‘সজীবই ছিল আমাদের একমাত্র সম্বল’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘সজীবই ছিল আমাদের একমাত্র সম্বল’
সংগৃহীত ছবি

নরসিংদী শহরের তরোয়া এলাকার বাসিন্দা মো. হালিম সরকারের ছেলে ডা. সজীব সরকার। ডা. সজীব সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র লেকচারার হিসেবে কমর্রত ছিলেন। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন সজীব। গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ মধ্যে ছোট ভাইকে আনতে গিয়ে ঢাকার উত্তরার আজমপুরে গুলিতে নিহত হন তিনি।

 

আরো পড়ুন
দুই অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

দুই অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

 

প্রতিবার ঈদে পরিবারের সদস্যরা আনন্দে মেতে ওঠলেও এবারের ঈদে কোনো আনন্দ ছিল না ডা. সজীব সরকারের পরিবারে। নিজের বড় ছেলেকে হারিয়ে এখন পাগলপ্রায় মা ঝর্না বেগম। তিনি শয্যাশায়ী। অক্সিজেন ছাড়া একমুহূর্তও চলতে পারেন না।

ঈদের দিন বিছানায় শুয়ে শুয়েই ছেলের জন্য বিলাপ করতে থাকেন তিনি। মোবাইলের স্কিনে ছেলের ছবির দিকে একপলকে চেয়ে থাকেন। আর আল্লাহর কাছে ছেলের জন্য দোয়া করতে থাকেন।

ঝর্ণা বেগম বিলাপ করতে করতে বলেন, সজীব প্রতি ঈদে বাড়ির সবার জন্য কেনাকাটা করত।

সবচেয়ে বেশি সে আমার জন্য কাপড় কিনে আনত। আমার পরিবারের সে একমাত্র সম্বল ছিল। তাকে কষ্ট করে লেখাপড়া শিখিয়ে ডাক্তার বানিয়েছি। সেও আমার সেবা করত। আমার ছেলে এখন আমার কাছে নাই।
আমি কান্নাকাটি করি না, আল্লাহর কাছে দোয়া করি ছেলেকে যেন ভালো রাখেন।

আরো পড়ুন
ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ

ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ

 

শহীদ ডা. সজীব সরকারের বোন সুমাইয়া সরকার বলেন, ভাইয়া পরিবারের প্রাণ ছিলেন। তিনি পরিবারটাকে আগলে রাখতেন। প্রতি রমজানে আমরা পরিবারের সবাই একসঙ্গে ইফতার করতাম। তিনি পিঠা, পায়েস খেতে পছন্দ করতেন। প্রতি ঈদেই তিনি নামাজ পড়ে এসে সেমাই, পিঠা খেতেন। নামাজে যাওয়ার আগে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে খাবার তৈরি করতে বলতেন। আজ ভাই নেই, আমাকে কেউ ঘুম থেকে ডাকেনি। বাড়িতে কোনো ঈদের আয়োজন নেই। পুরো বাড়িতে এখন শূন্যতা ও নীরবতা বিরাজ করছে।

সজীবের এই আত্মত্যাগকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ও স্মরণ রাখার জন্য হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যসেবার কোনো প্রতিষ্ঠানের নামকরণ ডা. সজীব সরকারের নামে করার জন্য সরকারের কাছে দাবি করেন তিনি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এসএসসি পরীক্ষার আগের দিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
এসএসসি পরীক্ষার আগের দিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সিয়াম আহম্মেদ (১৭) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সিয়াম উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল খনকারচালা গ্রামের সৌদি প্রবাসী আমিনুর রহমানের ছেলে। সিয়াম মির্জাপুরের বংশাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে খাবারের পর সিয়ামের মা ও ছোট বোন পাশের বাড়িতে যান।

এ সময় সিয়াম তার কক্ষে পড়তে বসে। মা আর বোন বাড়ি এসে সিয়ামের কক্ষ আটকানো দেখতে পায়। ডাকাডাকি পারলে সাড়া শব্দ না পেয়ে সিয়াম ঘুমিয়েছে এমন ধারণা করেন তারা। তবে দীর্ঘ সময় পরেও সিয়াম না ওঠায় এলাকার লোকজন নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় সিয়ামকে দেখতে পান।
পরে তাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ রাতেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।

মন্তব্য

টঙ্গীর মাজার বস্তিতে র‍্যাবের অভিযান, অস্ত্র-মাদকসহ গ্রেপ্তার ৬

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
শেয়ার
টঙ্গীর মাজার বস্তিতে র‍্যাবের অভিযান, অস্ত্র-মাদকসহ গ্রেপ্তার ৬
টঙ্গীতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৬। ছবি : কালের কণ্ঠ

টঙ্গী মাজার বস্তিতে অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহরিয়ার হোসেন সৈকতসহ ৬ জনকে অস্ত্র এবং হিরোইনসহ গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গ্রেপ্তার শাহরিয়ার হোসেন সৈকত গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গাজীপুর এলাকায় ছাত্রদের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) মধ্যরাতে টঙ্গীর মাজার বস্তিতে র‍্যাব অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- শাহরিয়ার হোসেন সৈকত (৩২), মো. শাহানুর আহমেদ অমিত (১৮), মো. হিরা (৩২), মো. বায়জিদ (২৭), মো. জাহিদ (১৯) ও মো. নূর ইসলাম (২৭)।

এ সময় ১টি শর্টগান, বুলেট ৪ রাউন্ড, হিরোইন ১৯৫ গ্রাম, মোবাইল ফোন ২টি ও  নগদ ১৪০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায় সৈকত বিভিন্ন সময় অস্ত্রসহ মাদকসম্রাট রবিউল ইসলাম বাবুর সহযোগী হিসেবে ভীতি সঞ্চার করার জন্য শোডাউন করেন। একই সঙ্গে তিনি মাজারবস্তিতে বিভিন্ন স্পটে মাদক বিপণন করেন। পূর্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে শোডাউনের সময় তিনি পলায়ন করেন।

পরবর্তীতে গত ২৭ মার্চ টঙ্গীর বড়বাজার মসজিদ এলাকায় তিনি একজন সংবাদ কর্মীকে প্রাণনাশের উদ্দেশে ফাঁকা গুলি করেন বলে টঙ্গী পূর্ব থানা হতে অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী র‍্যাবের একটি দল তাকে ৯ এপ্রিল ভোররাতে টঙ্গী পূর্ব থানাধীন সেনাকল্যাণ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

আসামিকে অস্ত্র ব্যবহার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি খুব উগ্রভাবে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে তার এন্ড্রয়েড মোবাইল ফরেনসিক করে মাজার বস্তির একটি নির্দিষ্ট স্থানে মাদক বিক্রিসহ, নারীদের ব্যবহার করে হানিট্র্যাপ এবং মাদক বিক্রি করে অর্জিত বিপুল পরিমাণ টাকার ভিডিও এবং ছবি পাওয়া যায়।

 প্রাপ্ত ছবি এবং ভিডিওর সূত্র ধরে মাজার বস্তির বিভিন্ন স্পটে অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং ভিডিওতে প্রাপ্ত ঘর থেকে তল্লাশি করে একটি রিভলভার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত রিভলবারসহ আসামিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলমান।

র‍্যাব আরো জানায়, রিভলভারটি ভারতে স্থানীয়ভাবে তৈরি করা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি মাদক সম্রাট রবিউল ইসলাম বাবুর একটি মাদক স্পট থেকে পাওয়া যায় যেখানে আসামি সৈকত সেলসম্যান হিসেবে কাজ করেন। এ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি মাদক স্পটে গোপন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু শর্ট গান এমুনিশন পাওয়া যায়।

ইতিপূর্বে র‍্যাব অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি থানা থেকে লুণ্ঠিত গ্যাস গান কার্টিজ উদ্ধার করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সৈকত ৪ আগস্ট ছাত্রদের ওপর গাজীপুর এবং টঙ্গীতে প্রকাশ্যে গুলি বর্ষণ করে ও হামলা চালান। এ সংক্রান্তে তিনি একটি গোপন ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করেন বলে জানা যায়। পরবর্তীতে সরকার পতনের পর তিনি পোস্টটি ডিলিট করেন এবং গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে চলে যান। মাদকসম্রাট রবিউল ইসলাম বাবুর মাদক স্পট থেকে আরো ৫ জন মাদক সেবনকারীকে পাওয়া যায়। তাদের কাছ থেকে প্রায় ১৯৫ গ্রাম হিরোইন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত হিরোইন ল্যাব টেস্ট করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

