ঢাকার বংশাল এলাকায় ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ভ্যানচালক রিপন হোসেন মারা যান। দাফনের ৬ মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের পূর্ব পানপাড়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে আদালতের নির্দেশনায় লাশটি উত্তোলন করা হয়।
রিপনের লাশ উত্তোলনের সময় রামগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবব্রত দাস উপস্থিত ছিলেন।
নিহত রিপন পূর্ব পানপাড়া গ্রামের ছত্তর ভূঁইয়া বাড়ির মৃত ইদ্রিস মিয়া ও সুফিয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তিনি ঢাকায় ভ্যান চালাতেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বিকেলে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে রিপন গুলিবিদ্ধ হন। ৭ আগস্ট শ্যামলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
পরে রামগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শামীমা আক্তার রুমা বাদী হয়ে দুই শতাধিক লোককে আসামি করে রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত রিপনের স্ত্রী শামীমা আক্তার রুমা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গুলি করে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। বিচার পেতে আমি মামলা করেছি।
’ রিপনের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান তিনি।
রামগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবব্রত দাস বলেন, ‘মামলার তদন্তের প্রয়োজনে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।’