পেটের মেদ বাড়ায় যে খাবারগুলো

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
পেটের মেদ বাড়ায় যে খাবারগুলো
সংগৃহীত ছবি

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ও পেটের অতিরিক্ত মেদ ঝরানো—আজকের ব্যস্ত জীবনে যেন সবারই প্রধান লক্ষ্য। খাদ্যাভাস, জিম, হাঁটা—সবই চলছে নিয়ম মেনে। কিন্তু ভুল খাওয়াদাওয়ার জন্য ওজন কমার বদলে বেড়ে যেতে পারে। চলুন, জেনে নিই সন্ধ্যার পর যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত নয়।

চিনি-যুক্ত খাবার
চকলেট, কুকিজ, মিষ্টি জাতীয় খাবার সন্ধ্যার পরে এড়িয়ে যাওয়া ভালো। এতে থাকে উচ্চ ক্যালোরি, যা শরীরে জমে গিয়ে ওজন ও পেটের মেদ বাড়ায়।

ভারী প্রোটিন খাবার
রাতের দিকে হজমশক্তি কমে যায়। তাই সন্ধ্যার পর রেড মিট, মাছ বা ভারী প্রোটিন খাবার না খাওয়াই ভালো।

চাইলে হালকা প্রোটিন যেমন ডিম বা মুরগি বেছে নিতে পারেন।

কোল্ডড্রিঙ্কস ও কার্বনেটেড পানীয়
সোডা, সফট ড্রিঙ্কস, অ্যালকোহল—এসব পান করলে পেট ফুলে যায় ও গ্যাস তৈরি হয়। এছাড়া এগুলো পেটের চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে।

দুগ্ধজাত খাবার
দুধ, দই, পনির বা ক্রিম—এইসব দুগ্ধজাত খাবার সন্ধের পর খেলে হজমের সমস্যা, পেটে ব্যথা কিংবা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।

এগুলো দিনেই খাওয়াই ভালো।

ফাস্টফুড
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পাস্তা, পিৎজা বা তেলে ভাজা খাবার রাতে খেলে পেটে চর্বি জমে যায় দ্রুত। ফলে শরীরেও দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা।

সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখবে মাটির পাত্রের পানি

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখবে মাটির পাত্রের পানি
সংগৃহীত ছবি

প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে মাটির পাত্র ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। একসময় প্রায় প্রতিটি ঘরেই মাটির ঘড়া বা কলসে পানি রাখা হতো। যদিও আধুনিক জীবনে ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যের পক্ষে মাটির পাত্রের পানি অনেক বেশি উপকারী। চলুন, জেনে নিই কী কী উপকার।

গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখে
মাটির পাত্রে রাখা পানি স্বাভাবিকভাবে ঠাণ্ডা থাকে। কোনও বিদ্যুৎ বা কৃত্রিম ঠাণ্ডার প্রয়োজন হয় না। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরম থেকে রক্ষা করে।

গলা ব্যথা, সর্দি-কাশির সম্ভাবনা কমায়
ফ্রিজের অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি অনেক সময় গলা বসে যাওয়া, কাশি বা সর্দির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

কিন্তু মাটির পাত্রের ঠাণ্ডা পানি শরীরের সঙ্গে মানানসই হওয়ায়, এই ধরনের সমস্যার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
প্রতিদিন মাটির পাত্রে রাখা পানি পান করলে হজমশক্তি উন্নত হয়। অ্যাসিডিটি, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও অনেকটাই কমে। তাই খাবার হজমে সহায়ক এক সহজ উপায় এটি।

পাচনতন্ত্র রাখে সুস্থ
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্রিজের অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি আমাদের পাচনতন্ত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু মাটির পাত্রের পানি সেই সমস্যার থেকে মুক্ত রাখে এবং দীর্ঘমেয়াদে শরীর সুস্থ রাখে।

কোনো রাসায়নিক নেই
মাটির পাত্র প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হয়, যেখানে কোনও ধরনের কেমিক্যাল বা ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহৃত হয় না। ফলে পানি বিশুদ্ধ থাকে এবং শরীরে কোনও ক্ষতি করে না।

সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া

মন্তব্য

সকালের হাঁটার সময় এড়িয়ে চলুন যে ভুলগুলো

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
সকালের হাঁটার সময় এড়িয়ে চলুন যে ভুলগুলো
সংগৃহীত ছবি

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, সুস্থ থাকতে হলে সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটা প্রয়োজন। চিকিৎসকরাও বলছেন, দিনে ৩০ মিনিট হাঁটলেই দেহের রক্তচাপ ও শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে, ওজনও কমে। তবে শুধু হাঁটলেই হবে না—হাঁটার সময় ও তার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। নইলে উপকারের বদলে হতে পারে উল্টো ক্ষতি।

চলুন, জেনে নিই।

ঘুম থেকে উঠে সঙ্গে সঙ্গে হাঁটতে যাবেন না
অনেকে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়েই হাঁটতে বেরিয়ে পড়েন। এটা ভুল। ঘুমের পর শরীর ডিহাইড্রেটেড থাকে, তাই প্রথমেই এক গ্লাস পানি পান করতে হবে।

এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে, পেট পরিষ্কার হবে এবং হাঁটার সময় শরীর ক্লান্ত বা ঝিমিয়ে পড়বে না।

একেবারে খালি পেটে হাঁটবেন না
হাঁটার আগে ভারী খাবার না খেলেও একেবারে খালি পেটে বেরিয়ে পড়া ঠিক নয়। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে, ক্লান্তি আসতে পারে। তাই হাঁটার আগে হালকা কিছু খেয়ে নিন—যেমন ভেজানো বাদাম, কলা বা এক গ্লাস স্মুদি।

চা-কফি খেয়ে হাঁটতে যাওয়া নয়
অনেকের সকালে ঘুম ভাঙতেই চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু তারপর হাঁটতে বেরোনো বিপজ্জনক হতে পারে। খালি পেটে চা-কফি খেলে গ্যাস বা অম্বল হতে পারে। পাশাপাশি চা-কফি শরীরকে আরও ডিহাইড্রেট করে, আর হাঁটার সময় ঘাম হওয়ার কারণে শরীর থেকে আরও পানি বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

ঘর পরিষ্কারে ভিনেগারের অসাধারণ ব্যবহার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ঘর পরিষ্কারে ভিনেগারের অসাধারণ ব্যবহার
সংগৃহীত ছবি

আপনি কখনো ভেবেছেন, আপনার বাড়ি বা অফিসে প্রচলিত ক্লিনিং প্রডাক্টের বদলে ভিনেগার ব্যবহার করলে কী ভালো ফলাফল পেতে পারেন? সম্প্রতি সাংবাদিক কাটারিনা জিমার জার্মানির বার্লিনে নিজের নতুন ফ্ল্যাটে বেসিনের ট্যাপে লিমস্কেল (ক্যালসিয়াম কার্বনেটের শক্ত সাদা আবরণ) সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন। তিনি ভিনেগার ব্যবহার করে অল্প সময়ের মধ্যে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। এই অভিজ্ঞতার পর তিনি ভিনেগারের অন্যান্য সুবিধা জানার জন্য আরো গবেষণা শুরু করেন। চলুন, জেনে নিই কাটারিনা আর কী কী জানতে পারলেন ভিনেগারের উপকারিতা সম্পর্কে।

        

ভিনেগার যেকোনো কঠিন ময়লা ও জং পরিষ্কার করতে দারুণ কার্যকর
ভিনেগারের মূল উপাদান হচ্ছে এসিটিক এসিড। যা লিমস্কেল ও মরিচার মতো ময়লা দ্রুত পরিষ্কার করতে সক্ষম। কাটারিনার ভাষ্য মতে, তিনি যখন টয়লেট পরিষ্কার করতে ভিনেগার ব্যবহার করলেন, তখন ৩০ মিনিট হালকা স্ক্রাবিং করলেই লিমস্কেল সম্পূর্ণ চলে গেল। এতে তিনি বুঝতে পারলেন, ভিনেগার সত্যিই একটি শক্তিশালী ও প্রাকৃতিক পরিষ্কারকারক।

