<p>অভিবাসীদের ফিনল্যান্ডের প্রয়োজন হলেও দেশটিতে এসংক্রান্ত নীতিতে রয়েছে বেশ জটিলতা। এমনকি উচ্চপ্রশিক্ষিত কর্মীদেরও সেখানে চাকরি পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। একটি কারণ হচ্ছে ফিনিশ ভাষা পৃথিবীর অন্যতম কঠিন ভাষা। তা সত্ত্বেও কিছু প্রতিষ্ঠান নতুনদের কাছে ফিনল্যান্ডকে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করছে।</p> <p>হেলসিংকির একটি রেস্তোরাঁয় সাবলীল ফিনিশ ভাষার চেয়ে দক্ষ হওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রেস্তোরাঁটির মূল কম্পানি হচ্ছে এস গ্রুপ, যেটি ফিনল্যান্ডের সবচেয়ে বড় রিটেইলার। প্রতিষ্ঠানটি ফিনল্যান্ডকে চাকরিপ্রার্থীদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে চায়। পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন ভাষা ফিনিশ না জানলেও চাকরি মেলে এস গ্রুপে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ইতালির পথে যুক্তরাজ্য?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/19/1732032280-22166c445cedd060e68c4c0dcdb545af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ইতালির পথে যুক্তরাজ্য?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/11/19/1448454" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তবে নতুন কর্মী নিয়ে ফিনল্যান্ডে বেশ বিতর্কও রয়েছে। দেশটির অর্থনীতিতে প্রতিবছর ৪৪ হাজার অভিবাসীকর্মী দরকার। কিন্তু তাদের কি স্বাগত জানানো হয়? মেক্সিকোর সাবেক আইনজীবী ফ্রান্সিসকো মেরিদা গার্সিয়ার অভিজ্ঞতা থেকে জানা যাক। ১০ বছর আগে তিনি তার ফিনিশ স্ত্রীসহ ফিনল্যান্ডে চলে যান। ভাষা না জানায় তখন চাকরির সুযোগ পাননি। </p> <p>হেসবার্গারের ম্যানেজার ফ্রান্সিসকো মেরিদা গার্সিয়া বলেন, ‘এটা কঠিন ছিল। আমি আবেদন করেছি, শতবার আবেদন করেছি। আমাকে সাক্ষাৎকারেও ডাকা হয়নি।’</p> <p>মেরিদা গার্সিয়া ফিনিশ ভাষা শিখেছেন এবং পেশা বদলেছেন। ফাস্ট ফুড শিল্পে একেবারে তলা থেকে শুরু করেছেন। এখন তিনি ম্যানেজার।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় পেশাদার ভিসা বাড়াবে জার্মানি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/17/1731855944-22166c445cedd060e68c4c0dcdb545af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় পেশাদার ভিসা বাড়াবে জার্মানি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/11/17/1447731" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এস গ্রুপে ভাষা জানার বাধ্যবাধকতা না থাকায় তিনি তার মতো অনেককে নিয়োগ দিতে পারছেন। এস গ্রুপের মানবসম্পদ প্রধান হ্যানে লেহতোভুরি এই নীতিকে সমর্থন করেন। প্রতিষ্ঠানটির ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে মেরিদা গার্সিয়ার গল্প তুলে ধরা হয়েছে, যাতে বিদেশি কর্মীরা তাদের গুরুত্ব বুঝতে পারেন এবং নতুনরা যোগ দিতে আগ্রহী হন।</p> <p>তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, ভবিষ্যতে সেবা খাতে কাজ করার মতো পর্যাপ্ত কর্মী পাওয়া যাবে না। সুতরাং আমাদের অবশ্যই বিভিন্ন দেশ থেকে ফিনল্যান্ডে কর্মী আনতে নিজেদের আরো উন্নত করতে ও শিখতে হবে।’</p> <p>তবে ফিনিশ সরকার বিষয়টি একইভাবে দেখছে না। তারা নতুন একটি আইন করতে যাচ্ছে, যাতে কোনো বিদেশি কর্মী চাকরি হারানোর তিন মাসের মধ্যে দেশটি ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। </p> <p>প্যাসি সাউকোনেন হেলিসিংকির একজন অভিবাসন বিশেষজ্ঞ। তিনি মনে করেন, ডানপন্থী দল ফিনস পার্টির চাপে বর্তমান সরকার এ ধরনের নীতি গ্রহণ করতে চাচ্ছে। দলটি অভিবাসী কর্মী ও আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারছে না।</p> <p>হেলসিংকি সিটি আরবান রিসার্চার প্যাসি সাউকোনেন বলেন, ‘ফিনস পার্টি আসলে কঠোরভাবে শরণার্থী ও অভিবাসনবিরোধী। কিন্তু এ ধরনের অভিবাসনের প্রতি বিরাগভাজন হতে গিয়ে আমাদের সামগ্রিক অভিবাসননীতির অনেক ক্ষতি করা হচ্ছে।’</p> <p>বিদেশিদের ভাষাজ্ঞান ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ড্রপ ইন ফিনিশ ক্লাসের আয়োজন করা হয়েছে। হিসাবরক্ষক লুসিয়া ইন্দ্রেন গত দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো বেকার হয়েছেন। নতুন চাকরির আবেদনে এখনো সাবলীল ফিনিশ ভাষা চাওয়া হয় বলে জানান তিনি। লুসিয়া ইন্দ্রেন বলেন, ‘পরিস্থিতি খুব একটা সহজ নয়। কিন্তু আমি সেজন্য আশা ছেড়ে দিতে পারি না। ফলে যেখানে যা পাচ্ছি করছি।’</p> <p>এদিকে শিশু জন্মহার কমে যাওয়ায় চাপে রয়েছে ফিনল্যান্ড। তাই ফিনিশদের দেশটির অর্থনীতি ও সামাজিকব্যবস্থা ধরে রাখার বাস্তব পদক্ষেপ ভাবা উচিত। কারণ বসবাসের ও চাকরি জন্য আদর্শ স্থান হিসেবে বিবেচিত ফিনল্যান্ডের ভাবমূর্তি বদলে যাচ্ছে। এক সমীক্ষা জানাচ্ছে, দেশটির প্রতি প্রবাসীদের আগ্রহ পড়তির দিকে।</p>