<p>এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপুকে। ২০১৩ সালে খুলনার দৌলতপুরে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও পাট শ্রমিক ঠিকাদার, চরমপন্থীসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শহীদুল ইসলাম ওরফে হুজি শহীদ হত্যাকাণ্ড ঘটনার অন্যতম আসামি ছিলেন গোলাম রব্বানী টিপু। এই হুজি শহীদের ভাতিজা শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু চাচার হত্যার প্রতিশোধ নিতেই হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ।</p> <p>তিনি জানান, আসামিদের আদালতে তুলে রিমান্ড চাওয়া হবে। গতকাল বুধবার কক্সবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ। গত ৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজার সাগরপারের সিগাল হোটেলসংলগ্ন এলাকায় কেসিসির সাবেক কাউন্সিলর এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম রব্বানী টিপু (৫৪) খুন হন। নাইন এমএম পিস্তল দিয়ে দক্ষ শ্যুটার অত্যন্ত কাছ থেকে কপালে গুলি চালিয়ে তাঁকে হত্যা করেন। </p> <p>কক্সবাজার সৈকতে সংঘটিত এ ঘটনার পর পরই জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য কাজ শুরু করে জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৌলভীবাজারের জুড়ি থানা এলাকার কাপনা পাহাড়ি চা-বাগানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্য মতে কক্সবাজার শহরের কলাতলীর কক্স কুইন রিসোর্টের ২০৮ নম্বর কক্ষের চিলেকোঠা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কেসিসির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সেলিম আকনের মেয়ে ঋতু (২৪), একই এলাকার মো. জামাল শেখের ছেলে শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু (২৭) ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. হায়দার সরদার অদুদের ছেলে গোলাম রসুল (২৫)।</p> <p>পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিলেন। হত্যার পর পরই তিনজন একসঙ্গে পালিয়ে সিলেটে আত্মগোপনে ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে ঋতুকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।</p>