<p>বর্তমান বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী পপ সুপারস্টারের নাম টেলর সুইফট। যার গানে মেতে ওঠে পুরো বিশ্ব। ক্যারিয়ারে একের পর এক গানে শ্রোতা-দর্শকদের মাতিয়ে আজকের এই অবস্থানে এসেছেন তিনি। চলার পথটা মোটেও সহজ ছিল না তার। তবুও দুর্বার গতিতে এগিয়ে গেছেন সুইফট। গানের জগতে একচ্ছত্র আধিপত্যের পাশাপাশি ধীরে ধীরে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গায়িকার তালিকায় নাম উঠে গেছে তার।</p> <p>ভ্যারাইটি’র প্রতিবেদন অনুসারে, এবার ধনী সংগীতশিল্পীর তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করলেন এই গায়িকা। ফোর্বসের তথ্য মতে, রিহানাকে পেছনে ফেলে এখন শীর্ষে টেলর সুইফট। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গায়িকা হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন সুইফট। তার বর্তমান সম্পদের দাম প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। নতুন এই মাইলফলক স্থাপন করতে গিয়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন রিহানাকে। তার আগে পপ তারকা রিহানা ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গায়িকা।</p> <p><img alt="5" height="267" src="https://variety.com/wp-content/uploads/2024/10/Taylor-Swift-Guitar.jpg?w=1000&h=667&crop=1" width="400" /></p> <p>ফোর্বস ম্যাগাজিনের সূত্র অনুযায়ী, সম্পদের সবশেষ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করলে তিনিই সবচেয়ে সম্পদশালী নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাবেন টেইলর সুইফট। ফোর্বসের মতে, টেইলর সুইফটের সম্পদের ৬০০ মিলিয়ন আসে কনসার্ট এবং গানের সম্মানী থেকে, ৬০০ মিলিয়ন আসে তার মিউজিক লাইব্রেরি থেকে। অন্যদিকে তার রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে আসে ১২৫ মিলিয়ন। ২০২৩ সালে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাই থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে রিহানার সম্পদের পরিমান ১.৪ বিলিয়ন ডলার।</p> <p>২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো ‘বিলিয়নিয়ার’ ক্লাবে প্রবেশ করেন সুইফট। গায়িকা তার অ্যালবামগুলো পুনরায় রেকর্ডিং করে এবং সেগুলোর সত্ব নিজের কাছে রেখে এক বিশাল আর্থিক সুবিধা অর্জন করেছেন। তার এই সিদ্ধান্ত তার অর্থনৈতিক সাফল্যের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হয়। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী কনসার্ট তাকে পাহাড়সমান আর্থিক সফলতা এনে দিয়েছে। এই বছর নতুন সংগীত প্রকাশ করেছেন সুইফট, যার মধ্যে রয়েছে ‘দ্য টর্চার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’ অ্যালবাম। অ্যালবামটি ১৪ সপ্তাহ ধরে সংগীত তালিকার শীর্ষে ছিল।</p>