ঢাকা, সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৯ মাঘ ১৪৩১, ০৩ শাবান ১৪৪৬

ঢাকা, সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৯ মাঘ ১৪৩১, ০৩ শাবান ১৪৪৬

ঢাকায় বসবাসের ৭টি সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
ঢাকায় বসবাসের ৭টি সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা

বিশ্বের অনেক দেশ শুধু প্রশাসনিক কাজের জন্য রাজধানীকে বেছে নিলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টি মোটেও তেমন নয়। সরকারি কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সবকিছুই যেন রাজধানী ঢাকা কেন্দ্রিক। এজন্য ঢাকা হয়ে উঠেছে বিশ্বের অন্যতম জনবহুল নগর। ১০৪ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে ঢাকার অবস্থান, এখানে ২ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে এবং প্রতিদিন সংখ্যাটি বাড়ছে।

জনসংখ্যার ঘনত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নাগরিক সুবিধাসংশ্লিষ্ট চাহিদাও বাড়ছে।

তবে বসবাসের জন্য আদর্শ জায়গা হতে হলে ভাল মানের বাসা, মানসসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বিনোদনমূলক জায়গার উপস্থিতি, সুন্দর প্রতিবেশ খুবই জরুরি। দেশের শীর্ষ অনলাইন ই-কমার্স রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান বিপ্রোপার্টির এক জরিপে দেখা গেছে, সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় ঢাকায় সাতটি স্থানের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আলোচিত ওই সাত এলাকার তালিকায় স্থান পেয়েছে বসুন্ধরা, ধানমণ্ডি, বনানী, মিরপুর, উত্তরা, আজিমপুর ও বনশ্রী।

 

চমৎকার পরিকল্পনায় গড়ে উঠেছে বসুন্ধরা

আধুনিক ঢাকায় চমৎকার পরিকল্পনায় গড়ে উঠছে নতুন আবাসিক এলাকা বসুন্ধরা। এই এলাকায় নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাসপাতাল রয়েছে। এর বৈশিষ্ট হলো, গুলশানের মতো প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্রর নিকটে এর অবস্থান। বসুন্ধরাকে তৈরি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়ীদের জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল হিসেবে।

এখানে সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে। রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সিটি। এছাড়া এটি শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও খুব কাছে।

অভিজাত এলাকা ধানমন্ডি

এটি ঢাকা সিটির মধ্যে সবচেয়ে অভিজাত আবাসিক এলাকা। ১৯৫০ সালে এলাকাটি গড়ে ওঠে।

শুরু থেকেই এটি অভিজাত আবাসিক এলাকা হিসেবে সমাদৃত হয়। এলাকাটিতে রয়েছে ভালো মানের হাসপাতাল, শপিংমল, বিদ্যালয়, ব্যাংক, অফিস এবং বিশ্ববিদ্যালয়। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত সহজলভ্য অ্যাপার্টমেন্ট, ভাল রাস্তা, নগরের অন্যান্য এলাকার সঙ্গে সহজ যোগাযোগ, অবসরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য প্রশান্তিকর ধানমন্ডি লেক এক মনোরম স্থান। 

ভোজনবিলাসীদের জন্য বনানী

রাজধানী ঢাকার অন্যতম জমজমাট এলাকা বনানী। ভোজনপ্রিয় মানুষদের পছন্দের কেন্দ্রস্থল হলো বনানী, বাড়ি অথবা অ্যাপার্টমেন্ট নির্বাচনের জন্য বনানী সত্যিই আদর্শ। 

নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ঠিকানা মিরপুর

নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের পছন্দের তালিকায় রয়েছে মিরপুর। মিরপুরের বিশেষ সুবিধা হচ্ছে, এখানে প্রয়োজন মতো সবই পাওয়া যায়। প্রশ্বস্থ রাস্তা থেকে শুরু করে সস্তা বাজার, বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- সবই আছে এখানে। তবে অভিজাত এলাকা হিসেবে মিরপুর ডিওএইচএস গড়ে উঠছে অন্য ধাঁচে। অনেক মানুষের পরবর্তী ঠিকানা হিসেবে পছন্দের জায়গা হলো মিরপুর।

শহরতলিতে থাকার জন্য উত্তরা

উত্তরা হলো ভৌগোলিকভাবে দক্ষিণ ঢাকা থেকে উঁচু স্থানে। ঢাকার যানজট এবং দূষণ থেকে মুক্ত এমন জায়গায় এটির অবস্থিত এবং ২০০০ সাল পর্যন্ত এটি শান্ত প্রকৃতি ঘেরা স্থান হিসেবেই চিহ্নিত ছিল। সাম্প্রতিক বছরে মানুষের নগরমুখিতার কারণে এটিও জনবহুল হয়ে উঠছে ক্রমশ।  শহরতলি হিসেবে ভাল শপিং কমপ্লেক্স, দোকান, বিদ্যালয়, মহাবিদ্যায়ের বিস্তার ঘটেছে। 

পুরাতন আর নতুন ঢাকার সংযোগস্থল আজিমপুর

আজিমপুরে অনেকের কাছে বসবাসের জন্য আকর্ষণীয় হলেও এটি একেবারে নিরিবিলি এলাকা নয়। এখানে শব্দ ও  যানজটের মাত্রা অপেক্ষাকৃত বেশি। আজিমপুর নতুন এবং পুরোন ঢাকার সংযোগস্থল।

নতুন বিবাহিতদের গন্তব্য বনশ্রী

বনশ্রীও আবাসিক এলাকা হিসেবে অনেকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এলাকাটি ভালো পরিকল্পনার মাধ্যমে গড়ে উঠছে। হাতির ঝিলের সঙ্গে প্রধান ব্যবসায়ী ও বাণিজ্যিক সংযোগ রাস্তা রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এখানে জীবনযাপনের উপকরণের খরচ কম। জরিপে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে- নতুন বিবাহিতদের জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল হলো এটি। এখানে গড়ে মাসিক বাড়ি ভাড়া ১৩ হাজার টাকা।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের অভিষেক

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের অভিষেক
সংগৃহীত ছবি

ক্যাডেট কলেজ ক্লাব লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ২০২৫-এর অভিষেক অনুষ্ঠান হয়েছে। গতকাল শনিবার ঢাকার পূর্বাচলের ১২ নম্বর সেক্টরে ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানটি হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার ও সম্মানীত অতিথি ছিলেন সিটি ব্যাংক পিএলসির ডিরেক্টর ও সিইও মাসরুর আরেফিন।

অনুষ্ঠানে সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ক্লাবের ১৪ শতাধিক সদস্য ও তাদের স্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। এতে বিগত পরিচালনা পর্ষদকে বিদায়ী স্মারক প্রদান করা হয়।

এ অনুষ্ঠানে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকদের অভিষেক হয়। অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত করে তোলার জন্য বিশেষ সংগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

নৈশ ভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করে সিটি ব্যাংক পিএলসি।

মন্তব্য

বইমেলার ডাস্টবিন আলোচনা, ‘রুচির নির্ধারক কে’ প্রশ্ন প্রেসসচিবের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বইমেলার ডাস্টবিন আলোচনা, ‘রুচির নির্ধারক কে’ প্রশ্ন প্রেসসচিবের
সংগৃহীত ছবি

অমুর একুশে বইমেলার প্রথম দিনে বাংলা একাডেমিতে স্থাপন করা ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত ডাস্টবিনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলমের ময়লা ফেলার ছবি পোস্ট করা নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এটি নিয়ে ফেসবুকে এক পোস্টে নিজের অবস্থান আবারও স্পষ্ট করেছেন তিনি।

আজ রবিবার ওই পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার শুধুমাত্র তার অংশীজনদের জন্য নিরপেক্ষ; যে সকল ছাত্র ও দল শুধুমাত্র আন্দোলনে নয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বছরের পর বছর ধরে ভূমিকা রেখেছে।’

তিনি বলেন, ‘যে দলটি একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে তার প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের দৃঢ় ও অবিচল অবস্থান রয়েছে।

ওই দলটি মানবতাবিরোধী গুরুতর অপরাধ সংঘটিত করেছে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন করেছে তারা।’

