আমাদের জীবনে বিশেষ গুরুত্ব রাখে আমাদের হার্ট। এই অঙ্গটি দেহের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে দেয়। তবে আমাদের জীবনধারা হার্টের গভীর প্রভাব ফেলে। বর্তমানে খারাপ খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার কারণে হৃদরোগ বাড়ছে।
আমাদের জীবনে বিশেষ গুরুত্ব রাখে আমাদের হার্ট। এই অঙ্গটি দেহের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে দেয়। তবে আমাদের জীবনধারা হার্টের গভীর প্রভাব ফেলে। বর্তমানে খারাপ খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার কারণে হৃদরোগ বাড়ছে।
শারীরিক ও মানসিক সুবিধার জন্য ভারতে শত শত বছর ধরে যোগব্যায়াম করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত যোগব্যায়াম করা আপনার হার্টসহ আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপকার করে। আজকের প্রতিবেদনে এমন কিছু যোগাসন সম্বন্ধে জানবেন, যা আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে খুবই সাহায্য করে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক, কিভাবে যোগব্যায়াম হার্টকে উন্নত করে।
রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে : যোগব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এটি হার্টে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল কমায় : উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা হৃদরোগের আরেকটি ঝুঁকির কারণ। যোগব্যায়াম কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে : অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
মানসিক চাপ কমায় : মানসিক চাপ হৃদরোগের একটি বড় কারণ। যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
হার্ট সুস্থ রাখতে কিছু কার্যকর যোগাসন সম্বন্ধে জানুন-
মৎসাসন
পদ্মাসন করে দুটি কনুইয়ের সাহায্যে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটি মাথার দুই পাশে মাটিতে রেখে তার ওপর ভর দিয়ে পিঠটাকে মাটি থেকে তুলুন। ঘাড় হেলিয়ে দিয়ে মাথার তালু মাটির ওপর রাখুন। এবার দুই হাত দিয়ে দুই পায়ের বুড়ো আঙুল ধরে টানুন আর বুক উঁচু করুন। কনুই মাটিতে লাগান। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে মনে মনে ১০ থেকে ক্রমে বাড়িয়ে ৩০ গুনুন। এরপর হাত মাথার পাশে এনে পিঠ আলগা ও মাথা সোজা করে শবাসনে বিশ্রাম নিন। এরূপ তিনবার করুন।
এই আসনটি রক্ত সঞ্চালনকে উৎসাহিত করে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
ধনুরাসন
এর জন্য উপুড় হয়ে শুয়ে পা দুটি হাঁটুর কাছ থেকে ভাঁজ করে গোড়ালি দুটি জোড়াভাবে নিতম্বের কাছে আনুন। এবার দুই হাত দিয়ে পায়ের গোছা দুটি বেশ শক্ত করে ধরে বুক এবং ঊরু মাটি থেকে ওপরের দিকে টেনে তুলুন। তলপেট মাটিতে ঠেকে থাকবে। দৃষ্টি সামনে ও ঘাড় পেছন দিকে হেলে থাকবে। স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাসে মনে মনে দশ থেকে ক্রমে বাড়িয়ে ৩০ গুনে তিনবার অভ্যাস করুন। প্রতিবারের পর উপুড় হয়ে শুয়ে শবাসনে বিশ্রাম নিন। এই আসনটি মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করে এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
ভুজঙ্গাসন
