<p style="text-align:justify">বাজার তদারকিতে অভিযানে নেমেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। সোমবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের বিডিআর বাজারে অভিযান চালায় বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলমের নেতৃত্বে একটি দল। অভিযানে ওই বাজারে ব্যবহৃত রঙিন লাইটগুলো খুলে দিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়। </p> <p style="text-align:justify">বাজারে গিয়ে বিএসটিআই প্রতিনিধিদল মাছ, মাংস ও মুদি দোকানে বিভিন্ন পণ্য যাচাই করে দেখে। এ সময় ওই বাজারের অন্তত ১০টি দোকানের ওজন পরিমাপক, দাম, তারিখ আছে কি না তা দেখা হয়। প্রতিটি দোকানেই দেখা যায়, ওজন পরিমাপক যন্ত্র সঠিক রয়েছে। এমনকি বিএসটিআইয়ের বাটখারা দিয়ে ওজন পরিমাপক পরীক্ষা করেও সঠিক পাওয়া গেছে। </p> <p style="text-align:justify">ওই বাজারে অভিযান শেষ করে এয়ারপোর্ট রোডের এম এস মাসুদ হাসান ফিলিং স্টেশনে অকটেন ও পেট্রলের পরিমাপ দেখা হয়। সেখানে বিএসটিআই থেকে নিয়ে যাওয়া ১০ লিটারের একটি কনটেইনারে অকটেন ও পেট্রল নেওয়া হয়। এতে দেখা যায়, মিটারে ওঠা ১০ লিটার ও পরিমাপক যন্ত্রের মাপ সঠিক রয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">অভিযান শেষে এস এম ফেরদৌস আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই বাজারে ওজন পরিমাপক ঠিক থাকলেও রঙিন লাইট ব্যবহার করা হচ্ছিল, যা প্রতারণামূলক। সে জন্য লাইটগুলো খুলে রেখেছি ও সতর্ক করেছি। আমরা তাদের সচেতন করলাম। এটা যদি উন্নত না হয়, আইন-আদালত দিয়ে কতক্ষণ ঠিক রাখা যাবে? আমরা ওইটার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছি। যেন পরিবর্তনটা আসে।’</p> <p style="text-align:justify">বাধ্যতামূলক সব পণ্যের তদারকি কেন বিএসটিআই করতে পারছে না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন ২৯৯টি পণ্য বাধ্যতামূলক সনদ নিতে হয়। এই বাজারে প্যাকেটজাত দুধসহ আরো বেশ কিছু পণ্য দেখেছি। যেগুলোতে আমাদের অনুমতি নেওয়া ছিল। খোলা তেল এই বাজারে দেখিনি। তবে অন্য বাজারে আমরা দেখব। খোলা তেল বিক্রি বন্ধের বিষয়ে আমাদের আলাদাভাবে কার্যক্রম চলছে।’</p> <p style="text-align:justify">ভেজাল পণ্য তৈরি নিয়ে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করি, মান উন্নয়ন করি। কারখানার মালিক বা ব্যবসায়ী হলেই যে পণ্য বাজারজাত করতে পারবেন, বিষয়টা সে রকম নয়। আমাদের ল্যাবে পরীক্ষা করার পর যতক্ষণ না সার্টিফায়েড হন ততক্ষণ পর্যন্ত পণ্য বাজারজাত করা যাবে না। পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার ক্ষেত্রে উৎপাদকদের শতভাগ তালিকা আছে সেটাও কিন্তু না। আমাদের সোর্সের মাধ্যমে মানহীন পণ্য কোথায় তৈরি হচ্ছে, সেটা খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেই। এটার ধারাবাহিকতা থাকবে।’</p> <p style="text-align:justify">অভিযানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, বিএসটিআইয়ের মেট্রোলজি বিভাগের কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ফিল্ড অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।</p>