হবিগঞ্জ রেজিস্ট্রি অফিস ও সাবরেজিস্ট্রি অফিস এখন অরক্ষিত। হবিগঞ্জ শহরতলির পশ্চিম ভাদৈ গ্রামে অবস্থিত এই অফিসের সন্ধ্যার পর নেমে আসে ভূতুড়ে অন্ধকার। মাদক কারবারিদের আখড়া বসে সেখানে। অফিসের টিউবওয়েল, পাইপ ও রড কেটে বিক্রি করে মাদক কারবারিরা।
হবিগঞ্জ রেজিস্ট্রি অফিস ও সাবরেজিস্ট্রি অফিস এখন অরক্ষিত। হবিগঞ্জ শহরতলির পশ্চিম ভাদৈ গ্রামে অবস্থিত এই অফিসের সন্ধ্যার পর নেমে আসে ভূতুড়ে অন্ধকার। মাদক কারবারিদের আখড়া বসে সেখানে। অফিসের টিউবওয়েল, পাইপ ও রড কেটে বিক্রি করে মাদক কারবারিরা।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাতে জেলা রেজিস্ট্রি অফিস ও সাবরেজিস্ট্রি অফিসের তালা ভেঙে তছনছ করা হয়েছে। তবে কিছু খোয়া যায়নি বলে জানান হবিগঞ্জ সদর সাবরেজিস্ট্রার আবুল কাশেম।
তিনি জানান, শুক্রবার রাতে তার অফিসের গ্রিল কেটে সম্ভবত কোনো বাচ্চাকে ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দরজা খোলানো হয়। কার গ্রিলের কাটা অংশ ছিল ছোট। পরে জেলা রেজিস্ট্রারের ড্রয়ার ভাঙে। কিন্তু ড্রয়ারের ভেতর থাকা ল্যাপটপ অক্ষত রয়েছে।
আবুল কাশেম আরো জানান, চোরেরা রেকর্ড রুমের তালা ভাঙার চেষ্টা করে। কিন্তু তালা ভাঙতে পারেনি।
এদিকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে হবিগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রার অফিসের নাইট গার্ড সবুর আলীর মরদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনাকে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু বলে প্রচার করা হলেও সাবরেজিস্ট্রার আবুল কাশেম এটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, মাদকসেবীদের চুরি করতে দেখে ফেললে সবুর আলীকে হত্যা করা হয়। ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হওয়ার মতো তার অবস্থা ছিল না।
এ ছাড়া ২ বছর পূর্বে জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের রেকর্ড রুম থেকে একটি পুরনো দলিলের ভলিউমের পাতা চুরির ঘটনা ঘটেছিল। এ ব্যাপারে সাবেক সাবরেজিস্ট্রার শংকর কুমার ধর একটি মামলা করেছিলেন।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার আলমগীর কবির জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পর্কিত খবর
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের পূর্ব মহেশালী গ্রামে একটি ভুট্টা খেত থেকে এক নবজাতক কন্যাশিশু উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা, ভূমিষ্ঠ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটিকে ফেলে যাওয়া হয়।
আজ সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পাশের মরিচ খেতে কাজ করা এক নারী শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে এগিয়ে যান। পরে তিনি ভুট্টা খেতে নবজাতকটিকে দেখতে পান।
স্থানীয়দের ধারণা, কেও শিশুটিকে ফেলে গেছে অথবা পারিবারিক কোনো সমস্যার কারণে পরিত্যক্ত করা হয়েছে। তবে কে বা কারা শিশুটিকে ফেলে গেছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
উদ্ধার হওয়া নবজাতকটিকে আপাতত ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খবর পেয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাইরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, 'শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে।
রংপুরে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত অবস্থায় ফজলে রাব্বি (২৮) নামে এক ভুয়া মেজরকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় আরো ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর পরিচয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন তারা।
আজ সোমবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর নগরীর জাহাজ কম্পানি মোড় এলাকা থেকে জনতার সহযোগিতায় তাদের আটক করা হয়।
তিনি জানান, ভুয়া মেজরের কাছ থেকে ভুয়া আইডি কার্ড, ৪টি মোবাইল ফোন, ওয়াকি-টকি, ইয়ামাহা মোটরসাইকেল, নগদ ২ লাখ ৯০ হাজার ৫৬৫ টাকাসহ সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণামূলক বিভিন্ন কাগজপত্র সনদ উদ্ধার করা হয়েছে। আটক রাব্বি ঠাকুরগাঁও জেলার মোকতার আলমের ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঈদের বাজার করতে রংপুরের জাহাজ কম্পানি মোড় সংলগ্ন রয়্যালটি মেগা মলে নেমে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত মো. ফজলে রাব্বিসহ বেসামরিক পোশাকে আরো ৪ জনকে দেখতে পান সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ূন কাইয়ুম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে রাব্বি জানান, রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বেকার যুবকদের সেনাবাহিনীর চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিতাস গ্যাসফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপের সংস্কারকাজ (ওয়ার্কওভার) শেষে মাত্র ৪৮ দিন গ্যাস তোলার পর ফের বন্ধ হয়ে গেছে। এবার কূপটি কতদিনে পুনরায় চালু করা যাবে সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই কর্তৃপক্ষের কাছে।
