ঢাকা, শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫
১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫
১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

হুইলচেয়ার ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশসহ ৮ দল

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
হুইলচেয়ার ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশসহ ৮ দল
ছবি : কালের কণ্ঠ

প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাওয়া হুইলচেয়ার ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশকে। 

বাংলাদেশ হুইলচেয়ার ক্রিকেট দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও  অধিনায়ক মোহাম্মদ মহসিন এই খবর নিশ্চিত করে এটিকে ‘বাংলাদেশের জন্য একটি গর্ব ও আবেগের মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন।

এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে আন্তর্জাতিক হুইলচেয়ার ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পাকিস্তান হুইলচেয়ার ক্রিকেট কাউন্সিল।  টুর্নামেন্টটি চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত।

খেলা অনুষ্ঠিত হবে লাহোর ও ফয়সালাবাদে। এই বিশ্ব আসরে অংশ নেবে মোট আটটি দেশ—বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, কেনিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

প্রতিটি দেশের দল গঠিত হবে ২১ জন নিয়ে—যার মধ্যে থাকবেন ১৫ জন খেলোয়াড়, ৫ জন কর্মকর্তা এবং ১ জন বিচারক।

তবে গুরুত্বপূর্ণ এই আমন্ত্রণ পেলেও আর্থিক সংকটের কারণে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চিত।

মহসিন বলেন, ‘আমরা এখনও কোনো স্পনসর বা আর্থিক সহায়তা পাইনি। আমরা আন্তরিকভাবে বাংলাদেশের সরকার, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে অনুরোধ জানাই—এই উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য। এটি একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ।’

তহবিলের সংকট থাকলেও, দলটি ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে।

দেশকে গর্বিত করার স্বপ্ন ও ভালোবাসাই তাদের অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে বলে জানান মহসিন, এটি শুধুমাত্র একটি টুর্নামেন্ট নয়—এটি বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। আমরা গণমাধ্যম, ক্রিকেটপ্রেমী এবং দেশের প্রতিটি নাগরিককে আহ্বান জানাই—আমাদের পাশে দাঁড়ান, আমাদের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করুন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আজ গেছি, প্রয়োজনে আরো শতবার যাব : তামিম ইকবাল

সাইদুজ্জামান
সাইদুজ্জামান
শেয়ার
আজ গেছি, প্রয়োজনে আরো শতবার যাব : তামিম ইকবাল
তামিম ইকবাল। ছবি : মীর ফরিদ

ক্রিকেট সমাজে ঢি ঢি পড়ে গেছে। তাওহিদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরে গত কদিনে যা ঘটেছে, তা অভাবিত এবং হাস্যকরও। সবশেষ এপিসোডে যুক্ত হয়েছেন তামিম ইকবাল। শুক্রবার সদলবলে বিসিবির কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।

সভাশেষে জানা গেছে শাস্তির বাকি ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা আগামী মৌসুমে কাটাবেন মোহামেডান অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়। এই ঘটনায় দুটি ধারণা চাউর হয়েছে ক্রিকেটাঙ্গনে-

১। তামিমের দাপটে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত বদলেছে। 

২।

ক্রিকেটারদের দলভারি করে বিসিবির নির্বচনী শোডাউন করেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। শুক্রবার রাতে তামিমের কাছে এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছেন সাইদুজ্জামান।

প্রশ্ন : সবাই বলছে বিসিবির নির্বাচনের আগে একটা শোডাউন করলেন। শোনা যাচ্ছে আপনি প্রেসিডেন্ট ক্যান্ডিডেট!

তামিম ইকবাল : কি বলেন এসব! প্রথমত আমি নির্বাচন করব কিনা, সেটাই তো ঠিক করিনি।

আর যদি নির্বাচন করি, তাহলে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ কিংবা দেন-দরবার করব। যাদের সঙ্গে গেছি, তারা তো ভোটার না!

