বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বলেছেন, ‘দেশ এখন দুটি ধারায় বিভক্ত। একটা ধারা বলে নির্বাচন, নির্বাচন, নির্বাচন, আরেকটা ধারা বলে থাকে সংস্কার, সংস্কার, সংস্কার। এখন সংস্কার প্রয়োজন, এটা ঠিক। কিন্তু এর জন্য সীমাহীন সময় দেওয়া যাবে না।
দেশ এখন দুটি ধারায় বিভক্ত : এম নাসের রহমান
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ইম্পিরিয়েল মেডিক্যাল কলেজের মাঠে চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন বিএনপি পূর্ব শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এম নাসের রহমান বলেন, “আজকাল নতুন শব্দ বের হয়েছে। এটা বেশি ইউজ করে একটি ইসলামী দল। শব্দটি হলো ‘যৌক্তিক’।
তিনি বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজনে যেগুলো দরকার, সেগুলো সংস্কার করতে হবে। কিন্তু সংবিধান ছাড়া সব সংস্কারই করেন। সংবিধান সংস্কার একমাত্র সংসদ ছাড়া কেউ করতে পারবে না। বাকি যা সংস্কার আছে করে ফেলেন কোনো অসুবিধা নেই।
এনসিপিকে ইঙ্গিত করে নাসের রহমান বলেন, ‘এই ছেলেরা একেক সময় একেক মামাবাড়ির আবদার করে। কী ধরনের আবদার, প্রথমেই বলেছিল ভোটারের ভোটের বয়স সতেরো বছরে নামিয়ে আনার প্রস্তাব। কিন্তু এটা তো একমাত্র সংবিধান পরিবর্তনের বিষয়। আরো বলেছে, দ্বিতীয় রিপাবলিক ঘোষণা দেওয়ার জন্য। দ্বিতীয় রিপাবলিক কী? এটা কি সাতাশ বছরের ছেলেরা বোঝে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আসলে এই ছেলেগুলোর পেছনে দুজন তাত্ত্বিক গুরু আছেন। এই দুজন তাত্ত্বিক গুরু আগে তাদের বলে দেন কখন কী বলতে হবে। তারা বলে, এই সংবিধান বাদ দিয়ে নতুন সংবিধান করতে হবে। তাদের বয়সই হলো এই সংবিধানের বয়সের অর্ধেক। আর তারা সংবিধান নিয়ে কথা বলে, তারা কারা? সংবিধান নিয়ে কথা বলার? সংবিধানে অনেক কিছু পরিবর্তন আনতে হবে, তবে তা নির্বাচনের পরে। সংসদে আলোচনা করে পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু তারা আগেই চায়। কেন? এটা বুঝতে কি রকেট সায়েন্স জানতে হবে? কারা নির্বাচনে জয়লাভ করবে। বিএনপি ইনশাআল্লাহ, আড়াই শ সিট নিয়ে ক্ষমতায় যাবে, আর তাদের ডর (ভয়) এখানেই।’
নাসের রহমান বলেন, ‘তোমরা ছাত্ররা আন্দোলন করেছ, তোমাদের স্যালুট। তোমাদের বিগ স্যালুট। তোমাদের এর জন্য সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হবে। কিন্তু যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, তারা তো ক্ষমতার দখল নেওয়ার জন্য আন্দোলনে নামেননি। এই যে চৌদ্দ শ মানুষ মারা গেছে, তোমরা ১০-১৫ জন ছাড়া আর বাকি কেউ তো ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলনে নামেনি। কারণ তাদেরকে পেছন থেকে চালানো হয়। তাদের তাত্ত্বিক গুরুরা একেক সময় একেক কথা বলে বলার জন্য, তারা তাই বলে।’
সম্পর্কিত খবর

শ্মশান ভেঙে গো-হাট নির্মাণের অভিযোগ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় প্রায় দুইশ বছরের পুরনো একটি শ্মশান ভেঙে গো-হাট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আজ রবিবার দুপুরে শত শত সনাতন ধর্মাবলম্বী মহাসড়ক অবরোধ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদুল আহমেদের অপসারণের দাবি জানায়। দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে এ অবরোধ চলে। ফলে দুই পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নে কাঁচামাটিয়া নদীর ঘেঁষে প্রায় দুইশ বছরের পুরনো একটি শ্মশান রয়েছে। সম্প্রতি সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে ইউএনও সরকারের খাস জমি রয়েছে দাবি করে উচ্ছেদের উদ্যোগ নেন। এরপর একজন সমন্বয়কের মাধ্যমে গত চারদিন ধরে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। ভেকু দিয়ে মাটি ভরাটের সময় শ্মশানের কয়েকটি পিলার ভেঙে যায় এবং পুরো শ্মশান মাটির নিচে চাপা পড়ার উপক্রম হয়।
ঘটনার সুরাহার জন্য ইউএনও’র কাছে গেলেও কোনো সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ। বরং প্রতিবাদকারীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ইউএনও’র বিরুদ্ধে। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বিক্ষোভে শ্রীশ্রী করুনাময়ী কালীবাড়ি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক অলক ঘোষ ছোটন, রাজিপুর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জনি দে, ঈশ্বরগঞ্জ মহাশ্মশানের সাধারণ সম্পাদক পিন্টু চৌধুরী, সার্বজনীন শ্মশান কালীমন্দির কমিটির সভাপতি পরেশ চন্দ্র সাহা প্রমুখ অংশ নেন। তারা বলেন, শ্মশানটিতে তাঁদের বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তানসহ স্বজনদের দাহকার্য সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রতিবছর তাঁদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। তাঁদের স্মৃতি নষ্ট করতে এ ধরনের পরিকল্পনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
তাঁরা হুঁশিয়ারি দেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউএনও’র অপসারণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও মো. এরশাদুল আহমেদ বলেন, শ্মশানের কোনো অংশে হাত দেওয়া হয়নি, এটা গুজব। উচাখিলা বাজারের গো-হাটের ইজারা হচ্ছিল না, তাই সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য শ্মশানের পাশের খাস জমি বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। বালু ভরাটের সময় নির্মাণাধীন মন্দিরের তিনটি পিলার ভেঙে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনা।