এই আসন করতে উপুড় হয়ে শুয়ে হাতের তালু দুটি বুকের দুই পাশে মাটিতে এমন ভাবে রাখুন যে আঙুলের ডগাগুলি কাঁধের বরাবর থাকে। হাতের কনুই গায়ের সঙ্গে লেগে থাকবে। পা দুটি জোড়া ও পায়ের পাতা পেতে থাকবে। এবার কোমরের ওপর জোর দিয়ে নাভি থেকে শরীরের উপরিভাগ মাটি থেকে তুলুন। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে এই অবস্থায় মনে মনে দশ থেকে ক্রমে বাড়িয়ে তিরিশ গোনার পর উপুড় হয়ে শবাসনে বিশ্রাম নিন। এরূপ তিন বার। এই আসনটি মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করে এবং হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
উষ্ট্রাসন
প্রথমে হাঁটু গেড়ে বসুন। পেছন দিকে হেলে দুই হাত দিয়ে পায়ের গোড়ালি ধরে মাথা পেছনের দিকে ঝুলিয়ে দিয়ে আস্তে আস্তে পেট সামনের দিকে এগিয়ে দিন। ডান হাতের বুড়ো আঙুল ডান গোড়ালির ভিতর দিকে ও অন্য আঙুলগুলি বাইরের দিকে থাকবে। বাঁ হাত ও বাঁ গোড়ালির ওপর অনুরূপভাবে থাকবে। পায়ের পাতা মাটিতে পাতা থাকবে। স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাসে মনে মনে দশ থেকে ক্রমশ বাড়িয়ে তিরিশ গোনার পর শবাসনে বিশ্রাম নিতে হবে। এরূপ তিনবার।
এই আসনটি মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করে এবং হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
সূত্র : বোল্ডস্কাই
সম্পর্কিত খবর
গ্রীষ্মে আমাদের শরীরের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন পড়ে। কারণ তীব্র সূর্যের আলো ও উচ্চ তাপমাত্রার কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যাগুলো এড়াতে খাদ্যতালিকায় এমন জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা তাপের কারণে সৃষ্ট সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে।
এর জন্য দই এমন একটি বিকল্প, যা কেবল পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে না, বরং শরীরকে ঠাণ্ডা করতে এবং পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দই একটি দুগ্ধজাত পণ্য, যা ল্যাকটোব্যাসিলাস বুলগারিকাস ও স্ট্রেপ্টোকক্কাস থার্মোফিলাসের মতো উপকারী ব্যাকটেরিয়া দিয়ে তৈরি করা হয়। দই তৈরির প্রক্রিয়াটি দুধকে প্রোবায়োটিক, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ একটি ক্রিমি, ট্যাঞ্জি পদার্থে রূপান্তরিত করে, যা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সুবিধা দেয়।
এসব উপকারের জন্য গ্রীষ্মের দিনে দই খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আজ জেনে নিন, গ্রীষ্মে দই খেলে আমরা আরো কী কী উপকার পেতে পারি—
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ
দই ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
দই খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর প্রোটিন ও চর্বি উপাদান কার্বোহাইড্রেটের হজমকে ধীর করে দেয়।
ত্বক ও চুলের জন্য ভালো
দইয়ে উপস্থিত ল্যাকটিক এসিড ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি নিয়মিত খেলে আপনার চুল পুষ্টি পাবে এবং চুল পড়া, শুষ্কতা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। এর পাশাপাশি, এটি আপনার ত্বককে শুষ্ক হতেও বাধা দেয়।
তাপপ্রবাহ ও পানিশূন্যতা
দই হিটস্ট্রোক ও তাপের কারণে সৃষ্ট পানিশূন্যতা রক্ষা করতে সাহায্য করে। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
দই খেলে পেট ভরা থাকে, ফলে বেশি খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
