ডায়াবেটিক রোগীদের কি খেজুর খাওয়া নিরাপদ?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ডায়াবেটিক রোগীদের কি খেজুর খাওয়া নিরাপদ?
সংগৃহীত ছবি

খেজুর একটি প্রাকৃতিক মিষ্টিসমৃদ্ধ ফল। যা সাধারণত শক্তি বৃদ্ধির জন্য খাওয়া হয়। যদিও এতে প্রাকৃতিকভাবে চিনির পরিমাণ বেশি। তবে এতে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ উপাদানও রয়েছে।

যা একে পরিশোধিত চিনির একটি ভালো বিকল্প করে তোলে। 

খেজুরের গ্লাইসেমিক সূচক (জিআই) কম থেকে মাঝারি। অর্থাৎ এটি শরীরে ধীরে ধীরে শর্করা প্রবাহিত করে, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বাড়ায় না। খেজুরে থাকা ফাইবার হজম ও গ্লুকোজ শোষণকে ধীর করে দেয়।

এতে থাকা পলিফেনল প্রদাহ কমায়। এ ছাড়া খেজুরের ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

চলুন জেনে নেই খেজুরের বিভিন্ন প্রকার।

আজওয়া খেজুর: ছোট, গাঢ় এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, এতে চর্বি কম এবং প্রোটিন ও ফাইবার বেশি।

কিমিয়া খেজুর: নরম এবং মিষ্টি, এটি মিল্কশেক ও মিষ্টান্নে ব্যবহৃত হয়। তবে এগুলো অল্প পরিমাণে খাওয়া ভালো।

মেডজুল খেজুর: এটি খুবই মিষ্টি, তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

ডেগলেট নুর খেজুর: হালকা মিষ্টি এবং আধা-শুকনো। এতে ফাইবার ও প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে।

যা এনার্জি বার এবং স্ন্যাক্সে ব্যবহৃত হয়।

যারা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাদের জন্য খেজুর সঠিক পরিমাণে খাওয়া ভালো। প্রতিদিন ২-৩টি খেজুরের সঙ্গে বাদাম বা দই মিশিয়ে খেলে দেহে চিনির শোষণ ধীরগতির হয়। এ ছাড়া খেজুর ওটসের সাথে খেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ ভালো হয়। ইফতারিতে খেজুর খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকবে। এতে পেটও ভরবে এবং গ্লকোজও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

সূত্র: ক্লিভল্যান্ড

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

খেজুরের বিচির এত গুণ!

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
খেজুরের বিচির এত গুণ!
সংগৃহীত ছবি

রোজায় দীর্ঘসময় খাবার বিরতির কারণে শরীর পুষ্টির অভাবে অনেকটাই ক্লান্ত থাকে। কাজের চাপে অফিসে কিংবা বাসায় ইফতার করেন অনেকেই। আর এ ইফতারে প্রায় সবারই প্রথম পছন্দ খেজুর। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই খেজুর খেয়ে ফেলে দেন এর বিচি।

কিন্তু জানলে অবাক হবেন, এই বিচিতেই রয়েছে অনেক গুণাগুণ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-র প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, খেজুরে আছে প্রচুর শক্তি, অ্যামিনো অ্যাসিড, শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল। এই খেজুর আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি জোগান দিতে সাহায্য করে। এই ফলটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ ও বি, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন।

তবে খেজুরের মতো এর বীজেও লুকিয়ে রয়েছে জাদুকরী নানা গুণ! আসুন এক নজরে জেনে নিই খেজুরের বিচির কিছু উপকারিতার কথা-
 
১। খেজুরের বিচি ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর তা হালকা বাদামি করে সরিষা তেলে ভেজে নিন। এখন ভাজা বিচিগুলো গুড়া করুন।
তৈরি গুড়া মিষ্টি, স্মুদি, দইয়ে মিশিয়ে খেতে পারেন। বিচিতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধানে দারুণ কাজ করে।

২। খেজুরের বিচি থেকে তৈরি করা যায় তেলও। এ তেল ত্বক ও চুলের যত্নে ভালো কাজ করে।


 
৩। খেজুরের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পারে।
 
৪। পাচনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে চাইলে খেজুর বিচির গুড়া নিয়মিত খেতে পারেন।
 
৫। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে খেজুরের বিচি।
 
৬। রক্তে শর্করার মাত্রায় ভারসাম্য রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে পারে খেজুরের বিচি।
 
৭। খেজুরের বিচির গুড়া দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। তাই ওজন কমাতে চাইলে ভরসা রাখতে পারেন এতে।
 
৮। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খেজুরের বিচি কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর সেবন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
 
৯। এর গুড়া কফি বা চায়ের মতো করে খাওয়া যেতে পারে। এটি ক্যাফেইন মুক্ত কফি হিসেবে কার্যকরী।
 
১০। শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে দূষণমুক্ত করতে পারে খেজুরের বিচির গুড়া। শুধু তাই নয়, পেটের অনেক রোগ নিরাময়ে উপকারী এটি।

মন্তব্য

কিডনি সুস্থ রাখার উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কিডনি সুস্থ রাখার উপায়
সংগৃহীত ছবি

