ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫
১০ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫
১০ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

কাঠগড়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে চিৎকার করলেন হাজি সেলিম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কাঠগড়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে চিৎকার করলেন হাজি সেলিম

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শুনানিতে গিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আইনজীবীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে চেঁচামেচি করলেন ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজি সেলিম।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালতে তাকে তোলা হয়। 

এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপি আসামিরাও ছিলেন। তবে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজের আইনজীবীর প্রতি হঠাৎ ক্ষেপে যান হাজি সেলিম।

এ সময় এতই রেগে যান যে ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। পরে তাকে বোঝানোর পর তিনি স্বাক্ষর করেন। এরপর যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় হাজি সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

হাজি সেলিমের চিৎকার শুনে এজলাসে উপস্থিত অন্যরা হতবাক হয়ে যান।

হাজি সেলিমের মেজাজ হারানোর বিষয় তার আইনজীবীর সঙ্গে এ সময় কথা বলেন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান।

সাদেক খান তখন আইনজীবী প্রাণ নাথ রায়কে উদ্দেশে বলেন, ‘কারাগারে সমস্যায় রয়েছেন হাজি সেলিম। হাজি সেলিমের কথা কারাগারে কেউ বোঝেন না। খাওয়াদাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।

এ বিষয়ে হাজি সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ বলেন, ‘আমার মক্কেল কথা বলতে পারেন না। কারাগারে খাবার খেতে পারেন না। কাউকে কোনো কিছু বোঝাতে পারেন না। এই অভিমানে আমার ওপর রেগে গেছিলেন। এ জন্য তিনি ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে চাচ্ছিলেন না।

কিছুক্ষণ বোঝানোর পর তিনি স্বাক্ষর করেন। তাকে বলেছি, সিস্টেমের বাইরে তো কিছু করতে পারব না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার মক্কেলকে ১৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এখনো ১০ দিনের রিমান্ড পেন্ডিং রয়েছে ‘

মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২১ জুলাই দুপুর আড়াইটায় যাত্রাবাড়ী থানাধীন ফুটওভার ব্রিজ নিচে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন সাজেদুর রহমান ওমর। পরে বিকেলে আসামিদের আক্রমণে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট মারা যান। এ ঘটনায় গত ৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জবির ১১ শিক্ষার্থীসহ ৭৫ জনকে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জবির ১১ শিক্ষার্থীসহ ৭৫ জনকে অব্যাহতি
সংগৃহীত ছবি

তিন বছর আগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১১ শিক্ষার্থীসহ ৭৫ জন অব্যাহতি পেয়েছেন। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তাদের এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য জানিয়েছেন। 

অব্যাহতিপ্রাপ্তদের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের রউসন-উল দেরদৌস ও শাহিন ইসলাম, বাংলা বিভাগের শ্রাবণ ইসলাম রাহাত, ব্যাবস্থাপনা বিভাগের ফাহাদ হোসেন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুর রহমান অলি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম আলী, মেহেদী হাসান ও ওবায়দুল, ইতিহাস বিভাগের ইসরাফিল, লোকপ্রশাসন বিভাগের মেহেদী হাসান ও সংগীত বিভাগের আল মামুন রিপন রয়েছে।

 

মামলার সূত্রে জানা যায়, পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধের দাবিতে হওয়া মিছিলে অংশগ্রহণ করার অভিযোগে ২০২২ সালের ২৪ মার্চ ছাত্রশিবির সন্দেহে ১১ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের নিকট থেকে কোরআনের তাফসিরগ্রন্থ তাফহিমুল কোরআন উদ্ধার করা হয়। পরে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে এ মামলায় ৭৫ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।

মন্তব্য

সাবেক এডিসি নাজমুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সাবেক এডিসি নাজমুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সংগৃহীত ছবি

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর  প্রথম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরোয়ানা কার্যকরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নাজমুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনের মা।

জানা গেছে, পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুলকে সম্প্রতি ওএসডি করে বরিশাল বদলি করা হয়। তবে বদলির পরও দীর্ঘদিন নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেননি। যদিও সর্বশেষে বরিশালে যোগ দিয়ে আবারও ছুটিতে আসেন। 

উল্লেখ্য, গোয়েন্দা কর্মকর্তা নাজমুলের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরুদ্ধ মত দমনের অভিযোগ রয়েছে।

