ঢাকায় বসবাসের ৭টি সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
ঢাকায় বসবাসের ৭টি সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা

বিশ্বের অনেক দেশ শুধু প্রশাসনিক কাজের জন্য রাজধানীকে বেছে নিলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টি মোটেও তেমন নয়। সরকারি কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সবকিছুই যেন রাজধানী ঢাকা কেন্দ্রিক। এজন্য ঢাকা হয়ে উঠেছে বিশ্বের অন্যতম জনবহুল নগর। ১০৪ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে ঢাকার অবস্থান, এখানে ২ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে এবং প্রতিদিন সংখ্যাটি বাড়ছে।

জনসংখ্যার ঘনত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নাগরিক সুবিধাসংশ্লিষ্ট চাহিদাও বাড়ছে।

তবে বসবাসের জন্য আদর্শ জায়গা হতে হলে ভাল মানের বাসা, মানসসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বিনোদনমূলক জায়গার উপস্থিতি, সুন্দর প্রতিবেশ খুবই জরুরি। দেশের শীর্ষ অনলাইন ই-কমার্স রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান বিপ্রোপার্টির এক জরিপে দেখা গেছে, সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় ঢাকায় সাতটি স্থানের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আলোচিত ওই সাত এলাকার তালিকায় স্থান পেয়েছে বসুন্ধরা, ধানমণ্ডি, বনানী, মিরপুর, উত্তরা, আজিমপুর ও বনশ্রী।

 

চমৎকার পরিকল্পনায় গড়ে উঠেছে বসুন্ধরা

আধুনিক ঢাকায় চমৎকার পরিকল্পনায় গড়ে উঠছে নতুন আবাসিক এলাকা বসুন্ধরা। এই এলাকায় নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাসপাতাল রয়েছে। এর বৈশিষ্ট হলো, গুলশানের মতো প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্রর নিকটে এর অবস্থান। বসুন্ধরাকে তৈরি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়ীদের জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল হিসেবে।

এখানে সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে। রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সিটি। এছাড়া এটি শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও খুব কাছে।

অভিজাত এলাকা ধানমন্ডি

এটি ঢাকা সিটির মধ্যে সবচেয়ে অভিজাত আবাসিক এলাকা। ১৯৫০ সালে এলাকাটি গড়ে ওঠে।

শুরু থেকেই এটি অভিজাত আবাসিক এলাকা হিসেবে সমাদৃত হয়। এলাকাটিতে রয়েছে ভালো মানের হাসপাতাল, শপিংমল, বিদ্যালয়, ব্যাংক, অফিস এবং বিশ্ববিদ্যালয়। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত সহজলভ্য অ্যাপার্টমেন্ট, ভাল রাস্তা, নগরের অন্যান্য এলাকার সঙ্গে সহজ যোগাযোগ, অবসরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য প্রশান্তিকর ধানমন্ডি লেক এক মনোরম স্থান। 

ভোজনবিলাসীদের জন্য বনানী

রাজধানী ঢাকার অন্যতম জমজমাট এলাকা বনানী। ভোজনপ্রিয় মানুষদের পছন্দের কেন্দ্রস্থল হলো বনানী, বাড়ি অথবা অ্যাপার্টমেন্ট নির্বাচনের জন্য বনানী সত্যিই আদর্শ। 

নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ঠিকানা মিরপুর

নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের পছন্দের তালিকায় রয়েছে মিরপুর। মিরপুরের বিশেষ সুবিধা হচ্ছে, এখানে প্রয়োজন মতো সবই পাওয়া যায়। প্রশ্বস্থ রাস্তা থেকে শুরু করে সস্তা বাজার, বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- সবই আছে এখানে। তবে অভিজাত এলাকা হিসেবে মিরপুর ডিওএইচএস গড়ে উঠছে অন্য ধাঁচে। অনেক মানুষের পরবর্তী ঠিকানা হিসেবে পছন্দের জায়গা হলো মিরপুর।

শহরতলিতে থাকার জন্য উত্তরা

উত্তরা হলো ভৌগোলিকভাবে দক্ষিণ ঢাকা থেকে উঁচু স্থানে। ঢাকার যানজট এবং দূষণ থেকে মুক্ত এমন জায়গায় এটির অবস্থিত এবং ২০০০ সাল পর্যন্ত এটি শান্ত প্রকৃতি ঘেরা স্থান হিসেবেই চিহ্নিত ছিল। সাম্প্রতিক বছরে মানুষের নগরমুখিতার কারণে এটিও জনবহুল হয়ে উঠছে ক্রমশ।  শহরতলি হিসেবে ভাল শপিং কমপ্লেক্স, দোকান, বিদ্যালয়, মহাবিদ্যায়ের বিস্তার ঘটেছে। 

