জামালপুরে ৪ মাস পর অপহৃত উদ্ধার

জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
জামালপুরে ৪ মাস পর অপহৃত উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

জামালপুরে অপহরণের চার মাস পর কলেজ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছেন অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা। বুধবার (১৯ মার্চ) সরিষাবাড়ি উপজেলার কামরাবাদ এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

মামলা ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত বছরের ৪ ডিসেম্বরে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে কামরাবাদ এলাকা থেকে অপহরণের শিকার হয় ওই শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ২৭ ফেব্রুয়ারি মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের পাঠানপাড়া এলাকার মো. নুর ইসলামের ছেলে মো. মনির হোসেনকে (১৯) প্রধান করে চারজনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন অপহৃতের মা।

 

তারা আরো জানায়, ওই কলেজ শিক্ষার্থীকে তিন মাস ঢাকার গাজীপুরে আত্মগোপনে রাখে অপহরণকারীরা। অপরাধ তদন্ত বিভাগ জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্বাগতা ভট্টাচার্য্যের দিক নির্দেশনায় অপরাধ তদন্ত বিভাগের সদস্যরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান শনাক্ত করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, 'অপরাধ দমনে সিআইডি সব সময় সচেষ্ট। অপরাধ দমনে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

'

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ধুনটে ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার আরো ২

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
শেয়ার
ধুনটে ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার আরো ২
ছবি: কালের কণ্ঠ

বগুড়ার ধুনটে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১মার্চ) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলার হুকুম আলী বাসস্ট্যান্ড মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো—সিরাজগঞ্জ সদরের পাঁচঠাকুরি গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে সুমন শেখ (৩০) ও মিরপুর হায়দারপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল কাদের (২৮)।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ডাকাতরা ৯ জানুয়ারি রাতে ধুনট-জোড়শিমুল পাকা সড়কের হায়রানী বিল এলাকায় একটি পিক-আপ ভ্যানগাড়ি নিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা ঘটনাস্থল পালিয়ে যায়। এ সময় পিক-আপ গাড়ি থেকে ইউনুছ আলী (৪০) নামে একজনকে আটক করে পুলিশ।

পরে তার দেওয়া তথ্য ভিত্তিতে সুমন ও আব্দুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রিকশাচালককে হত্যা

পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রিকশাচালককে হত্যা
প্রতীকী ছবি

পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এক রিকশাচালককে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে  ওদনকাঠী গ্রামে থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ।

নিহত সাব্বির সিকদার (২৫) পিরোজপুর পৌরসভার রায়েরকাঠি এলাকার হারুন সিকদারের ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময়ে দুর্বৃত্তরা বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে সাব্বিরকে হত্যা করে ওদনকাঠি গ্রামে একটি ইটের রাস্তার পাশে ফেলে রাখে।

হাতুড়ির আঘাতে তার মাথা পুরোপুরি থেঁতলে গেছে।

শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা সাব্বিরের মরদেহ নির্জন রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে পিরোজপুর সদর থানায় খবর দেয়। পরবর্তীতে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডি পুলিশের আলাদা টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

নিহতের বাবা হারুন সিকদার জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন সাব্বির।

এরপর নির্ধারিত সময়ে রাতে বাড়ি না ফেরায়, স্বজনরা তার মোবাইল ফোনে কল করে। তবে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন স্থানে সাব্বিরের খোঁজ করেও ব্যর্থ হয়। এরপর সকালে সাব্বিরের মরদেহ দেখে সেটি শনাক্ত করে।
তবে ঘটনাস্থলে তার রিকশাটি পাওয়া যায়নি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খান বলেন, এখন পর্যন্ত সাব্বিরকে হত্যার কারণ উদঘাটন করা যায়নি। তবে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

মন্তব্য

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে থানায় হামলা ও চাঁদাবাজির মামলা!