প্রশ্ন : ভোটের বাজারে এবার মোহামেডান বড় প্লেয়ার। আপনি সে দলের খেলোয়াড়। কেউ যদি বলে, সেই সূত্রে আপনি প্রতিবাদ করছেন?

তামিম : যদি তাই হতো, তাহলে আমি তো তাওহিদের শাস্তি ঘোষণার পরই প্রতিবাদ করতাম। তা তো করিনি।

আমিও মাঠে তর্ক করে শাস্তি পেয়েছি। তাওহিদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।  সিম্পল। ছোট দলের স্বল্প পরিচিত ক্রিকেটারের জন্যও আওয়াজ তুলতাম। যারা আমাকে চেনেন, তারা জানেন।

প্রশ্ন : তাহলে আজ কেন বলছেন যে তাওহিদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে? 

তামিম : অবশ্যই অন্যায় হয়েছে। ওর প্রথমে এক ম্যাচ সাসপেনশন হয়েছিল। দ্যাটস ফাইন। কিন্তু এরপর ৭ ডিমেরিট পয়েন্টটা একটু বেশি হয়েছে। তারপরও আম্পায়ার, ম্যাচ অফিয়ালদের সিদ্ধান্ত আমাদের মানতে হবে।

প্রশ্ন : তাওহিদের সঙ্গে অন্যায়টা কি হয়েছে, তা কিন্তু বলেননি।

তামিম : ওহ, অন্যায়টা হয়েছে আপনারা চিঠি দিয়ে ওকে খেলার অনুমতি দিলেন। আবার চাপে পড়ে সেই সিদ্ধান্ত পাল্টালেন। এভাবে তো হয় না। ক্রিকেটাররা ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার। এখন এদের যদি আপনি তুচ্ছ মনে করেন তাহলে ক্রিকেট তো শেষ!

প্রশ্ন : তাওহিদ নিজেও তো আইসিসির একজন এলিট আম্পায়ারকে হেয় করেছেন?

তামিম : আমি স্বীকার করছি যে, কথা বলার সময় তাওহিদকে আরো স্মার্ট হতে হতো। কিন্তু আপনি কি ওই প্রশ্নটা শুনেছেন? তাওহিদকে বলা হয়েছিল, আইসিসির একজন এলিট আম্পায়ারের সঙ্গে আপনি এভাবে তর্কে জড়ালেন কেন? এর উত্তরে তাওহিদ ওই কথাটা বলেছে যে সে-ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। এভাবে না বলে সে যদি বলত, মাঠে সবাই আম্পায়ার।  এখানে এলিট কিনা, তা ব্যাপার না। আমরা যে কোনো আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য।  তারপরও আমরা মাাঝমধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখাই, শাস্তিও হয়। আবার আম্পায়াররাও আমাদের মতো মানুষ, তাই তাঁরাও ভুল করেন। কিন্তু ক্রিকেটে ডিসিপ্লিন বজায় রাখার জন্য আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। 

প্রশ্ন : তারপরও কেন মনে হচ্ছে যে তাওহিদ পরিস্থিতির শিকার?

তামিম : অবশ্যই। নিষেধাজ্ঞা কে কিভাবে কমিয়েছে, প্রক্রিয়া ঠিক ছিল কিনা- এসব বোর্ডের ব্যাপার। তো শাস্তি কমেছে জেনে ম্যাচ খেলার পর এখন ওকে নিয়ে নতুন নাটক শুরু হয়েছে।  কেন?

প্রশ্ন : বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ, নাজমুল আবেদীন এবং ইফতেখার রহমান সভায় উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের এই প্রশ্নটা করেননি?

তামিম : অবশ্যই করেছি। কে ভুল করেছে, এটা তার আর বোর্ডের ব্যাপার। তাদের ভুলের জন্য একজন ক্রিকেটার সামাজিকভাবে হেয় হবেন কেন? আপনি অভিভাবক হয়ে তো এটা করতে পারেন না। উনারা সেই ভুল শিকার করেছেন।

প্রশ্ন : বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের ওপর খুব ক্ষুব্ধ মনে হলো আপনাকে? 

তামিম : অবশ্যই ক্ষুব্ধ। ক্রিকেট জুয়ার আমি কট্টর বিরোধী। তারপরও কোনো কিছু প্রমাণের আগে সেসব মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া কিংবা নিজের ফেসবুক পেজে উল্লেখ করা কোন ধরনের তদন্ত? আপনার সন্দেহ হয়েছে, ভালো কথা। তদন্ত করুন। প্রমাণ হলে শাস্তি দিন। কিন্তু সেসবের আগেই আপনি খেলোয়াড়ের নাম-ছবি মিডিয়ায় দিচ্ছেন। দুজন ক্রিকেটারকে প্রকাশ্যে ট্রায়াল করছেন। ইজ ইট আ জোক! ওই ছেলেগুলোর এবং ওদের পরিবারের মনের অবস্থা ভাবুন তো একবার! আইসিসিও সন্দেহ করে, তদন্ত করে। কিন্তু সেসব আপনি জানতে পারবেন তখনই যখন কোনো ক্রিকেটারের বিপক্ষে দোষ প্রমাণিত হয়। আর আমরা আগেই জনসমক্ষে ট্রায়াল করছি। কিন্তু দোষীকে তো ধরা পড়তে দেখি না। আমি আবারও বলছি, ক্রিকেট জুয়ার আমি ঘোর বিরোধী, এটা সবাই জানে। কিন্তু আগে প্রমাণ করুন। ঢালাওভাবে কাউকে হেয় করবেন না, ক্রিকেটকে ‘জোক’ বানাবেন না।

প্রশ্ন : আর কি নিয়ে আলাপ হলো?

তামিম : ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটারদের বেতন নিয়ে কথা বলেছি। এই যুগে একজন ক্রিকেটারের বেতন ২৫ হাজার টাকা। এটা ঠিক না। বোর্ড সভাপতিও তাই মনে করেন। এটা বদলাবে।
প্রশ্ন : সবশেষে, এভাবে দলবেঁধে গিয়ে আলোচনায় কি লাভ হলো? ২০১৯ বিশ্বকাপের পর আপনাদের বিদ্রোহের পরও কার্যত পরিস্থিতি বদলায়নি।

তামিম : আমরা তো বিদ্রোহ করিনি। আপনারা (মিডিয়া) হয়তো জানতেন না তবে আমি আগের রাতেই বিসিবি সভাপতিকে বলেছি যে, শুক্রবারে আপনার সঙ্গে আমরা বসতে চাই। আগে জানিয়েছি এ কারণে যে তিনি যেন আবার বিদ্রোহ ভেবে চমকে না যান। আর সুফল পাব কি পাব না, সেটা সময়ই বলবে। সেটা না পেলে আবার আলোচনায় বসব।

আর আপনি বললেন না যে আমি শোডাউন করতে গেছি কিনা! না, অবশ্যই না। অনেকদিন খেলেছি। এক্সপোজারও পেয়েছি যথেষ্ট। আর সেসবের দরকার নাই। আসলে গেছি, নিজের দায়বোধ থেকে। এত বছর ক্রিকেট খেলেও যদি ক্রিকেটের জন্য কিছু বলতে না পারি, তাহলে এতদিন কি ক্রিকেট খেললাম! সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে আমার মর্যাদাই-বা থাকল কোথায়? সেই দায়িত্ববোধ থেকে আজ (শুক্রবার) গেছি, প্রয়োজনে আরো শতবার যাব। এখানে আমার অন্য কোনো অভিলাষ নেই।

মন্তব্য

এশিয়া কাপের স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ক্রীড়া প্রতিবেদক
শেয়ার
এশিয়া কাপের স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের
ওমানের কাছে সেমিফাইনালে হেরে বাংলাদেশের এশিয়া কাপে খেলার স্বপ্ন শেষ। ছবি : এশিয়ান হকি ফেডারেশন

