একটু দেখেই বের হয়ে যাব, কিন্তু সেটা আর হয় না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায় সামাজিক মাধ্যমের এসব রিলস দেখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সামান্য সময় ধরে রিলস দেখার অভ্যাসও ভালো নয়। কারণ ছোট ও দ্রুত পরিবর্তনশীল এসব কনটেন্ট দেখার জন্য আমাদের আলাদা করে মনোনিবেশ করতে হয় না।
রিলস নামের নেশা থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন যেভাবে
জীবনযাপন ডেস্ক

কনটেন্টগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবেই মনোযোগ আকর্ষণ করে। মনোনিবেশকে এমন ছোট ছোট কনটেন্টে আটকে রাখার অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে গেলে, মানুষ নিজের মনঃসংযোগের ব্যাপ্তি বাড়াতে অক্ষম হয়ে যায়।
লেখাপড়া করার অভ্যাসেও বিষয়টি প্রভাব ফেলছে যথেষ্ট বেশি। একটি বই পড়তে হলে যতটুকু মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন, ততটুকু আর দিতে পারছে না রিলস দেখতে অভ্যস্ত ছেলেমেয়েরা।
যারা রিলস দেখে, তারা লম্বা সময় ধরে একটার পর একটা রিলস দেখতে থাকে। চলে যাওয়া সময় সম্পর্কে বোধ আবছা হয়ে যায় তখন। এই যে একটার পর একটা শর্ট ভিডিও দেখার অভ্যাস— তা একসময় চলে যায় নেশার পর্যায়ে।
‘প্রতীক্ষার ধৈর্য’ আসলে দীর্ঘ অনুশীলনের ফল।
রিলস অনেক বিষয় তীর্যকভাবে, ব্যঙ্গাত্মকভাবেও দেখানো হয়।
রিলসের প্রতি আসক্ত ব্যক্তির সময়জ্ঞান হারিয়ে যায়। পরবর্তী কাজ কী আছে, কতক্ষণ ধরে করার কথা, সেটাও তিনি মনে রাখতে পারে না। তার ফলে তিনি নিজের জীবনে ও কাজকর্মে অগোছালো হয়ে পড়েন। দেখা যায় কারো কারো মুখের সামনে বই খোলা অবস্থায় পড়ে আছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা! একটি অক্ষরও পড়া হয়নি। কিংবা ল্যাপটপ খোলা আছে, একটা কাজও শেষ করা হয়নি।
রিলস দেখার চক্রে জড়িয়ে পড়ে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে, যোগাযোগ করতে ভুলে যাচ্ছেন অনেকেই। মশগুল থাকছেন নিজের স্মার্ট ফোন নিয়ে।
ছোটদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরো উদ্বেগের। যেসব শিশু প্রথম থেকে রিলস দেখে যায়, তারা নিজেদের তাত্ক্ষণিক সন্তুষ্টি লাভের চক্রে জড়িয়ে ফেলে। ফলে ধৈর্যের প্রয়োজন, এমন কাজ করতে গিয়ে প্রবল সমস্যা হয়।
আর শুধু রিলস দেখা নয়, রিলস তৈরি করতে গিয়েও কতশত সমস্যা উপস্থিত হয়। রিলস বানাতে গিয়ে ট্রেন বা গাড়ির ধাক্কা খাওয়া বা বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ হারানোর মতো ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়। এই ধরনের ঘটনা মানসিক অপরিণতির দিকেই নির্দেশ করে।
কীভাবে সম্ভব এই আসক্তি থেকে মুক্তিলাভ
ফোন হোক বা ট্যাব, যে মাধ্যমেই একজন ব্যক্তি রিলস দেখুক না কেন, প্রথমেই ওই মাধ্যমটিকে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে রাখুন। সম্ভব হলে নজরের থেকে দূরে রাখুন। এভাবে বিচ্ছিন্নতার অভ্যাস করুন। তবে নেশা হয়ে গেলে সহজে এমন কাজ করা সম্ভব নয়। বার বার রিলস দেখতে ইচ্ছা হবে।
যদি মনে হয় পুরোপুরি সম্ভব হচ্ছে না, সেক্ষেত্রে অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন। তাতে অল্পসময়ের জন্য রিলস দেখে ফোন সরিয়ে রাখতে হবে। এইভাবে ধীরে ধীরে নেশা থেকে দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
একেবারেই সম্ভব না হলে রিলসের থেকে আরো বেশি উদ্দীপক কোনো কাজে লিপ্ত হলে ভালো হয়। বড়রা ব্যায়াম করতে পারেন। নিজেদের মধ্যে ফোন ছাড়াই সামনাসামনি বসে আড্ডা দেওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
ছোটদের নিজেদের আগ্রহ আছে এমন কোনো খেলা বা বাদ্যযন্ত্র শেখা, ছবি আঁকার সঙ্গে যুক্ত করা গেলেও এই অভ্যাস ত্যাগ করা সম্ভব হতে পারে।
সূত্র : বর্তমান
সম্পর্কিত খবর

যেভাবে অমলেট খেলে কমবে ওজন
জীবনযাপন ডেস্ক

হালকা খিদে মেটাতে অনেকেই ডিমের ওপর ভরসা করে থাকেন। স্বাস্থ্যকর ও সহজ এই খাবার প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। কোলেস্টেরল বাড়ানো এবং ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই ডিম দূরে রাখেন। তবে আপনি চাইলে ডিমের সঙ্গে ওটস মিশিয়ে অমলেট তৈরি করতে পারেন।
ডিমের প্রোটিন আর ওটসের ফাইবার মিলে এই পদ একদিকে যেমন পুষ্টিকর, তেমনই বানাতেও অত্যন্ত সহজ। ছোট থেকে বড়, সবার রুচিতে মানিয়ে যায়। যারা ডায়েট সচেতন কিংবা হেলদি লাইফস্টাইল মেনে চলেন, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ অপশন। কিভাবে তৈরি করবেন এই অমলেট, জেনে নিন।
উপকরণ
- ওটস
- ডিম
- পেঁয়াজ কুচি
- টমেটো কুচি
- কাঁচা মরিচ কুচি
- তেল পরিমাণমতো
- লবণ এবং
- গোলমরিচ।
পদ্ধতি
একটি পাত্রে ডিম, ওটস, পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার একটা কড়াইয়ে সাদা তেল দিয়ে গরম হয়ে এলে মিশ্রণটি ঢেলে উল্টে পাল্টে ভেজে নিলেই তৈরি ওটস অমলেট।
উপকারিতা
ওটস অমলেট প্রমাণ করে, স্বাস্থ্যকর খাবারও হতে পারে সুস্বাদু, সহজ ও চটজলদি।
সূত্র : আজতক বাংলা

পিঠ ও পায়ের পেশির চাপ কমাবে টেনিস বল, কিভাবে ম্যাসাজ করবেন
জীবনযাপন ডেস্ক

শপিংমল, সুপার শপ, সার্ভিস সেন্টার থেকে নির্মাণ শিল্প—প্রায় কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের দাঁড়িয়েই কাজ করতে হয়। দিনের অধিকাংশ সময়ই তারা দাঁড়িয়ে কাটান। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই ধরে যায় কোমর। অনেক সময় শক্ত জুতা পরা বা অতিরিক্ত হাঁটাচলার কারণেও পায়ে ব্যথা, ক্লান্তি, এমনকি গোড়ালির টান পর্যন্ত দেখা যায়।
অথচ এই সমস্যার একটি অতি সহজ ও কার্যকর সমাধান রয়েছে হাতের কাছেই। অনেকেই সেটি জানেন না। আর খরচও নামমাত্র।
কিভাবে ব্যবহার করবেন
- একটি আরামদায়ক চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন।
- খালি পায়ের তলায় টেনিস বলটি রাখুন।
- এবার বলটিকে পায়ের আঙুল থেকে গোড়ালি পর্যন্ত ধীরে ধীরে সামনে-পেছনে চাপ দিয়ে গড়িয়ে নিন।
কেন টেনিস বল এত কার্যকর
ব্যথা কমায় : যাদের প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস আছে বা যাদের হাঁটতে গেলে পায়ের তলার টিস্যুতে টান পড়ে, তাদের জন্য এই কৌশল খুবই উপকারী। গোড়ালির ব্যথা বা হাঁটার ক্লান্তি থেকেও মুক্তি দিতে পারে এটি।
পিঠের ব্যথা কমায় : পায়ের পেশি যদি চাপমুক্ত থাকে, তাহলে শরীরের সার্বিক ভঙ্গিমা ভালো থাকে। ফলে পরোক্ষভাবে পিঠের ব্যথাও কমে যেতে পারে।
রক্ত চলাচল বাড়ায় : টেনিস বলের হালকা চাপ পায়ে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। এতে পেশিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায়। ফলে অভ্যন্তরীণ কোনো পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে সেই অংশও দ্রুত সারে।
পা আরো নমনীয় হয় : যাদের হাঁটতে বা পা ঘোরাতে সমস্যা হয়, তাদের জন্য এই বল ম্যাসাজ পায়ের নমনীয়তা বাড়ায়। ফলে চলাফেরা হয় সহজ, স্বচ্ছন্দ।
সূত্র : আজকাল

সুনামি কেন বারবার পূর্ব এশিয়াতেই আঘাত হানে?
অনলাইন ডেস্ক

সুনামির আরেক নাম নীরব ঘাতক। উৎপত্তি নীরবে, আসেও চুপিচুপি; কিন্তু ধ্বংস করে যায় সরবে। রাশিয়ার উপকূলে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে আজ বুধবার (৩০ জুলাই)। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৮।
সুনামি কী? কেন এত ক্ষতি করে এ দুর্যোগ
‘সুনামি’ শব্দটি এসেছে দুটি জাপানি শব্দ থেকে—‘সু’ অর্থাৎ বন্দর এবং ‘নামি’ অর্থাৎ ঢেউ। এভাবে সুনামির আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় ‘বন্দরের ঢেউ’। এটি সাধারণ ঢেউয়ের মতো নয়; সুনামি হলো সমুদ্র বা বড় কোনো জলাধারে সৃষ্টি হওয়া বিশাল আকারের ধ্বংসাত্মক ঢেউয়ের সারি। সাধারণ ঢেউ মূলত বাতাস বা ঝড়ের কারণে তৈরি হয়, কিন্তু সুনামির পেছনে থাকে ভিন্ন কারণ।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিগত কয়েক বছরে বিভিন্ন বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটেছে, যার মধ্যে সুনামি অন্যতম। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরের তলদেশে একটি ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। সেই ভূমিকম্পের ফলে ভয়াবহ সুনামি সৃষ্টি হয়ে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে আছড়ে পড়ে। এতে প্রাণ হারান প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ।
২০১১ সালে জাপানে আরেকটি ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামি ঘটে, যাতে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার মানুষ নিহত ও নিখোঁজ হন। এই দুর্যোগে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে তেজস্ক্রিয়তা। এই বিপর্যয়ের কারণে বহু মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি, খামার ও পুকুর ফেলে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে হয়। এটি ছিল ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনার পর আরেকটি বড় পারমাণবিক বিপর্যয়।
সুনামি কেন ঘটে?
সুনামি তৈরির প্রধান কারণ হলো ভূমিকম্প। এর পেছনে কাজ করে টেকটনিক প্লেটের আকস্মিক নড়াচড়া। পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের নিচে থাকে একাধিক কঠিন স্তর, যেগুলোকে টেকটনিক প্লেট বলা হয়। যখন সমুদ্রের তলদেশে এই প্লেটগুলোর হঠাৎ ওঠানামা ঘটে, তখন বিশাল জলরাশি স্থানচ্যুত হয়। সেই জলের চাপেই জন্ম নেয় সুনামির শক্তিশালী ঢেউ। সাধারণত রিখটার স্কেলে ৭.৫ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে সুনামি তৈরির আশঙ্কা থাকে।
জেনে রাখা দরকার, রিখটার স্কেল ভূমিকম্পের মাত্রা ১ থেকে ১০ পর্যন্ত পরিমাপ করে। একেক মাত্রার মধ্যে শক্তির পার্থক্য অনেক বিশাল—যেমন ৪ মাত্রার ভূমিকম্প ৩ মাত্রার তুলনায় প্রায় ৩২ গুণ বেশি শক্তিশালী।
ভূমিকম্প ছাড়াও সুনামি ঘটতে পারে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত কিংবা ভূমিধসের কারণে। মূল বিষয় হলো—যখন সমুদ্রের নিচের বিশাল জলরাশি হঠাৎ করে সরে যায় বা স্থানচ্যুত হয়, তখনই সুনামি সৃষ্টি হয়।
সুনামি যখন সমুদ্রের গভীরে থাকে, তখন ঢেউগুলো সাধারণত খুব উঁচু হয় না। কিন্তু এই ঢেউগুলো হয় অনেক দীর্ঘ এবং ছুটে চলে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে—ঘণ্টায় প্রায় ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। উপকূলের কাছাকাছি এলে ঢেউয়ের গতি কমে যায়, কিন্তু তার উচ্চতা অনেক গুণ বেড়ে যায়। তখনই এটি ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ঘটায় উপকূলীয় অঞ্চলে।
পূর্ব এশিয়ায় সুনামির প্রভাব কেন বেশি?
পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ‘রিং অব ফায়ার’ নামে পরিচিত একটি ভূতাত্ত্বিক এলাকার অংশ। ‘রিং অব ফায়ার’ হলো প্রশান্ত মহাসাগর ঘিরে থাকা একটি বৃত্তাকার অঞ্চল, যেখানে পৃথিবীর টেকটনিক প্লেটগুলো একে অপরের সংস্পর্শে আসে। এই অঞ্চলটি অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ এবং এখানে ঘনঘন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতও ঘটে।
জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, চিলি, পেরু এবং যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল ‘রিং অব ফায়ার’-এর অন্তর্ভুক্ত। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯০% ভূমিকম্প এবং ৮০% আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে এই অঞ্চলে। এই এলাকায় ইউরেশীয় প্লেট, ফিলিপাইন সি প্লেট, এবং ইন্দো-অস্ট্রেলীয় প্লেটের মতো টেকটনিক প্লেটগুলো প্রায়ই একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই সংঘর্ষ থেকে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়, এবং তার ফলেই সুনামি ঘটার আশঙ্কা থাকে।
এছাড়াও, পূর্ব এশিয়া ও এর আশেপাশের অঞ্চলে অনেক গভীর সমুদ্র খাত রয়েছে, যেমন মারিয়ানা ট্রেঞ্চ। এসব জায়গায় একটি টেকটনিক প্লেট অন্যটির নিচে সরে যায়, যাকে বলা হয় ‘সাবডাকশন জোন’। সাবডাকশন জোনে উৎপন্ন ভূমিকম্পগুলো হয় খুবই শক্তিশালী, যা সুনামি তৈরির জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে। ফলে এই অঞ্চলের উপকূলগুলো প্রায়ই সুনামির ঝুঁকিতে থাকে।

প্রতিদিন পা ঢাকা জুতা পরলে কী হতে পারে?
জীবনযাপন ডেস্ক

অনেকে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সারা বছরই পা ঢাকা জুতা পরেন। তাতে হাঁটতে যেমন সুবিধা হয়, তেমনি ফ্যাশনের দিকটিও বজায় থাকে। আবার পায়ের পাতায় রোদ লাগলে ‘ট্যান’ পড়বে, সেই ভয় থেকেও অনেকে আঁটসাঁট জুতা পরেন। বাইরে বের হলে পায়ে ধুলা-ময়লা লাগবে, সেই ভয়ে বা পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতেও সারাক্ষণ জুতো-মোজা পরার অভ্যাস অনেকের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ দিন পা ঢাকা জুতা ব্যবহার করলে নানা সমস্যা হতে পারে। কী সেসব সমস্যা, চলুন জেনে নেওয়া যাক—
- পা ঢাকা জুতা পায়ের পেশিকে একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে রাখতে সাহায্য করে। তার ফলে প্রতিদিন পা ঢাকা জুতা পরার ফলে পেশি শক্ত হয়ে যায়।
- অনেক সময়ে টানা পা ঢাকা জুতা পরে থাকলে তা থেকে পিঠ ও কোমরের ব্যথার কারণ হতে পারে। তাই পা ঢাকা জুতার পাশাপাশি কোনো কোনো দিন পা খোলা থাকবে এমন কোনো জুতা বা স্যান্ডেল ব্যবহার করলে সমস্যা দূর হবে।
সূত্র : আনন্দবাজার ডট কম