অনলাইনে গাভি অর্ডার, অতঃপর...

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
শেয়ার
অনলাইনে গাভি অর্ডার, অতঃপর...
ছবি : কালের কণ্ঠ

অনলাইনে দুটি গাভি কিনে বিপাকে পড়েছেন মালয়েশিয়াপ্রবাসী এক ব্যক্তি। দুই লাখ ৯০ হাজার টাকা পরিশোধে গাভি ডেলিভারির পর দেখেন, এই গাভি সেই গাভি নয়। 

ময়মনসিংহের নান্দাইলে এই ঘটনা ঘটে। প্রতারণার শিকার প্রবাসীর ছেলেরা পিকআপসহ গাভি আটকে দেন।

 এই ঘটনায় রবিবার (৯ মার্চ) নান্দাইল থানায় পিকআপ উদ্ধারে অভিযোগ দেন চালক।

স্থানীয় সূত্র ও থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের দেউলডাংরা গ্রামের মো. মিলন মিয়া প্রায় ১৮ বছর ধরে মালয়েশিয়া আছেন। সেখান থেকে তিন আগে সন্ধান টিভি নামের এক ইউটিউব চ্যানেলে গাভি ক্রয়-বিক্রয়ের বিজ্ঞাপন দেখেন। তখন তার নিজের পছন্দ করা দুটি গাভি অর্ডার করেন।

 

প্রবাসীর ছেলে মো. নাঈম মিয়া জানান, মালয়েশিয়া থেকে তার বাবা জানান, পছন্দের গাভি ক্রয় করতে তিনি মালয়েশিয়া থেকে দুই লাখ ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। এখন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার অরনকুলা এলাকা থেকে বিক্রেতা মো. রফিকুল ইসলাম গাভিগুলো বাড়িতে পাঠাবেন। 

তিনি আরো জানান, শনিবার শেষ রাতে আসিফ মিয়া নামের এক পিকআপচালক গাভিগুলো নিয়ে আসেন। পরে পিকআপে আনা গাভির সঙ্গে অনলাইনে অর্ডার করা গাভির কোনো মিল নেই।

এ সময় অনলাইন বিক্রেতাকে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে এই গাভিই আসল গাভি বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।

পিকআপচালক আসিফ মিয়া বলেন, ‘তিনি একটি ট্রান্সপোর্টের হয়ে ছয় হাজার টাকা ভাড়ায় গাভি দুটি নিয়ে এসেছেন। এখন পছন্দ হলো কি হলো না, এটা তো আমার বিষয় নয়। আমার গাড়ি আটকে রাখবে কেন?’

নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সম্রাজ মিয়া জানান, বিষয়টি ফয়সালা করার জন্য পিকআপ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নেত্রকোনায় হাফেজকে কুপিয়ে হত্যা, একজনের মৃত্যুদণ্ড

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
শেয়ার
নেত্রকোনায় হাফেজকে কুপিয়ে হত্যা, একজনের মৃত্যুদণ্ড
সংগৃহীত ছবি

নেত্রকোনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে কুপিয়ে হত্যার দায়ে রাজা মিয়া নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই রায় দেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাজা মিয়া নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বানিয়াজুড়া গ্রামের মো. ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একই মামলার অপর তিনজন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

 

খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- ফয়েজ উদ্দিন, ইছব মিয়া ও সফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০০৯ সালের ১৯ জুন বিকালে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বানিয়াজুড়া গ্রামের হাফেজ আনোয়ারুল ইসলামকে প্রকাশ্যে দিবালোকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়।

পরদিন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফজলুল করিম বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মোহনগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত এই রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

ঘুরতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রী

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
শেয়ার
ঘুরতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রী
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পার হলেও থানায় এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ জানায়নি ভুক্তভোগীর পরিবার।

জানা যায়, ওইদিন বিকেলে একই এলাকার পরিচিত কাইয়ুম (২১) ও মুন্নার (২২) সঙ্গে ঘুরতে বের হয় দুই ছাত্রী।

সন্ধ্যার দিকে একটি স্কুলের পেছনে নিয়ে গিয়ে তারা আরো ছয় বন্ধু মিলে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাতে বাড়ি ফিরে ভুক্তভোগীরা পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায়। ঘটনাটি স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ধামাপাচা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। পরিদর্শক (তদন্ত) প্রবীর কুমার ঘোষকে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমি পেশায় কাঠমিস্ত্রি। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে মেয়ের কাছ থেকে বিষয়টি শুনি।

পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদা জামানের কাছে বিচার চাই। এখন খুব দুশ্চিতায় আছি- এ ঘটনা জানাজানি হলে মেয়েকে ভবিষ্যতে কিভাবে বিয়ে দেব?’ এরপর তিনি অসুস্থতার কথা বলে আর কথা বলতে রাজি হননি।

চর আড়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদা জামান জানান, ‘ভুক্তভোগী পরিবার আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছে। আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছি।’

