ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৫ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

\'ধানমণ্ডি সোসাইটি\'র কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
\'ধানমণ্ডি সোসাইটি\'র কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

রাজধানীর ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের সেবার উদ্দেশ্যে গঠিত অলাভজনক ও অরাজনৈতিক সংগঠন 'ধানমণ্ডি সোসাইটি'র কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে ধানমণ্ডির একটি রেস্টুরেন্টে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ধানমণ্ডি সোসাইটির সভাপতি আবু মুহাম্মদ সবুর ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মোসাদ্দেক হাবিব মিতুসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় নিজের বক্তব্যে আবু মুহাম্মদ সবুর বলেন, কথায় আছে, যদি ঢাকাকে বাংলাদেশের রাজধানী বলা হয়, তবে ধানমণ্ডি হলো ঢাকার রাজধানী।

ক্রীড়া-শিক্ষা-সংস্কৃতি, আর্থ-সমাজিক কিংবা রাজনীতি যা-ই বলি, ঐতিহ্যবাহী ধানমণ্ডি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইতিহাসেরও অংশ। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, ক্রমাগত বাণিজ্যিক আগ্রাসন, পরিবেশদূষণ ও সামাজিক বিশৃঙ্খলায় ঐতিহ্যবাহী ধানমণ্ডি আজ তার আবাসিক মর্যাদাটুকু প্রায় হারাতে চলেছে। এমতাবস্থায় একজন সচেতন ধানমণ্ডিবাসী হিসেবে নীরব থেকে সামাজিক দায়িত্ববোধ এড়িয়ে যেতে পারি না। 

ধানমণ্ডির হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সবার আগে প্রয়োজন সকল বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা।

আর আলোচনার জন্য একটি অরাজনৈতিক সামাজিক ফোরাম তৈরি করা, কমিটি গঠনের মাধ্যমে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং স্বেচ্ছাসেবী উপকমিটি গঠনের মাধ্যমে সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করা। সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে, সেই উদ্দেশ্য আদর্শকে সামনে রেখেই- ধানমণ্ডির স্থানীয় সমাজসচেতন গণ্যমান্য সুযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে অবশেষে আমরা ধানমণ্ডি সোসাইটি গড়ে তুলতে সফল হয়েছি। লেক, পার্ক এবং খেলার মাঠের উন্নয়ন, সবুজায়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনে বৃক্ষরোপণ পরিচর্যা সংরক্ষণ ও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে স্থানীয় অধিবাসীদের বিভিন্ন সুযোগে নিশ্চিতে কাজ করবে এই সোসাইটি।
এ ছাড়াও নিয়মিত সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন ও ফুড ব্যাংক গঠন করা হবে।

সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মোসাদ্দেক হাবিব বলেন, এই সোসাইটির মাধ্যমে সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং জীবন ও জীবনযাত্রার নিরাপত্তা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে সামাজিক শৃঙ্খলা এবং সার্বিক কল্যাণে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা ও বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এ ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ধানমণ্ডির সড়ক উপসড়কে যানজট নিরসন, দুর্ঘটনারোধ ও পথচারীরে নির্বিঘ্ন চলাচলে অবৈধ্য ভ্রাম্যমাণ দোকান, ফুটপাথ অবমুক্তকরণে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা এবং উপসড়কে রোডসাইন ব্যবহার করে একমুখী চলাচল নিশ্চিত করা হবে। ইলেক্ট্রনিক্স নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংবলিত নিরাপত্তাকর্মীর মাধ্যমে এলাকার প্রবেশ এবং প্রস্থানমুখের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে এলাকায় নিয়মিত বর্জ্য নিরসন, রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও সুনিশ্চিত করার বিষয়টিও দেখা হবে।

\"\"

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিটির সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় ধানমণ্ডি এলাকায় বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করা হবে। এ ছাড়াও এসব জনকাল্যাণমূলক কাজে স্থানীয় সাংসদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং স্থানীয় কাউন্সিলর ধানমণ্ডি সোসাইটিকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করবেন জানিয়েছেন।