এ ছাড়া গ্রীষ্মের দিনে দই খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। এটি খেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং তাপজনিত সমস্যা কমে।
সূত্র : বোল্ডস্কাই
সিদ্ধ, ভাজা, পোচ, হাফ বয়েল কিংবা রকমারি পদ, বিভিন্নভাবে ডিম খাওয়া যায়। এই ডিম অনেকেরই প্রিয় খাবারের তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে থাকে। বলা যায়, ডিম পছন্দ করেন না এরকম মানুষ খুব কমই আছে।
ডিম রান্না করা যেমন সহজ, তেমন পুষ্টিগুণেও ভরপুর।
অনেকে বাড়িতে অন্যান্য ফল ও সবজির মতোই ডিম ফ্রিজে রাখেন।
ফ্রিজে ডিম কত দিন ভালো থাকে
৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা তার কম তাপমাত্রায় সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে ডিম তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত তাজা থাকতে পারে। এটাও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ডিমের কার্টনের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ থাকে না। তবে কত তারিখের আগে খেতে হবে সেটা থাকে অনেক সময়। ডিম ভালো রাখতে সব সময় আসল কার্টনে রাখুন।
ডিম খারাপ হয়েছে কি না পরীক্ষা করার উপায়
আপনার ফ্রিজে রাখা ডিম খাওয়ার উপযোগী নাকি খারাপ হয়ে গেছে, তা একটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন।
ডিম কিভাবে সংরক্ষণ করবেন
আপনি ডিম কোথায় সংরক্ষণ করেন তা গুরুত্বপূর্ণ। ডিমের আসল কার্টনে ফ্রিজের মধ্যে রাখুন। ফ্রিজের দরজায় ডিম রাখা এড়িয়ে চলুন। কারণ তাপমাত্রার ক্রমাগত ওঠানামা করে সতেজতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
সূত্র : আজতক বাংলা
ফল খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে, একথা সবাই জানেন। কিন্তু কিছু ফলের বীজ খেয়ে ফেললে সেটা ক্ষতির কারণ হতে পারে—এটা অনেকেই জানেন না। কিছু কিছু ফলের বীজ শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে যদি সেগুলো চিবিয়ে বা ভেঙে খাওয়া হয়। এর মূল কারণ, এই বীজগুলোতে কিছু প্রাকৃতিক রাসায়নিক যৌগ থাকে, যা হজমের সময় সায়ানাইড নামক একটি বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন করতে পারে।
কোন কোন ফলের বীজ চিবিয়ে বা ভেঙে খেলে বিপদ হতে পারে, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
আপেল বীজ
আপেলের বীজে অ্যামিগডালিন নামক একটি যৌগ থাকে। যখন এই বীজ চিবানো বা হজম করা হয়, তখন এটি সামান্য পরিমাণে হাইড্রোজেন সায়ানাইড নির্গত করে।
চেরি বীজ
চেরির বীজেও অ্যামিগডালিন থাকে। এটিও হজমের সময় সায়ানাইড উৎপন্ন করতে পারে।
পীচ বীজ
পীচের বীজের ভেতরেও অ্যামিগডালিন থাকে। এটিও চিবিয়ে খেলে সায়ানাইড বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।
আলুবোখারা বীজ
আলুবোখারার বীজও একই কারণে ক্ষতিকর হতে পারে। এর মধ্যেও অ্যামিগডালিন থাকে, যা হজমের সময় সায়ানাইড তৈরি করে।
অ্যাপ্রিকট বীজ
অ্যাপ্রিকটের বীজেও অ্যামিগডালিন থাকে এবং এটিও সায়ানাইড তৈরি করতে পারে। কিছু সংস্কৃতিতে অ্যাপ্রিকটের বীজ খাওয়া হয়, তবে তা অবশ্যই সীমিত পরিমাণে এবং বিশেষ প্রক্রিয়াকরণের পর। কাঁচা এবং বেশি পরিমাণে এই বীজ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।
