ঢাকা, রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫
১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫
১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

মির্জাপুরে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে আহত

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
মির্জাপুরে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে আহত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান রানাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। জমি দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন এই হামলা চালায় বলে অভিযোগে জানা গেছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের স্বল্প মহেড়া রেলগেট বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন আব্দুল মান্নানকে উদ্ধার করে জামুর্কীস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছেন।

আহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, অনলাইন জুয়া, জমি দখল, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আব্দুল মান্নান রানা স্থানীয় একটি জনসভায় বক্তব্য দেন। সমাবেশের আগে ও পরে কয়েকটি স্থানে জমি দখলের চেষ্টা চালায় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। আব্দুল মান্নান রানা নিরীহ মানুষের পক্ষ নিয়ে জমি দখলের প্রতিবাদ করেন। এতে তার ওপর ক্ষিপ্ত হন মহলটির সদস্যরা।

মান্নানের ওপর হামলা চালাতে সুযোগ খুঁজতে থাকেন তারা। শনিবার দুপুরে আব্দুল মান্নান রেল ক্রসিং এলাকায় ব্যক্তিগত অফিসে বসেছিলেন। এ সময় স্বল্প মহেড়া গ্রামের মহসিন মিয়ার ছেলে পাপন মিয়া, আজমত মিয়ার ছেলে আলিফ মিয়া, আবু মিয়ার ছেলে যুবরাজ মিয়া ওই অফিসে গিয়ে মান্নানের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা লোহার পাইপ ও রড দিয়ে মান্নানকে পিটিয়ে আহত করে।
এ সময় মান্নান দৌড়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়।

আব্দুল মান্নান রানা বলেন, জমি দখল ও মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় তার ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে। তিনি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

অভিযুক্ত আলিফ মিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান রানা ৫ আগস্টের পর থেকে মাটি কাটাসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তিনি এলাকায় একজন অত্যাচারী মানুষ। এ ছাড়া তিনি আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। এ জন্য তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

মির্জাপুর থানার ওসি মো. মোশারফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাজবাড়ীতে পদ্মা নদী থেকে যুবকের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
শেয়ার
রাজবাড়ীতে পদ্মা নদী থেকে যুবকের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার
ছবি: কালের কণ্ঠ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদী থেকে জিহাদ সরদার (৩০) নামে এক ব্যক্তির মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে ছোট ভাকলা ইউনিয়নের অন্তর মোড় এলাকার খেয়াঘাটের পূর্ব পাশে পদ্মা নদীতে ভাসমান অবস্থায় গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ও দৌলতদিয়া নৌপুলিশ যৌথভাবে মরদেহটি উদ্ধার করে।

আরো পড়ুন
শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে তারেক রহমানের শ্রদ্ধা

শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে তারেক রহমানের শ্রদ্ধা

 

নিহত জিহাদ সরদার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চর বরাট গ্রামের শহিদ সরদারের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, আজ রবিবার ভোরে পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা নদীতে একটি মাথাবিহীন মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়দের খবর দেয়।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা এসে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেন।

নিহতের চাচা কেচমত সরদার জানান, জিহাদ ঢাকায় একটি জাহাজ কারখানায় চাকরি করতেন। গত ২৪ এপ্রিল ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন।

বাড়িতে এসে কারো সঙ্গে ফোনে কথা বলে বেরিয়ে যান। পরে আর ফিরে আসেননি। এরপর থেকেই পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজছিলেন।

আরো পড়ুন
মালয়েশিয়ায় ১৭ হাজার ৭৭৭ কর্মী যেতে না পারায় দায়ী রিক্রুটিং এজেন্সি

মালয়েশিয়ায় ১৭ হাজার ৭৭৭ কর্মী যেতে না পারায় দায়ী রিক্রুটিং এজেন্সি

 

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা ও দৌলতদিয়া নৌপুলিশ যৌথভাবে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য

