জামালপুরে সিএনজি ও ট্রাকের সংঘর্ষে ৫ জনের মৃত্যু

জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
জামালপুরে সিএনজি ও ট্রাকের সংঘর্ষে ৫ জনের মৃত্যু

জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার দিগপাইত এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়।

নিহতেরা হলেন- সিএনজিচালক আব্দুর রাজ্জাক, যাত্রী এনাম ফকির, আরিফুল ইসলাম, আব্দুল করিম আলাল ও আলম মিয়া মিলিটারি।

স্থানীয়রা জানান, টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজির সঙ্গে ঢাকাগামী একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সিএনজি চালকসহ চারজন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বাকি দুইজনকে হাসপাতালে পাঠালে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়।

ঘাতক ট্রাক চালককে আটক করতে পারেনি কেউ। সংঘর্ষের পর পরই ট্রাক চলে যায়।

জামালপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ট্রাক ও সিএনজি সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

জামালপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পাঁচজনের মরদেহ রয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহের তথ্য রয়েছে। সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সাভারে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
শেয়ার
সাভারে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ
ছবি: কালের কণ্ঠ

সাভারের হেমায়েতপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় লাগা আগুনে দগ্ধ হয়েছে নারী-শিশুসহ অন্তত ৭ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাভারের হেমায়েতপুর নালিয়াশুর এলাকার নোয়াব আলীর বাড়িতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধরা হলেন- জিসান (২০), সোলেমান (১৮), শিল্পী (৪০) তার ছেলে সজীব (৭), হালিমা আক্তার (৪০), আমেনা বেগম (৬০) ও সুজাত মোল্লা (২৭)।

তারা সবাই আত্মীয়-স্বজন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে দগ্ধদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।

আহত রোগী স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যায় বাড়িতে আসা অতিথিদের বিদায় জানাতে পরিবারের সদস্যরা বাহিরে যায়। এসময় তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে গ্যাসের গন্ধ পান তারা।

এর কিছুক্ষণ পর সেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে আশেপাশে থাকা শিশু ও নারীসহ ৭ জন অগ্নিদগ্ধ হন। এসময় প্রতিবেশীরা দগ্ধদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

যোগাযোগ করলে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার পলাশ বলেন, সাভারের হেমায়েতপুর থেকে নারী ও শিশুসহ অগ্নিদগ্ধ ৭ জনকে আমাদের এখানে ভর্তি করা হয়েছে। তারা বর্তমানে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মন্তব্য

চাঁদাবাজি মামলার আসামিকে ছেড়ে দিল পুলিশ

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
শেয়ার
চাঁদাবাজি মামলার আসামিকে ছেড়ে দিল পুলিশ
সংগৃহীত ছবি

সাভারে চাঁদাবাজি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সাদ্দাম হোসেনকে (৩৫) আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভাকুর্তা ইউনিয়নের মোগড়াকান্দা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

মামলার বাদী নজরুল ইসলামের অভিযোগ, চাঁদাবাজির মামলায় নাম থাকা সত্ত্বেও সাদ্দামকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ, যা আইনের লঙ্ঘন। 

এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, সাদ্দামকে আটক করা হয়েছিল, তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

 

মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে কেনো ছেড়ে দেওয়া হলো, এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, সাদ্দামকে আটক করা হয়েছিল। তবে থানায় না এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান বলেন, কোনো পুলিশ ও ধরনের কাজ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

চাঁদাবাজি মামলার আসামিকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।

মন্তব্য

বিএনপির ব্যানারে আওয়ামী লীগের মানববন্ধন, সমালোচনার ঝড়!

কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
বিএনপির ব্যানারে আওয়ামী লীগের মানববন্ধন, সমালোচনার ঝড়!
সংগৃহীত ছবি

মাদারীপুরের কালকিনিতে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাহেবরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহিম মুরাদের পক্ষে ইউনিয়ন বিএনপির ব্যানারে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, মাহবুবুর রহিম মুরাদ কালকিনি উপজেলা যুবলীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি হাসিনা সরকারের আমলে ২০২১ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সমাবেশে অংশগ্রহণ করে জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। 

আরো পড়ুন
আ. লীগ নেতাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিল জনতা

আ. লীগ নেতাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিল জনতা

 

এসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি মুরাদের প্রতিপক্ষের লোকজন ফেসবুকে লেখালেখি করেন।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাহেবরামপুর ইউনিয়ন বিএনপির ব্যানারে একটি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে মুরাদ সমর্থকরা। এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঝে।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মানববন্ধন করেছে বিএনপির ব্যানারে অথচ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সাহেবরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কালাম আকন, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আকন, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মতি, সহ-সভাপতি আহসানসহ অনেকে।

এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহিম মুরাদ মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে একটি গ্রুপ অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তাই মানববন্ধন করা হয়েছে। এখন তো আর আওয়ামী লীগ দিয়ে মানববন্ধন সম্ভব না তাই বিএনপির লোকজন দিয়ে মানববন্ধন করা হয়েছে।’

কালকিনি উপজেলা যুবলীগের সদস্য খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘মুরাদ ভাই ভালো কী খারাপ তা জানি না। তবে তিনি কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন খাঁটি নিবেদিত সৈনিক।’

কালকিনি উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বলেন, সাহেবরামপুর ইউনিয়নে ছাত্রদলের কোনো কমিটি নেই।

যারা এই কাজ করেছে তারা ছাত্রদলের নেতাকর্মী হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে কালকিনি উপজেলা বিএনপির কমিটি নেই। তবে দলীয় কর্মসূচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক বেপারীর নেতৃত্বে পালিত হয়।

তিনি বলেন, কালকিনি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চেয়ারম্যান। তার পক্ষে বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের মানববন্ধন করার সুযোগ নেই। দলের নাম ভাঙিয়ে একটি কুচক্রী মহল বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার এই কাজ করেছে। যারা করেছে তারা আওয়ামী লীগের দোসর। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এমনও হতে পারে আমি এই আওয়ামী লীগের দোসরদের নিজ হাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে পারি।

মন্তব্য

আ. লীগ নেতাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিল জনতা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
শেয়ার
আ. লীগ নেতাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিল জনতা
সংগৃহীত ছবি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। এ সময় তার ভাই যুবলীগ নেতা সুমনকেও মারধর করা হয়।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যশোর শহরের ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন
একসঙ্গে গ্রেপ্তার যুবলীগের সভাপতি-সম্পাদক

একসঙ্গে গ্রেপ্তার যুবলীগের সভাপতি-সম্পাদক

 

জানা যায়, রবিবার বিকেলে যশোরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।

সেখানে স্থানীয়রা তাকে চিনে ফেলে মারধর করেন। পরে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে হেফাজতে নেয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মঞ্জুরুল ইসলাম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। এরপর আমাদের একটি টিম আবুল কালাম আজাদ ও তার ভাই সুমনকে নিয়ে আসে।

তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি না যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