ঢাকা, রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫
১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫
১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

ঠাকুরগাঁওয়ে ভুট্টাক্ষেতে মিলল জীবিত নবজাতক

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
শেয়ার
ঠাকুরগাঁওয়ে ভুট্টাক্ষেতে মিলল জীবিত নবজাতক
ছবি : কালের কণ্ঠ

ঠাকুরগাঁওয়ে একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে জীবিত নবজাতক উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলা জামালপুর মহেশালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেছেন। পরে শিশুটিকে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, ভুট্টাক্ষেতের পাশের মরিচক্ষেতে কাজ করছিলেন এক নারী শ্রমিক। তিনি শিশুটির কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে ভুট্টাক্ষেতের ভেতরে যান। এ সময় তিনি কাপড়ে মোড়ানো নবজাতকটিকে ভুট্টাক্ষেতে দেখতে পান। স্থানীয়দের বিষয়টি জানালে শিশুটিকে দেখতে ছুটে আসেন অনেকেই।

পরে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলে ঘটনাস্থলে আসেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম। তিনি শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, ভূমিষ্ঠ হওয়ার এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যেই শিশুটিকে ফেলে যাওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘এটি খুবই অমানবিক কাজ।

কারা এ কাজটি করেছে তা জানা যায়নি। শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও লালন-পালনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভাতিজার শাবলের আঘাতে প্রাণ গেল চাচার

বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
শেয়ার
ভাতিজার শাবলের আঘাতে প্রাণ গেল চাচার
সংগৃহীত ছবি

বরিশালের বানারীপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাতিজার শাবলের আঘাতে সুলতান হোসেন খান (৪৫) নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। আহত হওয়ার ২১ দিন পরে শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

গত ৫ এপ্রিল উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মলুহার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় গ্রেপ্তার হওয়া নিহতের বড় ভাই শাহজাহান খান ও ভাতিজা রুবেল খান বরিশাল জেলহাজতে রয়েছেন।

নিহত সুলতান হোসেন খান পার্শ্ববর্তী স্বরূপকাঠি উপজেলার ইন্দের হাট বন্দর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন।

আরো পড়ুন
জুলাই বিপ্লবের মতো ঘটনাতেই অত্যাচারী শাসকের পতন ঘটে : আইন উপদেষ্টা

জুলাই বিপ্লবের মতো ঘটনাতেই অত্যাচারী শাসকের পতন ঘটে : আইন উপদেষ্টা

 

জানা গেছে, জমি বন্টন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মলুহার গ্রামে দুই ভাই শাহজাহান খান ও সুলতান হোসেন খানের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে শাহজাহান খানের ছেলে রুবেল খান চাচা সুলতান হোসেন খানকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। এছাড়াও শাহজাহান খান ও রুবেলের স্ত্রী লামিয়াসহ অপর আসামিরা কোদাল, ইট ও লোহার পাইপ দিয়ে দিয়ে তাকে আঘাত করেন। ওই রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় সুলতান হোসেন খানকে উদ্ধার করে প্রথমে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে পরে তাকে রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। 

এ ঘটনায় ৬ এপ্রিল সুলতান হোসেন খানের বোন নাসিমা বেগম বাদী হয়ে বড় ভাই শাহজাহান খান, তার ছেলে রুবেল খান, ভাতিজার স্ত্রী লামিয়া আক্তার, বোন নিলুফা বেগম ও মারুফা বেগম, ভগ্নিপতি মোশারফ হোসেন এবং শাহ আলমকে সুনির্দিষ্ট ও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বানারীপাড়া থানায় মারধর ও হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

আরো পড়ুন
ছাত্রদের নতুন দলেই যোগ দিতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই : আসিফ মাহমুদ

ছাত্রদের নতুন দলেই যোগ দিতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই : আসিফ মাহমুদ

 

ওই দিনই (৬ এপ্রিল) মামলার আসামি শাহজাহান খান, রুবেল খান ও লামিয়াকে গ্রেপ্তার করে বরিশাল জেলহাজতে পাঠায় বানারীপাড়া থানা পুলিশ। পরবর্তীতে লামিয়া জামিনে বের হলেও সেই থেকে শাহাজান খান ও তার ছেলে রুবেল খান বরিশালে জেলহাজতে রয়েছেন।

