ঢাকা, রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫
১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫
১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

পঞ্চগড়ে ৪ বিচারকের অপসারণের দাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
শেয়ার
পঞ্চগড়ে ৪ বিচারকের অপসারণের দাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ
পঞ্চগড়ে ৪ বিচারকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভে ছাত্র-জনতা। ছবি : কালের কণ্ঠ

নিয়োগ বাণিজ্য, ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ বিচারকের অপসারণের দাবিতে পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। 

বুধবার বিকেলে পঞ্চগড় আদালত চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এরপর পথসভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি, সহ-সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান, মনিরুজ্জামান ফয়সাল ও মোজাহার ইসলাম সেলিমসহ ছাত্রনেতারা বক্তব্য রাখেন। 

এসময় বক্তারা বলেন, পঞ্চগড় আদালতের জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মন্ডল ও বিচারক আশরাফুজ্জামান ও আবু হেনা এখনো আওয়ামী লীগের দোসরের ভূমিকা পালন করছেন।

আগস্ট বিপ্লবের পরেও তারা ঘুষ, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় সমন্বয়কদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক। আগস্ট বিপ্লবের পরেও যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তারা আওয়ামী লীগের দোসর। তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা না হলে আদালত ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি বলেন, জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুকসহ চারজন বিচারক আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্ট। আদালতের নিয়োগে দুর্নীতি করে আইনমন্ত্রী এলাকার লোকদের বার বার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সরকারি বাড়ি ভাড়া নেয়া সত্ত্বেও জেলা ও দায়রা জজ আদালতকেই নিজের বাসভবন বানিয়েছেন। 

তিনি আরো বলেন, হাসিনার সময়ে প্রশাসনের লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হলেও তার দোসর এই বিচারকদের এখনো সরিয়ে নেয়া হয়নি।

তাই তারা শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এখনো নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আমাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা। তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেয়া না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনে আবারো রক্ত দেবো। তবু আর অন্যায় দুর্নীতি হতে দেবো না।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন তসলিমা নাসরিনের দোসর : মামুনুল হক

রংপুর অফিস
রংপুর অফিস
শেয়ার
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন তসলিমা নাসরিনের দোসর : মামুনুল হক
সংগৃহীত ছবি

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনে যারা আছেন, প্রত্যেকেই একেকজন তসলিমা নাসরিন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার কমিশনে যারা এমন প্রস্তাবনা দিয়েছেন, তারা ভারতে নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনের দোসর। এ ধরনের কটাক্ষের অপরাধে তাদের বিচার করতে হবে।’

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এক গণসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরো পড়ুন
পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশেও পানি বন্ধের দাবি ভারতের এমপির (ভিডিওসহ)

পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশেও পানি বন্ধের দাবি ভারতের এমপির (ভিডিওসহ)

 

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের রংপুর জেলার সভাপতি মুহাম্মদ আতাউল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শরাফত হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা রেজাউল করিম।

মামুনুল হক বলেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় ধর্মীয় উত্তরাধিকার ও পারিবারিক আইনকে বৈষম্যের কারণ বলা হয়েছে, যা সরাসরি কোরআন ও ইসলাম অবমাননার শামিল।

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অতীতের পাঁচটি গণহত্যার অভিযোগ এনে মামুনুল হক বলেন, ‘প্রায় তিন হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না।

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

আরো পড়ুন
ইন্টারপোলের মাধ্যমে সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ

ইন্টারপোলের মাধ্যমে সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ

 

প্রধান উপদেষ্টাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস সাহেবকে অনেক সম্মান দিয়েছি। আল্লাহর কোরআনের বিরুদ্ধে যদি তিনি অবস্থান নেন তার সঙ্গেও শেখ হাসিনার চেয়ে ভিন্ন কোনো আচরণ করব না।’

মামুনুল হক বলেন, ‘পৃথিবীতে আজ দুটি জনপদ সবচেয়ে বেশি সমালোচিত।

একটি গাজা ভূখণ্ড, যেখানে ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যা চলছে। আরেকটি হলো ৩০ কোটি মুসলমানের ভারত। যেখানে কসাই মোদি সরকার দেশটিকে মুসলিম শূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

বাংলাদেশে ইসলাম বিপন্ন হলে স্বাধীনতা টিকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা ইসলামবিদ্বেষী তারাই বাংলাদেশের শত্রু।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কয়রায় সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
শেয়ার
কয়রায় সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ
সংগৃহীত ছবি

রোগীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে খুলনার কয়রার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের দ্বিগুণ ভাড়ায় নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে রয়েছে সেবাগ্রহীতারা।

অ্যাম্বুল্যান্সচালকের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্সের প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১০ টাকা হলেও নির্ধারিত সেই ভাড়ার তোয়াক্কা না করে দ্বিগুণ ভাড়া বেশি নিচ্ছেন অ্যাম্বুল্যান্সচালকরা। 

আরো পড়ুন
ইন্টারপোলের মাধ্যমে সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ

ইন্টারপোলের মাধ্যমে সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে হলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তা দেখছেন না। 

সেবা নিতে আসা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অ্যাম্বুল্যান্স চলাচলে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকলেও তা অনুসরণ করেন না চালক আব্দুল মজিদ। অ্যাম্বুল্যান্স দিয়ে পথে বাণিজ্য করেন তিনি। রেফার করা হাসপাতালে রোগী পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে প্যাসেঞ্জার তুলে নেন।

ইচ্ছামতো অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে মুমূর্ষু রোগীর কাছ থেকে। রোগী ফেরত না আসলেও ফিরতি ভাড়া নিয়ে থাকেন তিনি। 

আরো পড়ুন
কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৬৩তম সভা অনুষ্ঠিত

কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৬৩তম সভা অনুষ্ঠিত

হেরফের হলে নানা অজুহাতে বন্ধ রাখা হয় অ্যাম্বুল্যান্স। নানা টালবাহানায় তার নির্ধারিত ভাড়া না দিলে হতে হয় ভোগান্তির শিকার।

এতে সময়মতো উন্নত চিকিৎসা না পাওয়ায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। স্থানীয়দের দাবি, অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া নিয়ে নিরাজ্য ও হয়রানি বন্ধ করে সরকারি নিয়ম ও সরকার নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হোক। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ন্ত্রিত দুটি, সরকারিভাবে দেওয়া একটি এবং জায়ইকা থেকে পাওয়া একটি অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে। দীর্ঘদিন একজন চালক দিয়ে রোগীদের জন্য চলে অ্যাম্বুল্যান্স সেবা কার্যক্রম। হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে ৯০-১৩০ জন রোগী বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা নেন।

তবে অ্যাম্বুল্যান্সের প্রয়োজন হয় গড়ে ৩-৪ জনের। এ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে জেলা শহর খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর নিয়মিত রোগী নিয়ে যাওয়া হয়। খুব কমই ঢাকায় রোগী নিয়ে যাওয়া হয়। 

আরো পড়ুন
দেশের স্বার্থে জনগণ ঝুঁকি নিতে দ্বিধাবোধ করে না : কামাল হোসেন

দেশের স্বার্থে জনগণ ঝুঁকি নিতে দ্বিধাবোধ করে না : কামাল হোসেন

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির কর্মকর্তাদের দাবি, বাড়তি টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। জেলা শহরে নিতে ২০০০-২৫০০ টাকা নেওয়া হয় রোগীর আর্থিক অবস্থা দেখে সঙ্গে সঙ্গে রোগী ও তাদের স্বজনদের এখন টাকা নিয়ে রসিদ দেওয়া হয়। 

