ঘুমের ঘাটতিতে বাড়তে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ঘুমের ঘাটতিতে বাড়তে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি
সংগৃহীত ছবি

হৃদরোগ প্রতিরোধে সচেতন জীবনযাপনের গুরুত্ব নিয়ে অনেকেই কথা বলেন। ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা, ফাস্টফুড এড়িয়ে চলা ও নিয়মিত শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনেকেই এড়িয়ে যান—আর সেটা হলো ঘুম।

চিকিৎসকদের মতে, ঘুমের অভাব শুধু ক্লান্তি এনে দেয় না বরং সরাসরি হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ ফেলে।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং হৃদপিণ্ডকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করতে হয়, ফলে হার্টে বাড়তি চাপ পড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে যদি মানসিক চাপ বেশি থাকে, তাহলে রাতে ঘুমও কম হয়। এর প্রভাব শুধু হার্টে নয়, মস্তিষ্ক ও হজমতন্ত্রেও পড়ে। মানসিক চাপ থেকে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন বাড়ে, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, হজমে সমস্যা তৈরি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়।

ঘুমের অভাব রক্তচাপ বাড়ায় ও শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা সরাসরি হৃদরোগের কারণ হতে পারে। সেই সঙ্গে বিপাকক্রিয়া (মেটাবলিজম) ব্যাহত হয়, কোলেস্টেরল ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ে, ওজনও বাড়ে—সব মিলিয়ে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

ঘুমের সময় নিয়ে একেকজনের চাহিদা ভিন্ন হতে পারে। কারো ৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন হয়, আবার কেউ ৫ ঘণ্টার ঘুমেই সুস্থ থাকেন।

সবার জন্য ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম বাধ্যতামূলক—এমনটা বলা যায় না। তবে এই সত্য অস্বীকার করা যায় না যে ঘুম শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

অনেকে মনে করেন, সারা সপ্তাহ কম ঘুমিয়ে ছুটির দিনে অনেকক্ষণ ঘুমিয়ে ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভুল। একদিনের ঘুমের ঘাটতি অন্যদিন পুষিয়ে নেওয়া যায় না।

বরং এভাবে চলতে থাকলে শরীরের জৈব-ঘড়ির স্বাভাবিক ছন্দের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সবশেষে বলাই যায়, হৃদরোগ প্রতিরোধে ঘুম কোনোভাবে উপেক্ষা করার বিষয় নয়, বরং তা সুস্থ জীবনধারার অপরিহার্য অংশ।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভাত ঝরঝরে হবে যে উপায়ে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ভাত ঝরঝরে হবে যে উপায়ে
সংগৃহীত ছবি

আমাদের দৈনন্দিন খাবার তালিকায় আর কিছু থাকুক আর না থাকুক ভাত থাকবেই। ভাত যদি ঝরঝরে আর ফুলের মতো সুন্দর ধবধবে হয় তাহলে লবণ পেঁয়াজ দিয়েই খাওয়া যায়। আবার সেই ভাত যদি গলে যায় বা আঠা আঠা হয়ে যায়, অনেক রকম তরকারি থাকলেও মন মতো খাওয়া যায় না।

আমাদের রান্নাঘরে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় প্রায়ই।

ভাত মাড় গালার পরে মোটামুটি ঝরঝরে থাকলেও খাওয়ার সময়ে দেখা যায় ভাত প্রায় গায়ে গায়ে লেগে গেছে। ফুলের মতো ঝুরঝুরে ভাত আর হয়  না।

তবে আপনি চাইলে কিছু সহজ উপায়ে একদম ঝরঝরে ভাত রান্না করতে পারবেন। আর খাবার টেবিলে সকলের মুখেই সেই ভাত খেয়ে তৃপ্তির হাসিও দেখতে পারবেন।

শুধু জেনে রাখতে হবে ছোট্ট কিছু টোটকা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন
গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

 

বড় দানার চাল

সম্ভব হলে সবসময় ভাত করার জন্য একটু লম্বা বড় দানার চাল নিন। এতে চাল নিচের দিকে লেগে যাবে না।

বড় দানার চাল একে অন্যের গায়ে লেগে থাকে কম। এতে ভাত হবে।

আগে ভিজিয়ে রাখুন

রান্নার করার আগে চাল অধঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে পারলে ভাল। এতে চাল নরম হয়ে আসে। ফলে খুব বেশি সময় ধরে আগুনের তাপে চাল রাখতে হয় না।

তাই ভাত ঝরঝরে থাকে।

বেশি জল দেবেন না

চাল যখন ফুটবে তখন অনেক জল দেবেন না। যত চাল তার দ্বিগুণ জল দেবেন মাপ করে। বেশি জল অনেক সময়ে ভাত জ্বলজ্বলে করে দেয়। তাই মাপ অনুযায়ী জল দিলে ভাত ভাল হবে।

আরো পড়ুন
গরমে প্রয়োজনের অধিক পানি পান করলে কী হয়

গরমে প্রয়োজনের অধিক পানি পান করলে কী হয়

 

অন্য পাত্রে ভাত রাখুন

আমরা সাধারণত হাড়ি বা ডেকচিতে রেখে দিই ঢাকা দিয়ে। হাড়ির গরমে ভাত আরও সিদ্ধ হয়ে যায়। ফলে আরও বেশি লেগে যায়। চেষ্টা করুন ভাত হওয়ার পর ভাত অন্য কোনও একটি পাত্রে রেখে দেওয়ার। এতে সাধারণ ঘরের তাপমাত্রায় ভাত থাকবে। অতিরিক্ত উত্তাপ পাবে না আর বেশি গলেও যাবে না।

সঠিক পাত্র বাছা জরুরি

অন্য পাত্রে রাখার জন্যেও এমন পাত্র বাছবেন না যাতে ভাত একসঙ্গে লেগে থাকে এক জায়গায়। মানে ছোট কোনও পাত্র নেবেন না। একটু বড় আর ছড়ানো পাত্র নেবেন। এই পাত্রের মধ্যে রান্না করা ভাত ছড়িয়ে রাখুন। এতেও ভাত ঠিক থাকবে।

ফ্যানের নিচে রাখুন

দেরাদুন রাইস বা বাসমতী রাইস দিয়ে পোলাও বা ফ্রায়েড রাইস বা ভালো কোনো কিছু রান্না করার সময়ে এই পদ্ধতি ব্যবহার করি। সাধারণ চাল রান্না করার সময়েও কিন্তু এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। যে পাত্রে ভাত রাখবেন সেই পাত্রের মুখ খানিক সময়ের জন্য খুলে রাখুন। এতে ভাতের জলীয় ভাব চলে যাবে তাড়াতাড়ি আর ভাত ঝরঝরে থাকবে।

আরো পড়ুন
‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

 

কম আঁচে রান্না করা

কম আঁচে আস্তে আস্তে রান্না করলে ভাত কম গলে। এতে সময় একটু বেশি লাগলেও ভাত কিন্তু খুব ভাল হয়। কম আঁচে বেশি সময় নিয়ে হলে ভাত সুসিদ্ধ হয় ভিতর থেকে। আর সব ভাত ঠিক সময় মতো সিদ্ধ হলে লেগে যায় না। ফলে একে অন্যের সঙ্গে লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে।

ভাত করার সময় বেশি নাড়বেন না

ভাত বেশি নাড়লে ভেঙে যায়। এই ভাঙা চালের অংশ গলে গিয়ে ভাত স্টিকি করে দেয়। তাই আস্তে আস্তে সময় নিয়ে ভাত করুন। কিন্তু বেশি নাড়বেন না। এক বা দু'বার হাতা দিয়ে নেড়ে দিন যাতে নিচে লেগে না যায় তাও ২০ মিনিট পর পর।

আরো পড়ুন
খুশকি দূর করবে টকদই, কিভাবে ব্যবহার করবেন

খুশকি দূর করবে টকদই, কিভাবে ব্যবহার করবেন

 

পানিতে পরে চাল দিন

আগে পানি বসিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার চাল দিন। চাল ভালো হলে আর আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা থাকলে বেশি সময় লাগবে না হতে, আর ভালো সিদ্ধ হবে। তাড়াতাড়িও হয়ে যাবে।

ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নেওয়া

আমরা ভাতের মাড় ফেলে দেওয়ার পর ভাত রেখে দিই। এই সময়ে একটি কাজ করুন। ভাত অল্প একটু ঠাণ্ডা পানিতেদ আরেকবার ধুয়ে নিন। এতে ভাতের তাপ কমে যাবে, আঠা আঠা ভাব কমে যাবে।

আরো পড়ুন
গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

 

সূত্র : নিউজ ১৮

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

গ্রামবাংলার ফল ডুমুরের যত গুণ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গ্রামবাংলার ফল ডুমুরের যত গুণ
সংগৃহীত ছবি

গ্রাম বাংলার অনেক পুরনো একটি ফল ডুমুর। অনেকে ফেলনা ভেবে ফেলে দেন এই ফল। তবে বর্তমানে এই ফলের খুব একটা দেখা পাওয়া যায় না। এই ফল অনেকেই খেতে চান না।

কিন্তু এই ফলের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আর তা জানুন আজকের প্রতিবেদনে।

ডুমুরের পুষ্টিগুণ

কেউ কাঁচা খান, কেউ বা রান্না করে, আবার কেউ অন্যান্য ফল বা বিভিন্ন কিছু মিশ্রণে ভর্তা বানিয়ে খান। এই ফলের রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ।

জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফাইবার সমৃদ্ধ এই ডুমুর খেলে আপনি অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। এ ছাড়া ডুমুর খেলে আর কী কী উপকার তা জেনে নিন।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে

ডুমুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যা খেলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

তা ছাড়া ক্লোরোজনিক এসিড থাকে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। স্মুদি, কনফ্লেক্সের সঙ্গে ডুমুর খেতে পারেন। আবার ডুমুরের তরকারি করে খেতে পারেন। যারা সুগারে ভুগছেন তারাও কিন্তু নিত্যদিন ডুমুর খেতে পারেন।

আরো পড়ুন
গরমে প্রয়োজনের অধিক পানি পান করলে কী হয়

গরমে প্রয়োজনের অধিক পানি পান করলে কী হয়

 

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে 

ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। আর ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে খুব কাজে লাগে। কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলসের সমস্যায় ভুগলে আপনি কিন্তু অবশ্যই ডুমুর খাবেন। আবার মলকে নরম করতেও ডুমুর খাওয়া খুব দরকার।

ওজন কমবে

অনেকেই ওজন কমানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কিন্তু কিছুতেই ওজন কমাতে পারছেন না। তারা যদি এই ফল প্রতিদিন খান, তবে উপকার পাবেন। ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এই ফলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। ডুমুর বেশি খেলে আপনার পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকবে।

আরো পড়ুন
গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

 

হাড় মজবুত থাকবে

আপনি যদি হাড় মজবুত রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ডুমুর খান। ডুমুর খেলে আপনার শরীরে ক্যালসিয়াম তৈরি হবে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকবে না। হাড় মজবুত হবে। এতে সহজে কিন্তু হাড় ভেঙে যাবে না।

হার্ট ভালো থাকে 

হার্ট ভালো রাখতে ডুমুরের জুড়ি মেলা ভার। কারণ, ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা আপনার শরীরের ফ্রি-র‌্যাডিকেল দূর করতে সাহায্য করবে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ডুমুর যদি প্রতিদিন খেতে পারেন তবে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমবে। এমনকি আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমবে। আপনি যদি কোনো রোগে আক্রান্ত থাকেন তাহলে ডুমুর খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

আরো পড়ুন
গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

 

সূত্র : ওয়ানইন্ডিয়া

মন্তব্য

শুধু কি কম ঘুমালেই চোখের নিচে কালি জমে?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
শুধু কি কম ঘুমালেই চোখের নিচে কালি জমে?
সংগৃহীত ছবি

আমাদের চোখের তলায় বিভিন্ন কারণে কালি জমে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয় ঘুমকে। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে নাকি চোখের তলায় কালচে ছোপ পড়ে। এ কথাটি কতটা সত্যি? বা এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন।

চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

বিশেষজ্ঞরা জানান, রাতে নির্দিষ্ট সময় না ঘুমালে চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল বা কালো দাগ পড়তে পারে। সে জন্য রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি।

এ ছাড়া আরো কয়েকটি কারণে চোখের নিচে কালো দাগ পড়তে পারে।

সেগুলো হচ্ছে—লিভারের সমস্যা ও পেটের সমস্যা। এসব কারণেও অনেক সময় চোখের তলায় কালি জমে। তাই যাদের সব সময় চোখের তলায় কালচে ছোপ থাকে তারা অবহেলা না করে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।

আরো পড়ুন
খুশকি দূর করবে টকদই, কিভাবে ব্যবহার করবেন

খুশকি দূর করবে টকদই, কিভাবে ব্যবহার করবেন

 

সঠিক পরিমাণে পানি খাওয়া না হলে আমাদের শরীরে ডিহাইড্রেশন হয়ে যায় অর্থাৎ পানির ঘাটতি দেখা যায়।

এই কারণেও অনেক সময়ে চোখের তলার অংশ ফুলে যায় এবং কালচে ভাব দেখা দিতে পারে।

অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণেও আমাদের চোখের তলায় কালি পড়তে পারে। তাই চাপের মাত্রা কমাতেই হবে। প্রয়োজনে সাহায্য নিতে হবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের।

অ্যালকোহল ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তার কারণেও চোখের তলায় কালি পড়তে পারে।

চোখের তলায় কালচে ছোপের পাশাপাশি ফুলে যেতে পারে চোখের নিচের অংশ। তাই অতিরিক্ত মদ্যপান ও ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।

আরো পড়ুন
গরমে প্রয়োজনের অধিক পানি পান করলে কী হয়

গরমে প্রয়োজনের অধিক পানি পান করলে কী হয়

 

গরমের মৌসুমে সূর্যের তাপে আমাদের ত্বকে হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা দেখা যায়। এর প্রভাবে ত্বকে যেমন ট্যান পড়বে, তেমনই চোখের তলায় কালচে ছোপ বসে যাবে। তাই গরমের মৌসুমে চোখে সানগ্লাস রাখা জরুরি।

অনেকের অভ্যাস রয়েছে বারবার চোখ চুলকানো, চোখে হাত দিয়ে রগড়ানো। এর ফলে চোখের চারপাশ ফুলে যেতে পারে। ওই অংশে থাকা ব্লাড ভেসেলগুলোতেও চাপ পড়ে তা ছিঁড়ে যেতে পারে।

জিনগত কারণেও চোখের তলায় সারা বছর এই কালচে ছোপ থাকতে পারে। অর্থাৎ কারো বাড়িতে যদি দেখা যায় অনেকের এই সমস্যা রয়েছে, তাহলে চোখের তলায় কালচে ছোপ দেখা যেতে পারে জিনগত কারণে।

আরো পড়ুন
গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

 

যাদের ডার্ক সার্কেলের সমস্যা রয়েছে তারা চোখের নিচে নিয়মিত আন্ডার আই ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিমের ব্যবহারে চোখের তলার কালচে ছোপ ধীরে ধীরে ফিকে হবে।

চোখের তলায় কালচে ছোপ, অর্থাৎ ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দেখা দিলে সেই অংশে বরফের টুকরো আস্তে আস্তে ঘষে লাগাতে পারেন নিয়মিত। এর ফলে উপকার পাবেন অনেকটাই।

আরো পড়ুন
গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

 

সূত্র : এবিপি লাইভ

মন্তব্য

সকালের নাশতায় যে ৬ খাবার খেলে বাড়বে কোলেস্টেরল

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
সকালের নাশতায় যে ৬ খাবার খেলে বাড়বে কোলেস্টেরল
সংগৃহীত ছবি

