বিএনপির ব্যানারে আওয়ামী লীগের মানববন্ধন, সমালোচনার ঝড়!

কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
বিএনপির ব্যানারে আওয়ামী লীগের মানববন্ধন, সমালোচনার ঝড়!
সংগৃহীত ছবি

মাদারীপুরের কালকিনিতে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাহেবরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহিম মুরাদের পক্ষে ইউনিয়ন বিএনপির ব্যানারে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, মাহবুবুর রহিম মুরাদ কালকিনি উপজেলা যুবলীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি হাসিনা সরকারের আমলে ২০২১ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সমাবেশে অংশগ্রহণ করে জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। 

আরো পড়ুন
আ. লীগ নেতাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিল জনতা

আ. লীগ নেতাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিল জনতা

 

এসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি মুরাদের প্রতিপক্ষের লোকজন ফেসবুকে লেখালেখি করেন।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাহেবরামপুর ইউনিয়ন বিএনপির ব্যানারে একটি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে মুরাদ সমর্থকরা। এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঝে।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মানববন্ধন করেছে বিএনপির ব্যানারে অথচ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সাহেবরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কালাম আকন, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আকন, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মতি, সহ-সভাপতি আহসানসহ অনেকে।

এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহিম মুরাদ মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে একটি গ্রুপ অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তাই মানববন্ধন করা হয়েছে। এখন তো আর আওয়ামী লীগ দিয়ে মানববন্ধন সম্ভব না তাই বিএনপির লোকজন দিয়ে মানববন্ধন করা হয়েছে।’

কালকিনি উপজেলা যুবলীগের সদস্য খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘মুরাদ ভাই ভালো কী খারাপ তা জানি না। তবে তিনি কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন খাঁটি নিবেদিত সৈনিক।’

কালকিনি উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বলেন, সাহেবরামপুর ইউনিয়নে ছাত্রদলের কোনো কমিটি নেই।

যারা এই কাজ করেছে তারা ছাত্রদলের নেতাকর্মী হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে কালকিনি উপজেলা বিএনপির কমিটি নেই। তবে দলীয় কর্মসূচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক বেপারীর নেতৃত্বে পালিত হয়।

তিনি বলেন, কালকিনি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চেয়ারম্যান। তার পক্ষে বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের মানববন্ধন করার সুযোগ নেই। দলের নাম ভাঙিয়ে একটি কুচক্রী মহল বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার এই কাজ করেছে। যারা করেছে তারা আওয়ামী লীগের দোসর। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এমনও হতে পারে আমি এই আওয়ামী লীগের দোসরদের নিজ হাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে পারি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঐতিহ্যের সাক্ষী গাংগাটিয়া জমিদার বাড়ি

ছাইদুর রহমান নাঈম
ছাইদুর রহমান নাঈম
শেয়ার
ঐতিহ্যের সাক্ষী গাংগাটিয়া জমিদার বাড়ি
ছবি: কালের কণ্ঠ

বৃটিশ শাসন আমলে প্রচলন হওয়া জমিদারি প্রথার অন্যতম অনুসঙ্গ ছিল রাজকিয় জমিদার বাড়ি। একএকটি বাড়ি যেন সেই অঞ্চলের পানি, মাটি, মানুষ ও  জমিদারের নিজস্বতার পরিচয়ও বহন করে। এর মধ্যে অন্যতম কিশোরগঞ্জের গাংগাটিয়া জমিদার বাড়ি।

বিস্তারিত ভিডিও প্রতিবেদনে... 

 

মন্তব্য
ঠাকুরগাঁও

কালবৈশাখীর তাণ্ডব, ধ্বংস কৃষকের ৬৫ হেক্টর জমির ফসল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
শেয়ার
কালবৈশাখীর তাণ্ডব, ধ্বংস কৃষকের ৬৫ হেক্টর জমির ফসল
ছবি : কালের কণ্ঠ

ঠাকুরগাঁওয়ে গত শনিবার দিবাগত রাতে (১৩ এপ্রিল) ভয়াবহ কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা ঝড়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে গেছে এবং কৃষকদের মূল্যবান ফসল, বিশেষ করে পেঁয়াজের বীজ, ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার সদর উপজেলা ছাড়াও পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলায় তাণ্ডব চালিয়েছে ঝড়।

এলাকাবাসী জানায়, রাত আনুমানিক ১টার দিকে আকস্মিকভাবে প্রবল বেগে বাতাস বইতে শুরু করে।

সেই সঙ্গে বজ্রপাত ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিভিন্ন এলাকার গাছপালা ভেঙে পড়তে শুরু করে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং জনজীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ।

ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন জেলার হাজার হাজার কৃষক। বর্তমানে ঠাকুরগাঁওয়ে পেঁয়াজের বীজ বপনের মৌসুম চলছে।

অনেক কৃষক ইতিমধ্যেই তাদের জমিতে বীজ বপন করেছেন। ঝড়ের পর মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ জমির মাটি সরে গিয়ে বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কৃষকরা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রহমত আলী হতাশ কণ্ঠে বলেন, ‘আমি তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ বপন করেছিলাম।

ঝড়ের পরে সকালে মাঠে গিয়ে দেখি, কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। সব নষ্ট হয়ে গেছে।'

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়ন গ্রামের আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, তার ক্ষেতের শুধু পেঁয়াজবীজই নয়, সঙ্গে থাকা কিছু টমেটো ও মরিচগাছও ঝড়ে উপড়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘এক রাতের ঝড় আমার অনেক দিনের কষ্টের ফসল কেড়ে নিল।’

এদিকে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করেছে।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আলমগীর হোসেন জানান, ‘ঝড়ে ভুট্টা ১০.৭৫ হেক্টর, মরিচ ১ হেক্টর, শাকসবজি ১.৫ হেক্টর, পেঁয়াজবীজ ৫০ হেক্টর এবং লালশাক ২ হেক্টরসহ মোট ৬৫.৪৮২ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগিতার জন্য আবেদন জানানো হবে।'

মন্তব্য

নিজেদের সম্পত্তি বুঝে পেতে চান শতাধিক জমির মালিক

খালিদ সাইফুল
খালিদ সাইফুল
শেয়ার
নিজেদের সম্পত্তি বুঝে পেতে চান শতাধিক জমির মালিক
ছবি : কালের কণ্ঠ

মাথা গোঁজার স্বপ্নে সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে একটি বাড়ি করতে চান অনেকেই। গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কুষ্টিয়ার হাউজিং স্টেটের চতুর্থ পর্বে প্লটপ্রাপ্তরা ১০ বছরেও বুঝে পাননি বরাদ্দকৃত জমি।

বিস্তারিত ভিডিও প্রতিবেদনে... 

 

মন্তব্য

প্যারালাইজড স্বামীকে নিয়ে স্ত্রীর সংগ্রামী জীবন

এম সাইফুল ইসলাম
এম সাইফুল ইসলাম
শেয়ার
প্যারালাইজড স্বামীকে নিয়ে স্ত্রীর সংগ্রামী জীবন
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঝুপড়ি ঘরে অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে বাস করছেন হতদরিদ্র ঝর্ণা বেগম। কখনও খেয়ে আবার কখনও না খেয়ে কোনো রকমে চলছে তাদের সংসার। শশুরবাড়িতে কোনো সম্পত্তি না থাকায় মাথা গোঁজার ঠায় হিসেবে বেছে নিয়েছেন ডুমুরিয়া উপজেলার পৈত্রিক ভিটার ছোট একটি ঘর। 

বিস্তারিত ভিডিও প্রতিবেদনে... 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