কিডনি সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সুষম খাবার খেতে হবে। যদি আপনার কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করে তখন রক্তে বর্জ্য পদার্থ জমা হতে থাকে। কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা একটি বিশেষ ডায়েট অনুসরণ করলে উপকার পেতে পারেন, যা কিডনি ডায়েট নামে পরিচিত। ডায়েট চার্টটি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো বানানো হয়ে থাকে।

চলুন জেনে নেই কিডনি ভালো রাখতে কি কি খাবার খেতে পারেন।

ফুলকপি
ফুলকপিতে ভিটামিন কে, ফোলেট, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও প্রদাহবিরোধী উপাদান থাকে। এটি কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়ক। এক কাপ ফুলকপিতে সোডিয়াম থাকে ৯.৩ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৮৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২০ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম।

ডিমের সাদা অংশ
ডিমের সাদা অংশে ফসফরাসের মাত্রা কম, যা কিডনির জন্য ভালো। ২টি ডিমের সাদা অংশে সোডিয়াম ১১০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১০৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১০ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ৭ গ্রাম থাকে।

রসুন
রসুনে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি-৬, এবং সালফার যৌগ থাকে। ৩ কোয়া রসুনে ৩৬ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ০.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

বাঁধাকপি
বাঁধাকপিতে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ৭০ গ্রাম বাঁধাকপিতে ৬ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১১৯ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ০.৯ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

মুরগির মাংস
৮৫ গ্রাম মুরগির মাংসে সোডিয়াম ৬৪ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ২২০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৯৬ মিলিগ্রাম, এবং প্রোটিন ২৭ গ্রাম থাকে। তবে কিডনির অসুখ থাকলে প্রতিদিন ২-৩ আউন্সের বেশি মুরগির মাংস খাওয়া উচিত নয়।

ফল
জাম, স্ট্রবেরি, আপেল, ব্লুবেরি, আনারস, এবং লাল আঙুরের মতো ফল কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

আদা
আদা রক্ত চলাচল বাড়িয়ে কিডনির ভালো রাখতে সাহায্য করে।

ব্রকলি ও ক্যাপসিকাম
এই দুইটি সবজিতে ভিটামিন কে, সি, বি-৬, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। যা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

সূত্র: হেলথলাইন

মন্তব্য

তেলতেলে চুল? ঘরোয়া সমাধান জেনে নিন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
তেলতেলে চুল? ঘরোয়া সমাধান জেনে নিন
সংগৃহীত ছবি

তৈলাক্ত ত্বক এবং চুলের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। চুলের তেলতেলে ভাব দূর করতে অনেকেই নিয়মিত শ্যাম্পু করেন। নিয়মিত শ্যাম্পু করার ফলে মাথার ত্বক আর্দ্রতা হারায়।

মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে ঘরোয়া কয়েকটি উপাদান দিয়ে আপনি এই সমস্যা সমাধান করতে পারেন।

    

আমলকি
চুলের জন্য আমলকি অত্যন্ত কার্যকরী। আমলকি পাউডারের সঙ্গে টক দই মিশিয়ে মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

অ্যাপল সিডার ভিনিগার
এটি মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

অ্যাপল সিডার ভিনেগার পানির সঙ্গে মিশিয়ে চুলে দিন। কিছু সময় অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে ফেলুন।

লেবু 
তৈলাক্ত চুলের জন্য লেবু খুবই উপকারী। লেবুর রসের সঙ্গে পানি মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

শুকিয়ে এলে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন এটি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।

সূত্র: এই সময় 

মন্তব্য

লিভার সুস্থ রাখতে যা খেতে পারেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
লিভার সুস্থ রাখতে যা খেতে পারেন
সংগৃহীত ছবি

ঘড়ি ধরে বা ডায়েট চার্ট অনুসরণ করে সব সময় খাবার খাওয়া সম্ভব হয় না। মাঝে মাঝে বাড়ির খাবারের ক্ষেত্রেও অনিয়ম হয়ে যায়। বিরিয়ানি, মোমো, তেলে ভাজা খাবার বাঙালির প্রিয় হলেও স্বাস্থ্যকর নয়। এগুলো বেশি খেলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

তবে কিছু খাবার বা পানীয় রয়েছে যা লিভার ডিটক্সিফিকেশন বা পরিস্কার করতে সাহায্য করে।

লিভার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সকালে খালি পেটে ডিটক্স ওয়াটার খেলে একদিনেই লিভার টক্সিন মুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনিযুক্ত খাবার এবং অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটযুক্ত খাবার কমাতে হবে। মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে। অ্যালকোহল লিভারের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

ফ্যাটি লিভার, হাই কোলেস্টেরল ও অতিরিক্ত ওজনের মতো সমস্যাগুলি প্রধানত অস্বাস্থ্যকর ডায়েটের কারণে ঘটে।

তাই লিভারের সুস্থতা নিশ্চিত করতে সুষম আহারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

আপনার প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে শাকসবজি, ফল, ডাল, চিয়া সিড, মুরগি, ডিম রাখতে পারেন। লিভার ডিটক্সিফিকেশনে ওটস, কিনোয়া খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া জরুরি। যা লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

হলুদ ও আদা লিভারের জন্য উপকারী।

সূত্র: এই সময় 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