কালাই উপজেলা প্রতিনিধি
কালাই উপজেলা প্রতিনিধি
শেয়ার
বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে থানায় হামলা ও চাঁদাবাজির মামলা!
সংবাদ সম্মেলন করেন অভিযুক্ত বিএনপি নেতার পিতা। সংগৃহীত ছবি

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থের বিরুদ্ধে থানায় হামলা, পুলিশ সদস্যদের আহত করা এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এই মামলা ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন তার বাবা মো. মাইনুর রহমান।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে ক্ষেতলাল প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাইনুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ঈর্ষান্বিত হয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। তিনি এসব মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান।

আরো পড়ুন
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এনসিপি

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এনসিপি

 

জানা যায়, গত ১৮ মার্চ বগুড়ার শাহজাহানপুর এলাকার তোফাজ্জল হোসেন ক্ষেতলালের মিজানুর রহমানের কাছ থেকে জমি কেনার জন্য ক্ষেতলাল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আসেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থসহ বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী জমি ক্রেতার কাছে চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তোফাজ্জল হোসেন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়, যা পরে মারামারিতে রূপ নেয়। বিএনপি কর্মীরা তোফাজ্জলের আত্মীয়দের মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত তোফাজ্জলকে উদ্ধার করে প্রথমে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় আহত তোফাজ্জলের স্ত্রী জয়নব বেগম থানায় চাঁদাবাজির মামলা করতে গেলে বিএনপি নেতারা দলবল নিয়ে থানায় গিয়ে হামলা চালায় বলে পুলিশ জানায়।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান সরকার জানান, বিএনপি নেতা মেহেদী আশিক পার্থের নেতৃত্বে শতাধিক লোক থানায় হামলা চালায়। পুলিশ বাধা দিলে তারা থানার ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ সদস্যদের মারধর করেন, এতে দুইজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, ডিবি পুলিশ এবং পাশের কালাই থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। ওইদিন ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে এবং পরে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় থানার এসআই সঞ্চয় কুমার বর্মণ বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২০০-২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

অন্যদিকে, চাঁদাবাজির অভিযোগে তোফাজ্জলের স্ত্রী জয়নব বেগম বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে আরেকটি মামলা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী আশিক পার্থের বাবা মাইনুর রহমান দাবি করেন, রাজনৈতিকভাবে তার ছেলের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একই দলের কিছু প্রতিপক্ষ তাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করেছে।

তিনি অভিযোগ করেন, সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফার সমর্থিত ক্ষেতলাল পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম চৌধুরীসহ কিছু ব্যক্তি তার ছেলের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলা করিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমার ছেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না। অথচ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করিয়েছে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাই।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা খুরশিদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘থানায় হামলা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এখানে আমাকে এবং অন্যদের মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে। আসলে বাপ-বেটা মিলে আমার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। পাপ বাপকেও ছাড়ে না।’

ক্ষেতলাল থানার ওসি মাহবুবুর রহমান সরকার জানান, ঘটনার পর থেকে পুলিশি অভিযান চলছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য

চৌদ্দগ্রামে যৌথ অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ আটক ২

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
চৌদ্দগ্রামে যৌথ অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ আটক ২
ছবি: কালের কণ্ঠ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে অবৈধ অস্ত্র, গুলি, মাদক ও নগদ অর্থসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ১০টায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে।

জানা যায়, আজ সকাল ১০টায় সেনাবাহিনী ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় এক মাদক ব্যবসায়ী অবস্থান করছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে উজিরপুর ইউনিয়নের একটি তিনতলা ভবনে তল্লাশি চালিয়ে দুজনকে আটক করে।

আরো পড়ুন
টঙ্গীতে শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

টঙ্গীতে শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

 

আজ বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন আহমেদ। আটকরা হলেন- কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের জগমোহনপুর গ্রামের মোকবুল আহমেদের ছেলে মো. লোকমান হোসেন (৪৩) ও একই এলাকার মোহাম্মদ মানিক মিয়ার ছেলে মো. মুশারফ হোসেন সৈকত (২২)।

ওসি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় এক মাদক ব্যবসায়ী অবস্থান করছে বলে খবর পাওয়া যায়। ওই তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে তল্লাশি করে লোকমান হোসেনের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি, ৭৫০ মিলি বিদেশি মদ, ৫ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৩ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ, ২,৭৫৯ পিস ইয়াবা, ৩ বোতল ফেনসিডিল, ১২টি মোবাইল ফোন, ১টি আইপ্যাড, ২৩টি সিম কার্ড, নগদ ৩০,৫০০ টাকা ও ৩টি শীশা ফ্লেভার প্যাকেট উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন
নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই : আসিফ মাহমুদ

নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই : আসিফ মাহমুদ

 

তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত সামগ্রী চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনগত পদক্ষেপ শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হবে। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