<p>‘ইউএনও এসি ল্যান্ড অভিযানে বের হলে আগে খবর পাই। মাটির ব্যবসা আওয়ামী লীগের আমলেই করেছি, আর এখন তো আমাদের দিন। সবাইকে ম্যানেজ করেই এ ব্যবসা করতে হয়। এবার দুই দিন ধরে মাটি কাটা শুরু করেছি। মাটি পরিবহনে রাস্তা নির্মাণের পাশাপাশি কিছু মাটি বাইরে বিক্রি করছি। পুরোপুরি শুরু হলে প্রশাসনসহ সবার সঙ্গে কথা বলব।’</p> <p>মাটি ব্যবসায়ী ফতেপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও ওই ওয়ার্ডের মেম্বার মো. রফিক মিয়া এসব কথা বলেন।</p> <p>স্থানীয়রা জানায়, এক সপ্তাহ আগে ভেকু মেশিন দিয়ে ঝিনাই নদীর থলপাড়া এলাকায় নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি করছেন রফিক মিয়া। শুক্রবার রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুদুর রহমান থলপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত কাউকে না পেলেও মাটি কাটার ভেকু মেশিন বিকল করা হয়। অভিযানে পুলিশ ও সেনাসদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>ভেকুর চালক রিয়াদ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিযান চালানো হয়। এর আগেই ভেকু মেশিনটি বেশ দুরে একটি বাড়ির গাছ তলায় রাখেন তিনি। মাটি কাটার জায়গায় ভেকু মেশিন ও ট্রাক না পেয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভেকু মেশিনটি ভাঙচুর ও ইঞ্জিনে বালু দিয়ে বিকল করা হয়। এতে প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।</p> <p>মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. মাসুদুর রহমান বলেন, থলপাড়া এলাকায় অভিযানে মাটির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। এ জন্য জেল জরিমানাও করা হয়নি।</p>