বর্তমান সময়ে খুব কম মানুষ রয়েছে যারা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন না। এই অ্যাপটিতে নানা সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে যোগ হয়েছে নতুন এক ফিচার। আর এই ফিচারটি হলো শিডিউল কল।
বর্তমান সময়ে খুব কম মানুষ রয়েছে যারা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন না। এই অ্যাপটিতে নানা সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে যোগ হয়েছে নতুন এক ফিচার। আর এই ফিচারটি হলো শিডিউল কল।
অনেকে বিদেশে থাকা প্রিয়জন বা কাজের প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপ কল ব্যবহার করেন। এ বার থেকে সহজে হোয়াটসঅ্যাপ কল শিডিউল করা যাবে। কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপের সাহায্য ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপ কল এখন থেকে শিডিউল করা যাবে। কিভাবে করবেন, চলুন দেখে নিই।
প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ খুলে 'Calls' সেকশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর 'Create New Call Link'-এ ক্লিক করতে হবে। এর দ্বারা একটি unique link পাওয়া যাবে।
সেই unique call link পাওয়ার পর কলের ধরন কী হবে, ভিডিও কল, নাকি ভয়েস কল, সেটি নির্বাচন করতে হবে।
হোয়াটসঅ্যাপ কল শিডিউল করার জন্য সবচেয়ে শেষে যে ব্যক্তিকে হোয়াটসঅ্যাপ কল করতে চান, তাকে সেই unique call link টি পাঠিয়ে দিন।
হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ কল শিডিউল করতে চাইলে গ্রুপে যাওয়ার পর মেসেজ বারের নিচে বামদিকে একটি প্লাস আইকন দেখা যাবে। তাতে ক্লিক করতে হবে। ডানদিকে ফটো, ক্যামেরাসহ একাধিক অপশন পাওয়া যাবে।
সূত্র : টিভি ৯ বাংলা
সম্পর্কিত খবর
ইউজারদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে টেলিগ্রাম। তাদের সুবিধার জন্য নতুন আপডেট নিয়ে এসেছে এই অ্যাপটি। টেলিগ্রাম জানিয়েছে, নতুন ফিচারগুলো ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা আরো জোরদার করবে। কী আছে সেই আপডেটে, তা জানুন এই প্রতিবেদনে।
কী আছে টেলিগ্রামের আপডেট ভার্সনে
টেলিগ্রাম জানিয়েছে, নতুন ফিচারে ব্যবহারকারীরা নতুন মেসেজের জন্য স্টার মার্ক করার সুবিধা পাবেন। প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের কাছে নতুন কোনো নম্বর থেকে বার্তা এলে তা স্টার করতে পারবেন তারা। যার ফলে স্প্যাম চ্যাট কমবে। এমনকি ব্যবহারকারীরা নিজেরাও টেলিগ্রাম স্টার বানাতে পারবেন।
নতুন আপডেটে ‘কন্টাক্ট কনফারমেশন’ নামে নতুন ফিচার যোগ করা হয়েছে। এই নতুন ফিচারের ফলে কোনো অপরিচিত নম্বর থেকে বার্তা এলে নতুন একটি নোটিফিকেশন আসবে ব্যবহারকারীর মোবাইলে। সেখানে বার্তা পাঠানো ব্যক্তির সমস্ত তথ্য থাকবে। তিনি কোন দেশের বাসিন্দা, কোনো গ্রুপে তারা একসঙ্গে রয়েছেন কি না, তাদের অ্যাকাউন্টের তথ্য যেমন, কবে থেকে ওই ব্যক্তি টেলিগ্রাম ব্যবহার করছেন ইত্যাদি তথ্য প্রদান করা হবে।
নতুন আপডেট ভার্সনে ব্যবহারকারীরা এখন তাদের জমানো স্টারগুলো ব্যবহার করে অন্যদের প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন উপহার দিতে পারবেন। টেলিগ্রাম আরো জানিয়েছে, ব্যবহারকারীরা ২১ দিন পর পর তাদের স্টার ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়া প্রোফাইল কভারে ৬টি উপহার পিন করে রাখার সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা। সেটিংস থেকে মাই প্রোফাইলের গিফট সেকশনে গিয়ে তা খুব সহজেই অ্যাক্সেস করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
