পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতিসংঘের বাংলাদেশ আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার পান্থপথস্থ পানি ভবনে উচ্চপর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় দ্রুত ও কার্যকর জলবায়ু পদক্ষেপ, নদী পুনরুদ্ধার, এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বৈঠকে গুইন লুইস বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, “জাতীয় নীতির সঙ্গে স্থানীয় উদ্যোগ ও আন্তর্জাতিক লক্ষ্য মিলিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।”
আরো পড়ুন
মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় অভিযুক্ত রানাকে নেওয়া হচ্ছে ভারতে
প্রায় এক দশক ধরে বন্ধ থাকা এনভায়রনমেন্ট কমিউনিটি অব প্র্যাকটিস সক্রিয় করার ওপর জোর দেন তিনি। কার্যকর আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতার জন্য কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো শক্তিশালী করার আহ্বানও জানানো হয়।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, সব পরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ডের বিশ্লেষণ দরকার, তবে এখন বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার সময়।
অন্তত দুই-তিনটি প্রকল্প দিয়েই শুরু হোক। তিনি একটি নির্দিষ্ট দিনে সকল উন্নয়ন সহযোগীদের একত্রিত করার প্রস্তাব দেন। এতে করে মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় সহজ হবে এবং পানি ব্যবস্থাপনায় গতি আসবে।
আলোচনায় ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান, হালনাগাদ এনডিসি এবং এডিবি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সুইডেনের সঙ্গে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়।
উভয় পক্ষই সরকার, উন্নয়ন সহযোগী ও বেসরকারি খাতের যৌথ অর্থায়নের মডেল প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।
আরো পড়ুন
চাকরিজীবীদের টানা চার দিনের ছুটির সুযোগ
রিজওয়ানা হাসান সাম্প্রতিক সাফল্যের মধ্যে বিভাগভিত্তিক নদী পুনরুদ্ধার, খাল সংস্কার এবং ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পে গণশুনানি বাধ্যতামূলক করতে হবে। স্বচ্ছতা ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
আরো পড়ুন
এসএসসির ফল প্রকাশ কবে? জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, জাতিসংঘ অফিসের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ হর্ষদ গাইকোয়াড় এবং জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জলবায়ু ভাবনাকে বাস্তব কর্মে রূপান্তরের পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের মাধ্যমে বৈঠকটি শেষ হয়।