<p>নামে মাত্র চলছে রৌমারী উপজেলার ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। চিকিৎসক আছেন মাত্র দুজন। বেশিরভাগ ওষুধ কিনতে হয় বাইরের দোকান থেকে। স্যাকমো দিয়ে চলে চিকিৎসা সেবা। দীর্ঘদিন থেকে জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। চিকিৎসক সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন সেবা নিতে আসা রোগীরা। এভাবেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।</p> <p>সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হলেও দেওয়া হয়নি পর্যাপ্ত জনবল। অ্যানেস্থেসিয়া কনসালটেন্ট থাকলেও অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে অপারেশন থিয়াটারের (ওটি) যন্ত্রাংশ। পদ থাকলেও নেই মেডিসিন, পেডিয়াট্রিক, অবস-গাইনি, কার্ডিওলজি, অফালমোলজি, সার্জারি, অর্থোপেডিক্স, নাক-কান-গলা ও স্কিন কনসালটেন্ট। এসব গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো রয়েছে ফাঁকা। জরুরি সেবার জন্য সচল নেই এক্সরে মেশিন। ইসিজি যন্ত্র থাকলেও নেই টেকনিশিয়ান। দীর্ঘদিন ধরে অচল অবস্থায় পড়ে আছে আট্রাসনোগ্রাম মেশিন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সরকারি চাকরীজীবীদের সুখবর দিলেন সিনিয়র সচিব" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/10/1736492247-a992f07d19721dbf74df68c1ed4e7c56.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সরকারি চাকরীজীবীদের সুখবর দিলেন সিনিয়র সচিব</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2025/01/10/1467118" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২০১টি পদের মধ্যে ৭৮টি পদই রয়েছে ফাঁকা। এর মধ্যে ২৫ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও রয়েছে মাত্র দুজন। নেই ডেন্টাল সার্জনও। এ ছাড়াও ফাঁকা রয়েছে প্রধান সহকারী কাম অ্যাকাউন্ট্যান্ট ১টি, হেলথ এডুকেটর ১টি, মেডিক্যাল টেকনিক্যাল এসআই ১টি, মেডিক্যাল টেকনিক্যাল ল্যাব ২টি, মেডিক্যাল টেকনিক্যাল রেডিওলজি ১টি, মেডিক্যাল টেকনিক্যাল ডেন্টাল ১টি, স্বাস্থ্য সহকারী ৩০টি পদের মধ্যে ৪টি, মেডিক্যাল টেকনিক্যাল ফিলিথেরাফি ১টি, কম্পিউটার অপারেটর ১টি, কার্ডিওগ্রাফার ১টি, অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ১টি, টিবি এক লেপ্রেসি কন্ট্রোল সহকারী ১টি, গার্ডেনার ১টি, নৈশপ্রহরী ২টি, আয়া ২, ফার্মাসিস্ট ৪টি পদের মধ্যে ৩টি, কুক-মশালচী ২টি পদের মধ্যে ১টি, অফিস সহায়ক ৬টি পদের মধ্যে ৫টি, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৫টি পদের মধ্যে ২টি, ওয়ার্ড বয় ৩টি পদের মধ্যে ২টি, হেলথ ইন্সপেক্টর ২টি পদের মধ্যে ১টি, সহকারী হেলথ ইন্সপেক্টর ৬টি পদের মধ্যে ৩টি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য একটি জেনারেটর মেশিন থাকলেও তেলের অভাবে তা থাকে বন্ধ।</p> <p>রৌমারী সদর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ি এলাকার আবু ছাইম জানান, তার বাবাকে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করতে নিয়ে আসেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু ভালো কোনো চিকিৎসক না থাকায় অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন কর্তৃপক্ষ। পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তার বাবাকে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আ. লীগ নেতার সঙ্গে হাসনাতের গোপন বৈঠক দাবির ফটোকার্ড প্রচার, যা জানা গেল" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/10/1736490837-d910c0bfa749cd12cea822ced3c1f8b7.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আ. লীগ নেতার সঙ্গে হাসনাতের গোপন বৈঠক দাবির ফটোকার্ড প্রচার, যা জানা গেল</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2025/01/10/1467113" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এই যদি হয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থায়, তাহলে গরীব মানুষ যাব কোথায়?’ </p> <p>পেট ব্যথাজনিত কারণে স্ত্রীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন চরশৌলমারী ইউনিয়নের ঘুঘুমারী এলাকার দিনমজুর মকবুল হোসেন। তিনি জানান, তাকে আট্রাসনোগ্রাম করতে বলা হয়েছে বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে। তার কাছে তেমন টাকা না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েন তিনি।</p> <p>অসুস্থ শিশু সন্তানকে চিকিৎসা নিতে এনেছিলেন সুখেরবাতি এলাকার মজনু মিয়া। তিনি বলেন, ‘এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু বিশেষজ্ঞ নেই। এ কারণে তার সন্তানকে বাইরের কোথাও নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাকে।’</p> <p>স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন আবুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসককে ডেকেও পাওয়া যায় না। আর বেশিরভাগ ওষুধ বাইরের দোকান থেকে কিনে আনতে হয়। আমরা গরীব মানুষ। দিন এনে দিন খাই। বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়ায় আশায় এখানে আসেন গরীব মানুষ। তারপরও বাইরের দোকান থেকে ওষুধ কিনতে হয়। তাহলে সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাভ কি?’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ফসলি জমির মাটি বিক্রির মহোৎসব, অসাধু চক্রের উৎপাত" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/10/1736492854-658b7b6fcaf431366f82e8aaa93afeb0.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ফসলি জমির মাটি বিক্রির মহোৎসব, অসাধু চক্রের উৎপাত</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2025/01/10/1467119" target="_blank"> </a></div> </div> <p>রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে জনবল সংকট রয়েছে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তা নিরসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। এখানে সব সময় রোগীর সংখ্যা বেশি থাকায় চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ পাচ্ছে না।’</p>