কাঁধে ব্যথা হলে সাধারণত মানুষ ভুল ভঙ্গিতে শোয়া, ভারী জিনিস বহন, আর্থ্রাইটিস ও মানসিক চাপকেই দায়ী করেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে কাঁধে ব্যথা অনুভব করলে বা দুর্বলতা দেখা দিলে তা ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণও হতে পারে। যখন ফুসফুসের টিউমার স্নায়ু বা হাড়ে চাপ সৃষ্টি করে, তখন এ ধরনের ব্যথা হতে পারে। তাই যদি এমন উপসর্গ দেখা যায়, তৎক্ষণাৎ একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
গবেষণায় জানা গেছে যে ফুসফুসের ক্যান্সার সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে ৪৫ বছরের নিচে এ রোগের সংখ্যা তুলনামূলক কম। ধূমপান, পরোক্ষ ধূমপান, বিষাক্ত ধোঁয়া, বিকিরণ, অ্যাসবেস্টস-ক্রোমিয়াম-নিকেলের মতো যৌগের সংস্পর্শে এলে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম সাধারণ রূপ হলো ফুসফুসের শ্বাসনালি প্রভাবিত হওয়া।
এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, দীর্ঘস্থায়ী কাশি, কাশির সঙ্গে রক্ত বা কফ তৈরি হওয়া।
ফুসফুস ক্যান্সারের সঙ্গে সম্পর্কিত কাঁধে ব্যথা
গবেষণায় দেখা গেছে, যদি ক্যান্সারের টিউমারটি ফুসফুসের ওপরের অংশে তৈরি হয়, তবে এটি কাঁধে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। এটি বাহু বা কাঁধের স্নায়ু ও রক্তনালিতে চাপ সৃষ্টি করে। যার ফলে ব্যথা ও দুর্বলতা হতে পারে।
সেই সঙ্গে পিন ও সূঁচ ফোটার মতো অনুভূতি হতে পারে। টিউমারটি মাথার রক্তপ্রবাহকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ফলে মুখ ফুলে যেতে পারে।
আঙুলের লক্ষণ
ফুসফুসের ক্যান্সারের আরেকটি প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে আঙুলে। যদি আপনি হাতের আঙুলগুলো ভাঁজ করে মুঠো পাকান এবং জানালার আলোর কাছে নিয়ে যান, তবে যদি মুঠোর মাঝে ডায়মন্ড শেপের ফাঁক দেখা যায়, তাহলে সব কিছু ঠিক আছে।
যদি মুঠো করতে অসুবিধা হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ:
১। দীর্ঘস্থায়ী কাশি
২। কাশির সঙ্গে রক্ত আসা, শ্বাসনালির ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
৩। ক্রমাগত ক্লান্তি, শক্তি হ্রাস, ক্ষুধা কমে যাওয়া, অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
ফুসফুসের রোগের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য চিকিৎসা কাজ না করা ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণগুলোর প্রতি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং যেকোনো সন্দেহ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূত্র : এই সময়