মহারাজপুর গ্রামের বাসিন্দা রাকিব হাসান বলেন, 'অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিয়ে ভোগান্তি শিকার হয় সেবা নিতে আসা অধিকাংশ রোগী ও রোগীর স্বজনরা। কয়েক দিন আগে আমার এক প্রতিবেশী অসহায় অসুস্থ রিকশাচালককে নিয়ে হাসপাতালে যান তার দুই মেয়ে ও স্ত্রী। তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক রাতেই রেফার করেন। রাতেই জেলা শহরে নিতে অ্যাম্বুলেন্সচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি রাতের দোহাই দিয়ে চার হাজার টাকা ভাড়া চান। অসহায়ত্বের কথা বারবার বলার পরও তিনি টাকা না কমিয়ে নানা তালবাহার পথে তিন হাজার ৫০০ টাকার চুক্তিতে খুলনা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর রোগী মারা যান।'

আরো পড়ুন
নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চাইলেন রুডিগার

নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চাইলেন রুডিগার

হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি বলেন, হয়রানি এবং কয়েক ঘণ্টা দেরি না করলে হয়ত অসহায় মানুষটি বেঁচে যেত। প্রতিনিয়ত অ্যাম্বুলেন্সচালক দ্বারা সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

কয়রা মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের নয়ানী গ্রামের বাসিন্দা জাকারিয়া হোসেন বলেন, 'কিছুদিন আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আমার ফুফাতো বোনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সচালক মজিদ তিন হাজার টাকা ভাড়া নেন।' 

আরো পড়ুন
শ্মশান ভেঙে গো-হাট নির্মাণের অভিযোগ

শ্মশান ভেঙে গো-হাট নির্মাণের অভিযোগ

স্থানীয় বাসিন্দা মাছুম বিল্লাহ বলেন, 'শনিবার রাতে আমার এক আত্মীয় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরে চিকিৎসা নিতে বলেন। ওই রাতে মজিদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি তিন হাজার ৫০০ টাকা ভাড়া যান। রোগী পক্ষে এতো টাকা বহন করা সম্ভব নয় চালককে জানালে তিনি কম যেতে পারবেন না বলে জানিয়ে, তিন হাজার ৫০০ টাকা হলে যাবেন না হয় অন্য ব্যবস্থা করেন।' 

কয়রা সদরের আল আমিন ইসলাম বলেন, 'আমার এক ভাবি অসুস্থ থাকায় তাকে জেলা শহরে নিতে অ্যাম্বুলেন্সচালককে ফোন দিয়ে ভাড়া জানতে চাইলে তিনি তিন হাজার ৫০০ টাকা চান। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তির অ্যাম্বুলেন্স তিন হাজার টাকা দিয়ে নিয়ে যাই।' 

আরো পড়ুন
পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও নম্বর পেলেন ছাত্রলীগ নেতারা!

পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও নম্বর পেলেন ছাত্রলীগ নেতারা!

অভিযোগ স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সচালক আব্দুল মজিদ বলেন, 'আমাদের সরকারি বাজেট না থাকায় আমরা ঢাকা যাই না। হাসপাতাল থেকে দুই হাজার টাকা নির্ধারণ করা। আমরা কিছু খরচের জন্য চেয়ে নিই। তিন ৫০০ টাকা নেওয়ার কথা সঠিক নয়। গাড়ির তেলের সঙ্গে আরো অনেক খরচ হয়। তবু কোনো রোগীকেই চাপ দিয়ে ভাড়া নেওয়া হয় না। তারা খুশিমতো যা ভাড়া দেন তা নেওয়া হয়।' 

নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজাউল করিম বলেন, 'ইতোপূর্বে কয়েকটি বিষয় জানার পর আমরা চালককে লিখিত ও মৌখিকভাবে সতর্ক করেছি। অতিরিক্ত ভাড়ার নেওয়ার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। কিলোমিটার প্রতি ১০ টাকা নির্ধারিত এর বেশি নিলে আমাদের জানানোর অনুরোধ।' 

