কিশোরগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয়ে আগুন লেগেছে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) শহরের পুরাতন কোর্ট এলাকায় আগুন লাগে।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোরে আগুন লাগার বিষয়টি প্রথম দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারা দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
কিশোরগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয়ে আগুন লেগেছে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) শহরের পুরাতন কোর্ট এলাকায় আগুন লাগে।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোরে আগুন লাগার বিষয়টি প্রথম দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারা দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
নথিপত্র পুড়ে যাওয়ায় ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রমে মারাত্মকভাবে প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের মামলা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করতে কিছুদিনের জন্য অসুবিধা হবে।
কিশোরগঞ্জে ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর সৈয়দ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আগুনে কার্যালয়ে রক্ষিত সব আসবাব, নথিপত্র, কম্পিউটার, ল্যাপটপ পুড়ে গেছে। কোনো কিছুই আর ব্যবহার করার মতো নেই।
কার্যালয়টি পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী। তা ছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মাসুদ সরদার ঘটনাস্থল ঘুরে গেছেন।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে প্রথমেই আমাদের তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করে। আগুনের ভয়াবহতা বাড়লে করিমগঞ্জ থেকে আরো দুটি ইউনিট আনা হয়।
সম্পর্কিত খবর
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদী থেকে জিহাদ সরদার (৩০) নামে এক ব্যক্তির মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে ছোট ভাকলা ইউনিয়নের অন্তর মোড় এলাকার খেয়াঘাটের পূর্ব পাশে পদ্মা নদীতে ভাসমান অবস্থায় গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ও দৌলতদিয়া নৌপুলিশ যৌথভাবে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত জিহাদ সরদার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চর বরাট গ্রামের শহিদ সরদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আজ রবিবার ভোরে পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা নদীতে একটি মাথাবিহীন মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়দের খবর দেয়।
নিহতের চাচা কেচমত সরদার জানান, জিহাদ ঢাকায় একটি জাহাজ কারখানায় চাকরি করতেন। গত ২৪ এপ্রিল ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা ও দৌলতদিয়া নৌপুলিশ যৌথভাবে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
জুলাই আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার গর্বিত সন্তান শহীদ জসিম উদ্দিন। তার কন্যা লামিয়ার জানাজায় অংশ নিতে পটুয়াখালী যাচ্ছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৌফিক আলী খান কবির এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ইতোমধ্যে রুহুল কবির রিজভী বরিশালে পৌঁছেছেন।
এর আগে, শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকার ৬ নম্বর রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় লামিয়ার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মার্চ পটুয়াখালীর পাংগাশিয়া ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে লামিয়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন।
লামিয়ার মৃত্যুতে পরিবার, এলাকাবাসী ও বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় শ্রমিকদল নেতা ফজল হক (৫৫) নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৪৫) এবং ছেলে মনিরুজ্জামান (২৫)। আজ রবিবার সকালে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বংশিনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজল হক বংশিনগর গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪৭ বছর আগে ফজল হকের দাদি ৫৫ শতক জমি তাকে রেজিস্ট্রি করে দেন। বিষয়টি তিনি সম্প্রতি জানতে পেরে জমিটি দখল বুঝে নিতে উদ্যোগ নেন। তিনি এ বিষয়ে আদালতে একটি মামলাও করেছেন।
রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফজল হকের ফুপাতো ভাইয়ের ছেলে পারভেজ দেশীয় অস্ত্রসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন লোক নিয়ে ওই জমিতে বেড়া দিতে যান। খবর পেয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে প্রতিবাদ করতে ঘটনাস্থলে গেলে ফজল হককে এলোপাতারি কুপিয়ে জখম করে।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ফজল হকের সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করেছেন। মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, লাশের সুরতহাল হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছেন বলে জানান।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে যড়যন্ত্রের অভিযোগে শাহবাগ থানায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ পাঁচজন খালাস পেয়েছেন। আজ রবিবার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় ঘোষণা করেন।
খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন, ব্যারিষ্টার মিলহানুর রহমান নাওমী, মো. রফিকুল ইসলাম নয়ন, হাবিবুর রহমান হাবিব ও রবিউল ইসলাম রবি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই বাসচাপায় রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হয়।
ছাত্র আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমির খসরুর একটি কথিত ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে। এতে ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার দাবি তুলে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন ডিবির তৎকালীন পল্লবী জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক মো. শামীম আহমেদ।
মামলায় আমির খসরু ও ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান।
২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক ফাতিমা ইমরোজ ক্ষণিমা অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু আদেশ দেন।