লামিয়ার জানাজায় অংশ নিতে পটুয়াখালীর পথে রিজভী

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
শেয়ার
লামিয়ার জানাজায় অংশ নিতে পটুয়াখালীর পথে রিজভী
সংগৃহীত ছবি

জুলাই আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার গর্বিত সন্তান শহীদ জসিম উদ্দিন। তার কন্যা লামিয়ার জানাজায় অংশ নিতে পটুয়াখালী যাচ্ছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৌফিক আলী খান কবির এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ইতোমধ্যে রুহুল কবির রিজভী বরিশালে পৌঁছেছেন।

লামিয়ার মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর তিনি তাদের বাড়িতে অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশগ্রহণ করবেন।

এর আগে, শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকার ৬ নম্বর রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় লামিয়ার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মার্চ পটুয়াখালীর পাংগাশিয়া ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে লামিয়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন।

সাহসিকতার সঙ্গে তিনি নিজেই থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে দুমকি থানা পুলিশ অভিযুক্ত দুই আসামি সাকিব ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে।

লামিয়ার মৃত্যুতে পরিবার, এলাকাবাসী ও বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জানাজায় অংশ নিতে দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মন্তব্য
মির্জাপুর

দাদির দেওয়া জমির বিরোধে প্রাণ গেল শ্রমিকদল নেতার

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
দাদির দেওয়া জমির বিরোধে প্রাণ গেল শ্রমিকদল নেতার
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় শ্রমিকদল নেতা ফজল হক (৫৫) নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৪৫) এবং ছেলে মনিরুজ্জামান (২৫)। আজ রবিবার সকালে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বংশিনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজল হক বংশিনগর গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।

তিনি বাঁশতৈল ইউনিয়ন শ্রমিকদলের প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪৭ বছর আগে ফজল হকের দাদি ৫৫ শতক জমি তাকে রেজিস্ট্রি করে দেন। বিষয়টি তিনি সম্প্রতি জানতে পেরে জমিটি দখল বুঝে নিতে উদ্যোগ নেন। তিনি এ বিষয়ে আদালতে একটি মামলাও করেছেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং মাতব্বরদের নিয়ে একাধিক সালিশি বৈঠকও হয়েছে। তবে তাতে কোন সমাধান হয়নি।

রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফজল হকের ফুপাতো ভাইয়ের ছেলে পারভেজ দেশীয় অস্ত্রসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন লোক নিয়ে ওই জমিতে বেড়া দিতে যান। খবর পেয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে প্রতিবাদ করতে ঘটনাস্থলে গেলে ফজল হককে এলোপাতারি কুপিয়ে জখম করে।

এ সময় ফজল হকের স্ত্রী মরিয়ম বেগম এবং ছেলে মনিরুজ্জামানকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে জামুর্কীস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজল হককে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ফজল হকের সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করেছেন। মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, লাশের সুরতহাল হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছেন বলে জানান।

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে যড়যন্ত্রের অভিযোগ, খসরুসহ ৫ জন খালাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে যড়যন্ত্রের অভিযোগ, খসরুসহ ৫ জন খালাস
ছবি: কালের কণ্ঠ

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে যড়যন্ত্রের অভিযোগে শাহবাগ থানায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ পাঁচজন খালাস পেয়েছেন। আজ রবিবার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় ঘোষণা করেন। 

খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন, ব্যারিষ্টার মিলহানুর রহমান নাওমী, মো. রফিকুল ইসলাম নয়ন, হাবিবুর রহমান হাবিব ও রবিউল ইসলাম রবি।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই বাসচাপায় রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হয়।

এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নামে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। 

ছাত্র আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমির খসরুর একটি কথিত ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে। এতে ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার দাবি তুলে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন ডিবির তৎকালীন পল্লবী জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক মো. শামীম আহমেদ।

মামলায় আমির খসরু ও ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করা হয়।

ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে তখনকার ছাত্র আন্দোলনে উস্কানির জন্য তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করা হয়। 

তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান। 

২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক ফাতিমা ইমরোজ ক্ষণিমা অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু আদেশ দেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