গত চার আসরে তিনবারই বাংলাদেশের কাছে ফাইনাল হেরে স্বপ্ন ভাঙা ওমান এবার হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। আজ এএইচএফ কাপের সেমিফাইনালে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেছে ওমান। টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মুকুট হারানোর সঙ্গে এ বছর ভারতে হতে যাওয়া এশিয়া কাপে খেলার সুযোগও হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের। টুর্নামেন্টের সেরা দুই দল কাটবে এশিয়া কাপের টিকিট।

আরো পড়ুন
হৃদয়ের নতুন করে পাওয়া শাস্তিকে হাস্যকর বলেছেন তামিম (ভিডিওসহ)

হৃদয়ের নতুন করে পাওয়া শাস্তিকে হাস্যকর বলেছেন তামিম (ভিডিওসহ)

 

টানা চার ম্যাচ জেতার আত্মবিশ্বাস নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় খেলতে নামে বাংলাদেশ। তবে অষ্টম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে মামুন উর রশিদের দল। প্রথম কোয়ার্টারে অবশ্য পেনাল্টি কর্নারে সমতা ফেরান সোহানুর রহমান সবুজ। পরের কোয়ার্টারে ওমানের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে বাংলাদেশ।

২৪ মিনিটে আশরাফুল ইসলাম পেনাল্টি কর্নারে এগিয়ে নেন দলকে। এরপর দ্রুত ছন্দ হারিয়ে দুই গোল হজম করে বাংলাদেশ। আল ফাজারি রাশিদ সমতা ফেরানোর পর ওমানকে ফিল্ড গোলে এগিয়ে নেন আল ফাহাদ।

আরো পড়ুন
‘জনসম্মুখে ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করা এবং ডেকে নিয়ে অভিনয় করানো অপমানের’

‘জনসম্মুখে ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করা এবং ডেকে নিয়ে অভিনয় করানো অপমানের’

 

তৃতীয় কোয়ার্টারের শুরুতে আল আলিয়াস আলতো টোকায় ওমানকে আরও এগিয়ে দেন।

একটু পরই ওবায়দুল হোসেন জাল খুঁজে নিলে ম্যাচ জমে ওঠে। কোয়ার্টারের শেষ দিকে আল ফারাজির গোলে বাংলাদেশের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায়। খেলায় ফিরতে শেষ কোয়ার্টারে দুই গোল প্রয়োজন হলেও সোহানুরের পেনাল্টি স্ট্রোক ব্যবধান কমালেও বাংলাদেশের আর ম্যাচে ফেরা হয়নি। এখন তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

তামিমদের চাপে হৃদয়ের শাস্তি এক বছর স্থগিত

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
তামিমদের চাপে হৃদয়ের শাস্তি এক বছর স্থগিত
আম্পায়ার সৈকতের সঙ্গে তর্ক করছেন হৃদয়। ছবি : কালের কণ্ঠ

তাওহিদ হৃদয়ের শাস্তি নিয়ে জলঘোলার যেন শেষ নেই। আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য যে শাস্তি তার এবারের মৌসুমে পাওয়ার কথা ছিল তা এখন আগামী বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

এতে করে সুপার লিগের বাকি দুই ম্যাচ মোহামেডানের হয়ে খেলতে বাধা নেই হৃদয়ের। তাই আগামীকাল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে টস করতে মাঠে নামছেন বাংলাদেশি ব্যাটারই।

অথচ, গতকাল ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিটনের (সিসিডিএম) টেকনিক্যাল কমিটির প্রধানের দায়িত্ব পাওয়া নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানিয়েছিলেন, গাজীর বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারবেন না হৃদয়।

তবে ফাহিমের বলাটা যেহেতু মুখে তাই শাস্তিটা কার্যকর হয়নি। কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে হৃদয়কে শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি সিসিডিএম। মোহামেডানের অধিনায়কের শাস্তির নাটক নিয়েই আজ তামিম ইকবালের নেতৃত্ব একদল ক্রিকেটার বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান ফাহিম ও আম্পায়ার্স ও মিডিয়া কমিটির প্রধান ইফতেখার রহমান।

আরো পড়ুন
হৃদয়ের নতুন করে পাওয়া শাস্তিকে হাস্যকর বলেছেন তামিম (ভিডিওসহ)

হৃদয়ের নতুন করে পাওয়া শাস্তিকে হাস্যকর বলেছেন তামিম (ভিডিওসহ)

 

হৃদয়ের শাস্তি স্থগিত হওয়ার বিষয়টা যে ক্রিকেটারদের চাপেই হয়েছে সেটা না বললেও আর চলে। গত ১২ এপ্রিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে এক ম্যাচের শাস্তি পান হৃদয়। সঙ্গে আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচটিতে অসদাচরণের জন্য ৪ ডিমেরিট ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।

কিন্তু ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখালে হৃদয়কে নতুন করে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট ও ৮০ হাজার জরিমানা করা হয়। ফলে নিষেধাজ্ঞা বেড়ে দুই ম্যাচ হয়। কিন্তু এক ম্যাচ পরেই মাঠে নামেন তিনি। তা নিয়েই পরে বড় রকমের ঝামেলার সৃষ্টি হয়।

হৃদয়ের শাস্তি কমানোয় সিসিডিএমের টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও আম্পায়ার এনামুল হক।

এমন সিদ্ধান্তে পরে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে আর পরিচালনা করবেন না বলে বিসিবিকে চিঠি দেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতও। আইসিসির এলিট প্যানেলের একমাত্র বাংলাদেশি আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তে নড়েচড়ে বসে বিসিবি। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে পরে আম্পায়ার্স বিভাগ জানায়, আগের শাস্তি অনুযায়ী হৃদয়কে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ভোগ করতেই হবে।

আরো পড়ুন
‘জনসম্মুখে ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করা এবং ডেকে নিয়ে অভিনয় করানো অপমানের’

‘জনসম্মুখে ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করা এবং ডেকে নিয়ে অভিনয় করানো অপমানের’

 

কিন্তু আজ ক্রিকেটার ও বিসিবির বৈঠকের পর সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এসেছে। হৃদয়ের শাস্তির বিষয়ে বৈঠক শেষে তামিম বলেছেন, ‘তাওহিদ হৃদয়ের দুই ম্যাচের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তখন কেউ নিয়ে কোনো কথা বলেনি। কিছুদিন পর তার শাস্তি দুই ম্যাচ থেকে এক ম্যাচ করা হয়েছে। বিসিবি এটা করেছে। তখনো আমরা কোনো কথা বলিনি। এক ম্যাচ শাস্তি ভোগ করার পর সে দুই ম্যাচ খেলল। তার মানে সে তার শাস্তি ভোগ করেছে। দুই ম্যাচ খেলার পর গতকাল আমরা শুনেছি তাকে আবার এক ম্যাচের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এটা কোন নিয়মে করা হয়েছে আমাদের জানা নেই। এটা হাস্যকর। বিসিবি তাকে খেলতে দিয়েছে, আবার কিভাবে শাস্তি দেয়।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘জনসম্মুখে ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করা এবং ডেকে নিয়ে অভিনয় করানো অপমানের’

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
‘জনসম্মুখে ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করা এবং ডেকে নিয়ে অভিনয় করানো অপমানের’
বাংলাদেশের সাবেক ওপেনার তামিম। ফাইল ছবি

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) এক ম্যাচ ঘিরে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। সেই ম্যাচ নিয়ে তদন্তও চলছে। যাদের বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে সেই দুই ক্রিকেটারকে তদন্তের অংশ হিসেবে মিরপুরে ডেকে নিয়ে মিডিয়ার সামনে এভাবে দৃশ্য ধারণ করার বিষয়টি মানতে পারছেন না তামিম ইকবাল।

