রাজধানীতে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে ব্যাটারিচালিত রিকশা লাইসেন্স ও ট্যাক্সের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘জনগণের টাকার রাস্তা ব্যবহার করবেন অথচ ট্যাক্স দেবেন না, এটা বিশ্বের কোথাও নেই। অটোরিকশাগুলো বিদ্যুৎও ব্যবহার করছে।’
গতকাল শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পুলিশ, ছাত্র, জনতা ও রমনা মডেল থানা এলাকার নাগরিকদের মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্যাডেলচালিত রিকশার সাইজ ছোট, কিন্তু অটোরিকশার সাইজ বড়। অটোরিকশা যে দ্রুতগতিতে বাড়ছে অচিরেই তা বন্ধ করা না গেলে কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। ঘর থেকে বের হলেই দেখবেন অটোরিকশার জ্যাম লেগে গেছে, আর কোনো জায়গা নেই। সবাই এখন অটোরিকশার ব্যবসায় ঝুঁকছেন।
৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকায় কিনে প্রতিদিন লাভ পাচ্ছেন। সবাই অটোরিকশার পেছনে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন।
তিনি আরো বলেন, সরকারকে বলেছি অটোরিকশা সীমিত করে আনতে। অর্থাৎ একটি শহরে কতটি অটোরিকশা চলবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া।
অটোরিকশাকে লাইসেন্স ও ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে। যত্রতত্র রাস্তা করে তার পাশে বড় বড় বিল্ডিং করে বসবাস করছে। সবাই যদি নিচে নামে তাহলে দাঁড়ানোর জায়গাও হবে না। অ্যাম্বুল্যান্স-ফায়ার সার্ভিস ঢুকতে পারে না। ইদানীং যুক্ত হয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশা।
রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দলের যত্রতত্র মিটিং-মিছিল, সভা-সমাবেশ হলে ট্রাফিকে খুব সমস্যা হয় জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোনো রাস্তা এক ঘণ্টা বন্ধ থাকলে এর রেশ কাটতে সাত-আট ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এ জন্য রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দলের মিটিং-মিছিল এবং সভা-সমাবেশ রাস্তার পরিবর্তে বদ্ধ জায়গায় করলে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সুবিধা হয়।
তিনি বলেন, ‘ইদানীং দেখা যাচ্ছে বাড়িঘর করতে গিয়ে কনস্ট্রাকশনের জিনিসপত্র রাস্তার ওপর রেখে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এ ক্ষেত্রে ডিএমপির আইনে মামলা করার ব্যবস্থা আছে। তবে আমি সে ধরনের কাজে যেতে চাই না। আমি অনুরোধ করব, রাস্তার ওপর ইট-বালু রাখবেন না, সতর্ক থাকবেন।’