সাইবার ক্রাইমের এডিসি থাকাকালে নাজমুল ক্ষমতার অপব্যবহার করে আওয়ামী সরকারের অনলাইন পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতেন। বিশেষ করে তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে কেউ পোস্ট দিলে, কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা করলে তাকে ধরে এনে মামলা, নির্য়াতন এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে পোস্ট মুছে ফেলতে বাধ্য করতেন বলেও অভিযোগও রয়েছে।

মন্তব্য

মেঘনা আলমের সহযোগী আরো ৪ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মেঘনা আলমের সহযোগী আরো ৪ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণা ও চাঁদাদাবির অভিযোগে করা মামলায় আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের সহযোগী সানজানা ম্যান পাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. দেওয়ান সমিরের আরো চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম.এ. আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আখতার মোর্শেদ আরো সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার আরো চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল এ মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতি, প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে কৌশলে বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে তাদের সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে। দেওয়ান সমির কাওয়াই গ্রুপ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের ফার্মের মালিক মর্মে চানা যায়। এছাড়া ইতোপূর্বে মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল।

বিভিন্ন আকর্ষনীয়, স্মার্ট মেয়েদেরকে তার প্রতিষ্ঠানে ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশি কুটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করা এবং দেওয়ান সমির তার ম্যানপাওয়ার ও অন্যান্য ব্যবসাকে অধিকতর লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে চক্রান্তের অংশ হিসেবে অসৎ উদ্দেশ্যে তার সহযোগী আসামিদের সহায়তায় ও অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কুটনীতিককে টার্গেট করে ব্লাকমেইল করে বড় অংকের টাকা চাঁদা হিসেবে দাবি করে আদায় করে থাকে।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মেঘনা আলমের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া গ্রেপ্তারের পর গত ১২ এপ্রিল ভাটারা থানার প্রতারণা মামলায় দেওয়ান সমিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরবর্তীতে ১৭ এপ্রিল ধানমণ্ডি থানার মামলায় মেঘনা ও দেওয়ানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওইদিন মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

একইসঙ্গে দেওয়ানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মন্তব্য

পাওয়া গেল পলকের হারানো সেই সোয়েটার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পাওয়া গেল পলকের হারানো সেই সোয়েটার
সংগৃহীত ছবি

আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দাবি করেছিলেন, কারাগার থেকে তার ২টি সোয়েটার হারিয়েছে। গতকাল সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলেই সেই সোয়েটার পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, কারাগারে থাকা বেশ কিছু জামা-কাপড়ও পাওয়া গেছে।

আরো পড়ুন
বিয়ের মাধ্যমে মানুষ পাপাচার থেকে বাঁচতে পারে : ধর্ম উপদেষ্টা

বিয়ের মাধ্যমে মানুষ পাপাচার থেকে বাঁচতে পারে : ধর্ম উপদেষ্টা

 

জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক গতকাল সোমবার সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে সোয়েটার হারানোর কথা জানান।

আগামী শীত পর্যন্ত যদি কারাগারে থাকতে হয়, তাহলে সোয়েটার জোগাড় করতে হবে বলেও জানান তিনি। তার সোয়েটার হারানোর কথা গণমাধ্যমকে জানান পলকের আইনজীবীও।

এ বিষয়ে কারা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, কারাগার থেকে জুনাইদ আহমেদ পলকের সোয়েটার হারিয়ে যাওয়ার তথ্য জানার পর তিনি তার কর্মকর্তাদের বিষয়টি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেন। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, পলকের সোয়েটারসহ শীতের কাপড় কারাগারের স্টোররুমে জমা আছে।

আরো পড়ুন
ভিসির পদত্যাগ দাবিতে অনশনে অনড় শিক্ষার্থীরা

ভিসির পদত্যাগ দাবিতে অনশনে অনড় শিক্ষার্থীরা

 

তিনি আরো জানান, সম্প্রতি পলকের স্ত্রী কারাগারে এসেছিলেন। তখন তার শীতের কাপড় স্ত্রীকে দেওয়ার জন্য কারাগারের নিরাপত্তারক্ষীর কাছে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অসাবধানতাবশত কারারক্ষীরা তা ভুলে গিয়েছিলেন। সেদিন বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ গ্রহণ শেষ হলে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

পরে ওই ব্যাগের মালিকানা না পাওয়ায় সেটি আবারও কারাগারের স্টোররুমে রাখা হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