 

এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তফা বলেন, ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত সুলতান হোসেন খান মারা গিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় পূর্বে দায়েরকৃত মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করে বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

একই রশিতে ঝুলন্ত মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
একই রশিতে ঝুলন্ত মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার মুরাদনগরে একই রশিতে ঝুলন্ত মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। শনিবার (২৬ এপ্রিল) বাঙ্গরা বাজার থানার ৫ নম্বর পশ্চিম বাঙ্গরা ইউনিয়নের নবিয়াবাদ গ্রাম থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের ধারণা, তাদের হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

নিহতরা হলো নবিয়াবাদ গ্রামের প্রবাসী আ. মতিনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (২৬) ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ (৩)।

আরো পড়ুন
জুলাই বিপ্লবের মতো ঘটনাতেই অত্যাচারী শাসকের পতন ঘটে : আইন উপদেষ্টা

জুলাই বিপ্লবের মতো ঘটনাতেই অত্যাচারী শাসকের পতন ঘটে : আইন উপদেষ্টা

রাবেয়ার বাবা ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়ের পা দুটো মাটিতে লাগে আছে। ফাঁসির চিত্র দেখে স্পষ্ট যে মা-ছেলেকে মেরে রশিতে ঝুলিয়ে রেখে গেছে। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করতে যাচ্ছি।'

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, রাবেয়ার স্বামী সৌদি আরব থাকেন।

বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে রাবেয়ার সম্পর্ক ভালোই ছিল।

আরো পড়ুন
উপসচিব পদোন্নতিতে জটিলতা, ২৯১ কর্মকর্তার তথ্য যাছাই করছে সরকার

উপসচিব পদোন্নতিতে জটিলতা, ২৯১ কর্মকর্তার তথ্য যাছাই করছে সরকার

বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, সকালে মা ও ছেলেকে বসতঘরের আড়ার মধ্যে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

তিনি আরো বলেন, এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

তার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।

আরো পড়ুন
ছাত্রদের নতুন দলেই যোগ দিতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই : আসিফ মাহমুদ

ছাত্রদের নতুন দলেই যোগ দিতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই : আসিফ মাহমুদ

মন্তব্য

বাড়ির কাছে এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপনের দাবিতে পরীক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
শেয়ার
বাড়ির কাছে এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপনের দাবিতে পরীক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
ছবি : কালের কণ্ঠ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র করার দাবিতে পরীক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে। আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর ১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী নান্দাইল-কেন্দুয়া সড়কটি অবরোধ করে রাখে পরীক্ষার্থীরা।

এ সময় সড়কে দুই পাশে যাত্রীবাহী বাসসহ কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়ে। বাসযাত্রীরা তীব্র গরমে ভোগান্তির শিকার হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে।

আন্দোলনরত পরীক্ষার্থীরা জানায়, প্রতিবছর ১০ কিলোমিটার দূরে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সদরে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। খুব ভোরে উঠে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হয়। এতে ভোগান্তি বেড়ে যায়। তাই আঠারবাড়ী ডিগ্রি কলেজের পাশে অবস্থিত যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করে সেখানে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এই দাবি আদায়ের জন্য আমরা সকল পরীক্ষার্থী মিলে সড়ক অবরোধ করে উপজেলা প্রশাসনে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত সড়ক থেকে উঠব না। 

শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে যখন নানা স্লোগান দিচ্ছিলেন তখন রায়ের বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল আসেন। তারা উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন।

 

গত কয়েকদিন ধরে ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা একই দাবিতে উপজেলা সদরে আন্দোলন করছিলেন। তারাও ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আঠারবাড়ি ডিগ্রি কলেজে স্থাপন করা পরীক্ষা কেন্দ্রে না যাওয়ার দবি করছেন।

মন্তব্য
পিরোজপুর

বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট, ভোগান্তি দুই লাখ মানুষের

পিরোজপুর সংবাদদাতা
পিরোজপুর সংবাদদাতা
শেয়ার
বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট, ভোগান্তি দুই লাখ মানুষের
ছবি: কালের কণ্ঠ

পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর নাব্য সংকটের কারণে বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। পিরোজপুর পৌরসভার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করতে পারছে না। দিনে দুই বেলা দুই ঘণ্টা করে পানি দেওয়ার কথা, তবে এক ঘণ্টাও মিলছে না পানি। মাঝে মাঝে একদিন পর পানি পাওয়া যায়।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পিরোজপুর পৌরসভার বসবাসরত দুই লক্ষাধিক মানুষ।

পিরোজপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার দেওয়া নির্দিষ্ট পানির কলগুলোতে ঠিকমতো পানি পাওয়া যাচ্ছে না। যেটুকু পাওয়া যায় তা আবার যাদের বাড়িতে পানির মোটর আছে তারা তুলে নেয়। ফলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও এসব কলে যারা পানি নিতে আসছেন, তারা পানি না পেয়ে খালি হাতেই ফিরে যান।

চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব এলাকার মানুষের।

‎জানা যায়, ১৯৮৭ সালে পিরোজপুর জেলার মর্যাদা পায়। আর পৌরসভাটি দেড় শ বছরের পুরনো। অনেক বছর আগে পিরোজপুরের জনগণকে সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য বিভিন্ন এলাকায় নির্ধারিত পুকুর ও নলকূপ ব্যবহার করতে হতো।

জনগণের চাহিদা পূরণের জন্য পিরোজপুর জনস্বাস্থ্য বিভাগ ১৯৮৩ সালে সুপেয় পানির জন্য চালু করে পানি শোধনাগার। সেখান থেকে শুরু করা হয় পানি সরবরাহ।

শুরুতে প্রতি ঘণ্টায় উৎপাদন হতো প্রায় ৫০ হাজার লিটার। সময়ের ব্যবধানে উৎপাদন বেড়ে আড়াই থেকে তিন লাখ লিটারে দাঁড়ালেও চাহিদার তুলনায় তা খুবই সামান্য। ফলে চাহিদাকৃত পানি পরিশোধনে অক্ষম কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে এ পৌরসভায় সাত হাজার পরিবারের পানির চাহিদা থাকলেও পানি সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে মাত্র ৩ হাজার পরিবারের। পিরোজপুর পৌরসভার দুই লক্ষাধিক বাসিন্দার জন্য প্রতি ঘণ্টায় ১০ লাখ লিটার পানির চাহিদা রয়েছে। আর উৎপাদন হচ্ছে মাত্র আড়াই থেকে তিন লাখ লিটার।

আধা কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে এসেছেন পানি নিতে, কিন্তু পানি না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে হোসনেয়ারা বেগমকে। তিনি পিরোজপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

তিনি বলেন, ‘পানি না পেয়ে খুব সমস্যায় আছি। বিশেষ করে খাবার পানির সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। খাবার পানি কিনে খেতে হচ্ছে। শুধু আমরা না, পিরোজপুর পৌরসভার অধিকাংশ পরিবারের সমস্যা একই। গত কয়েক মাস ধরে পানির সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে।

পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান, গত দুই বছর ধরে পানির সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে। কর্তৃপক্ষ উদাসীন হওয়ার কারণে তারা ঠিকমতো পানি পান না। প্রতিদিন সকাল-বিকেল মিলিয়ে এক ঘণ্টা করে মোট দুই ঘণ্টা পানি দেওয়ার কথা থাকলেও সব মিলিয়ে এক ঘণ্টাও পানি পান না। খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা দরকার।

সোমা মন্ডল নামের এক নারী বলেন, ‘পানির জন্য অচল হয়ে গেছি আমরা। পানির অভাবে আমরা ঠিকমতো গোসল করতে পারি না, রান্নাবান্না করতে পারি না। খাবারের পানি কিনে খেতে হয়। পানির অভাবে এলাকা ছেড়ে দিচ্ছে মানুষ। আমরা এর সমাধান চাই।’

পিরোজপুর পৌরসভার পানি ও পয়োনিষ্কাশন সহকারী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘বলেশ্বর নদীর নাব্য সংকটের কারণে পানি সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি, নদী পুনরায় খননের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান হবে।’

‎পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বনি আমিন বলেন, ‘দিন দিন জনসংখ্যা বাড়ছে, পানির চাহিদাও বাড়ছে। তবে সক্ষমতা চাহিদার তুলনায় কম। ফ্রান্স সরকারের সহায়তায় একটি প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। আশা করি, এ সমস্যার সমাধান হবে।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