ঈশ্বরদীতে কক্ষে অবরুদ্ধ তিন ইউপি সদস্যকে পুলিশে সোপর্দ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

প্রায় দুই ঘণ্টা ইউনিয়ন পরিষদ কক্ষে অবরুদ্ধ রেখে পতিত আওয়ামী সমর্থিত তিনি ইউপি সদস্যকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন উপজেলার নওদাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে ও দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার ফিরোজ হোসেন বাকী (৬২)। তিনি দাশুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক।
অন্যজন হলেন খালিশপুর পশ্চিম পাড়া এলাকার নবাব আলী খানের ছেলে ও দাশুড়িয়া ইউপির ৬ ওয়ার্ড মেম্বার মো. আলাউদ্দির (৫৬)। তিনি দাশুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, তারা তিনজনই আওয়ামী লীগ নেতা।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বকুল সরদারসহ তারা পরিষদে আসতেন না। তাদের বেতনসহ দাপ্তরিক কাজের জন্য আজ দুপুর ১২টার দিকে পরিষদে আসেন। তাদের দেখে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা পরিষদে এসে তাদের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে বিধি মোতাবেক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রশ্নপত্রের ছবি তোলায় অধ্যক্ষকে ৭ দিনের কারাদণ্ড
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় একটি মাদরাসায় পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার অভিযোগে এক অধ্যক্ষকে ২০০ টাকা জরিমানাসহ ৭ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার (২৭ এপ্রিল) উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়া কামিল মাদরাসা পরীক্ষাকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
দণ্ডপ্রাপ্ত সুপারের (অধ্যক্ষ) নাম আব্দুল হালিম। তিনি উপজেলার চকদিগা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার।
জানা যায়, ওই কেন্দ্রে দাখিলের ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার সময় আব্দুল হালিম বিনা অনুমতিতে একটি কক্ষে প্রবেশ করে নিজের মুঠোফোনে এক পরীক্ষার্থীর প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কর্তব্যরত কয়েকজন শিক্ষক তাকে হাতেনাতে আটক করেন।
খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামুন সরকার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে এই কারাদণ্ডাদেশ দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামুন সরকার বলেন, দাখিল পরীক্ষা চলাকালে বিনা অনুমতিতে কক্ষে প্রবেশ করে এক পরীক্ষার্থীর প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার অপরাধে ওই সুপারকে ২০০ টাকা জরিমানাসহ ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

বেতাগীতে মানববন্ধন
আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি
বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

মেঘনা গ্রুপের মালিক মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তার ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বরগুনার বেতাগীতে মানববন্ধন হয়েছে।
আজ রবিবার সকাল ১১টায় বেতাগী উপজেলার প্রেস ক্লাব চত্বরে আমার দেশ পাঠকমেলা আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান কেবলমাত্র একজন সম্পাদক ও প্রকাশক নন। তিনি আজকের বাংলাদেশের সময়ের কষ্টিপাথরে যাচাই করা একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক।
‘যারা বাংলাদেশে পুনরায় হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চায়, যারা চায় ভারতের তাঁবেদারি ব্যবস্থা পুনরায় কায়েম করতে, মোস্তফা কামাল তাদেরই অগ্রজ প্রতিনিধি। আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে মামলা করার এ কথার সত্যতা প্রমাণ দেয়।’
কর্মসূচিতে পাঠকমেলার উপজেলা সভাপতি শাওনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বেতাগী উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফারুক হোসেন খোকন, বেতাগী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম পান্না, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান খান জুয়েল, যুবনেতা জাহিদুল ইসলাম সাদ্দাম, পৌর মৎস্যজীবী দল সভাপতি আ. মালেক খাঁন।
কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান ডব্লিউ, বেতাগী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কামাল হোসেন খান, বেতাগী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মো. শাহাদাৎ হোসেন মুন্না, দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ বেতাগী উপজেলা প্রতিনিধি মো. জসিম উদ্দিন, আমাদের সময়ের উপজেলা প্রতিনিধি সজল মাহমুদ, দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিনিধি সুজন, সাংবাদিক ইমরানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন এবং ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।