ঢাকা, রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫
১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫
১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

বৈশাখের ছুটিতে নদী-প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে পারেন বরিশালে

রফিকুল ইসলাম, বরিশাল
রফিকুল ইসলাম, বরিশাল
শেয়ার
বৈশাখের ছুটিতে নদী-প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে পারেন বরিশালে
ছবি: কালের কণ্ঠ

সাত সকালে ব্রজমোহন (বিএম) স্কুল মাঠে প্রাভাতী অনুষ্ঠান দিয়ে পহেলা বৈশাখের শুরু। সেখানে পরানো হবে রাখি। বর্ষবরণের গানের আয়োজনও থাকছে। তারপর বর্ষবরণের সমবেত গান নিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হবে।

নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন। বরিশাল চারুকলার উদ্যোগে আয়োজিত শোভাযাত্রা ব্রজমোহন (বিএম) স্কুল মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হবে।

শোভাযাত্রার দীর্ঘ বিরতির পর বিকেলে বিএম স্কুল মাঠেই উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর আয়োজনে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন থাকছে। পহেলা বৈশাখে শোভাযাত্রার পর থেকে বিকেল মেলা শুরুর আগ পর্যন্ত এই দীর্ঘ সময়টা পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব মিলে ঘুরতে বের হন অনেকেই।

 

আরো পড়ুন
কৃষ্ণাকে রেখেই ভুটান গেলেন আরো ৫ নারী ফুটবলার

কৃষ্ণাকে রেখেই ভুটান গেলেন আরো ৫ নারী ফুটবলার

 

কীর্তনখোলা নদীর পাড় ঘেঁষে সবুজের বেষ্টনী। আছে নদী তীরে ঝাউ বন। এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পামগাছের সারি। শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ।

কীর্তনখোলা তীরে এ শহরের রয়েছে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই ঘুরে আসতে পারবেন বেশ কয়েকটি স্পর্ট।

কীর্তনখোলা নদীর পাড়
বরিশাল শহরের অদূরেই কীর্তনখোলা নদী তীরে এ জায়গাটি কীর্তনখোলা তীরের বেরিবাঁধের একটি অংশ। যেখানে আছে ঝাউবন। তার পাশের এ জায়গাকে ত্রিশ গোডাউন বলে।

এখানে বধ্যভূমিও রয়েছে। বিকেলের দিকে কীর্তনখোলাা পাড়ে গেলে নদীর শান্ত, শীতল পানির স্পর্শ নিয়ে যখন বাতাস আপনার গায়ে এসে লাগবে, তখন মন প্রফুল্ল হয়ে যাবে। সন্ধ্যার দিকে এখানে নানান মুখরোচক খাবারের পসরা বসে। 

মুক্তিযোদ্ধা পার্ক
বরিশাল নগরের বান্দরোডে কীর্তনখোলা নদী ঘিরে গড়ে উঠেছে আরেক বিনোদনকেন্দ্র মুক্তিযোদ্ধা পার্ক। ঝাউ-কাঠবাদাম, নানা প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফুল ও বনজ গাছে ছায়া সুনিবিড় এই পার্কে এলে নগরের ইটপাথর আর কোলাহল থেকে একটু স্বস্তি মেলে। প্রায় ৪ হাজার বর্গমিটার আয়তনের পার্কটিতে ৬২টি বসার আসন আছে। নদীতীরের প্রশস্ত সড়ক ধরে হেঁটে কীর্তনখোলার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় এখান থেকে। এখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ট্রলারে ভ্রমণ করা যায় নদী। যাওয়া যায় ত্রিশ গোডাউন রিভারভিউ পার্কে। বিনামূল্যে পার্কটি ঘুরে দেখার সুযোগ থাকায় নগরবাসীর কাছে পার্কটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

প্ল্যানেট পার্ক
বরিশালে যতগুলো শিশু বিনোদনকেন্দ্র আছে, তার মধ্যে অন্যতম বান্দরোডের প্ল্যানেট পার্ক। ৫০ টাকা প্রবেশ ফি এই পার্কের। ভেতরে আছে শিশুদের জন্য ৮টি রাইড। প্রতিটি রাইডের জন্য টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা। রাইডগুলোর মধ্যে আছে প্লেন, ট্রেন, হর্স রাইডার, সুপার চেয়ার, ফ্লাওয়ার কাপ, শান্তা মারিয়া, প্যাডেল বোট ও প্যারাট্রুপার। এ ছাড়া পুরো পার্কের মধ্যে শিশুদের জন্য আছে রাইড ছাড়াও ঘুরে দেখার মতো নানা স্থান।
 