ধানমণ্ডি সোসাইটির কার্যনির্বাহী কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. লিয়াকত হোসাইন মিলন ও মো. মনির হোসাইন, যুগ্ম সম্পাদক এ কামাল অনু, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল খান অলক, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ সাদ উল্লাহ, দপ্তর সম্পাক মো. শরিফুল হক, নারী বিষয়ক সম্পাদক দিলারা হাফিজ, জনকল্যাণ সম্পাদক এ এম কামাল, শিক্ষা ও আইন বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ অনীক রুশদ হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সৈয়দ আশেক আলী জিতু, কমিউনিটি স্বাস্থ্য সম্পাদক হোসাইন এ সিকদার, কমিউনিটি পরিবেশ সম্পাদক মো. তারেক রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক মো. তৈয়ব আফজাল, গণমাধ্যম ও যোগাযোগ সম্পাদক মো. ইসাম, জনসংযোগ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান, সদস্য ডা. মেহরাজ রহমান চৌধুরী এবং খান মো. ওসামা সালেহিন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

১২,৫০০ বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া প্রাণীর প্রত্যাবর্তন

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন প্রতিবেদক
শেয়ার
১২,৫০০ বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া প্রাণীর প্রত্যাবর্তন
সংগৃহীত ছবি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘কলোসাল বায়োসায়েন্সেস’ বিশ্বে প্রথমবারের মতো বিলুপ্ত কোনো প্রাণীকে পুনর্জীবিত করার দাবি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, প্রায় ১২,৫০০ বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া বিশালাকৃতির ‘ডায়ার উলফ’ নেকড়েকে ক্লোনিং ও জিন সম্পাদনা প্রযুক্তির মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

কলোসালের বিজ্ঞানীরা প্রাচীন ডিএনএ বিশ্লেষণ করে ডায়ার উলফের মতো দেখতে তিনটি শাবক তৈরি করেছেন। এর মধ্যে দুটি পুরুষ শাবক ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর জন্ম নিয়েছে এবং একটি স্ত্রী শাবক ২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি জন্ম নিবে।

নেকড়ে শাবক দুইটির নাম দেওয়া হয়েছে রোমিউলাস ও রেমিউস।

এই গবেষণায় ব্যবহৃত হয়েছে ১৩ হাজার বছর পূর্বের ডায়ার উলফের পুরোনো একটি দাঁত ও ৭২ হাজার বছর আগের একই প্রাণীর পুরোনো একটি খুলির ডিএনএ। সিআরআইএসপিআর প্রযুক্তির সাহায্যে এ প্রজাতির নেকড়ের কোষে ১৪টি জিনে ২০টি পরিবর্তন আনা হয়েছে।

বর্তমানে এই তিনটি শাবক গোপন স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রাখা হয়েছে।

যেখানে ১০ ফুট উঁচু বেড়া, ড্রোন, নিরাপত্তাকর্মী ও লাইভ ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে।

এ ছাড়া কলোসাল বায়োসায়েন্সেস ম্যামথ, ডোডো ও তাসমানিয়ান টাইগারকে ফিরিয়ে আনার প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। তবে ডায়ার উলফের পুনর্জন্ম নিয়ে তাদের কাজ এখন পর্যন্ত গোপন ছিল। বিজ্ঞানীদের মতে, এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন বিজ্ঞানের নতুন একটি দিগন্ত খুলে দিয়েছে।

তবে এটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। 

অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, বিপন্ন প্রাণীদের রক্ষায় বেশি জোর দেওয়া উচিত। তাদের মতে, বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণীকে ফিরিয়ে আনার অর্থ হচ্ছে প্রকৃতির নিজস্ব ভারসাম্য নষ্ট করা। যদিও কলোসাল বায়োসায়েন্সেস ভবিষ্যতে সিআরআইএসপিআর প্রযুক্তির মাধ্যমে আরো প্রাণী ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে।

সূত্র : সি এন এন

মন্তব্য

সভ্যতা ও বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ বাংলাদেশের ‘শীতল পাটি’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সভ্যতা ও বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ বাংলাদেশের ‘শীতল পাটি’
সংগৃহীত ছবি

‘আসুক আসুক মেয়ের জামাই, কিছু চিন্তা নাইরে, আমার দরজায় বিছাই থুইছি, কামরাঙা পাটি নারে’—পল্লি কবি জসীম উদ্দিন তাঁর নকশী কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থে কামরাঙা নামক শীতল পাটির বর্ণনা এভাবে দিয়েছেন।

শীতল পাটি বাংলা সুপ্রাচীন এক কুটির শিল্পের নাম। আমাদের সভ্যতা ও ঐতিহ্যের অংশ এই শীতল পাটি। বাংলাদেশের শীতল পাটি বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

