<p>ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চারজন পুলিশ কনেস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন। মোট ৮৩ জনের মধ্যে কোটার ক্ষেত্রে শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চারজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাকি ৭৯ জন যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়ম অনুসারে চাকরি পেয়েছেন।</p> <p>জেলায় কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেতে ১৪৭১ জন আবেদন করেন। এর মধ্যে শারীরিক সক্ষমতা যাচাই, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ওই ৮৩ জন চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয়। বুধবার (২০ নভেম্বর) পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করে। </p> <p>এসব নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে কথা বলতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পুলিশ। বিকেল ৩টার দিকে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান দাবি করেন, সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সঠিক প্রক্রিয়ায় ৮৩ জন পুলিশ কনস্টেবলের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চাকরি ফিরে পেলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২ কর্মকর্তা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/18/1731943328-8e36ad7c34b8c69d4324f542d11f6edd.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চাকরি ফিরে পেলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২ কর্মকর্তা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/11/18/1448106" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পুলিশ সুপারের সম্মেলনকক্ষে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে জাবেদুর রহমান আরো বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে আমি জনগণকে এই মেসেজ দিতে চাই যে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছে। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে উপযুক্ত, যোগ্য ও মেধাবীদের রিক্রুট করা হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার জন্য কাউকে টাকা দিতে হয়েছে এমন কোনো অভিযোগ নেই। যদি কখনো আপনাদের দৃষ্টিগোচর হয় যেকোনো ব্যাক্তিবর্গ বা পুলিশের কোনো সদস্য এই রিক্রুটে কাউকে আশ্বস্ত করে প্রতারণা করেছে বা চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে টাকা পয়সা বা অন্য কোনোভাবে যদি গেইন হতে চেয়েছে আমাদের বলবেন। পুলিশের হোক বা যেকোনো ব্যক্তিবর্গ হোক আমরা একেবারে কঠোর অ্যাকশনে যাব।’</p> <p>রাজনৈতিক মামলায় হয়রানির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে আমি অবগত আছি। কেউ যদি মনে করেন তাকে অযথা হয়রানি করা হচ্ছে, কাউকে অযথা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বা অর্থ আত্মসাতের পাঁয়তারা করছে তাহলে তথ্য-প্রমাণসহ পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রয়োজনে ওই ব্যক্তি আমার কাছে আসতে পারেন। পুলিশ অযথা কাউকে হয়রানি করবে না। ইতিমধ্যে ৫-৬ জনের আবেদন পেয়েছি। তাদের সাহায্য করার জন্যে যতটুকুর ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার আমরা নিয়েছি।’</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. জয়নাল আবেদীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।</p>