পার্কের ঠিক বিপরীত পাশের রয়েছে বঙ্গবন্ধু উদ্যান (বেলস পার্ক)। এই উদ্যাগ ঘীরে সব সময়ই মানুষের ঢল নামে। তবে যে কোনো উৎসবকে ঘীরে সেটা জনস্রোতে রুপ নেয়। উদ্যানে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। আরো আছে বিশাল মাঠ। আপনি চাইলে পরিবার-পরিজন নিয়ে সেই মাঠে বসে আড্ডা দিতে পারেন। উদ্যান ঘেঁষেই রয়েছে গ্রীণ সিটি পার্ক। প্রায় ৯ বছর পর এই পার্কে সিটি করপোরেশন জনপ্রতি ১০টা প্রবেশ ফি নির্ধারণ করেছে। এখানে শিশুদের জন্য কয়েকটি খেলনা রয়েছে। সবগুলো খেলনাই ফ্রিতে শিশুরা ব্যবহার করতে পারবে।

লাল গির্জা
বরিশাল নগরীর জীবনানন্দ দাশ সড়কের (বগুড়া রোড) পাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে লাল গির্জাটি। লাল ইটের তৈরি বলে স্থানীয় মানুষের কাছে এটি ‘লাল গির্জা’ হিসেবে পরিচিত। প্রাচীন এ গির্জারকেতাবি নাম ইপিফানি গির্জা হলেও এটি অক্সফোর্ড মিশন নামেই বেশি পরিচিত। গির্জাটি ১২২ বছর আগে গ্রিক স্থাপত্য শৈলীর অনুকরণে নির্মিত হয়েছে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে গির্জাটি দেখতে এখনো ঝকঝকে তকতকে রয়েছে।

গির্জার দক্ষিণ পাশে শানবাঁধানো বড় পুকুর। পুকুরের টলটলে জলে গির্জার মোহনীয় প্রতিবিম্ব নজরকারে পর্যটকদের। মূল গির্জাটির রং লাল হলেও এর আঙিনায় পরতে পরতে সবুজের সমারোহ। সুদৃশ্য পামগাছে ঘেরা গির্জার চারদিকের সীমানা। ভেতরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পরিচ্ছন্ন-পরিপাটি গাঢ় সবুজ আঙিনা, বৃক্ষশোভিত উদ্যান, মাঠ, ফুল ও ঔষধি বাগান। অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন এই গির্জায়।

বিএম কলেজ ক্যাম্পাস
অক্সফোর্ড মিশন চার্চ ঘুরে হাটা পথের দুরত্বে সরকারি বজ্রমোহন (বিএম) কলেজ। কলেজে কবি জীবনানন্দ দাশের অনেক স্মৃতি রয়েছে। প্রধান ফটকে লেখা ‘সত্য প্রেম পবিত্রতা’। কলেজের লাল-সাদা রঙের মূল দোতলা ভবন এক চমৎকার স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন। ভবন পেরোলেই বিশাল মাঠ। এক কোনায় জীবনানন্দ দাশ চত্বর। জীবনানন্দ দাশ হিন্দু ছাত্রাবাস রয়েছে। তার পাশেই বিএম স্কুল মাঠে উদীচীর বৈশাখী মেলা বসে।
 
লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি
বিএম কলেজ থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি। জমিদার রাজচন্দ্র রায় আনুমানিক ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে বরিশালের লাকুটিয়া গ্রামে এ জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন। বাংলার ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যশৈলীর পাশাপাশি ইউরোপীয় স্থাপত্যের ছোঁয়াও রয়েছে নকশায়। বাড়ির মূল কাঠামোটি দোতলা। সেখানে রয়েছে কারুকাজ করা দরজা, জানালা, নকশা করা ছাদ এবং বিস্তত বারান্দা। বাড়ির অঙ্গনে আছে বিশাল এক পুকুর এবং সুন্দর উদ্যান।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

হারিয়ে যাচ্ছে শালবনের অলংকার ‘শটি’ ফুল

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
হারিয়ে যাচ্ছে শালবনের অলংকার ‘শটি’ ফুল
ছবি: কালের কণ্ঠ

এক সময় শাল-গজারি বনের অলংকার ছিল শটি ফুল বা বুনো হলুদ। শত শত শটি ফুল শালবনে মুগ্ধতা ছড়াতো। শালবনের পাশ দিয়ে গেলেই এ ফুলের সৌন্দর্যে মন ভরে যেতো। কালের পরিক্রমায় এই ফুল ও গাছটি এখন তেমন আর চোখে পড়ে না।

প্রাকৃতিক বন ধ্বংস হওয়ায় শটি ফুল এখন বিলুপ্তির পথে।

তবে বন ধ্বংসের মাঝেও ঘাটাইলের কিছু কিছু জায়গায় কিছু শাল-গজারি দাঁড়িয়ে আছে। সেই সব জায়গায় গিয়ে দেখা মিলবে সাদা, গোলাপি ও বেগুনি রঙের এই ফুলটি।

এক সময় পথের ধারে প্রাকৃতিকভাবে এই ফুল ফুটে থাকতে দেখা যেত।

কিন্তু এখন আর সেটি দেখা যায় না। শটি ফুল বা উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নাম কুরকুমা জেওদোরিয়া। শটি দেখতে হলুদ গাছের মতোই। তাই একে বুনো হলুদও বলা হয়।
এটি বর্ষজীবী গুল্ম বীরুৎ শ্রেণির গাছ। বছরের বেশিরভাগ সময় শটি ফুলের অস্তিত্ব দেখা যায় না। বছরের দীর্ঘ সময় এটি মাটির নিচে শীতঘুমে থাকে। 

বসন্তের শেষ দিকে বা গ্রীস্মের শুরুতে সামান্য বৃষ্টিতে মাটি ফুঁড়ে শটি ফুল বের হয়। তখন শালবনের ঝোপঝাড় লাল, বেগুনি, হলুদ ও গোলাপি রঙের শটি ফুলের আভায় সুশোভিত হয়ে ওঠে।

ফুল ফোঁটার পর গাছে পাতা হয়। পাতা বেশি দিন স্থায়ী হয় না। মাটির নিচে শুধু কন্দ থাকে। কন্দ মাটির নিচে আদা বা হলুদের মতো সমান্তরালভাবে ছড়িয়ে থাকে। পরের বছর একইভাবে ফুল বের হয়। এভাবেই চলে শটি ফুলের জীবনচক্র। শাল-গজারি বনের ভেতর নীচু জমিতে শটি ফুল বেশি জন্মে।

বনের বাসিন্দা বৃক্ষপ্রেমী শাহজাহান কবিরাজ বলেন, সামাজিক বনায়নের ফলে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস হচ্ছে। না চেনার কারণে আমরা অনেকেই ঝোপঝাড় নিধনের নামে অনেক মূল্যবান বৃক্ষ কেটে ধ্বংস করি। পাহাড়ে নানামুখী ফসলের আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় নানা ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন শটি ফুল গাছ হারিয়ে যাচ্ছে।

পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, শটি জয়েন্টের প্রদাহ ও ব্যথা দূর করে, শরীর থেকে টক্সিক অপসারণ করে, ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট বিভিন্ন চর্মরোগের জন্য এটি কার্যকর। অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল হিসেবেও কাজ করে। শটি গাছের কন্দ শুকিয়ে পরিষ্কার করে গুঁড়ো করে এক ধরনের ময়দার মতো খাদ্য তৈরি করা হয়, যা আঞ্চলিকভাবে পালো নামে পরিচিত। শটির তৈরি এই পালো সেবনে পাকস্থলির স্বাস্থ্য ও হজম শক্তি ঠিক থাকে। এছাড়া ডায়রিয়া ও হজমের সমস্যাগুলো নিরাময় করে। শটি দিয়ে তৈরি বার্লি শিশুদের জন্য একটি আদর্শ খাবার।

মন্তব্য

বীরগঞ্জে স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
বীরগঞ্জে স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
সংগৃহীত ছবি

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ হাসপাতাল থেকে জীবন রায় (১৮) নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) এ ঘটনাটি ঘটে।

জীবন রায় উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের নতুনহাট এলাকার ভৈরব রায়ের ছেলে এবং নিজপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

আরো পড়ুন
রাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইরফান, সম্পাদক সাজিদ

রাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইরফান, সম্পাদক সাজিদ

 

পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, সকলের অগোচরে আজ রবিবার সকালে নিজ শয়ন কক্ষে ফাঁস দেয় জীবন রায়।

পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বীরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল গফুর জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মন্তব্য

বরিশাল-ভোলা সেতুর দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ (ভিডিওসহ)

    ‘রাস্তা না থাকায় মুমূর্ষু রোগী লঞ্চে ঢাকায় আনতে পথেই প্রাণ যায়’
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বরিশাল-ভোলা সেতুর দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ (ভিডিওসহ)
ছবি: কালের কণ্ঠ

ভোলায় আবাসিক গ্যাস সংযোগ, সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ভোলা-বরিশাল সেতু বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আগামী ভোলা ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। 

এ কর্মসূচিতে ভোলার দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

বিস্তারিত ভিডিওতে...

 

মন্তব্য

মির্জাপুর পৌর আ. লীগের সভাপতি হারুন গ্রেপ্তার

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
মির্জাপুর পৌর আ. লীগের সভাপতি হারুন গ্রেপ্তার
ফাইল ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে মির্জাপুর বাজারের থানা রোডের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হারুন অর রশিদ পৌর এলাকার পোস্টকামুরী গ্রামের মৃত জামাল খানের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার একটি কর্মসূচি চলছিল।

এ সময় বহিরাগত একদল দুস্কৃতিকারী হাইওয়ে থানায় হামলা করে। এতে আন্দোলনে অংশ নেওয়া গোড়াই লালবাড়ি এলাকার কিশোর হিমেলের দুই চোখ গুলিতে অন্ধ হয়ে যায়।

আরো পড়ুন
চুয়াডাঙ্গায় শিশু ধর্ষণে মুয়াজ্জিনের যাবজ্জীবন

চুয়াডাঙ্গায় শিশু ধর্ষণে মুয়াজ্জিনের যাবজ্জীবন

 

এ ঘটনায় হিমেলের মা নাসিমা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। পুলিশের তদন্তে ওই মামলার ঘটনায় হারুন অর রশিদের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মির্জাপুর থানার ওসি মো. মোশারফ হোসেন আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