ঢাকা, রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫
১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫
১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

সীমান্তে আটক ৮ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
শেয়ার
সীমান্তে আটক ৮ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
সংগৃহীত ছবি

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করা ৮ বাংলাদেশিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে তুলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

গতকাল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে একজনকে এবং সন্ধ্যায় ৭ জনকে ফেরত দেয় বিএসএফ। বিজিবি ওই ৮ ব্যক্তিকে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

 

পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ৭ বাংলাদেশি তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা কাশিমগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করলে ভারতের বানেশ্বরজোত বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যদের হাতে আটক হন। 

আটককৃতরা হলেন ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের পাঠান সিং বর্মণের ছেলে হরেন বর্মণ (৪০), তার স্ত্রী মমতা রানী (৩৫), ছেলে অজয় কুমার বর্মণ (২১), নব বর্মণ (১৭), একই উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের কুলেশ চন্দ্র বর্মণের ছেলে রিপন বর্মণ (১৭), দেবগঞ্জ এলাকার আন্বেশ্বর রায়ের ছেলে সুশান্ত রায় (২২) এবং গড়েয়া এলাকার ইয়ধিশথির রায়ের ছেলে আশিশ রায় (১৮)। 

বুধবার তেঁতুলিয়া মহানন্দা নদীতে সীমান্ত অতিক্রম করে পাথর-বালি উত্তোলনের সময় উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের লোহাকাচি এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে পাথর শ্রমিক রবিউল ইসলাম (৪৫) আটক করে নিয়ে যায় ভারতের বিবেকানন্দ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা। বিকেলে ওই পাথর শ্রমিককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে ফেরত দেন বিএসএফ সদস্যরা।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আগের দিন আটক হওয়া ৭ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে ফেরত দেন বিএসএফ সদস্যরা। পরে ওই ৮ ব্যক্তিকে তেঁতুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম বলেন, দালালের মাধ্যেমে ভারতে অনুপ্রবেশ করলে ওই ৭ ব্যক্তি বিএসএফের হাতে আটক হন। এ ছাড়া আরেকজন পাথর শ্রমিককেও আটক করে বিএসএফ।

পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ তাদের ফেরত দিয়েছে। তাদের তেঁতুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ঠেকাতে এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। 

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত কবির বলেন, ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিজিবির পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মির্জাপুর

দাদির দেওয়া জমির বিরোধে প্রাণ গেল শ্রমিকদল নেতার

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
দাদির দেওয়া জমির বিরোধে প্রাণ গেল শ্রমিকদল নেতার
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় শ্রমিকদল নেতা ফজল হক (৫৫) নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৪৫) এবং ছেলে মনিরুজ্জামান (২৫)। আজ রবিবার সকালে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বংশিনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজল হক বংশিনগর গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।

তিনি বাঁশতৈল ইউনিয়ন শ্রমিকদলের প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪৭ বছর আগে ফজল হকের দাদি ৫৫ শতক জমি তাকে রেজিস্ট্রি করে দেন। বিষয়টি তিনি সম্প্রতি জানতে পেরে জমিটি দখল বুঝে নিতে উদ্যোগ নেন। তিনি এ বিষয়ে আদালতে একটি মামলাও করেছেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং মাতব্বরদের নিয়ে একাধিক সালিশি বৈঠকও হয়েছে। তবে তাতে কোন সমাধান হয়নি।

রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফজল হকের ফুপাতো ভাইয়ের ছেলে পারভেজ দেশীয় অস্ত্রসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন লোক নিয়ে ওই জমিতে বেড়া দিতে যান। খবর পেয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে প্রতিবাদ করতে ঘটনাস্থলে গেলে ফজল হককে এলোপাতারি কুপিয়ে জখম করে।

এ সময় ফজল হকের স্ত্রী মরিয়ম বেগম এবং ছেলে মনিরুজ্জামানকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে জামুর্কীস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজল হককে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ফজল হকের সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করেছেন। মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, লাশের সুরতহাল হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছেন বলে জানান।

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে যড়যন্ত্রের অভিযোগ, খসরুসহ ৫ জন খালাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে যড়যন্ত্রের অভিযোগ, খসরুসহ ৫ জন খালাস
ছবি: কালের কণ্ঠ

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে যড়যন্ত্রের অভিযোগে শাহবাগ থানায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ পাঁচজন খালাস পেয়েছেন। আজ রবিবার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় ঘোষণা করেন। 

খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন, ব্যারিষ্টার মিলহানুর রহমান নাওমী, মো. রফিকুল ইসলাম নয়ন, হাবিবুর রহমান হাবিব ও রবিউল ইসলাম রবি।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই বাসচাপায় রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হয়।

এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নামে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। 

ছাত্র আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমির খসরুর একটি কথিত ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে। এতে ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার দাবি তুলে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন ডিবির তৎকালীন পল্লবী জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক মো. শামীম আহমেদ।

মামলায় আমির খসরু ও ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করা হয়।

ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে তখনকার ছাত্র আন্দোলনে উস্কানির জন্য তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করা হয়। 

তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান। 

২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক ফাতিমা ইমরোজ ক্ষণিমা অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু আদেশ দেন।

মন্তব্য

জুলাই শহিদ বাবার পাশেই শায়িত হবেন লামিয়া

    বাবার কবর জিয়ারত শেষে ধর্ষণের শিকার
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
শেয়ার
জুলাই শহিদ বাবার পাশেই শায়িত হবেন লামিয়া
ছবি: কালের কণ্ঠ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শহিদ জসিমের কলেজপড়ুয়া মেয়ে লামিয়া। বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হন। এর পর থেকে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগে অবশেষে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন লামিয়া। মর্মান্তিক এ ঘটনা হতবাক ও ক্ষুব্ধ করে তুলেছে সবাইকে।