আগেকার দিনে গরমের সময়ে যখন বিদ্যুৎ ছিল না তখন হাত পাখা যেমন ব্যবহৃত হতো তেমনি শীতল পাটিও ছিল ঘরে ঘরে। কাঁথা বা তোশকের উপরে এই পাটি বিছিয়ে দেয়া হতো এবং এতে গা এলিয়ে দিলে হৃদয় মন সব শীতল হয়ে যেতো বলেই এর নাম শীতল পাটি। এই শীতল পাটির প্রধান উপাদান হলো মোরতা এবং এটি একটি নল খাগরা জাতীয় উদ্ভিদ। এ গাছ জঙ্গলে, ঝোঁপে ঝাড়ে, রাস্তার ধারে, পাহাড়ের পদতলে আপনা- আপনি জন্মায়।

এই গাছ থেকে এর বাকল পাতলা করে কেটে সংরক্ষণ করে বোনা হয় শীতল পাটি। 

শীতল পাটি বিভিন্ন ডিজাইনে বোনা হয়। বিভিন্ন রঙের সংমিশ্রণে কখনো ফুল, পাখি, লতাপাতা কখনো বা জ্যামিতিক আকৃতি আবার মসজিদ, মন্দিরের আকৃতিতেও বোনা হয়। কখনো বা রং ছাড়াও বোনা হয়।

অসম্ভব ধৈর্য আর চমৎকার নৈপুণ্যের কাজ করে থাকেন কারিগরেরা। নারী-পুরুষ একসাথে এ কাজ করে থাকেন। তবে বেশিরভাগ সময়ে নারীরাই শীতল পাটি বোনার কাজ করেন।

অতীতে জমিদার বাড়ি, সরকারি অফিস-আদালতে শীতল পাটির ব্যবহার ছিল। বর্তমানে শীতল পাটির ব্যবহার পূর্বের তুলনায় কমে গেছে।

কিন্তু শৌখিন মানুষের ঘরে এখনো শীতল পাটি লক্ষ্য করা যায়। যেমন সাজসজ্জার উপকরণ, সুকেস, ব্যাগ, চশমার খাপ ইত্যাদিতে শীতল পাটির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিয়ের উপকরণ হিসেবে শীতল পাটির ব্যবহার হয়ে আসছে বহুযুগ ধরে। 

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা, পটুয়াখালী, সিলেট ও ঝালকাঠি অঞ্চলে এখনো শীতলপাটি তৈরি হয়। তবে সব থেকে উন্নত ও উৎকৃষ্ট মানের শীতল পাটি পাওয়া যায় চট্টগ্রাম ও সিলেটে। বর্তমানে শীতল পাটি উৎপাদন কম হওয়ার কারণ কারিগরেরা ন্যায্য মূল্য পায়না বলে অন্য পেশার সাথে তারা জড়িত হচ্ছে। যদি সরকারি ভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ ও কারিগরদের সুযোগ- সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয় তবে আমাদের এই ঐতিহ্য টিকে থাকার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

লেখক : বিলকিস নাহার মিতু
শিক্ষার্থী, সরকারি বিএল কলেজ, খুলনা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রেল উপদেষ্টার কাছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের খোলা চিঠি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রেল উপদেষ্টার কাছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের খোলা চিঠি
ড. মো. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ।

অন্তর্বর্তী সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে খোলা চিঠি লিখেছেন ড. মো. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ। তিনি  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীসম্পদ বিভাগের উপপ্রধান।

রেল উপদেষ্টাকে লেখা খোলা চিঠিতে তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের বয়স পেরিয়েছে ৫৪ বছর। অথচ এই দীর্ঘ সময়েও দেশের প্রতিটি বিভাগের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি।

একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক প্রযুক্তির যুগেও যখন দেশে মেট্রোরেল, হাই-স্পিড ট্রেন, উন্নত স্টেশনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে, তখনও রাজশাহীর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ চট্টগ্রামের সাথে সরাসরি রেল যোগাযোগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। এটি নিঃসন্দেহে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের একটি বড় সীমাবদ্ধতা।

 ড. মো. হেমায়েতুল ইসলাম আরো বলেন, বিশেষ করে রাজশাহী হতে চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগে কিছু সামান্য স্থানে ডাবল ডুয়েল গেজ লাইন স্থাপনই কেবল যথেষ্ট, যেমন- আব্দুলপুর হতে রাজশাহী পর্যন্ত ডাবল ডুয়েল গেজ লাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা সংযোগ রেলপথে আপগ্রেড, এই রেলপথ চালু হলে রাজশাহী অঞ্চল তথা উত্তরাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি উৎপাদন, পর্যটন, শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে অভাবনীয় উন্নয়ন ঘটবে। বিশ্ববিদ্যালয় শহর, কৃষিভিত্তিক শিল্পাঞ্চল, মৎস্য ও আম রপ্তানির অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে রাজশাহীর রয়েছে এক বিশাল সম্ভাবনা।

কিন্তু এই সম্ভাবনার দ্বার খোলার জন্য প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন ও সরাসরি রেল যোগাযোগ।

বর্তমানে রাজশাহী হতে চট্টগ্রামগামী যাত্রী বা পণ্য পরিবহন করতে হলে একাধিক বার ট্রেন বদল, সময় অপচয় এবং বাড়তি খরচ বহন করতে হয়। এতে উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ অনুৎসাহিত হন। আর এই বাধাগুলো দূর করতে হলে প্রয়োজন দ্রুত সময়ের মধ্যে রাজশাহী-চট্টগ্রাম সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপন।

তিনি আরো লিখেছেন, মাননীয় উপদেষ্টা, রেল যোগাযোগ শুধু একটি যানবাহন নয়, এটি একটি অঞ্চলের জীবনরেখা। এটি যেমন পণ্য পরিবহনে ব্যয় কমায়, তেমনি পরিবেশবান্ধব ও জনবান্ধব যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবেও প্রশংসিত। রেলপথ উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি বিভাগকে একই সুঁতোয় গাঁথা সম্ভব।

আমরা চাই, আপনি এই বাস্তবতাকে অনুধাবন করবেন এবং দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে রাজশাহী হতে চট্টগ্রাম পর্যন্ত একটি কার্যকর, আধুনিক ও নিরবচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করবেন। এটা কেবল একটি বিভাগের চাওয়া নয়—এটা দেশের সার্বিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য।

"রেল সংযোগ মানে অর্থনৈতিক সংযোগ, প্রগতির সংযোগ"—এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা, রাজশাহীসহ সমগ্র উত্তরাঞ্চলের জনগণ, আপনার সদয় দৃষ্টি ও ত্বরিত পদক্ষেপ কামনা করছি।

মন্তব্য

পোল্যান্ডের ভূতুড়ে বনের রহস্য

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পোল্যান্ডের ভূতুড়ে বনের রহস্য
সংগৃহীত ছবি

অনেকেই রহস্যময় ও গা ছমছম করা জায়গায় ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। যা চলতি ভাষায় গোস্ট হান্টিং নামে পরিচিত। এমন স্থানগুলোতে ঘুরতে গিয়ে যে ধরনের অভিজ্ঞতা লাভ করা যায়, তা রোমাঞ্চকর। পোল্যান্ডের ক্রুকেড ফরেস্ট এমনই একটি রহস্যময় স্থান।

পোল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমে, পশ্চিম পোমেরানিয়ার গ্রিফিনো শহরের কাছে নোভা জার্নোভো গ্রামে অবস্থিত এই ক্রুকেড ফরেস্ট। দেখতে খুব সুন্দর এই অরণ্যটির প্রধান আকর্ষণ এর অদ্ভুত আকৃতির পাইনগাছ। প্রায় ৪০০টি গাছের মধ্যে প্রতিটি গাছের গোড়া থেকে ৯০ ডিগ্রি কোণে বাঁকানো এবং তারপর ওপরের দিকে সোজা হয়ে উঠেছে। এসব গাছের এই বিশেষ আকৃতিই তৈরি করেছে নানা রহস্য, যা পর্যটকদের প্রতিবছর আকর্ষণ করে।

ক্রুকেড ফরেস্টের এই গাছগুলোর অস্বাভাবিক আকৃতির কারণ আজও অজানা। এ ব্যাপারে বিভিন্ন তত্ত্ব দেওয়া হয়েছে, তবে কোনোটি সঠিকভাবে প্রমাণ করা যায়নি। কথিত রয়েছে যে ১৯৩০ সালে স্থানীয় কাঠমিস্ত্রিরা বিশেষ উদ্দেশ্যে গাছগুলোকে বাঁকিয়েছিলেন। হয়তো নৌকা বা আসবাবপত্র তৈরি করতে।

তবে এর প্রকৃত কারণ এখনো রহস্যময়। রহস্যে ঘেরা হলেও গাছগুলোর অসাধারণ সৌন্দর্য এটিকে পোল্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল হিসেবে পরিচিত করেছে।

সূত্র : অল দ্যাটস ইন্টারেস্টিং

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