<p>পটুয়াখালীর দুমকিতে জলিশা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল হাকিম খানের মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়া হয়েছে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন মাহমুদের মধ্যস্থতায় মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।</p> <p>২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার জলিশা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হাকিম খান নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। পরের দিন সকাল ১০টায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে গার্ড অব অনার প্রদান ও জানাজা পড়ানো হয়। তারপর পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করতে নিয়ে যাওয়ার পথে পীরতলা বাজারে বাধা দেন তার নিজ প্রতিষ্ঠিত জলিশা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা। </p> <p>নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জলিশা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুলের একজন শিক্ষক জানান, তিনি (হাকিম খান) মূলত স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করে নানা বাহানায় প্যাটার্নের বাইরে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এবং নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। বিষয়টি তার মেয়েদের জানালে দুমকি থেকে বরিশালে বাসা স্থানান্তরিত করে ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন তারা। </p> <p>তিনি বলেন, হাকিম খানের পরিবারের সদস্যরা স্কুলটির হাল ধরে এমপিও ভুক্ত করার জন্য এগিয়ে আসুক নইলে আমাদের সব টাকা ফেরত দিক। </p> <p>দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ভুক্তভোগীদের দাবি শুনতে বিকেল ৩টায় উপজেলায় ডাকা হয়েছে।’</p>