 

গতকাল শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে স্বজনদের শোকে স্তব্ধ করে ঢাকার শেখেরটেকের নিজবাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মৃতের চাচা চাচা মনিরুল ইসলামের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
ডা. তাসনিম জারাকে পাঠানো আইনি নোটিশ প্রত্যাহার

ডা. তাসনিম জারাকে পাঠানো আইনি নোটিশ প্রত্যাহার

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, লামিয়ার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। গোসলের জন্য তাকে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে নেওয়া হয়েছে।

পরে গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে। আজ রবিবার নিহত লামিয়ার মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছলে পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের নিজবাড়িতে তারা বাবা শহিদ জসিমের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, ধর্ষণের পর থেকে চরম মানসিক অস্থিরতা, অপমানবোধ এবং সামাজিক চাপের কারণে লামিয়া চরম হতাশায় ভুগছিলেন। মানসিক যন্ত্রণাই শেষ পর্যন্ত তাকে আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।

লামিয়ার চাচা চাচা মনিরুল ইসলাম বলেন, কলেজের পরীক্ষা দেওয়ার জন্যি আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকালে মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল লামিয়ার। সেজন্য গতকাল শনিবার মার্কেট থেকে কিছু কেনাকাটাও করে। রাত ৮টার দিকে মা রুমা বেগম ছোট মেয়েকে নিয়ে বাসার পাশেই মাদরাসায় যান। সেই সুযোগে রাত ৯টার দিকে রুমের ভেতর গলায় ফাঁস নেয় লামিয়া। টের পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়ার পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সে।

আরো পড়ুন
প্রেম-ডেটিং নিয়ে মুখ খুললেন শুভমান গিল

প্রেম-ডেটিং নিয়ে মুখ খুললেন শুভমান গিল

 

ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনে ঢাকার আদাবরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন লামিয়ার বাবা শহীদ জসিম। এরপর পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের নলদোয়ানী এলাকায় যান লামিয়া। গত ১৮ মার্চ বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়ি ফেরার সময় দুই যুবক দ্ধারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন তিনি। 

পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মেয়েটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে ২০ মার্চ দুপুরের দিকে দুমকী থানায় আসেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। ঠিক বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ মামলার আসামি সিফাত মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন পটুয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশ পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার একটি গ্রাম থেকে সাকিবকে গ্রেপ্তার করে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুই আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দিয়েছেন। তারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। ডিএনএ টেস্টের জন্য আলামত পাঠানো হয়েছে। আজ রবিবার সেই রিপোর্ট এসে পৌঁছবার কথা রয়েছে।’

আরো পড়ুন
বাস চালাবেন বেতনভুক্ত চালকরা : সড়ক উপদেষ্টা (ভিডিওসহ)

বাস চালাবেন বেতনভুক্ত চালকরা : সড়ক উপদেষ্টা (ভিডিওসহ)

 

এদিকে, এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাবাসী, সমাজকর্মী এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকায় নতুন করে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, একটি সম্ভাবনাময় প্রাণকে নির্মমভাবে নিঃশেষ করার দায় সমাজ ও রাষ্ট্র এড়াতে পারে না।

মন্তব্য

দামুড়হুদায় ধর্ষণের মামলায় প্রভাষক সাময়িক বহিষ্কার

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
শেয়ার
দামুড়হুদায় ধর্ষণের মামলায় প্রভাষক সাময়িক বহিষ্কার
সংগৃহীত ছবি

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সাজিদ হাসানের বিরুদ্ধে একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী দামুড়হুদা মডেল থানায় শিক্ষক সাজিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গতকাল শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে জরুরি সভায় প্রভাষক সাজিদ হাসানকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

আরো পড়ুন
প্রচারণা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা, দেয়াল লিখনে নিষেধাজ্ঞা

প্রচারণা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা, দেয়াল লিখনে নিষেধাজ্ঞা

 

আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

 অভিযুক্ত শিক্ষক সাজিদ হাসান দামুড়হুদা উপজেলার মদনা গ্রামের মৃত ওহিদুল ইসলামের ছেলে ও দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক সাজিদ হাসানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ওই ছাত্রী সে সময় ওই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ত। তখন থেকে তিনি ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ১ মার্চ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা সদরের গুলশান পাড়ার কুতুব মাস্টারের বাড়িতে ভাড়া নেওয়া একটি রুমে প্রাইভেট পড়ানোর সময় আবারও ধর্ষণ করেন।

এরপর ওই ছাত্রী তাকে বিবাহ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সাজিদ নানাভাবে টালবাহানা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দামুড়হুদা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

আরো পড়ুন
কাল বৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড কুড়িগ্রাম

কাল বৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড কুড়িগ্রাম

 

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র বলেন, ‘সর্বসম্মতিক্রমে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

দামুড়হুদা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাহমিদা রহমান বলেন, ‘ঘটনার তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অ.দা) জিয়াউল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

আরো পড়ুন
মাধবপুরের তেলমাছড়ায় পানি সংকটে বন্যপ্রাণী

মাধবপুরের তেলমাছড়ায় পানি সংকটে বন্যপ্রাণী

 

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) ডাক্তারি পরীক্ষার করানোর জন্য ভুক্তভোগীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