রাজশাহীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শ্যালকের হাঁসুয়ার কোপে দুলাভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২২ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে মহানগরীর নওদাপাড়া কালুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুহুল আমিন (৪০) নগরীর নওদাপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুমা মোন্তাকিম।
রাজশাহী
জমি নিয়ে বিরোধ : শ্যালকের হাঁসুয়ার কোপে দুলাভাইয়ের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ঘটনার পর তার শ্যালক মিন্টু (৩৫) পালিয়ে গেছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুমা মোন্তাকিম জানান, ‘শনিবার রুহুল আমিনের শ্বশুরের জমির মাপজোখ চলছিল। এ সময় শালা-দুলাভাই জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।
ওসি আরো জানান, ‘ঘটনার পরপরই শ্যালক মিন্টু পালিয়ে গেছে। আমি নিজে ঘটনাস্থলে এসেছি।
সম্পর্কিত খবর

সৌদিতে মারা যাওয়া বিএনপিকর্মীর লাশ আখাউড়ায় দাফন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

সৌদি আরবে কর্মরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া বিএনপিকর্মী রফিক মিয়ার লাশ তার নিজ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধাতুরপহেলায় দাফন করা হয়েছে। রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হয়।
রফিক মিয়া বিএনপির একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। তিনি প্রবাসে থেকেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দলের হয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাতেন।
জানা যায়, গত ৬ এপ্রিল সৌদির রিয়াদ শহরের আল তুহিন নামের একটি কম্পানিতে কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান রফিক মিয়া। গত শুক্রবার রাতে তার লাশ দেশে আসে।
রবিবার ধাতুর পহেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজে জানাজায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় রফিক মিয়াকে বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

ফরিদপুর
নির্জন চরে মাধ্যমিক শিক্ষার আলো
সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সদরপুরে নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নটি দুর্গম পদ্মার চরে। পিছিয়ে পড়া এ জনপদে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল না। অবশেষে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এতে সেখানকার শিক্ষাব্যবস্থা ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা ইউনিয়নবাসীর।
সদরপুর উপজেলায় রয়েছে ৯টি ইউনিয়ন। এর মধ্যে নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নটি পদ্মা নদীর মাঝে জেগে ওঠা চরে। এ চরে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও ছিল না কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
আশপাশের চরনাছিরপুর, চরমানাইর তিন চরেও নেই মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে চলে এ চরাঞ্চলের মানুষের জীবন। শিক্ষাদীক্ষায় চরবাসী আলোর মুখ না দেখতে পেয়ে বাধ্য হয়ে সন্তানদের পৈতৃক পেশা মাছধরা বা কৃষিকাজে লাগিয়ে দিতেন।
হঠাৎ এক দিন এ বালুচরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গল্প শোনা যায়। প্রথম দিকে কাল্পনিক মনে হলেও এখন চরবাসীর স্বপ্নের ওই বিদ্যালয়টি বাস্তবের জমিনে দাঁড়িয়ে আছে। শিগগিরই বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে।
জানা গেছে, ২০২৩ সালে সদরপুর উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও আহসান মাহমুদ রাসেল নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নে উন্নয়নকাজের পরিদর্শনে যান।
তখন স্থানীয়রা জানান, এ অঞ্চলে কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই। তখনই একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করবেন বলে জানান ইউএনও।
বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় জমিদানের জন্য এগিয়ে আসেন ওই অঞ্চলের হাওলাদারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষানুরাগী আবুল হাওলাদার। তিনি বিদ্যালয়ের জন্য এক একর (১০০ শতাংশ) জমি লিখে দেন। এরপর বিদ্যালয়ের স্থাপনা নির্মাণের জন্য সদরপুর উপজেলা প্রশাসনের নিজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে বরাদ্দ দিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।
সদরপুর উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন। যোগাযোগের প্রধান বাহন ট্রলার। সদরপুর থেকে ঢেউখালী ইউনিয়নের শয়তানখালী নৌঘাট থেকে দেড় ঘণ্টা পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে যেতে হয় এ চরে। উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই চরে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বসবাস করে। এ অঞ্চলের স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীর হাতে যেখানে বই-খাতা-কলম থাকার কথা, সেখানে তাদের হাতে দেখা যায় চায়ের কেটলি, মাছ শিকারের সামগ্রী আর গরু-ছাগলের রশি।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহাদাৎ হোসেন জানান, ইচ্ছা থাকলেও আগে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে আর স্কুলে যেতে পারত না এ অঞ্চলের শিশুরা। মাধ্যমিক বিদ্যালয় হওয়ায় শিশুরা আরো পড়াশোনা করতে পারবে। বদলে যাবে চরের শিক্ষাব্যবস্থা।
নারিকেলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বলেন, ‘অনেক চেষ্টার পর চরবাসীর জন্য উপজেলা প্রশাসন এ স্কুলটি উপহার হিসেবে দিয়েছে। এখন চরের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়বে, পরিবর্তন হবে এ অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থার। ইতোমধ্যে স্কুলটির জন্য চারচালা টিনের ঘর করা হয়েছে। বেঞ্চসহ শিক্ষা উপকরণ সামগ্রীও পৌঁছে গেছে। শিগগিরই শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘এখানে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আশা করাও দুরূহ ব্যাপার ছিল। প্রশাসনের প্রচেষ্টা ও এলাকাবাসীর উদ্যোগের কারণে এ স্কুল প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।’
বিদ্যালয়ের জমিদাতা আবুল হাওলাদার বলেন, ‘নিজ এলাকায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় দুর্গম এলাকা থেকে নদী পাড়ি দিয়ে অন্যত্র যেতে চায় না শিশুরা। তাই এখানকার জনগোষ্ঠীর শিক্ষার মান নাজুক। এখন উচ্চ বিদ্যালয় হওয়ায় তাদের শিক্ষার হার বাড়বে।’
সদরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘এই উপজেলার সাবেক ইউএনও আহসান মাহমুদ রাসেল প্রথমে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু করেন। আমি এসে যখন শুনেছি তখন থেকেই চরের শিশুদের শিক্ষার জন্য বিদ্যালয়টি নিয়ে কাজ করছেন। চরবাসী তাদের স্বপ্নের স্কুল পেয়েছে। সরকারি বরাদ্দ দিয়ে স্কুলের বেঞ্চসহ বিভিন্ন সামগ্রী কেনা হয়েছে। এখন উদ্বোধন ও পাঠদানের অনুমতির অপেক্ষা।’

একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন ছাগলনাইয়ার রিক্তা
ফেনী প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন নাহিদা আক্তার রিক্তা (২৫) নামের এক নারী। গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হন তিনি। ওই দিনই ৫ সন্তানের জন্ম হয়।
নাহিদা আক্তার রিক্তা ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের দুবাই প্রবাসী আশরাফুল আলম হৃদয়ের সহধর্মিণী।
জানা যায়, ওই ৫ সন্তান স্বাভাবিক প্রসবে জন্ম হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন ছেলে ও তিনজন কন্যা সন্তান। তবে এদের মধ্যে তিন সন্তানের শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো নয়।
এদিকে ৫ সন্তানের জন্মের খবর পেয়েই বিদেশ থেকে ফিরে আসেন বাবা আশরাফুল।

তালায় বিতর্কিত সেই ইউএনও রাসেলের পক্ষে সাফাই গাইতে মানববন্ধন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা তালায় কালের কণ্ঠের সাংবাদিক রোকনুজ্জামান টিপুকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া বিতর্কিত ইউএনও শেখ রাসেলের পক্ষে সাফাই গেয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় তালার সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজ, উপজেলা দপ্তরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজসহ উপজেলার ৭টি কলেজের ব্যানারে দুই দফায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার শেখ রাসেল উপজেলার স্কুল ও কলেজ শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতা জনপ্রতিনিধি ও উপজেলার সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ডেকে তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ করার পর তারা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
উপজেলা পরিষদ গেটে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রের সন্নিকটে খুলনা পাইকগাছা সড়কে তালা খেয়াঘাট মোড়ে মানববন্ধনে শতাধিক মানুষ অংশ গ্রহণ করে।
স্থানীয় বি দে স্কুলের গেটের সামনে অপেক্ষমাণ অভিভাবকরা জানান, পরীক্ষাকেন্দ্রের সন্নিকটে আওয়াজের কারণে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।
তালা উপজেলার মুড়াকলিয়ার গ্রামের অভিভাবকরা জানান, মানববন্ধনের কারণে মেইন রোডে ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করায়, দূরপাল্লার যানবাহন কলেজ-স্কুল রোডে ঢুকে পড়ে।
তালা বাজারের বিভিন্ন স্থানে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একজন ভালো মানুষ। তিনি তালায় যোগদান করার পর থেকে উপজেলা সদরসহ ১২টি ইউনিয়নে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন।