<p style="text-align:justify">নাটোরের বড়াইগ্রামে তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলায় ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচার ও বাণীসংবলিত কৃষিকথা প্রচার করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাসহ সুধীসমাজ।</p> <p style="text-align:justify">বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) মেলার শেষ দিনে সাবেক পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদের বাণী লেখা সংবলিত কৃষিকথা নামক কৃষিবিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন বিতরণ করা হয়। </p> <p style="text-align:justify">সেখানে সাবেক সরকারের কৃষি উন্নয়নের চিত্র বিভিন্ন পৃষ্ঠায় তুলে ধরা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়ন ভাবনা ও কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরা হয়।  </p> <p style="text-align:justify">বড়াইগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘কৃষি মেলায় সাবেক ফ্যাসিবাদ সরকারের কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদের লেখা ১ পৃষ্ঠার বাণী সংবলিত কৃষিকথা ম্যাগাজিন হাতে পেয়ে অনেকেই ফোন করে আমাকে জানালে মেলায় উপস্থিত হই। মেলায় আগত লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরে জনক্ষোভের মুখে কৃষি অফিসের লোকজন দ্রুত কৃষিকথা নামক ম্যাগাজিনগুলো মেলা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়।’ </p> <p style="text-align:justify">এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মারফুদুল হক জানান, ঢাকা থেকে নতুন-পুরাতন বইগুলো পাঠিয়েছে। এগুলো না দেখে, না পড়ে মেলায় বিতরণ করা হয়েছে। এটা অনিচ্ছাকৃত একটি ঘটনা।  </p> <p style="text-align:justify">উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলা। এই কৃষি মেলায় কৃষকদের সম্পৃক্ততা না থাকায় কৃষকসহ সচেতন মহলের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হয়। </p> <p style="text-align:justify">সরেজমিনে দেখা যায়, মাত্র ১৫০০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে ঘেরা প্যান্ডেলের মোট ৭টি স্টলের মধ্যে ৫টি স্টলই কৃষি মেলার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বাকি ২টির মধ্যে ১টি খাবার স্টল ও ১টিতে মেলা সংশ্লিষ্ট প্রদর্শনী হলেও গাছগুলো নির্জীব থাকায় তা দেখার মতো নয়।</p> <p style="text-align:justify">২০২৪-২৫ অর্থবছরে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই কৃষি মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ মেলার সমাপনী হয়।</p>