<p>নাটোরের গুরুদাসপুরে অপহরণ চক্রের মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।</p> <p>গ্রেপ্তাররা হলেন নারায়নপুর গ্রামের মজিবর ইসলামের ছেলে ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মহুরীর ভাতিজা রাসেল ইসলাম (২২), আবু বক্করের ছেলে যুবদল কর্মী সাবিদুল ইসলাম (৪০) ও মজিবর শেখের ছেলে মিঠুন (২৫)। রাসেলের বিরুদ্ধে সিএনজি ছিনতাইসহ হত্যা মামলা রয়েছে।</p> <p>অপহৃত রুহুল আমিনকে (৫০) গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অপহৃতের ছেলে বাদী হয়ে সবুজ থানায় নারীসহ ওই চক্রের ১৮ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন।</p> <p>পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কামারপাড়ায় মোফাজ্জলের পরিত্যক্ত বাড়িতে রুহুল আমিনকে অপহরণ করে চক্রটি। বিবস্ত্র করে তার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করার হুমকি দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। </p> <p>তারা আরো জানায়, অপহৃত রুহুল আমিন খামারপাথুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার গুরুদাসপুর সরকারি পাইলট হাই স্কুল মাঠে ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল শুনতে এলে তাকে অপহরণ করা হয়। ওই চক্রের নারী সদস্য দিয়ে তাকে অপহরণ করে পরিত্যক্ত বাড়িতে নেওয়া হয়। </p> <p>তারা জানায়, ওই নারীর সঙ্গে রুহুল আমিনকে আপত্তিকর অবস্থায় ভিডিও ধারণ করা হয়। রুহুল আমিন মুক্তিপণের টাকার জন্য ছেলে শরিফুল ইসলাম সবুজকে ফোন করলে তিনি কৌশলে পুলিশের শরণাপন্ন হন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মূল হোতা রাসেলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।</p> <p>নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানায়, ৫ আগস্টের পর এই অপহরণ চক্রটি সক্রিয় হয়ে উঠে। তারা অপহরণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাদের গ্রেপ্তারে এলাকার অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। </p> <p>অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানান রুহুল আমিনের স্ত্রী শিরিনা বেগম।</p> <p>গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, এই অপরাধ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।</p>