<p style="text-align:justify">চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ‘মহানগর এক্সপ্রেস’ ট্রেনকে ছেড়ে দিতে (পাস) একই পথের ‘কর্ণফুলী কমিউটার’ ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ইমামবাড়ী স্টেশনে বেশ কিছু সময় যাত্রাবিরতি দেয়। এ সময় বেশ কয়েকজন যাত্রীকে দেখা যায়, ইঞ্জিনের আসনে বসে থাকা ব্যক্তিকে নানা প্রশ্ন করছেন।</p> <p style="text-align:justify">ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। জানালেন, তিনি সহকারী চালক মো. শামসুদ্দিন। কর্ণফুলী কমিউটারের ইঞ্জিন অনেক পুরনো হওয়ায় অতিরিক্ত ধোঁয়া বের হচ্ছে। একই কারণে গতি বাড়িয়ে ট্রেন চালানো যাচ্ছে না। একটু পর পর যাত্রাবিরতি থাকার কারণেও খুব একটা গতিতে চালানো যায় না।</p> <p style="text-align:justify">শনিবার সকাল ৯টা ৪৮ মিনেটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় কর্ণফুলী কমিউটার। ট্রেনটি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন পর্যন্ত আসে ২৩১২ নম্বরের একটি ইঞ্জিন নিয়ে। বিকেল ৪টা ৪৭ মিনিটে ট্রেনটি আখাউড়ায় পৌঁছায়। পরে আখাউড়া থেকে আরেকটি ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) নিয়ে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।</p> <p style="text-align:justify">চট্টগ্রাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ৬ ঘণ্টার যাত্রায় যাত্রীদের অবস্থা বেগতিক। ট্রেনের লোকোমোটিভ দিয়ে অতিরিক্ত ধোঁয়া বের হওয়ায় যাত্রীদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। বিশেষ করে লোকোমোটিভ থেকে পরের দু-তিনটি বগি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় পোড়ার গন্ধে যাত্রীরা অস্বস্তিবোধ করেন। অনেকে ওই বগিগুলো থেকে পেছনের দিকে অন্য বগিতে চলে যান।</p> <p style="text-align:justify">ইমামবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতির সময় দেখা যায়, লোকোমোটিভের ছাদে থাকা এক যুবকের মুখসহ শরীর ধোঁয়ায় কালো হয়ে গেছে। অনেক যাত্রী মোবাইল ফোনে তার এ দৃশ্য ধারণ করছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">লোকোমোটিভের পেছনের বগিতে থাকা যাত্রী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জীবনের প্রথম লোকোমোটিভ থেকে এত বেশি ধোঁয়া বের হতে দেখলাম। দুর্ভাগ্য যে আমি এ ট্রেনটির যাত্রী। ফেনী থেকে ওঠার আধাঘণ্টা পর থেকেই বেশ অস্বস্তি লাগছিল। কিন্তু আসন নির্ধারিত হওয়া ও পেছনের দিকে বসার মতো ব্যবস্থা না থাকায় কষ্ট করেই যাচ্ছি।’</p> <p style="text-align:justify">লাকসাম থেকে ট্রেনটিতে উঠেছিলেন ইসমাইল মিয়া। যাবেন নরসিংদীর মেথিকান্দা। ইসমাইল মিয়া বলেন, ‘লোকোমোটিভের ধোঁয়ায় বসে থাকতে কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়েই ধোঁয়া সহ্য করে যেতে হচ্ছে।’</p> <p style="text-align:justify">বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চলাচলকারী ওই ট্রেনের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে পুরনো ইঞ্জিন দেওয়া হচ্ছে। তবে আজকে ইঞ্জিনে খুব বেশি ধোঁয়া থাকায় যাত্রীরা অনেক হৈচৈ করেন। সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে এ বিষয়ে আমাদের কিছু করারও নেই।’</p>