<p style="text-align:justify">পৌষের তীব্র শীতের মধ্যেও বৃষ্টির দেখা মিলেছে। দুদিন ধরে বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন উপকূলের কৃষকরা। রবি ফসলের চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। স্থানীয় কৃষি অফিস বলছে, অল্প বৃষ্টিতে উপকার হতে পারে ফসলের। ভারী বৃষ্টিপাত হলে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় কৃষি অফিসের তথ্যমতে, বেতাগী উপজেলায় ১১ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এ ছাড়া রবি মৌসুমে ফসলে ৩৩০ হেক্টর, ১৫৫ হেক্টর গম,  ১৭০ হেক্টর ভুট্টা এবং ৩২৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। আর ২ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সরিষা, বেগুন, আলু, মরিচ, শিম ও শাকসবজি।</p> <p style="text-align:justify">সরেজমিনে দেখা গেছে, অসময়ের বৃষ্টিতে অনেক স্থানে ফসল মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েছে। এ ছাড়া যেসব ক্ষেতের সবজি এখনো ভালো রয়েছে, তা রক্ষায় প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন কৃষকরা। কয়েকজন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত সবজিও দেখান। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানিয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক রফিকুল ইসলাম, স্বপন মোল্লা, কৃষ্ণ কান্ত ঘরামী ও অনিল ঢালী জানান, শীতের সবজি চাষ করেছেন তারা। বৃষ্টিতে মাঠের ধান ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক জমির ধান হেলে পড়েছে।</p> <p style="text-align:justify">বিবিচিনি ইউনিয়নের পুটিয়াখালী গ্রামের কৃষক সুকুমার হাওলাদার (৭৬) বলেন, ‘বৃষ্টিতে মাঠের ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। দুদিনের বৃষ্টির কারণে সবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। ভারী বৃষ্টি হলে পানি জমে ক্ষতি হতে পারে। স্থানীয়ভাবে কৃষি বিভাগের লোকজন থাকলেও তারা মাঠে আসেন না।’</p> <p style="text-align:justify">এই বৃষ্টিতে রবি ফসলের খুব বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা নেই জানিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ বলেন, ‘গত দুদিনের বৃষ্টিতে মাঠের উঠতি আমন ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। আরো ভারী বৃষ্টি হলে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।’</p>