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যারা আন্দোলনকারীদের হত্যা করেছে তাদের বিচার করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। আমাদের কাজ কসাই শেখ হাসিনাকে ঢাকায় ফিরিয়ে এনে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা।

শফিকুল আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, দলটির কর্মী-সমর্থক ও দোসরদের গণহত্যা, হাজারো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম এবং শত শত বিলিয়ন ডলার লুটপাটের জন্য কাঠগড়ায় দাড় করাতে অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর। আমাদের দায়িত্ব এসব অপরাধের বিচার করা।’

তিনি আরো বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে কথা বলার সময় আমরা সাধারণত অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রগতি ও কৃতিত্বের তথ্যগুলো তুলে ধরি। আমরা শেখ হাসিনার অপরাধ এবং তিনি যে ‘চোরতন্ত্র’ ও ‘খুনতন্ত্র’ তৈরি ও পরিচালনা করেছিলেন সেগুলো নিয়েও কথা বলি; যাতে মানুষের মনে এগুলো গাঁথা থাকে।

‘যারা মনে করে যে আমি রাজনীতি বা আওয়ামী লীগ ও দলটির হত্যাকাণ্ডসহ ব্যাপক লুটপাটের বিষয়ে খুব বেশি কথা বলছি তারা আওয়ামী লীগের দোসর। সবার জানা আছে আপনারা কী করেছেন এত দিন। দুঃখিত, আমি আমার চাকরিজীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এগুলো করে যাব।’

শফিকুল আলম এ-ও বলেন, ‘রুচি (স্বাদ) কী? ভালো রুচির নির্ধারক কে? শালীনতা কী? কার প্রতি আমাদের শালীনতা দেখাতে হবে? এগুলো গুরুতর প্রশ্ন। শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম নৃশংস ও দুর্নীতিবাজ স্বৈরশাসক।

তিনি যে ধরনের খুনি এবং গুমজননী ছিলেন সে সম্পর্কে জনগণকে মনে করিয়ে দিতে আমি দ্বিধা বোধ করব না। এটি একটি নৈতিক অবস্থান। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে আমাদের হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে—এটিই ব্যক্তিস্বাধীনতা।’

তিনি আরো বলেন, ‘ইতিহাস সম্পর্কে আমার ভালো জানা আছে। খুব ভালো করেই জানি কিভাবে আমরা একসঙ্গে স্মৃতিভ্রমে ভুগেছি। কিভাবে আমরা আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ ঘটনাগুলো ভুলে গেছি। বিজয়ীরা ইতিহাস রচনা করেছেন। কিছু বিতর্কিত ব্যক্তিত্বকে আমাদের নায়ক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা এটা হতে দেব না। আমরা একজন সোসিওপ্যাথকে সোসিওপ্যাথ বলব, আমরা গণহত্যাকারীকে গণহত্যা বলব।’

তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগ এখনো অস্বীকার করছে; আওয়ামী লীগের মদদদাতা, নেতা, তাদের অনুসারী সাংবাদিক, বিদেশি সমর্থকরা অস্বীকার করে চলেছে। তাদের লক্ষ্য একটি বিকল্প ইতিহাস তৈরি করা; যেখানে তারাই যেন ভুক্তভোগী, আর পুলিশও আগ্রাসী হয়নি।’

‘সাংবাদিকতার পরিভাষায় তারা একটি ন্যারেটিভ তৈরি করতে চায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ইসলামপন্থীদের দখল ছাড়া আর কিছুই ছিল না। ২০০৭ সাল থেকে আওয়ামী লীগ এই ন্যারেটিভ ঢুকিয়ে দিয়েছে; কেউ আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করলেই সে ইসলামী মৌলবাদী। এর পেছনে আওয়ামী লীগ লাখ লাখ টাকা খরচ করেছে ও সঙ্গে তাদের ভারতীয় মিত্র গণমাধ্যমকে পেয়েছে।’