স্থানীয় সূত্র জানায়, অভিযুক্ত কাইয়ুম ও মুন্নার পরিবার সামাজিকভাবে প্রভাবশালী।

এ কারণে ভুক্তভোগীর পরিবার ভয়ে ও লজ্জায় নীরব থেকেছেন। থানায় পর্যন্ত অভিযোগ করেননি তারা।

মন্তব্য

কুমিল্লায় পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু

কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
শেয়ার
কুমিল্লায় পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
নিহত আব্দুল্লাহ মরদেহ উদ্ধার করছে ডুবুরি দল

কুমিল্লায় পানিতে ডুবে গত দুই দিনে তিন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার হোমনায় তিতাস নদীতে গোসল করতে নেমে দুজন ও আজ মঙ্গলবার দুপুরে একই নদীতে ডুবে আরেক শিশুর মৃত্যুর হয়েছে।

গত রবিবার তিতাস নদীতে পানিতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় মাহবুব (৯) ও মারিয়া আক্তার (১১)। পরে বিকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল।

 

আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে হোমনার লঞ্চঘাট এলাকায় তিতাস নদীতে আব্দুল্লাহ (৯) নামে এক শিশু পানিতে তলিয়ে যায়। পরে চার ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। নিহত আব্দুল্লাহ হোমনা পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী মো.সবুজ মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।

 

স্থানীয়রা জানান, আব্দুল্লাহ তার সমবয়সী জুবায়েরের সাথে দুপুরে লঞ্চ ঘাটে গোসল করতে এসে নদীতে নেমে বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করছিল। পরে হঠাৎ আবদুল্লাহ ও জুবায়ের পানির নিচে চলে যায় তখন পাশে থাকা সাব্বির জুবায়েরকে আটকাতে পারলেও আবদুল্লাহকে খুঁজে পায়নি। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে হোমনা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। তারা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন।


 
হোমনা ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার সোলাইমান বলেন, শিশু নিখোঁজের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমরা ঘটনাস্থলে আসি এবং চাঁদপুর ডুবুরি দলকে খবর দেই। তারা জানায় অন্যত্র আছেন, পরে ঢাকা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। ঢাকা থেকে ডুবুরি দল এসে বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে নিখোঁজ শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। 

নিখোঁজ আব্দুল্লাহর মা শিখা বলেন, আমাকে না জানিয়ে নদীতে গোসল করতে এসেছে আব্দুল্লাহ। কখন এসেছে আমি জানি না—এই কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।


  
এ বিষয়ে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।

গত রবিবার তিতাস নদীতে গোসল করতে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। নিহতরা হলো নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকার আলী নেওয়াজের মেয়ে মারিয়া আক্তার (১১) এবং গাজীপুর টঙ্গীর এলাকার মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে মাহবুব হোসেন (৯)।

মন্তব্য

এসপির নামে বিএনপি নেতা থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
শেয়ার
এসপির নামে বিএনপি নেতা থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা
সংগৃহীত ছবি

ঈদুল ফিতরের উপহারের কথা বলে গাজীপুরের পুলিশ সুপার পরিচয়ে বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ প্রতারণা করে নেওয়া টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে এ তথ্য জানান গাজীপুরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক। গ্রেপ্তাররা হলেন—যুবরাজ মাতুব্বর (২৭), সামিউল ইসলাম আলীম (৪২) ও রাকিবুল হাসান রাতুল (২০)।

আরো পড়ুন
‘আ. লীগের সহযোগী’ পুলিশ কর্মকর্তা খোকন প্রত্যাহার

‘আ. লীগের সহযোগী’ পুলিশ কর্মকর্তা খোকন প্রত্যাহার

 

পুলিশ সুপার বলেন, ঈদের আগে গাজীপুরের পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে কালিয়াকৈরের বাসিন্দা বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুলের কাছে জেলা পুলিশ সদস্যদের ঈদ বখশিস প্রদানের কথা বলে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। সরল বিশ্বাসে তিনি বিকাশ অ্যাকাউন্ট, নগদ ও রকেটসহ মোট ৮টি নাম্বারে ওই টাকা পাঠান। একইভাবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সুনামধন্য ব্যবসায়ীর নিকট হতে বিপুল পরিমাণ টাকা গ্রহণ করে। পরে প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে টাকা দেওয়ার পর কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে ঘটনা শুনে তিনি বিস্মিত হন।

পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাজীপুর, ফরিদপুর, শেরপুর জেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ওই তিনজনকে আটক করা হয়।

আরো পড়ুন
ঝিনাইদহে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ যুবকের

ঝিনাইদহে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ যুবকের

 

এ ব্যাপারে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল বলেন, ঈদের আগে তিনি অনেক ব্যস্ত ছিলেন। এসপির নাম ছবি ব্যবহার করে ওয়াটসঅ্যাপ নাম্বার থেকে ফোন করে পুলিশ সদস্যদের কথা বলে টাকা চাইলে সরল বিশ্বাসে তিনি টাকা পাঠান। পরে তারা আরো টাকা চাইলে সন্দেহ হলে পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