আরো পড়ুন
পিছিয়ে নারীরা, লিখিতের আগেই ছিটকে গেছেন ৭ ভাগের ৬ ভাগ

পিছিয়ে নারীরা, লিখিতের আগেই ছিটকে গেছেন ৭ ভাগের ৬ ভাগ

খুলনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোছা. মাহফুজা খাতুন বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই। রোগী নিয়ে গেলে রোগীর স্বজনরা খুশি হয়ে টিপস দিলে সেটা অন্য বিষয়। তবে রোগীদের জিম্মি করে যদি অতিরিক্ত ভাড়া নেয় সেটা অন্যায়। বিষয়টি আমি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ

পিছিয়ে নারীরা, লিখিতের আগেই ছিটকে গেছেন ৭ ভাগের ৬ ভাগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
পিছিয়ে নারীরা, লিখিতের আগেই ছিটকে গেছেন ৭ ভাগের ৬ ভাগ
ছবি: কালের কণ্ঠ

পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় বেশ পিছিয়ে পড়েছেন নারীরা। লিখিত পরীক্ষার আগেই ছিটকে গেছেন আবেদনকারীদের মধ্যে সাত ভাগের ছয় ভাগ। আগামী ৪ মে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিবেন মাত্র ৯ জন নারী প্রার্থী। অনলাইনে মোট আবেদন করেছিলেন ৬৩ জন নারী।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশিরভাগ নারী প্রার্থী উচ্চতার কারণে বাদ পড়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষায়ও তারা উত্তীর্ণ হতে পারেননি। যে কারণে আবেদনকারীর তুলনায় এখন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা অনেক কম।

বিপরীতে পুরুষ প্রার্থীতে বেশ আধিক্য লক্ষ্য করা যায়।

মাঠ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৭৫ জনের মধ্যে ২৭৮ জন পুরুষ নির্বাচিত হয়েছেন। তবে দুজন ফি জমা না দেওয়ায় ২৭৬ জন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিবেন। আবেদন করেছিলেন ৫২৪ জন পুরুষ প্রার্থী। অর্থাৎ সেই হিসেবে আবেদনকারীদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি পুরুষ লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

আরো পড়ুন
প্রশ্নপত্রের ছবি তোলায় অধ্যক্ষকে ৭ দিনের কারাদণ্ড

প্রশ্নপত্রের ছবি তোলায় অধ্যক্ষকে ৭ দিনের কারাদণ্ড

 

জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, কনস্টেবল পদে মোট ৩৯ থেকে ৪০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এরই প্রেক্ষিতে ৫২৪ জন পুরুষ ও ৬৩ জন নারী অনলাইনে আবেদন করেন। ৬, ৭ ও ৮ এপ্রিল মাঠ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৩৭৫ জন পুরুষ ও ৪২ জন নারী। এর মধ্যে শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষা শেষে ২৭৮ জন পুরুষ ও মাত্র ৯জন নারী প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ৪ মে লিখিত পরীক্ষা এবং ১৪ মে মনস্তাত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কনস্টেবল নিয়োগে পুরুষের ক্ষেত্রে মেধা কোটায় ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতা ধরা হয়। নারীদের ক্ষেত্রে এটি ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। তবে বিভিন্ন কোটার ক্ষেত্রে আরো ২ ইঞ্চি কম। এছাড়া ২০০ মিটার দৌড়, পুশ আপ, লং জাম্প, হাই জাম্প, দীর্ঘ দৌড়, টায়ার ড্রাগিং, রোপ ক্লাইম্বিংয়ের বেলায়ও পুরুষের চেয়ে নারীদের সময়, দূরত্ব কম রাখা হয়। এসব শারীরিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও অনেক নারীরা ছিলেন বেশ পিছিয়ে। যে কারণে তাদেরকে বাদ পড়তে হয়। 