ভিনেগার কি ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে?
ভিনেগার সম্পর্কে একটি জনপ্রিয় ধারণা হলো, এটি জীবাণু মেরে ফেলতে সক্ষম। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন যে ভিনেগার ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও মোল্ডের বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে, তবে এর জন্য এর ঘনত্ব ৫% হতে হবে। এমনকি ১০% ঘনত্বে এটি কিছু গুরুতর ব্যাকটেরিয়া- যেমন ই-কোলির বিরুদ্ধে কার্যকর। তবে এটি সব ধরনের ভাইরাস বা মোল্ডের বিরুদ্ধে কাজ করে না।

বিশেষ করে নোরোভাইরাসের মতো শক্তিশালী ভাইরাসের বিরুদ্ধে এটি নিষ্ক্রিয়।

ভিনেগারের ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা
ভিনেগার খুবই কার্যকর হলেও, এটি সব ধরনের ময়লা পরিষ্কার করতে সক্ষম নয়। যেমন- তেলের দাগ বা চর্বি পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সাবান অনেক বেশি কার্যকর। এ ছাড়া অনেকেই ভুলভাবে ভিনেগার ও বেকিং সোডা একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করেন। তবে এর কোনো প্রভাব নেই, কারণ ভিনেগারের এসিড ও বেকিং সোডার ক্ষার একে অপরকে নিষ্ক্রিয় করে।

ভিনেগারের সুবিধা : পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যকর
কোনো ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক ছাড়াই ভিনেগার আপনার ঘর বা অফিসের ক্লিনিং প্রডাক্ট হিসেবে কার্যকর হতে পারে। এটি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়ায় এর প্রভাব পরিবেশের জন্য খুবই কম। এর বড় সুবিধা হলো, এটি সহজেই ভেঙে যায় এবং বাইরের পরিবেশে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না। 

যখন আপনি ভিনেগার ব্যবহার করছেন, কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। যেমন— এটি চোখে লাগানো থেকে বিরত থাকতে হবে, গ্লাভস ব্যবহার করা উচিত। তবে এটি গ্লাস, সিরামিক ও স্টেইনলেস স্টিলের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

গরমে খুশকির সমস্যা যেভাবে দূর করবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে খুশকির সমস্যা যেভাবে দূর করবেন
সংগৃহীত ছবি

গরমকালে অনেকেই খুশকির সমস্যায় ভোগেন। ঘাম ও ধুলার কারণে মাথার তালুতে খুশকি জমে থাকে। বারবার শ্যাম্পু করলেও এই সমস্যা সহজে দূর হয় না। তবে চিন্তার কিছু নেই, ঘরোয়া উপায়ে টকদই ব্যবহার করলেই মিলতে পারে চটজলদি সমাধান।

 শুধু খাওয়ার জন্য নয়, ত্বক ও চুলের যত্নে টকদই দারুণ উপকারী। চলুন, জেনে নিই।

টকদই
গোসলের আগে মাথার তালুতে সরাসরি টকদই লাগান। ৩০-৪০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

শ্যাম্পু সালফেট ও কেমিক্যালমুক্ত হলে ভালো হয়।

টকদই ও লেবুর রস
এক কাপ টকদইয়ে এক চামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। ৩০-৪০ মিনিট অপেক্ষা করার পরে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। লেবুর রস চুলে সজীবতা আনে এবং খুশকির সমস্যা দ্রুত কমিয়ে দেয়।

টকদই, মেথি গুঁড়ো, লেবুর রস
এই তিনটি উপাদান মিশিয়ে তৈরি মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণ খুশকির পাশাপাশি চুলও করবে মোলায়েম।

টকদই, লেবুর রস, আমলকির রস
এই মিশ্রণ মাথার তালুতে লাগালে দ্রুত খুশকি দূর হবে। আমলকি ও লেবু—দুটোই চুলের জন্য দারুণ উপকারী, চুল রাখে ঝকঝকে ও কোমল।

পরামর্শ
খুব গরম পানি ব্যবহার করবেন না, হালকা গরম পানিই যথেষ্ট।

সপ্তাহে ২-৩ বার এই ঘরোয়া উপায়গুলো অনুসরণ করলে ভালো ফল পাবেন।

গরমকালে খুশকির সমস্যা হলে বাড়িতে থাকা এই সাধারণ উপাদান দিয়েই পেয়ে যেতে পারেন কার্যকর সমাধান।

সূত্র : এবিপি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