অভিযোগ উঠেছে, ভালো করে যাচাই না করেই বন্ধ কূপটি ওয়ার্কওভার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করেছিল বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। বিজিএফসিএল’র এমডি সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ঘনিষ্ঠজন প্রকৌশলী ফজলুল হক এবং প্রকল্প পরিচালকের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে এমনটা হয়েছে।
জানা গেছে, বিজিএফসিএল পরিচালিত তিতাস গ্যাসফিল্ডের ২৭টি কূপের মধ্যে বর্তমানে বন্ধ রয়েছে ৫টি কূপ। বাকি ২২টি কূপ থেকে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৩শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। কূপগুলোতে মজুত কমতে থাকায় ক্রমাগত গ্যাসের উৎপাদন কমছে। এমন বাস্তবতায় গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে ৫২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন গ্যাসফিল্ডের ৭টি কূপের সংস্কারকাজ হাতে নেয় বিজিএফসিএল।
জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তৎকালীন জ্বালানি সচিব মো. নুরুল আলম।
জানা গেছে, এক সময় কূপটি থেকে দৈনিক ২৯ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উত্তোলন হতো। তবে গ্যাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় পানি ওঠার কারণে ২০০৯ সালে কূপটি ওয়ার্কওভার করে দৈনিক ১৯ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করা হয়। তবে গ্যাসের সঙ্গে পানি ওঠার হার বৃদ্ধির কারণে ২০২১ সালের নভেম্বরে কূপটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
১৪ নম্বর কূপের ব্যর্থতার মধ্যেই গেল বছরের শেষদিকে ১৬ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজ শুরু করে বিজিএফসিএল। যদিও কূপটি আগে থেকেই সচল ছিল। এ কূপটি থেকে আগে প্রতিদিন ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হলেও ত্রুটিপূর্ণ ওয়ার্কওভারের পর তা এখন গড়ে ৪ মিলিয়নে নেমে এসেছে। ফলে কূপটি পুনরায় ওয়ার্কওভারের জন্য নতুন করে আরও ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ওয়ার্কওভার প্রকল্পের পরিচালক মো. ইসমাইল মোল্লা জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে ১৪ নম্বর কূপটি বন্ধ হয়ে গেছে। এত দ্রুত কারিগরি ত্রুটির কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে অপারেশন বিভাগে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। এই প্রতিবেদক পরিচয় দিয়ে পরপর তিন দিন ইসমাইল মোল্লাকে ফোন দেন। প্রতিদিনই তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে এড়িয়ে যান। অথচ অন্য মাধ্যমে খবর নিয়ে জানা যায়, ওই সময় তিনি কোনো মিটিংয়ে ছিলেন না।
বিজিএফসিএলের একটি সূত্র বলছে, নসরুল হামিদ বিপুর ঘনিষ্ঠজন হওয়ার সুবাদে জ্যেষ্ঠতা ভেঙে বাপেক্সের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক, অপেক্ষাকৃত জুনিয়র কর্মকর্তা প্রকৌশলী ফজলুল হককে বিজিএফসিএলের এমডি হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। নিয়োগ পাওয়ার পর নিজের পছন্দের এবং আওয়ামী লীগপন্থি কর্মকর্তাদের নিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে অনিময়-দুর্নীতি করছেন তিনি।
বিজিএফসিএলের সিবিএ সভাপতি নূর আলম বলেন, শুধু কোম্পানির এমডির অদক্ষতায় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর সুফল মিলছে না। ১৪ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজটি ভালোভাবে করতে পারেনি বিধায় বেশিদিন গ্যাস উত্তোলন করা যায়নি।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ফজলুল হক বলেন, আমি কোনো সিন্ডিকেট করিনি। আর আমার সঙ্গে নসরুল হামিদ বিপুর কোনো ঘনিষ্ঠতা ছিল না। আমার মাথাতে এগুলো কখনো আসেইনি। আমি এমডি হয়ে আসার পর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বা ব্যক্তিস্বার্থে কিছুই করিনি।
বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবনের শাপলার বিলে এখনও আগুন জ্বলছে। দুই দিনেও আগুন সম্পূর্ণ নিভানো সম্ভব হয়নি। আজ সোমবার বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে আগুন, আবার কখনো ধোঁয়া দেখা গেছে। প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে ভোলা নদী থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি নিয়ে আগুন নিভানোর কাজ চলছে।
এরমধ্যে প্রায় পাঁচ একর বনভূমি আগুনে পুড়ে গেছে। ফায়ার ব্রিগেড, বন বিভাগ এবং স্থানীয় গ্রামবাসী আগুন নিভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
খুলনা ফায়ার ব্রিগেড ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. আবু বক্কর জামান জানান, 'প্রায় ৩ কিলোমিটার দুরে ভোলা নদীতে পাইপ লাইন স্থাপন করে পাম্পের মাধ্যমে পানি নিয়ে আগুন নিভানোর কাজ চলছে। রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা পানি দিয়ে আগুন নিভানোর কাজ শুরু করেন।
সহকারী পরিচালক মো. আবু বক্কর জামান আরো জানান, এই মুহুত্বে সুন্দরবনে জ্বলতে থাকা আগুনের ভয়াবহতা নেই। সকালেও থেমে থেমে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
কাছাকাছি পানির উৎসহ এবং পর্যাপ্ত পানি থাকলে অল্প সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতো বলে তিনি জানান। তবে আগুনের সূত্রপাত নিয়ে কিছু জানাতে পারেননি ওই কর্মকর্তা।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) দ্বীপেন চন্দ্র দাস জানান, 'আগুন যাতে সুন্দরবনে ছড়াতে না পারে এজন্য শাপলার বিল এলাকায় প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ফায়ার লেন কাটা হয়েছে। আগুন ওই ফায়ার লেন অতিক্রম করতে পারেনি। গাছ আর লতাপাতার কারণে ফায়ার লেনের ওই ৫ কিলোমিটারের মধ্যে সব স্থানে সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত পানি দেওয়া সম্ভব হয়নি।'
এসিএফ দ্বীপেন চন্দ্র দাস আরো জানান, সুন্দরবনে আগুনের ঘটনা ঘটলে কাছাকাছি পানির উৎসহ না থাকায় আগুন নিভাতে বেগ পেতে হয়। ভোলা নদী থেকে আগুনের ওই স্থান প্রায় ৩ কিলোমিটার দুরে। পলিমাটি জমে ভোলা নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে সব সময় নদীতে পানি থাকে না। পানির জন্য শুধুমাত্র জোয়ারের উপর নির্ভর করতে হয়। ভাটার সময় নদীতে পানি না থাকলে আগুনে পানি দেওয়া সম্ভব হয় না।'
এসিএফ দ্বীপেন চন্দ্র দাস জানান, শাপলার বিল এলাকায় যে স্থানে আগুনের ঘটনা ঘটেছে সেখানে বলা যাতীয় গাছ এবং বিভিন্ন লতাপাতা বেশি রয়েছে। তাদের প্রাথমিক ধারণা, আগুনে পাঁচ এককর বনভূমি পুড়ে গেছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, 'আগুন নিভানোর কাজ চলছে। বন বিভাগ, ফায়ার স্টেশন, সিপিজি, ভিটিআরটি এবং গ্রামবাসী আগুন নিভানোর কাজে অংশ নিয়েছে। সুন্দরবনের টেপার বিলে আগুনের ঘটনায় গঠিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিকে শাপলার বিলে আগুনের ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সুন্দরবনে আগুনের সুত্রপাত এবং আগুনে জীববৈচিত্রের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা যাবে।'
প্রসঙ্গত, সুন্দরবনের শাপলার বিলের আগুনের আগে বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলা জেলাধীন সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজি ক্যাম্পের টেপার বিল এলাকায় শনিবার সকাল ৭টার দিকে আগুন জ্বলতে দেখে বন বিভাগ।
পরে ফায়ার ব্রিগেড কর্মী এবং স্থানীয় গ্রামবাসী চেষ্টা চালিয়ে রবিবার দুপুরে টেপার বিলের আগুন সম্পূর্ণ ভাবে নির্বাপণ করতে সক্ষম হয়। টেপার বিলের আগুনে প্রায় চার একর বনভূমি পুড়ে গেছে। টেপার বিলের আগুনের সুত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এর একদিন পর রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাগেরহাট জেলাধীন সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর টহল ফাঁড়ির ২৩ শের সিলার শাপলার বিল এলাকায় গহীন বনে আগুন দেখতে পায় বন বিভাগ। এর পর শুরু হয় আগুন নিভানোর কাজ। আগুন যাতে বনে ছড়িয়ে পড়তে না পারে এজন্য শাপলার বিল এলাকায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ফায়ার লেন কাটা হয়।
বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, সিপিজি, ভিটিআরটি এবং স্থানীয় গ্রামবাসী আগুন নিভানোর কাজে অংশ নিয়েছেন। আজ সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত আগুন নিভানোর কাজ চলছে বলে জানা গেছে।
এদিকে একদিনের ব্যবধানে সুন্দরবনের দুই স্থানে ৭ কিলোমিটারের দুরত্বে আগুনের ঘটনায় বন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নাশকতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।