<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের বিভিন্ন খসড়া সুপারিশের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে প্রশাসন ছাড়া বাকি ২৫ ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন আন্ত ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। আগামী মঙ্গলবার থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কলমবিরতি, মানববন্ধন, সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে পরিষদ। গতকাল শনিবার রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচায় পূর্ত ভবনে পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ২৫টি ক্যাডারের নেতাদের নিয়ে এক মতবিনিময়সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রেখে অন্য ২৫ ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস থেকে আলাদা করার সুপারিশের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পরিষদ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আন্ত ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় এক মতবিনিময়সভায় ২৫টি ক্যাডারের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৩ ডিসেম্বর (সোমবার) প্রতিটি ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উদ্ভূত পরিস্থিতি বিষয়ে বিবৃতি দেবে। ২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা সব অফিসে কলমবিরতি পালন করা হবে। ২৬ ডিসেম্বর সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সব অফিসে নিজ নিজ কর্মস্থলের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে। এ ছাড়া যেসব বিভাগে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়নি, অতি দ্রুত সেখানে সমাবেশ আয়োজন এবং জনসম্পৃক্ততা আরো বাড়ানো হবে। ৪ জানুয়ারি (শনিবার) ঢাকায় সমাবেশ আয়োজন এবং পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সভায় ২৫টি ক্যাডার নিয়ে গঠিত আন্ত ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া নেওয়া খসড়া সুপারিশের বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। সভায় বক্তারা বলেন, কমিশন বৈষম্যমূলকভাবে উপসচিব পুলে একটি ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা সুপারিশের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করায় সিভিল সার্ভিসের অন্য ২৫ ক্যাডারের সব সদস্যের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।</span></span></span></span></span></p>