্টল থেকে টাকা জমিয়ে জমিয়ে সেই টাকা দিয়ে সিনেমা দেখতে চলে যেতাম। এবারও ঈদের দিনই সিনেমা দেখেছি, ‘সিকান্দার’। যেহেতু আমি সালমান খানের অনেক বড় একজন ভক্ত। আর দেশি সিনেমা তো এখনও এখানে মুক্তি পায়নি, আগামী সপ্তাহে আসবে। সবগুলো ছবিই দেখব।’
সদ্য মুক্তি পাওয়া সানি দেওলের ‘জাট’ বেশ ভালো ব্যবসা করছে। ৫ দিনেই ৪৫ কোটির ঘর পেরিয়ে গেল। অন্যদিকে ঈদে মুক্তি পাওয়া
সালমান খানের ‘সিকান্দার’-এর আয় পাল্লা দিয়ে কমছে।
ট্রেড ওয়েবসাইটের রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার ‘জাট’ ছবির আয় কিছুটা কমেছে, তবে সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়া সত্ত্বেও ৭-৭.৫ কোটি নেট আয় করেছে।
যদিও তা সানির আগের হিট ছবি ‘গদর ২’ এর মতো চমকপ্রদ নয়, যা ভারতে পাঁচ দিনে ২২৮.৯৮ কোটি আয় করেছিল, তবুও ‘সিকন্দার’ বা ‘গুড ব্যাড আগলি’র সঙ্গে প্রতিযোগিতায় স্থিরভাবে টিকে আছে।
‘জাট’ প্রযোজনা করে মিথ্রি মুভি মেকারস এবং পিপল মিডিয়া ফ্যাক্টরি। সানি দেওল ছাড়াও ছবিতে রণদীপ হুদা এবং রেজেনা ক্যাসান্ড্রা মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এবং সাইয়ামি খের, জগপতি বাবু, রম্যা কৃষ্ণন, ভিনীত কুমার সিং, প্রশান্ত বাজাজ, জারিনা ওয়াহাব, পি. রবি শংকর এবং বাবলু পৃথ্বীরাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
পাকিস্তানের জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার খালিল-উর-রহমান কামারকে জড়িয়ে ‘হানি-ট্র্যাপ ও মুক্তিপণের জন্য অপহরণ’ মামলায় জড়িত আমনা উরুজসহ তিনজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে লাহোরের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি)। সোমবার (১৪ এপ্রিল) এটিসি বিচারক আরশাদ জাভেদ এই রায় ঘোষণা করেন, যা আদালত এর আগে এই উচ্চপ্রোফাইল মামলায় রায় সংরক্ষণ করার পর ঘোষণা করল।
নাট্যকার খলিলুর রহমানকে অপহরণের পরিকল্পনার জন্য কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আমনা উরুজ, মামনুন হায়দার এবং জিশান। এদিন মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্য কয়েকজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি পাকিস্তানের খবর অনুযায়ী, গত বছরের জুলাইয়ে নাট্যকার খালিল-উর-রহমানকে লাহোরের একটি বাড়িতে একজন নারী প্রলুব্ধ করে নিয়ে যান। ওই নারী নিজেকে তার ভক্ত দাবি করেছিলেন এবং একটি সঙ্গে চিত্রনাট্য সংক্রান্ত ব্যাপারে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
ভোর চারটা ৪০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর আমনা উরুজ স্বাগত জানান নাট্যকারকে। এর কিছুক্ষণ পরই একটি সশস্ত্র দল ঘরে প্রবেশ করে খালিল-উর-রহমানের শরীর তল্লাশি করে এবং তার কাছ থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা, আইফোন ১১ সিরিজের একটি মোবাইল ফোন, ব্যাংকের একটি এটিএম কার্ড এবং তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জব্দ করে।
অপহরণকারীরা খালিল-উর-রহমানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে দুই লাখেরও বেশি অর্থ উত্তোলন করে নেয়। এরপর মুক্তিপণ হিসেবে এক কোটি টাকা অর্থ দাবি করে সশস্ত্র দলটি। তারা জানায়, মুক্তিপণ না দিলে হত্যা করা হবে তাকে।
এ ঘটনার কিছুদিন পর বিস্তারিত সব এক সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন নাট্যকার খালিল-উর-রহমান।