‘এটি একটি বিপজ্জনক খেলা। তারা সফল হলে আমাদের যে কাউকে হত্যা করবে। ওই সময় বহির্বিশ্ব চোখ বুজে থাকবে। আমাদের কাজ হলো আওয়ামী লীগে এই বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প যেকোনো মূল্যে ব্যর্থ করা। আমাদের যা কিছু আছে তা নিয়েই আমাদের লড়াই করতে হবে। অন্যথায়, সারা দেশে থাকা অসংখ্য জেনেভা ক্যাম্পের উর্দুভাষীদের মতোই হবে আমাদের সঙ্গে।’

‘আমার বন্ধু-স্বজনদের যারা আওয়ামী লীগের ট্রল ব্রিগেডের লক্ষ্যবস্তু হয়েছিলেন, আমি গভীরভাবে দুঃখিত। অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চাকরির জন্য আমি আরামদায়ক ও লোভনীয় চাকরিটি ছেড়েছি। আমি দুঃখিত, যে ছবিগুলো আমি শেয়ার করেছি তা আওয়ামী লীগকে সুযোগ করে দিয়েছে আপনাকেও লক্ষ্যবস্তু করার জন্য। আমাকে আনফ্রেন্ড করুন, অথবা সবচেয়ে ভালো হবে ব্লক করে দিলে। আপনার ধৈর্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি জানি আমি কী করছি এবং আমার কর্মের মূল্য দিতে ইচ্ছুক।’

মন্তব্য

মহাখালীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, প্রস্তুত জলকামান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মহাখালীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, প্রস্তুত জলকামান
সংগৃহীত ছবি

দাবি আদায়ে রাজধানী মহাখালীর আমতলীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুরো এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলকামানও।

কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাখালী অবরোধ করেন।

এর ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।

এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. তারেক মাহমুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমরা মহাখালীর আমতলীতে অবস্থান করছি।

পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।’

সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েক শ শিক্ষার্থী আমতলী মোড়ে অবস্থা নিয়ে ‘শিক্ষা উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত, মানি না মানি না’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘তিতুমীর আসছে, রাজপথ কাঁপছে’, ‘টিসি না টিইউ, টিইউ টিইউ’, ‘আমার ভাই অনশনে, প্রশাসন কী করে’, ‘প্রশাসনের সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য, চলবে না চলবে না’, ‘অধ্যক্ষের সিন্ডিকেট, মানি না মানব না’, ‘আমাদের সংগ্রাম, চলছে চলবে’সহ নানা স্লোগান দিচ্ছেন। 

এর আগে, পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘তিতুমীরসহ সাত কলেজকে নিয়ে সরকার গঠিত কমিটি স্বতন্ত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে।

শিক্ষা উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘তিতুমীর কলেজের অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে ফিরে যেতে চায়।

তারা জনদুর্ভোগ চায় না।’ জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রাখতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধও করেন তিনি।’

মন্তব্য

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা

সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগারগাঁও ও শ্যামলী সড়ক ছেড়ে দেন তারা। এরপর পৌনে ৭টার দিকে আগারগাঁও হাসপাতাল এলাকা থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে রওনা হন তারা।

এর আগে সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে দিনভর মিরপুর সড়কে অবস্থান নেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা।

দুপুরের দিকে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রার ঘোষণা দেন তারা। কিন্তু বিকেল ৪টার পর তারা সেই কর্মসূচি স্থগিত করে শিশুমেলার মোড়েই অবস্থান করবেন বলে জানান।

সরেজমিনে দেখা যায়, রবিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় যাওয়ার পথ আটকে রেখেছে পুলিশ।

এ সময় ‘দালালি না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব’, ‘আস্থা নাই রে আস্থা নাই, দালালিতে আস্থা নাই’—এমন নানা স্লোগানও দিতে শোনা যায়।

আহতদের দাবি, তাদের রক্তের বিনিময়ে দেশ থেকে স্বৈরাচার বিদায় নিয়েছে। তারা কেউ পুলিশের গুলি খেয়েছে, কেউ টিয়ারশেলে অন্ধ হয়েছেন। আবার কেউ পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের কারণে যেই স্বাধীনতা সরকার ভোগ করছে, সেই তাদেরই চিকিৎসা থেকে শুরু থেকেই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিতে অবহেলা করা হচ্ছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