তিন বছরের শিশুকে যৌন নিপীড়ন, একজন গ্রেপ্তার

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী প্রতিনিধি
শেয়ার
তিন বছরের শিশুকে যৌন নিপীড়ন, একজন গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর কবিরহাটে তিন বছর বয়সী এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃত ইমাম হোসেন (৫৫) চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানার সূচিপাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শৌরশাক গ্রামের মৃত আব্দুর জব্বারের ছেলে।

বুধবার ধৃত আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।


পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভিকটিম তার মায়ের সঙ্গে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। অভিযুক্ত ইমাম হোসেন ফেনী জেলার হাজারী রোডে একটি বাসায় থেকে গ্রামগঞ্জে পায়ে হেঁটে শিলপাটা খুঁটানোর কাজ করে। দুপুর সোয়া ১টার দিকে ইমাম ঘটনাস্থলে গেলে ভিকটিমের মা তাকে একটি পাটা খুঁটানোর জন্য ডাকে। পাটা খুঁটানো শেষ হলে শিশুটির মা তাকে রেখে বাসা থেকে টাকা আনতে যায়।
ওই সুযোগে ইমাম হোসেন ভিকটিমকে যৌন নিপীড়ন করে। পরে ভিকটিমের মা শিশুর চিৎকারে শুনে এসে ঘটনাটি দেখতে পায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।

কবিরহাট থানার ওসি মো. শাহীন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতনের ১০ ধারায় মামলা নেওয়া হয়েছে।

ওই মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ছিনতাইয়ের সময় আটক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ, অতঃপর...

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
ছিনতাইয়ের সময় আটক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ, অতঃপর...
ফাইল ছবি

কেরানীগঞ্জে ছিনতাই করার সময় গণপিটুনি দিয়ে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়ার পর হাসান মাঝি নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে বরিশুর নৌ-পুলিশ। 

নিহত হাসান বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার সুলতানি গ্রামের মানিক মাঝির ছেলে। বর্তমানে কামরাঙ্গীরচর মুসলিম নগর কুরবান হাজির বাড়িতে বসবাস করত এবং পার্শ্ববর্তী একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতো।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় জিনজিরা নামা বাড়ি এলাকায় নাদু ব্যাপারীর ঘাট থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ  হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, তিন যুবক ভোরবেলা বেরিবাধ এলাকায় ছিনতাই করার সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে একজনকে ধরে ফেলে। পরে তাকে গণপিটুনি দিয়ে পানিতে ফেলে দেয়। দীর্ঘক্ষণ অচেতন অবস্থায় পানিতে পড়ে মারা গেছে।

আরো পড়ুন
সাভারে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা

সাভারে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা

 

বরিশুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোক্তার হোসেন জানান, নদীর পাড়ে পানির নিচে একটি হাত দেখা যাচ্ছে এমনটা দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করি। সুরতহালের সময় লাশের গায়ে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গণপিটুনির একটা ঘটনার কথা শুনেছি তবে কেউ সাক্ষ্য দিতে রাজি হয়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য

সাভারে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
শেয়ার
সাভারে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা
ছবি: কালের কণ্ঠ

সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের জয়নাবাড়ি এলাকায় চাঁদার টাকা না দেওয়ায় হোসেন আলী নামের এক ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন মশার ছোট ভাই রাকিব আহমেদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে জয়নাবাড়ি এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবসায়ী হোসেন আলীর নিজ বাসার সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী হোসেন আলী সাভারের হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ী এলাকার মৃত সাধু মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত রাকিব স্থানীয় সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেনের ছোট ভাই।

সে দীর্ঘদিন যাবৎ হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, ছিনতাই এবং জমিদখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না।

পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেনের ছোট ভাই রাকিব হোসেন আলীকে বাসায় গিয়ে কথা বলে বাইরে ডেকে নেয়।  এ সময় রাকিব ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ১০ থেকে ১২ জন সদস্য দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় হোসেনকে লোহার রড ও পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করতে থাকে।

এ সময় হোসেন আলীর কান্নার শব্দ পেয়ে বাড়ির লোকজন এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে আহত হোসেন আলীকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শিল্প এলাকা হেমায়েতপুরের বিভিন্ন কারখানার ঝুট ব্যবসা, জমি দখল, ফুটপাতে হকার বসিয়ে চাঁদা আদায়, পরিবহণ ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মাসোহারা আদায়সহ এমন কোন কাজ নেই যা তারা করে না। তাদের ভয়ে এলাকার লোকজন কথা বলতে সাহস পায়না।

তাদের অত্যাচারের ঘটনায় কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। গত ৫ আগস্টে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর তারা অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের নেশায় উন্মাদ হয়ে গেছে বলে জানায় এলাকাবাসীরা।

সাভার ট্যানারী ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম সবুজ বলেন, মারধরের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে রমজান নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলির ঘটনায় হেমায়েতপুর এলাকার সন্ত্রাসী মোশারফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে জামিনে বের হয়ে মোশারফ ওরফে মশা ও তার তিন ভাই আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। হেমায়েতপুর এলাকায় দখল ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ টাকা কামিয়ে গডফাদার বনে গেছে তারা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ধুনটে ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার আরো ২

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
শেয়ার
ধুনটে ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার আরো ২
ছবি: কালের কণ্ঠ

বগুড়ার ধুনটে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১মার্চ) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলার হুকুম আলী বাসস্ট্যান্ড মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো—সিরাজগঞ্জ সদরের পাঁচঠাকুরি গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে সুমন শেখ (৩০) ও মিরপুর হায়দারপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল কাদের (২৮)।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ডাকাতরা ৯ জানুয়ারি রাতে ধুনট-জোড়শিমুল পাকা সড়কের হায়রানী বিল এলাকায় একটি পিক-আপ ভ্যানগাড়ি নিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা ঘটনাস্থল পালিয়ে যায়। এ সময় পিক-আপ গাড়ি থেকে ইউনুছ আলী (৪০) নামে একজনকে আটক করে পুলিশ।

পরে তার দেওয়া তথ্য ভিত্তিতে সুমন ও আব্দুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রিকশাচালককে হত্যা

পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রিকশাচালককে হত্যা
প্রতীকী ছবি

পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এক রিকশাচালককে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে  ওদনকাঠী গ্রামে থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ।

নিহত সাব্বির সিকদার (২৫) পিরোজপুর পৌরসভার রায়েরকাঠি এলাকার হারুন সিকদারের ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময়ে দুর্বৃত্তরা বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে সাব্বিরকে হত্যা করে ওদনকাঠি গ্রামে একটি ইটের রাস্তার পাশে ফেলে রাখে।

হাতুড়ির আঘাতে তার মাথা পুরোপুরি থেঁতলে গেছে।

শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা সাব্বিরের মরদেহ নির্জন রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে পিরোজপুর সদর থানায় খবর দেয়। পরবর্তীতে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডি পুলিশের আলাদা টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

নিহতের বাবা হারুন সিকদার জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন সাব্বির।

এরপর নির্ধারিত সময়ে রাতে বাড়ি না ফেরায়, স্বজনরা তার মোবাইল ফোনে কল করে। তবে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন স্থানে সাব্বিরের খোঁজ করেও ব্যর্থ হয়। এরপর সকালে সাব্বিরের মরদেহ দেখে সেটি শনাক্ত করে।
তবে ঘটনাস্থলে তার রিকশাটি পাওয়া যায়নি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খান বলেন, এখন পর্যন্ত সাব্বিরকে হত্যার কারণ উদঘাটন করা যায়নি। তবে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