মন্তব্য

ধর্ষণ মামলায় জামিনে বেরিয়ে ভুক্তভোগীকে অপহরণ, খোঁজ মেলেনি দুইদিনেও

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
শেয়ার
ধর্ষণ মামলায় জামিনে বেরিয়ে ভুক্তভোগীকে অপহরণ, খোঁজ মেলেনি দুইদিনেও
ফাইল ছবি

বছর তিনেক আগে ধর্ষণ মামলা করে জেল খাটানোর প্রতিশোধ নিতে ফের দাদি ও বোনের সামনে থেকে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার (৯ এপ্রিল) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আট জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা। 

ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামীরা হলেন— আমতলী উপজেলার হলদিয়া গ্রামের মো: জসিম উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে : মোর্শ্বেদ জয় (২০) ও তার সহযোগী মো: নাহিদ মোল্লা, মো: এনায়েত হাওলাদার, মো: জসিম, মো: ইমরান গাজী, শিরিনা আক্তার রুবি, লিপি বেগম ও নাহার বেগম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু।

ভুক্তভোগীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ে এইচএসসি পাশ করেছে। ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর তাকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে একই এলাকার মোর্শ্বেদ জয়, মো: নাহিদ মোল্লা ও মো: এনায়েত। সে সময় এ ঘটনায় তিনি কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

আসামীরা দীর্ঘদিন পর্যন্ত জেল হাজতে থাকার পর জামিনে ছাড়া পায়। সেই মামলাটি বর্তমানে পটুয়াখালীর আদালতে চলমান রয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করায় এবং সেই মামলায় জেল খাটার জেরে প্রতিশোধ নিতে গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ভুক্তভোগীকে নিজের ঘর থেকে ছোটো বোন ও দাদির সামনে থেকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তারা রামদা ছেনাসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ছিল।
এ সময় ছোটো বোন ও দাদি বাঁধা দিলেও তাদের আটকাতে পারেননি তারা। ভুক্তভোগীর মুখ বেঁধে মোটরসাইকেলে তুলে মোর্শ্বেদ ও নাহিদ তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে। এ সময় অভিযুক্তরা বাড়িতে লুটপাট চালায় বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর বাবা। 

মামলার বাদি বলেন, আমি ব্যবসায়ীক কাজে বাইরে ছিলাম। আমার স্ত্রী একজন শিক্ষিকা।

ঘটনার সময় তিনি স্কুলে ছিলেন। দিনের বেলায় সিনেমা স্টাইলে জয় ও তার সহযোগীরা আমার ঘরে ঢুকে মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। আমি আগে কেন মামলা করে তাদের জেল খাটিয়েছি। সেই আক্রোশে আমার মেয়েকে আবারও তারা অপহরণ করে নিয়ে গেছে। আমার ধারণা জয় আবার আমার মেয়েকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে। মেয়েকে কোথাও খুঁজ না পেয়ে আদালতে মামলা করেছি। আমার মেয়ে বেঁচে আছে কিনা তাও জানি না। তবে আমার মেয়ে আসামীদের দখলে আছে।

এই বিষয়ে জানতে মামলার প্রধান আসামী মোর্শেদ জয়ের ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, আদালতের আদেশ এখনো হাতে পাইনি। আদেশ হাতে পেলে আসামীদের গ্রেপ্তার ও ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সুন্দরবনে ডাকাতদের কবল থেকে ছয় নারীসহ ৩৩ জেলে উদ্ধার

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
সুন্দরবনে ডাকাতদের কবল থেকে ছয় নারীসহ ৩৩ জেলে উদ্ধার
সংগৃহীত ছবি

সুন্দরবনে দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর অপহরণকৃত ৬ জন নারীসহ ৩৩ জন জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। 

বিস্তারিত আসছে...

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