একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (১০ এপ্রিল)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

সম্পর্কিত খবর

আলী রীয়াজ

রাষ্ট্র সংস্কারে সবার লক্ষ্য এক, দ্রুতই জাতীয় সনদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাষ্ট্র সংস্কারে সবার লক্ষ্য এক, দ্রুতই জাতীয় সনদ
ফাইল ছবি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে সবার লক্ষ্য এক। তবে সংস্কার বাস্তবায়নের পথ নিয়ে সামান্য ভিন্নতা আছে। তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করে যেসব জায়গায় ঐকমত্য আছে, তার ভিত্তিতে দ্রুতই জাতীয় সনদ তৈরি করা যাবে। এই সনদ তৈরির মাধ্যমে জাতির রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষার দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) সঙ্গে সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রথম ধাপের সংলাপের মাধ্যমে আলোচনার সূচনা হয়েছে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা পর্যায়ক্রমিকভাবে হয়তো আলোচনা করব। আমরা বিবেচনা করব, কীভাবে এক জায়গায় আসতে পারি।’

স্প্রেডশিটের কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন।

তখন স্পষ্ট করতে পারব কমিশনগুলোর অবস্থান কী, আপনাদের (রাজনৈতিক দল) অবস্থান বুঝতে চেষ্টা করব। তারই মধ্য দিয়ে প্রক্রিয়া অগ্রসর হবে।’

জাতীয় সনদ তৈরি প্রসঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আরো বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে—দ্রুততার সঙ্গে একটি জাতীয় সনদের জায়গায় পৌঁছানো। এই কমিশনের মেয়াদ যেহেতু জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

তাই আমরা আশা করি, প্রাথমিক আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে শেষ করতে পারব। পরে আমরা পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হব।’

আলোচনা টেবিলের দুই পাশে হলেও, এখানে পক্ষ দুটি নয় মন্তব্য করে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা সবাই একপক্ষ। চেষ্টা করছি রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য। আমাদের লক্ষ্য এক।

কিন্তু পথের ক্ষেত্রে সামান্য ভিন্নতা আছে। সেটা দূর করে—যে ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শাসন দূর করা গেছে, সে ঐক্যের জায়গায় পৌঁছাতে পারি এবং অগ্রসর হতে পারি। এখানে ঐক্য আছে, মতভিন্নতা আছে। সেই ঐক্যকে সুদৃঢ় করা এবং সংস্কারকার্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

প্রথম আলোর ইসলামবিদ্বেষের প্রতিবাদ করে প্রশংসায় ভাসছেন জামায়াত আমির

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রথম আলোর ইসলামবিদ্বেষের প্রতিবাদ করে প্রশংসায় ভাসছেন জামায়াত আমির

মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ নিয়ে কটাক্ষ করায় ‘প্রথম আলোকে’ জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। গতকাল এ বিষয়ে নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন তিনি। ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘প্রথম আলো ঈদের মতো একটি পবিত্র ইবাদতকেও কটাক্ষ করতে দ্বিধা করেনি।’

ডা. শফিকুর রহমান লেখেন, ‘প্রথম আলোর ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে কুকুরের ছবি, এ কেমন অদ্ভুত আচরণ? প্রথম আলো গত ৩০ মার্চের পত্রিকায় ঈদ শুভেচ্ছার কার্টুনে কুকুরের ছবি ব্যবহার করেছে।

পত্রিকাটা এর আগেও মহানবী (সা.)-কে অবমাননা করে, পরে বায়তুল মোকাররমের খতিবের হাত ধরে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান সম্পাদক মতিউর রহমান।’

তিনি আরো বলেন, ‘মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গি খুবই জঘন্য। প্রথম আলো ঈদের মতো একটি পবিত্র ইবাদতকেও কটাক্ষ করতে দ্বিধা করেনি। তা অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে এবং জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

এদিকে ইসলামবিদ্বেষ ও ধর্ম অবমাননার প্রতিবাদ করায় তাকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন নেটিজেনরা। জামায়াতের আমিরকে সমর্থন করে নানা মন্তব্য করছেন তারা। আহনাফ মাহদি নামের এক ব্যক্তি ওই পোস্টে লিখেছেন, প্রথম আলোর ডিক্লায়ারেশন বাতিলের পক্ষে আন্দোলন হতে হবে, এমন ইসলামবিরোধী, দেশবিরোধী পত্রিকা বাংলাদেশে চলতে পারে না। মো. সৌরভ হোসেন নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, অবিলম্বে প্রথম আলো নিষিদ্ধ করতে হবে এবং শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