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুন নূর বলেন, ‘নারীরা এমনিতেই নানাভাবে পিছিয়ে আছে। পুলিশে যোগদানের ক্ষেত্রে সামাজিক নানা প্রতিকূলতার জন্য তারা এখনো সেভাবে মানসিকভাবে প্রস্তুত নন। যারাই পুলিশের আসতে চান শুধু আর্থিক কারণে হুটহাট সিদ্ধান্ত নেন।’

তিনি বলেন, ‘নারীদের পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে গ্রামীণ যে খেলাধুলা সেগুলো আগের মতো না হওয়াটাও একটা কারণ। এক্ষেত্রে আমাদেরকে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিও বদলাতে হবে। নইলে শুধু পুলিশের ক্ষেত্রে নয় অন্য চাকরির ক্ষেত্রেও নারীরা পিছিয়ে পড়বেন।’

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, ‘নারী প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত যে উচ্চতা ছিল সেই অনুযায়ী না হওয়ায় অনেক প্রার্থী বাদ পড়ে যান। অনেকে আবার শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেননি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শারীরিক পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের জন্য যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়। তাদের পরীক্ষা নেওয়ার সময় পুরুষ প্রার্থীদেরকে রাখা হয়নি।’ লিখিত পরীক্ষার জন মাত্র ৯জন নারী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য

শ্মশান ভেঙে গো-হাট নির্মাণের অভিযোগ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
শেয়ার
শ্মশান ভেঙে গো-হাট নির্মাণের অভিযোগ
ছবি: কালের কণ্ঠ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় প্রায় দুইশ বছরের পুরনো একটি শ্মশান ভেঙে গো-হাট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আজ রবিবার দুপুরে শত শত সনাতন ধর্মাবলম্বী মহাসড়ক অবরোধ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদুল আহমেদের অপসারণের দাবি জানায়। দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে এ অবরোধ চলে। ফলে দুই পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নে কাঁচামাটিয়া নদীর ঘেঁষে প্রায় দুইশ বছরের পুরনো একটি শ্মশান রয়েছে। সম্প্রতি সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে ইউএনও সরকারের খাস জমি রয়েছে দাবি করে উচ্ছেদের উদ্যোগ নেন। এরপর একজন সমন্বয়কের মাধ্যমে গত চারদিন ধরে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। ভেকু দিয়ে মাটি ভরাটের সময় শ্মশানের কয়েকটি পিলার ভেঙে যায় এবং পুরো শ্মশান মাটির নিচে চাপা পড়ার উপক্রম হয়।

এতে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

ঘটনার সুরাহার জন্য ইউএনও’র কাছে গেলেও কোনো সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ। বরং প্রতিবাদকারীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ইউএনও’র বিরুদ্ধে। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

এরপর আজ সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জড়ো হয়ে বেলা ১২টার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

বিক্ষোভে শ্রীশ্রী করুনাময়ী কালীবাড়ি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক অলক ঘোষ ছোটন, রাজিপুর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জনি দে, ঈশ্বরগঞ্জ মহাশ্মশানের সাধারণ সম্পাদক পিন্টু চৌধুরী, সার্বজনীন শ্মশান কালীমন্দির কমিটির সভাপতি পরেশ চন্দ্র সাহা প্রমুখ অংশ নেন। তারা বলেন, শ্মশানটিতে তাঁদের বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তানসহ স্বজনদের দাহকার্য সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রতিবছর তাঁদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। তাঁদের স্মৃতি নষ্ট করতে এ ধরনের পরিকল্পনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

তাঁরা হুঁশিয়ারি দেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউএনও’র অপসারণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও মো. এরশাদুল আহমেদ বলেন, শ্মশানের কোনো অংশে হাত দেওয়া হয়নি, এটা গুজব। উচাখিলা বাজারের গো-হাটের ইজারা হচ্ছিল না, তাই সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য শ্মশানের পাশের খাস জমি বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। বালু ভরাটের সময় নির্মাণাধীন মন্দিরের তিনটি পিলার ভেঙে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