পুরাতন আর নতুন ঢাকার সংযোগস্থল আজিমপুর

আজিমপুরে অনেকের কাছে বসবাসের জন্য আকর্ষণীয় হলেও এটি একেবারে নিরিবিলি এলাকা নয়। এখানে শব্দ ও  যানজটের মাত্রা অপেক্ষাকৃত বেশি। আজিমপুর নতুন এবং পুরোন ঢাকার সংযোগস্থল।

নতুন বিবাহিতদের গন্তব্য বনশ্রী

বনশ্রীও আবাসিক এলাকা হিসেবে অনেকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এলাকাটি ভালো পরিকল্পনার মাধ্যমে গড়ে উঠছে। হাতির ঝিলের সঙ্গে প্রধান ব্যবসায়ী ও বাণিজ্যিক সংযোগ রাস্তা রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এখানে জীবনযাপনের উপকরণের খরচ কম। জরিপে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে- নতুন বিবাহিতদের জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল হলো এটি। এখানে গড়ে মাসিক বাড়ি ভাড়া ১৩ হাজার টাকা।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শহীদ বীর-উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মনোজ্ঞ ডিসপ্লে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শহীদ বীর-উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মনোজ্ঞ ডিসপ্লে
সংগৃহীত ছবি

নানা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যবাহী শহীদ বীর-উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজের দুই দিনব্যাপী আন্তঃহাউস বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী দিবসে মনোজ্ঞ ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাগাউছুর রহমান খান (বিএসপি, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ও এরিয়া কমান্ডার, লজিস্টিক্স এরিয়া, ঢাকা সেনানিবাস)। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করেন বেগম ইসরাত জাহান।

শহীদ বীর-উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মনোজ্ঞ ডিসপ্লেউল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি বুধবার বেলা ১১টায় উদ্বোধনী দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল এস এম মনিরুজ্জামান (এসজিপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি)।

ওই দিন বিশেষ অতিথি থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বেগম আরিফা সুলতানা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

প্রয়োজনে ১০০ তলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে : রাজউক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
প্রয়োজনে ১০০ তলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে : রাজউক চেয়ারম্যান
ছবি: কালের কণ্ঠ

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার (অব.) বলেছেন, ‌রাজউক সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।

তিনি বলেন, ‘ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে বহুতল ভবন নির্মাণের বিকল্প নেই। প্রয়োজনে বড় জায়গা নিয়ে অত্যাধুনিক কার পার্কিংসহ ১০০ তলা ভবনের অনুমোদন দেবে রাজউক।’

আজ বৃহস্পতিবার রাজউকের সভাকক্ষে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশের (ইউডিজেএফবি) সদস্যদের সাথে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) ড. মো. আলম মোস্তফা, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহা. হারুন-অর-রশিদ, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম, প্রধান স্থপতি মোস্তাক আহমেদ, ইউডিজেএফবির সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহ, সহ-সভাপতি রাশেদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল খান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমন প্রমুখ।

সভায় রাজউকের কর্মকর্তারা আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সম্পর্কে সংস্থাটির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেন।

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংবাদকর্মীরা সুষ্ঠু প্রতিবেদনের মাধ্যমে রাজউকের বিভিন্ন দিক প্রকাশ করে রাজউককে আরো ভালোভাবে কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছেন। যে কোন বিষয়ে সাংবাদিকদের মতামতকে রাজউকের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা ঢাকা মহানগরীর উন্নয়নে রাজউককে কিভাবে আরো গতিশীল ও কার্যকর করা যায় সে বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। তারা আশা ব্যক্ত করেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে রাজউক তার সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখে সেবা প্রদান করে যাবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ছিনতাইকারীর চাপাতির কোপে যুবকের কবজি বিচ্ছিন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ছিনতাইকারীর চাপাতির কোপে যুবকের কবজি বিচ্ছিন্ন
ফাইল ছবি