প্রথম আলোর বিপক্ষে প্রতিবাদ করায় মেহেদি হাসান নামের এক ব্যক্তি জামায়াতের আমিরকে ধন্যবাদ জানান। 

এদিকে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের ওই পোস্ট শেয়ার করে ধর্ম অবমাননার প্রতিবাদ করায় তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হাজারো মানুষ। সুমন মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি পোস্টটি শেয়ার করে  লিখেছেন, জামায়েতের আমিরকে প্রথম আলোর বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য ভেতর থেকে ভালোবাসা রইল। ফয়েজ আহমেদ লিখেছেন, বাংলাদেশে এদের সব প্রতিষ্ঠান সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক।

মুন্সি মাজহারুল আনোয়ার লিখেছেন, প্রথম আলো হলো দিল্লি পরিচালিত ও ইসলামবিদ্বেষী গণমাধ্যম।

খাদেমুল ইসলাম বিদ্যুৎ লিখেছেন, সবাই আওয়াজ তুলি— মুসলিমবিদ্বেষী সব টিভি চ্যানেল এবং প্রথম আলো গংসহ সব পত্রিকা বন্ধের দাবি জানাই!

জি এম গিয়াস উদ্দিন বলেন, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার- এরা তো কোনো পত্রিকা নয়, এরা হলো বাংলাদেশে নিযুক্ত ‘র’-এর মুখপাত্র, ভারতের দালালদের কলমের আশ্রয়স্থল! এসব তথাকথিত পত্রিকাকে বিলুপ্ত করা উচিত...। আনোয়ার হোসেন বলেন, নাস্তিক প্রথম আলো সাংবাদিককে ক্ষমা চাইতে হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রাজধানীসহ ৮ বিভাগে বৃষ্টির আভাস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাজধানীসহ ৮ বিভাগে বৃষ্টির আভাস
ফাইল ছবি

সারা দেশে আজ দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া আধিদপ্তর। পাশাপাশি দেশের সব বিভাগে বৃষ্টির আভাসও রয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ ছাড়া সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস টাঙ্গাইলে। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

২০২৬ সালের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে চায় বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
২০২৬ সালের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে চায় বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর
ছবি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত

২০২৬ সালের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে চায় বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর। গতকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের চতুর্থ যৌথ পরামর্শক সভায় (এফওসি) এফটিএ চুক্তি নিয়ে উভয়পক্ষ এ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সিঙ্গাপুরে হওয়া সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন। অন্যদিকে সিঙ্গাপুরের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি লুক গো।

সভায় এফটিএ চূড়ান্ত করার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়।

উভয়পক্ষ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, সংযোগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, কৃষি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পর্যটন এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। আলোচনায় এসেছে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যু।  

আলোচনায় শুল্ক সংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তি, দ্বৈত কর পরিহারের জন্য সংশোধিত প্রটোকল, অপরাধ প্রতিরোধে পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই করার বিষয়ে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে।

আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উন্নয়নসহ আঞ্চলিক বিষয়গুলো উঠে আসে।

পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিন তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, পাটজাত পণ্য, পাদুকার মতো পণ্যের নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে বাংলাদেশের খ্যাতি তুলে ধরেন। তিনি সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের এসব খাতে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। এ ছাড়া আলোচনায় সিঙ্গাপুরকে বাংলাদেশের শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে পররাষ্ট্রসচিব আরও বেশি সিঙ্গাপুরী বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

তিনি বিশেষ করে জ্বালানি খাত, কৃষি প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম, চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদ এবং পর্যটন অবকাঠামোতে সম্ভাব্য সহযোগিতা চান। বাংলাদেশে টেকসই জ্বালানি উৎপাদন জোরদার করার জন্য বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র তৈরিতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চান জসীম উদ্দিন।

উভয়পক্ষ সিঙ্গাপুরে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকদের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা স্বীকার করেন এবং প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বাড়ানোর উদ্যোগসহ মানবসম্পদ উন্নয়নে ভবিষ্যতের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার জন্য সিঙ্গাপুরের প্রতি বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং আসিয়ান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং আঞ্চলিক ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব (আরসিইপি)-তে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