সকালের নাশতাকে দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু সব খাবারই হৃদরোগের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। কিছু খাবার সুবিধাজনক, পুষ্টিকর বলে মনে হলেও অনেক সাধারণ নাশতার খাবার নীরবে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক ও অন্যান্য হৃদরোগজনিত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে।

মূল কথা হলো, দ্রুত ও সহজ নাশতা বলে মনে হলেও এসব খাবার দীর্ঘমেয়াদি হৃদরোগের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। তাই আজকের প্রতিবেদনে প্রতিদিনের নাশতার ৬টি খাবারের কথা বলা হলো, যেগুলো কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে। কী সেসব খাবার। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—

আরো পড়ুন
খুশকি দূর করবে টকদই, কিভাবে ব্যবহার করবেন

খুশকি দূর করবে টকদই, কিভাবে ব্যবহার করবেন

 

চিনিযুক্ত সিরিয়াল

চিনিযুক্ত সিরিয়াল সকালের নাশতায় অনেকেই পছন্দ করেন।

বিশেষ করে শিশু ও ব্যস্ত প্রাপ্তবয়স্করা বেশি পছন্দ করেন। তবে, এই সিরিয়ালগুলোর অনেকগুলোতে পরিশোধিত চিনি ও কৃত্রিম সংযোজন থাকে, যা ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) কমাতে পারে। চিনিযুক্ত খাবার বেশি গ্রহণ প্রদাহকে বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা হৃদরোগের একটি মূল কারণ।

বেকারি পণ্য

মাফিন, ক্রোয়েসেন্ট ও ডোনাটের মতো বেকারি আইটেমগুলো সকালের নাশতার জন্য উপকারী ও ভালো বলে মনে হতে পারে, তবে এগুলো বেশিরভাগই অস্বাস্থ্যকর ট্রান্স ফ্যাট ও পরিশোধিত ময়দা দিয়ে ভরা।

এই উপাদানগুলো (এলডিএল) খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং হৃদরোগের বিকাশকে উৎসাহিত করতে পারে।

আরো পড়ুন
গরমে প্রয়োজনের অধিক পানি পান করলে কী হয়

গরমে প্রয়োজনের অধিক পানি পান করলে কী হয়

 

ভাজা খাবার

সুস্বাদু নাশতায় পুরির মতো ভাজা খাবার থাকে। তবে এগুলোতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও সোডিয়াম বেশি থাকে। যদিও এই খাবারগুলো প্রোটিন সরবরাহ করতে পারে, তবুও রক্তপ্রবাহে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতেও অবদান রাখে।

পূর্ণ-চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য

অনেক নাশতাপ্রেমী তাদের সকালের কফিতে এক কাপ পুরো দুধ, এক টুকরা পনির, অথবা এক টুকরা পূর্ণ-চর্বিযুক্ত ক্রিম যোগ করেন।

যদিও এগুলো সুস্বাদু বিকল্প বলে মনে হতে পারে, তবে এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পরিচিত।

আরো পড়ুন
গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

 

সাদা রুটি

সাদা রুটি ও ব্যাগেল অনেকের নাশতার প্রধান খাবার, তবে এগুলো প্রায়শই মিহি সাদা ময়দা দিয়ে তৈরি করা হয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটের পুষ্টিগুণ খুব কম, যা মূলত খালি ক্যালরি সরবরাহ করে।

প্যাকেটজাত ব্রেকফাস্ট বার

যদিও এটি ভ্রমণপিয়াসুদের জন্য সুবিধাজনক ও স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে বাজারজাত করা হয়। তবে আগে থেকে প্যাকেজ করা ব্রেকফাস্ট বারগুলোতে প্রায়শই লুকানো চিনি, অস্বাস্থ্যকর চর্বি ও কৃত্রিম উপাদান থাকে। এগুলো ওজন বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে হার্টের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

আরো পড়ুন
গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

 

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