সাধারণভাবে, এই ফলগুলোর আস্ত বীজ গিলে ফেললে তেমন কোনো সমস্যা হয় না কারণ বীজের শক্ত খোলের কারণে অ্যামিগডালিন সহজে নির্গত হতে পারে না। তবে, বীজ চিবিয়ে বা ভেঙে খেলে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরো বেশি।
সূত্র : আজকাল
দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে। এই গরমের নিত্যসঙ্গী কাঠফাটা রোদ, প্যাচপেচে অস্বস্তি। প্রবল গরমে সুস্থ থাকাটাই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রীষ্মকালে তেলঝাল যুক্ত মশলাদার খাবার খেলেই হচ্ছে বদহজম।
গরমে শরীরে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি শরীর ঠাণ্ডা, সঙ্গে মেদ ঝরার জন্য কোন ডায়েট অনুসরণ করবেন, তা অনেকেই জানেন না। আর তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
মর্নিং ড্রিঙ্ক
রাতে এক গ্লাস পানিতে মৌরি ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে ছেঁকে খেয়ে নিন। যাদের গরমে গ্যাসট্রিকের সমস্যা বাড়ে তারা জোয়ান ভেজানো পানি খেতে পারেন।
ব্রেকফাস্ট
দ্রুত সকালের নাশতার জন্য গরমে সবচেয়ে ভালো হবে ছাতুর শরবত। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও ছাতু খুবই উপকারী।
লাঞ্চ ও ব্রেকফাস্টের মধ্যে সময়ের অনেকটা ব্যবধান থাকলে ছাতুর সঙ্গে দই ও চিয়া সিড মিশিয়ে স্মুদি বানিয়েও খেতে পারেন। গরমে ১৫০-২০০ গ্রাম তরমুজের টুকরার সঙ্গে ২০০ গ্রাম টক দই, সামান্য মধু ও বিট লবণ দিয়ে স্মুদি খেতে পারেন। এতে শরীরের হাইড্রেশনের সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে।
মিড মর্নিং
ডাবের পানি, পুদিনা পানি, শসা কুচিয়ে তার সঙ্গে খানিকটা জিরা ও বিট লবণ দিয়ে স্মুদি করে মিড মর্নিংয়ে খেতে পারেন।
যাদের গরমে খুব বেশি ঘাম হয় কিংবা পরিবারে হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস রয়েছে তারা কোতিলার শরবত খেতে পারেন। এতে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কাও কমবে। এ ছাড়া যেকোনো একটি মৌসুমি ফলও খেতে পারেন।
লাঞ্চ
গরমের দুপুরে ভাত খেলেই ভালো। ডায়াবেটিসের জন্য যারা ভাত খান না, তারা ডায়েটে রাখুন মিলেট রাইস, সাবু আটার রুটি। সঙ্গে থাকুক যেকোনো এক ধরনের ডাল। এই সময়ে শরীর ঠাণ্ডা রাখে এমন সবজি যেমন লাউ, পেঁপে, ঝিঙের তরকারি খান।
আর যে সব সবজি খেলে গ্যাসের সমস্যা বাড়ে যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি বাদ দিন। পেঁয়াজ, রসুন খেতে হলে সালাদে খান। হালকা মাছের ঝোল কিংবা পেঁপে, গাজর দিয়ে পাতলা চিকেন স্টু বানিয়ে খেতে পারেন। শেষ পাতে থাকুক টক দই।
বিকেলের স্ন্যাকস
বিকেলে খিদে পেলে লস্যি খেতে পারেন। এ ছাড়া ছোলা ভাজা, শসা ও টমেটো দিয়ে মুড়ি মাখা, সুইট কর্ন সালাদ খেলে স্বাদ বদলের সঙ্গে পেট ভরবে।
ডিনার
রাতে যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি খেতে হবে। ভাত খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলে খেতে পারেন। প্রোটিন হিসেবে সঙ্গে ডাল, পনির, মাছ কিংবা চিকেন স্টু রাখুন। যদি ওজন কমাতে চান তাহলে ওটস কিংবা সাবুর আটার রুটি, ডালিয়ার খিচুড়ি খেতে পারেন।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে
ডিনারের এক-দেড় ঘণ্টা বাদে ঠাণ্ডা পানিতে হাফ টেবিল চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে সেই পানি খেয়ে নিন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমবে।
গরমে ভুলবেন না
সূত্র : আজকাল