রাজধানীর আদাবরে দিনদুপুরে ছিনতাইকারীর কোপে এক যুবকের বাঁ হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আহত যুবকের নাম মো. সুমন শেখ (২৬)। পেশায় তিনি ঢালাই মিস্ত্রির সহকারী।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে আদাবর ১০ নম্বর রোড বালুরমাঠ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

আহত অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বিকেল ৪টার দিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন পথচারী মো. লিটন মিয়া।

আরো পড়ুন
শিক্ষা সফরে গিয়ে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা গেলেন স্কুলশিক্ষক

শিক্ষা সফরে গিয়ে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা গেলেন স্কুলশিক্ষক

 

আহত সুমন শেখ বলেন, ‘গতকাল রাতে আদাবর ১০ নম্বর রোডে আমার ফুফু শাশুড়ি আরজু বেগমের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। ফুফুর কাছে আমার জমানো ১৫ হাজার টাকা ছিল।

তিনি বলেন, ‘দুপুরে সেখানে খাবার খেয়ে টাকা নিয়ে বের হয়ে আদাবর বালুরমাঠ এলাকায় দিয়ে হাঁটতে ছিলাম সে সময়ে ৪-৫ জন ছিনতাইকারী রাস্তা গতিরোধ করে পকেটের টাকা ও মোবাইল কেড়ে নিতে চায় তখন ধস্তাধস্তির এক পর্যায় আমি ছুটে দৌড়াতে থাকি তখন পেছন থেকে ছিনতাইকারীরা ধারালো অস্ত্র চাপাতি দিয়ে হাতে কোপ দিলে আমার বাঁ হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যায়।’

আরো পড়ুন
তামাকজনিত রোগে মৃত্যু সাধারণ নয়, হত্যাকাণ্ড : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

তামাকজনিত রোগে মৃত্যু সাধারণ নয়, হত্যাকাণ্ড : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

 

সে সময় আমার কাছে থাকা ১৫ হাজার টাকা ও অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পরে ওই এলাকার লিটনের সহযোগিতায় হাসপাতালে আসি বলে জানান সুমন।

লিটন বলেন, ‘বালুর মাঠ এলাকায় ওই যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।

পরে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে আসা ওই যুবকের ঢামেকের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলছে।

বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে। আহত সুমনের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার। তার বাবার নাম মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ শেখ।

বর্তমানে মিরপুর ১-এ জোনাকি রোড হাবুলের পুকুরপাড় এলাকায় থাকেন।

মন্তব্য

কৃষিজমি ও জলাধার রক্ষায় রাজউকের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
কৃষিজমি ও জলাধার রক্ষায় রাজউকের অভিযান

কৃষিজমি ও জলাধার রক্ষায় অভিযান পরিচালনা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এ সময় ছয়টি ভবন ও একটি লোহার ব্রিজ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় এই অভিযান পরিচালনা করেন রাজউকের নগর পরিকল্পনা শাখার ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

রাজউক জানায়, অভিযানে আনুমানিক ৬০-৭০টি তারবিহীন খালি বিদ্যুৎ খুঁটি অপসারণ করা হয়েছে এবং ছয়টি মিটার জব্দ করা হয়েছে।

এ ছাড়া একটি ড্রেজার মেশিন ও একটি বুস্টার মেশিন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ভেতরে ভরাট করা বালু উত্তোলন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন প্লটের সীমানাপ্রাচীর ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

অভিযানে কেরানীগঞ্জ মিলেনিয়াম সিটি, শতরূপা হাউজিং ও মধু সিটি কর্তৃক টোটাইল ও ঘাটারচর মৌজার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (২০২২-২০৩৫) মুখ্য জলস্রোত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত জলাশয়, কৃষিজমি, বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল (জলকেন্দ্রিক পার্ক) যা টোটাইল বিল নামে পরিচিত, ভরাট বন্ধ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

রাজউক জানায়, কেরানীগঞ্জ এলাকার এই কৃষিজমি ও জলাধার রক্ষার্থে হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়।

এর আলোকে হাইকোর্ট এর সব কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা রায় দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নে পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট মো. কামরুল ইসলাম। অভিযানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অঞ্চল-৫-এর পরিচালক জনাব মো. হামিদুল ইসলাম, উপ-নগর পরিকল্পনাবিদ নবায়ন খীসাসহ সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ, সহকারী অথরাইজড অফিসার, কানুনগো, ইমারত পরিদর্শক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