<p style="text-align:justify">পৌষের কুয়াশা ঢাকা ভোরের হিমেল হাওয়ার মধ্যেই চলনবিল অধ্যুষিত উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া এলাকায় ঐতিহ্যবাহী বাউত উৎসবে মেতে উঠেছেন শৌখিন মৎস্যশিকারিরা। এ উৎসবকে অনেকে পলো উৎসব নামেও চেনেন।</p> <p style="text-align:justify">শনিবার (১১ নভেম্বর) হেমন্তের কাকডাকা ভোরে পলো, চাক পলোসহ মাছ ধরার নানা উপকরণ নিয়ে দূর-দূরান্তের শৌখিন মৎস্যশিকারিরা হাজির হন চলনবিল অধ্যুষিত খাদুলী মৌজার উধুনিয়া বেতগাঁ নদীতে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মনের আনন্দে চলে মাছ শিকার।</p> <p style="text-align:justify">সরেজমিনে দেখা গেছে, চলনবিলে অধ্যুষিত উল্লাপাড়া উধুনিয়া বেতগাঁ নদীতে প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার মৎস্যশিকারি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একসঙ্গে মৎস্য শিকার করে। তাদের হাতে ছিল পলো, চাক পলো, নোট পলো, লাঠিজালসহ মাছ ধরার নানা সরঞ্জাম। একসঙ্গে বিলে ও নদীতে নেমে মাছ ধরার আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠে শিশু-কিশোর, যুবক, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষ।</p> <p style="text-align:justify">চলনবিলে মাছ ধরতে আসা বাউত উৎসবের মাছশিকারি আগ-গয়হাট্টা গ্রামের নুর মোহাম্মদ সরকার বলেন, ‘আমি প্রতিবছর মাছ শিকার করি।শখের বশে মাছ শিকারের জন্য চলন বিলের বিভিন্ন জায়গায় যাই। এখানে অনেক আনন্দ হয়। বাউতের একটা উৎসব হয়। এ জন্যই আমরা আসি।’</p> <p style="text-align:justify">চকপাঙ্গাসী গ্রামের খোরশেদ আলী বলেন, ‘বহু পুরনো কাল থেকে চলনবিল অধ্যুষিত এলাকায় মাছ শিকারের জন্য পলোর ব্যবহার হয়ে আসছে। তাই আমরা চলনবিলে মাছ শিকার করতে এসেছি।’</p> <p style="text-align:justify">খাদুলী গ্রামের সোহরাব জানান, দল বেঁধে মাছ ধরার এ আয়োজনে মাছশিকারিদের ডাকা হয় বাউত, তাদের ঘিরেই উৎসবের নামকরণ।</p>