মহাবিশ্ব সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল ক্যামেরা তৈরি করা হচ্ছে। এটি দিয়ে মহাবিশ্বের এইচডি ভিডিও ধারণ সম্ভব হবে। ফলে মহাবিশ্বের আরো খুঁটিনাটি জানা যাবে।
চলতি বছরই চিলির অরা অবজারভেটরিতে ক্যামেরাটি স্থাপন করতে কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
চিলির অরা অবজারভেটরির ভাইস প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো ফোইগট বলেন, ‘আজকাল বিজ্ঞানীরা নির্দিষ্ট কিছু পর্যবেক্ষণ করতে বলেন। কারণ তাদের একটি তত্ত্ব রয়েছে, যা তারা প্রমাণ করতে চান। তাই টেলিস্কোপটি আকাশের একটি নির্দিষ্ট স্থানে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে, কয়েক ঘণ্টার জন্য বা কয়েক রাতের জন্য নির্দেশিত করা হয়। আমরা যা করতে যাচ্ছি তা হলো, সব কিছুর ছবি তোলা।
ইতিমধ্যে ১৪৪ মেগাপিক্সেলের টেস্ট ক্যামেরা দিয়ে পাওয়া ফল সবাইকে অবাক করেছে। নতুন ক্যামেরার মেগাপিক্সেল হবে তিন হাজার ২০০। ফলে অসাধারণ দৃশ্য দেখা যাবে।
অরা প্রকল্পের সায়েন্টিফিক ডিরেক্টর স্টুয়ার্ট কর্ডার বলেন, ‘আমরা মহাবিশ্বের রঙিন ছবি থেকে এইচডি ভিডিওর দিকে যাচ্ছি, অর্থাৎ সাদাকালোর যুগ পেছনে ফেলে যাচ্ছি। আমরা রঙিন ছবি থেকে সরাসরি এইচডি ভিডিওর দিকে যাচ্ছি।’
টেলিস্কোপটি স্থির পর্যবেক্ষণ থেকে হাজার গুণ গতিশীল পর্যবেক্ষণের দিকে যাবে। অরা অবজারভেটরির নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হ্যারনান স্টকব্রান্ড বলেন, ‘রাতের পর রাত পাওয়া ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে সিস্টেমটি শনাক্ত করতে সক্ষম হবে, কোনো তারা বিস্ফোরিত হলো কি না, এটি সুপার নোভা হয়ে গেল কি না, কিংবা কোনো তারা জ্বলা বন্ধ করে দিল কি না। গ্রহাণুর মতো কিছু পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে কি না, তা-ও জানা যাবে।’
ধারণা করা হয়, বর্তমানে আমরা মহাবিশ্বের মাত্র ৫ শতাংশ সম্পর্কে জানি। ক্যামেরাটি যখন কাজ শুরু করবে তখন বাকি ৯৫ শতাংশ সম্পর্কেও জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আলেহান্দ্রো বলেন, ‘আয়না ও ক্যামেরার এই সমন্বিত ব্যবস্থার সুবিধা হলো আপনি খুব দূরে দেখতে পারবেন, অথবা আপনি খুব ক্ষীণ বস্তু দেখতে সক্ষম হবেন, যেগুলো কোনো টেলিস্কোপে দেখা যায় না, মানুষের চোখেতো নয়ই। যেহেতু এটি প্রতি রাতে অনেক দ্রুত চলাচল করবে, তাই এটি অনেক ছবি তুলতে সক্ষম হবে, যেগুলো ১০ বছর ধরে তুলনা করা সম্ভব হবে। ফলে এই বস্তুগুলো কিভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং কিভাবে নক্ষত্র ও গ্রহগুলোর গতিবিধি, জীবন ও মৃত্যুতে পরিবর্তন হচ্ছে তা দেখা যাবে। কিভাবে তারা জন্ম নেয়, কিভাবে বিলুপ্ত হয়, কিভাবে তারা কাজ করে ইত্যাদি।’
চলতি বছরেই ক্যামেরাটি চালু করতে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।
আধুনিক মডেলের প্রায় সব গাড়িতেই এখন ডিস্ক ব্রেক দেওয়া হয়। এর কার্যকারিতা নির্ভর করে ডিস্ক ব্রেক অয়েল বা ব্রেক ফ্লুইডের ওপর। যা নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর বদলাতে হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় তার উল্টো।
ডিস্ক ব্রেক এমন প্রযুক্তি, যাতে চোখের নিমেষে গাড়ি থামানো বা গতি কমানো যায়। এতে চাকার সঙ্গে যুক্ত ডিস্কের ওপর ব্রেক প্যাড চাপ দেয়, ফলে ঘর্ষণ তৈরি হয়। এই ঘর্ষণ গতির শক্তিকে তাপে পরিণত করে।
টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলেন, নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর ডিস্ক ব্রেক অয়েল পরিবর্তন করতেই হবে। কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা আর্দ্রতা শুষে নেয়।
ব্রেক অয়েল কখন বদলানো উচিত
প্রতি ২ বছর অন্তর কিংবা ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার কিলোমিটার গাড়ি চালানোর পর ব্রেক অয়েল বদলাতে হয়।
নতুন ব্রেক ফ্লুইড সাধারণত হালকা হলুদ রঙের হয়। দেখতেও স্বচ্ছ। অনেক সময় ব্রেল অয়েল লিক করে। ব্রেক লিভার চাপলে তেল পড়ে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত পরীক্ষা করানো জরুরি।
ব্রেক অয়েল না বদলালে কী হতে পারে
ব্রেকের ক্ষমতা কমে যাবে। তখন ব্রেক চাপলেও গাড়ি সহজে থামবে না। ব্রেক জ্যাম হয়ে যেতে পারে। তখন চাকা লক হয়ে স্কিড করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ব্রেক অয়েল অত্যধিক গরম হয়ে গেলে টগবগ করে ফুটতে শুরু করে। এটি খুবই বিপজ্জনক। গরমের সময় বা খুব স্পিডে গাড়ি চালালে ব্রেক ফেল করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা নিয়মিত গাড়ি চালান, বিশেষ করে হাইওয়েতে কিংবা পাহাড়ি এলাকায়, তাদের এর চেয়েও কম সময়ের ব্যবধানে ব্রেকিং ফ্লুইড বদলানো উচিত। যাতে ব্রেকিং পারফরম্যান্স সব সময় সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। তাতে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
সূত্র : নিউজ ১৮
একটা সময় ছিল যখন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন গাড়িগুলোতে বিশাল ড্যাশবোর্ড স্ক্রিন যুক্ত করার জন্য প্রতিযোগিতা করেছিল। এটি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল যে গাড়ির প্রযুক্তিতে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয় এটি। তবে পরবর্তী সময়ে নির্মাতারা বুঝতে পারেন যে শুধু টাচস্ক্রিনের ওপর নির্ভর করা বোকামি। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনগুলোর জন্য, যেগুলো ডিজাইনে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
এটি বুঝতে পারার পর ফোকসভাগেন কম্পানি ঘোষণা করেছে, তারা গাড়ির গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনগুলোর জন্য আবার ফিজিক্যাল বাটনে ফিরে যাবে। যেই কথা সেই কাজ। নতুন ডিজাইনের গাড়িগুলোতে পুরোনো যুগের ফিজিক্যাল বাটন নিয়ে আসছে কম্পানিটি।
ফোকসভাগেন কম্পানির ডিজাইন প্রধান আন্দ্রেয়াস মিন্ডট বলেন, ‘স্টিয়ারিং হুইলে টাচস্ক্রিন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে আসাটা একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
২০২২ সালের শেষের দিকে, ইউরোপীয় গাড়ি নির্মাতা ফোকসভাগেন সাহসী একটি পদক্ষেপ নিয়েছিল—তারা ঐতিহ্যগত বোতাম বাদ দিয়ে স্টিয়ারিং হুইলে সম্পূর্ণ টাচ-সেন্সিটিভ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এসেছিল। কিন্তু গ্রাহকদের অভিযোগের কারণে এটি বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে।
মিন্ডট জানান, নতুন প্রজন্মের ফোকসভাগেন গাড়িগুলোতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি ফাংশনের জন্য শারীরিক বোতাম থাকবে—ভলিউম নিয়ন্ত্রণ, সিট হিটিং, ফ্যান কন্ট্রোল এবং হ্যাজার্ড লাইট। এই বোতামগুলো ইনফোটেইনমেন্ট স্ক্রিনের ঠিক নিচে স্থাপন করা হবে।
ফোকসভাগেনের পরিবর্তিত প্রথম গাড়িটি হবে ID.2all ইলেকট্রিক সুপারমিনি। ২০২৬ সালে এটি বাজারে আসবে। এতে ইনফোটেইনমেন্ট ডিসপ্লের নিচে অতিরিক্ত শারীরিক বোতামের একটি সারি থাকবে।
ফোকসভাগেন একমাত্র গাড়ি নির্মাতা নয় যারা আবার শারীরিক বোতামে ফিরে আসছে। গত বছর হুন্দাইও স্বীকার করেছিল যে তারাও একই ধরনের ভুল করেছে। কম্পানির ইউএস ডিজাইন প্রধান জানান, আমেরিকান ড্রাইভাররা পুরোপুরি টাচস্ক্রিন কন্ট্রোলে অভ্যস্ত হতে পারেনি। ভবিষ্যতের হুন্দাই মডেলগুলোতে আরো বেশি শারীরিক বোতাম যুক্ত করা হবে।
গাড়িতে বিশাল টাচস্ক্রিনের প্রবণতা শুরু করেছিল টেসলা। কম্পানিটি ধীরে ধীরে ফিজিক্যাল কন্ট্রোল বাদ দিয়ে সমস্ত ফাংশনকে স্ক্রিনের মাধ্যমে পরিচালিত করার ধারণা নিয়ে এসেছিল। অন্য নির্মাতারাও এটি অনুসরণ করেছিল। কিন্তু চালকরা কখনোই সম্পূর্ণরূপে এই পরিবর্তন গ্রহণ করেনি। গাড়ির ফাংশনগুলোকে স্মার্টফোনের মতো করে তুলতে গিয়ে নির্মাতারা বুঝতে পেরেছে যে এটি আসলে একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
ফোকসভাগেনের এই ঘোষণা এমন সময় এসেছে যখন ইউ-এর নিউ কার অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম (এনসিএপি) নতুন নিয়ম চালু করতে চলেছে। নিয়মটি হচ্ছে, ২০২৬ সাল থেকে একটি গাড়িকে ফাইভ স্টার সেফটি রেটিং পেতে হলে নির্দিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনের জন্য অবশ্যই শারীরিক বোতাম থাকতে হবে।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অনেক গাড়ি নির্মাতা কম্পানি এখনো ‘কম্পিউটার অন হুইলস’ ধারণাকে সমর্থন করছে। তারা এমন একটি ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে গাড়ির সমস্ত ফাংশন টাচস্ক্রিন ও ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। কিন্তু ফোকসভাগেনের সিদ্ধান্ত প্রমাণ করছে যে গাড়ির জন্য পুরনো প্রযুক্তিগুলিও মাঝে মাঝে নতুন করে ফিরে আসতে পারে।
গল্পের (কাল্পনিক) মাধ্যমে বললে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে।
বোতামের প্রত্যাবর্তন
রাজিব একজন টেক-সচেতন গাড়িপ্রেমী। তিনি সদ্য বাজারে আসা একটি নতুন গাড়ি কিনেছেন, যার সব নিয়ন্ত্রণ শুধু বিশাল একটি টাচস্ক্রিনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
প্রথম কয়েকদিন সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। তবে একদিন রাতে তিনি একটি বিপজ্জনক বাঁক নিতে গিয়ে বুঝতে পারলেন যে তিনি দ্রুত হ্যাজার্ড লাইট চালু করতে পারছেন না। তিনি প্যানিক হয়ে স্ক্রিনের বিভিন্ন মেনুতে হাত চালাতে থাকেন। কিন্তু তখনই তার গাড়ি আরেকটি গাড়ির সামনে চলে যায়। বিপদ থেকে কোনোমতে বেঁচে যান রাজিব। তবে তার মনে আতঙ্কের ছাপ রেখে যায় সেই অভিজ্ঞতা।
এতদিন পর রাজিব বুঝতে পারেন—গাড়ি কখনোই স্মার্টফোনের মতো হওয়া উচিত নয়। গাড়িতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া (রিয়েল ফিডব্যাক) থাকা জরুরি।
এরপর তিনি বাজারে আসা নতুন ফোকসভাগেন ID.2all-এর খবর শুনলেন, যেখানে আবার ফিজিক্যাল বাটন ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, তার পরবর্তী গাড়িটি হবে এই নতুন মডেল। কারণ একটি গাড়ি কেবল প্রযুক্তির প্রদর্শনী নয়, বরং এটি নিরাপত্তার প্রতীকও।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস