<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার তিন ফসলি কৃষিজমির টপ সয়েল (জমির ওপরের অংশের উর্বর মাটি) যাচ্ছে ইটভাটায়। টপ সয়েল প্রতিবছর ভাটায় যাওয়ার কারণে জমি উর্বরতা শক্তি হারাচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন ফসল উৎপাদন কম হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলার হাজরাবাড়ী পৌরসভার ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিন ফসলি জমির টপ সয়েল বিক্রির হিড়িক পড়েছে। একই জায়গায় ছয়টি এক্সকাভেটর (ভেকু) বসিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি। ৩০টি মাহিন্দ্রা গাড়ি দিয়ে মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। এ ছাড়া মাটিবোঝাই ভারী ডাম্পট্রাক চলার কারণে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা। ধুলাবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি ইট তৈরির জন্য কৃষিজমি, পাহাড়, টিলা, পুকুর, খাল, বিল, দিঘি, নদ-নদী বা পতিত জায়গা থেকে মাটি সংগ্রহ করতে পারবে না। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত উপজেলা, ইউনিয়ন বা গ্রামীণ সড়ক ব্যবহার করে ভারী যানবাহনে করে ইট বা ইটের কাঁচামাল পরিবহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই আইন লঙ্ঘনকারীদের সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা ও দুই বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। বিভিন্ন সময় ভাটার মালিকরা ফসিল জমি থেকে মাটি সংগ্রহ করলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সবাই মাটি বিক্রি শুরু করেছে। যেমন আমার জমির চারপাশে যার যার জমি থেকে মাটি বিক্রি করে দিয়েছে। এখন আমার জমি উঁচু অবস্থায় রয়েছে। এখন বাধ্য হয়ে আমাকেও দিতে হবে, না দিলে তো আমার জমিতে পানি দিয়ে চাষ করতে পারব না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাজরাবাড়ী দাঁতভাঙ্গা এলাকায় মা ব্রিকস ইটভাটার মালিক মাসুদুর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার ইটভাটায় মাটি আসছে কম। এত গাড়ি দিয়ে মাটি কোথায় যাচ্ছে, তা জানা নেই। আমরা মাটি কিনে নিচ্ছি ৮০০ টাকা গাড়ি। মাটি কিনছি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। তাঁরা কোথা থেকে মাটি তুলছেন, তা-ও জানা নেই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জামালপুর পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফসিল জমি থেকে মাটি কাটা পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ বিষয়ে প্রশাসনের জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুমী আক্তার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। এ বিষয়টি এসি ল্যান্ডকে জানানো হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>