তামিমের মতে, তারা যদি দোষী হয় তাহলে শাস্তি পাক আমরাও চাই।

কিন্তু এভাবে ডেকে মিডিয়ার সামনে অভিনয় করানোর অধিকার কারো নেই। আজ বিসিবির সভাপতি ও দুই কর্মকর্তার সঙ্গে ক্রিকেটারদের মিটিংয়ের পর এমনটিই জানিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক বাঁহাতি ওপেনার।

আরো পড়ুন
হৃদয়ের নতুন করে পাওয়া শাস্তিকে হাস্যকর বলেছেন তামিম

হৃদয়ের নতুন করে পাওয়া শাস্তিকে হাস্যকর বলেছেন তামিম

 

সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তামিম বলেছেন, ‘কিছুদিন আগে আপনারা দেখেছেন গুলশান আর শাইপুকুরের ম্যাচে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। আমরা বোর্ডকে খুবই স্পষ্টভাবে বলেছি দেখুন, যদি সেখানে কোনো দুর্নীতি হয় বা কোনো ক্রিকেটার কোনো ভুল কিছু করেছে তার শাস্তি হোক আমরা সবাই চাই।

আমরা শতভাগ এটার সঙ্গে একমত। কিন্তু তার মানে এই নয় যে এই দুটো ছেলেকে নিয়ে মিডিয়ার সামনে অভিনয় করাবেন। এটা করানোর কোনো অধিকার আপনার নেই। এটা বিশ্ব এন্টি করাপশন বা কোনো জায়গায় এমন নিয়ম নেই মিডিয়ার সামনে একই জিনিস করিয়ে দুটো ছেলেকে বেইজ্জত করবেন।
এটা ক্রিকেটারদের প্রতি অপমান। আমরা এটা নিয়ে এক ফোটাও খুশি ছিলাম না।’

গত ৯ এপ্রিল গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুরের ম্যাচে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। সেই ম্যাচে শাইনপুকুরের দুই ব্যাটার সন্দেহজনকভাবে আউট হন। সেই দুই ক্রিকেটার হচ্ছেন- রহিম আহমেদ ও মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির।

তাদের আউট হওয়াকে ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়। মাঠে কিভাবে তারা বিতর্কিত স্ট্যাম্পিংয়ে আউট হন সেটাই পরে বিসিবি কর্মকর্তা-মিডিয়াসহ সকলের সামনে করে দেখান।

আরো পড়ুন
৫১ বছরের অপেক্ষা ফুরাল ইতালিয়ান ক্লাবের

৫১ বছরের অপেক্ষা ফুরাল ইতালিয়ান ক্লাবের

 

শুধু ডিপিএলের নয়, বিপিএলের ফিক্সিং নিয়েও কথা বলেছেন তামিম। ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জন ক্রিকেটারের নাম মিডিয়াকে দেওয়ায় বিসিবির সমালোচনা করেছেন তিনি। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘এর আগে বিপিএলেও একই ঘটনা ঘটেছে। দশজনের নাম লিক হয়েছে। বিসিবি থেকে দশজনের ছবি দিয়েছে বিভিন্ন মিডিয়াতে। ওইখান থেকে যদি কোনো ক্রিকেটার দোষী হয় তাহলে আমরা সব ক্রিকেটার চাই তার শাস্তি হোক। যতটুকু শাস্তি সম্ভব দেয়া হোক। যদি ওইখান থেকে দুজন নির্দোষ বা আটজন নির্দোষ, নামগুলো লিক করে দেয়া পাবলিকলি এটা ক্রিকেটারদের জন্য অপমানজনক। এগুলো নিয়ে আমরা চিন্তায় ছিলাম। ক্রিকেটারদের এভাবে ট্রিট করতে থাকলে ভালো কিছু হবে না।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