<p>শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় ১০ দফা দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন মুরাদ অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা। </p> <p>বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে আশুলিয়ার গৌরীপুর এলাকার কারখানায় প্রবেশের পর কাজ না করে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন কারখানাটির শ্রমিকরা। এ সময় তারা ১০ দফা দাবি পেশ করেন এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগদান করবে না বলে ঘোষণা দেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আসাদুজ্জামান খান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/09/1728472499-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আসাদুজ্জামান খান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/09/1433465" target="_blank"> </a></div> </div> <p>শ্রমিকদের ১০ দফা দাবিগুলো  হলো সন্ধ্যা ৭টার পর ডিউটি হলে টিফিন বিল ৫০ টাকা দিতে হবে, রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ হলে নাইট, বিল ১০০ টাকা দিতে হবে, হাজিরা বোনাস বাড়াতে হবে,শুক্রবার জেনারেল ডিউটি করানো যাবে না,বাৎসরিক ছুটির টাকা দিতে হবে, ওভার টাইম কাটা যাবে না, মাসের ৫-৭ তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান করতে হবে, ফিনিশিং ম্যানেজার আজিজ, কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার মো. ইমরান ও অ্যাডমিন ম্যানেজার মো. জিয়াকে বরখাস্ত করতে হবে, বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে, শ্রম আইনানুযায়ী কারখানা পরিচালনা করতে হবে।</p> <p>বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বলেন, ‘মালিকপক্ষের কাছে ১০ দফা দাবি পেশ করেছি। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বরখাস্তসহ সব দাবি মানা হলেই আমরা কাজে যোগ দেব না হলে আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।’<br />  <br /> মুরাদ অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার মালিক আব্দুল হান্নান বলেন, ‘শ্রমিকরা যেসব দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করছে তার মধ্যে কিছু যৌক্তিক এবং কিছু অযৌক্তিক। এর মধ্যে যৌক্তিক দাবিগুলো আমার বিজিএমইএর নির্দেশনা অনুযায়ী মেনে নিয়েছি। বিজিএমইএ আমাদের যে নির্দেশনা প্রদান করবে আমরা সেভাবেই কারখানা পরিচালনা করব। এর বাইরে আমরা কোনো অযৌক্তিক দাবি মানতে পারব না।’<br />  <br /> তিনি আরো বলেন, ‘সরকার এবং বিজিএমইএর নির্দেশনা মেনে নেওয়ার পরও যারা এই মুহূর্তে অযৌক্তিক দাবি নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে এরা একটি সিন্ডিকেট। এর আগে এসব শ্রমিক যেসব কারখানায় কাজ করেছে সেগুলো ধ্বংস করে আমাদের কারখানাটিও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। আমার ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতায় কোনো দিন এ রকম পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি। এভাবে আমি কারখানা চালাতে পারব না। এভাবে চলতে থাকলে কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে।’</p> <p>আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘মুরাদ অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানায় শ্রমিকরা সকাল থেকেই ১০ দফা দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। আমরা মালিকপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। এর বাইরে শিল্পাঞ্চলের অন্য কারখানাগুলো স্বাভাবিকভাবেই চলছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।’</p> <p>এদিকে শ্রম আইন-২০০৬-এর ১৩(১) ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে আঞ্জুমান ডিজাইনার লিমিটেড, সাদ ফ্যাশন লিমিটেড, আল মুসলিম অ্যাপারেলস লিমিটেডসহ চারটি কারখানা এবং সাধারণ ছুটিতে রয়েছে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড ও ডেকো ডিজাইন লিমিটেড কারখানা।</p> <p>এ ছাড়া শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব ও যৌথ বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি সেনা টহল অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।</p>