পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া আল আমিন নামের এক ইজিবাইকচালক হত্যার প্রথম আসামি সাবেক রেলমন্ত্রী ও পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম সুজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদা আকতার জুলিয়েট।
এর আগে সুজনকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়। এ সময় আদালত চত্বরে জড়ো হওয়া জনতা তাকে উদ্দেশ করে ভুয়া ভুয়া ও ভোট চোর স্লোগান দেন।
মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি আদম সুফি, জিপি আব্দুল বারী, এপিপি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন ও আইনজীবী হাবীব আল আমিন ফেরদৌসসহ অন্তত ১০ জন অংশগ্রহণ করেন এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে মির্জা সারোয়ার হোসেন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি আমিনুর রহমান, আজিজার রহমান আজু, আবু বক্কর সিদ্দিক, আলী আসমান বিপুলসহ ১০ থেকে ১৫ জন অংশ নেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মির্জা সারোয়ার হোসেন বলেন, মামলার শুনানিতে আদালতকে নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, একই দিনে তিনটি ঘটনায় ঢাকার যাত্রাবাড়ী, ডেমরা ও পঞ্চগড়ের মামলায় আমাকে আসামি করা হচ্ছে। আমি এই ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলাম না। আমাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি করা হচ্ছে।
ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ে যাওয়া-আসাতে আমার কষ্ট হচ্ছে। আদালতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ সময় তিনি আদালতের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। আমরা রিমান্ড না-মঞ্জুর করে জামিনের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত জামিন না-মঞ্জুর করে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি আদম সুফি বলেন, ভিকটিমের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। রহস্য উদঘাটনের জন্য এই মামলায় আসামির রিমান্ড প্রয়োজন ছিল। এটি আদালত অনুধাবন করেছেন। বিধায় আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।